1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যেন মিনেইরাওর ভূত!

৯ জুলাই ২০১৪

জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে পরাজয়ের পর ব্রাজিল জুড়ে যত আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে এটিও একটি৷ বিশ্ব তথা ব্রাজিলের ফুটবল সমর্থক মাত্রই ১৯৫০ সালের মারাকানাসো সম্পর্কে জেনে থাকবেন৷

WM 2014 Halbfinale Deutschland Brasilien Public Viewing Berlin
ছবি: picture-alliance/dpa

সে সময় ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এক ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে গিয়েছিল ব্রাজিল৷ ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে তখন প্রায় দুই লাখ দর্শক বসতে পারতেন৷ উরুগুয়েকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে ব্রাজিল এই আশা নিয়েই ব্রাজিলীয়রা সমবেত হয়েছিলেন মারাকানায়৷ কিন্তু তাঁদেরকে হতাশায় ডুবিয়ে জিতে যায় উরুগুয়ে৷ সেই থেকে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে ঐ ঘটনাটি মারাকানাসো বা ‘মারাকানার ভূত' বলে পরিচিত৷

এই পরাজয় কি মারাকানাসোর চেয়েও বড়?ছবি: Reuters

মঙ্গলবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের পরাজয় কি মারাকানাসোর চেয়েও বড়? এমনটা মনে করার লোক আছে অনেকে৷ তাই তো গণমাধ্যম, এমনকি ফিফা স্বয়ং মঙ্গলবারের ম্যাচটিকে ‘মিনেইরাসো' মানে মিনেইরাওর ভূত নামে ডাকতে শুরু করেছে৷ কারণ এবার যে স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে তার নাম মিনেইরাও৷

তাঁরা হারবে এমনটা ভাবা ছিল অসম্ভবছবি: Reuters

তবে ব্যতিক্রমও আছে৷ যেমন ব্রাজিলের ফুটবল বিশ্লেষক মিচেল কাস্টেলার৷ তিনি মনে করেন মারাকানাসো আর মিনেইরাসোর মধ্যে তুলনা করা যাবে না৷ কারণ ‘‘১৯৫০ সালে ব্রাজিল ছিল অপরাজেয় দল৷ তাঁরা হারবে এমনটা ভাবা ছিল অসম্ভব৷ কিন্তু এবার আমরা আগে থেকেই জানতাম যে এই ব্রাজিল দলে অনেক খুত আছে,'' বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন তিনি৷ তবে এত বড় হার যে একটা ‘জাতীয় লজ্জা' সেটা তিনি মেনে নিয়েছেন৷

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ক্রুজ বলেছেন তাঁর লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নিছবি: Reuters

এদিকে ব্রাজিলের আরেক ফুটবল বিশ্লেষক জুকা ফুরি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘‘এটা মনে হচ্ছিল বড়দের সঙ্গে ছোটদের খেলা....ব্রাজিলের ফুটবল আগে কখনো এতটা লজ্জায় পড়েনি৷'' সে দেশের পত্রপত্রিকাও এই হারকে ব্রাজিল দলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জা বলে আখ্যায়িত করেছে৷ আর গ্লোবোস্পোর্ট ডটকম একে বলছে ‘শেম অফ শেমস'৷

তাঁর জীবনের ‘সবচেয়ে খারাপ দিনছবি: Reuters

জার্মান দলকে হিরোর মতো সংবর্ধনা

না জার্মান দল এখনো দেশে ফিরে আসেনি৷ কারণ রবিবার তো তাঁদের ফাইনাল খেলতে হবে৷ তাই ব্রাজিলেই এমন সম্বর্ধনা পেয়েছেন তাঁরা৷ ব্রাজিলীয়রাই তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছে৷ ম্যাচ শেষে জার্মান ফুটবলাররা যখন তাঁদের বেসক্যাম্পে ফিরছিলেন তখন সেখানে উপস্থিত হন শত শত ব্রাজিলীয়৷ সবাই ‘জার্মানি, জার্মানি...' বলে চিৎকার করতে থাকেন৷ কিছুক্ষণ আগে যে দলকে লজ্জায় ফেলেছে সেই দলের সমর্থকদের কাছ থেকে এমন সংবর্ধনা জার্মান ফুটবলাররাও আশা করেননি৷

‘২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে আমরাও সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিলাম’ছবি: Reuters

যে যা বললেন

ব্রাজিলের কোচ লুইস ফেলিপে স্কোলারি মঙ্গলবারকে তাঁর জীবনের ‘সবচেয়ে খারাপ দিন' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ পেলে তাঁর চোখ এখনই ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের দিকে সরিয়ে নিয়েছেন৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন রাশিয়ায় ব্রাজিল ‘হেক্সা' জয় করবে৷ পাশাপাশি তিনি জার্মানিকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

ম্যাচ শেষে জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ বলেন, ‘‘ব্রাজিলীয়দের মনে এখন কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা তিনি তিনি অনুভব করতে পারছেন৷ কারণ ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে আমরাও সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিলাম৷'' উল্লেখ্য, ল্যোভ তখন জার্মানির সহকারী কোচ ছিলেন৷ এদিকে জার্মানির গোলদাতা ম্যুলার ও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ক্রোস দু'জনেই বলেছেন তাঁদের লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি, কারণ জার্মানি ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিততে এসেছে৷

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড করেন মিরোস্লাভ ক্লোজেছবি: Reuters

ক্লোজের রেকর্ড

মঙ্গলবারের ম্যাচে একটি গোল করে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড করেন মিরোস্লাভ ক্লোজে৷ ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার টুইটারে ক্লোজেকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে দক্ষ স্কোরার৷''

‘একটি টিম'

হারের পর সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ ব্রাজিলীয়রা৷ একজন লিখেছেন, ‘‘ব্রাজিলের আছে নেইমার, আর্জেন্টিনার মেসি আর পর্তুগালের রোনাল্ডো৷ কিন্তু জার্মানির আছে একটি টিম৷''

কেউ কেউ রিও-র বিখ্যাত ‘ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার'-এর স্থলে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের দু'হাত ওপরে তোলা ছবি বসিয়ে দিয়েছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ