1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কোনোদিন ভুলো না!'

ক্রিস্টফ স্ট্রাক/এসি২৭ জানুয়ারি ২০১৫

নাৎসি বিভীষিকার প্রতীক হচ্ছে আউশভিৎস৷ সেই কুখ্যাত বন্দিশিবির থেকে যাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁদের সঙ্গে শেষবারের মতো একটি স্মারক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাকে বিরাট এক সুযোগ বলে মনে করেন ক্রিস্টফ স্ট্রাক৷

Holocaustgedenktag Auschwitz Überlebende
ছবি: picture-alliance/dpa

একটি বিভীষিকাময় স্থান: আউশভিৎস৷ মানুষ যে কতটা অমানুষিক হতে পারে, জার্মানরা যে বিভিন্ন দেশের মানুষদের কী পরিমাণ কষ্ট দিয়েছে, আউশভিৎস-এ এসে সে কথা ভাবলে নীরব হয়ে যেতে হয়৷

আউশভিৎস থেকে যাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁদের অনেকেই আর কখনো এখানে ফিরে আসেননি৷ জিন আমেরি, টাডেউস বোরোভস্কি, প্রিমো লেভি, এঁদের কেউই তাঁদের নিজেদের বেঁচে থাকাটাকে ক্ষমা করতে পারেননি এবং আউশভিৎস মুক্ত হবার বহু বছর কিংবা দশক পরেও আত্মহত্যা করেছেন৷ সে বিভীষিকার কোনো শেষ নেই, মুক্তি নেই৷ থেকে গেছে স্মৃতি ও বেদনা৷ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা আসছেন এখানে, যাঁরা শিশুবয়সে বাবা-মা, ভাইবোনকে হারিয়েছেন এবং এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাননি, কখন সেই প্রিয়জনের হাত ছেড়ে দিতে হয়েছে৷

জার্মান সংসদে আউশভিৎস স্মারক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউকছবি: picture-alliance/AP Photo/Michael Sohn

শেষবারের মতো

এই মঙ্গলবারেও আউশভিৎস-বির্কেনাউ-এর শত শত সাবেক বন্দি, যারা প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁরা আবার সেই বিভীষিকার স্থলে ফিরেছেন – এদের অধিকাংশই ইহুদি, সেই সঙ্গে প্রায় একশো পোলিশ বন্দিও ফিরেছেন৷ শেষবারের মতো ‘‘কালের সাক্ষীরা'' এমন বিপুল সংখ্যায় এখানে সমবেত হয়েছেন৷ আমাদের উচিত, তাঁদের কাহিনি শোনা, যতোদিন পর্যন্ত সে কাহিনি না স্তব্ধ হয়ে যায়৷ তারপর সেই কাহিনি থাকবে আমাদের দায়িত্বে৷

আউশভিৎস-এর মুক্তিদিবসকে নাৎসি অপশাসনের শিকারদের স্মারক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে জার্মানদের ৫০ বছর সময় লেগে গেছে৷ এবার সংসদে আউশভিৎস-এর কোনো সাবেক বন্দি নন, বরং জার্মান প্রেসিডেন্ট স্বয়ং বক্তব্য রাখবেন৷ এই স্মারক সভা কি সফল হবে? জার্মানরা কি সত্যিই তাদের চিরন্তনী দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন? একটি সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী ৮১ শতাংশ জার্মান ইহুদি নিপীড়নের ইতিহাসকে ‘‘পিছনে ফেলে দিতে'' চান৷ অপরদিকে জার্মানিতে যে সব নাৎসি বন্দিশিবিরের অবশেষ বর্তমান, সেখানে দর্শকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ গত বছর ১৫ লক্ষ মানুষ আউশভিৎস-বির্কেনাউ-তে আসেন, যা কিনা একটা রেকর্ড৷ এর অর্থ: হলোকস্টের স্মৃতি আজও জাগরূক, কিন্তু তা আর স্বভাবসিদ্ধ নয়৷ আজও জার্মানিতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যে কোনো না কোনো সময় একটি না একটি নাৎসি বন্দিশিবির পরিদর্শন করবে, সেটা স্বভাবসিদ্ধ নয়৷ কেন নয়?

ক্রিস্টফ স্ট্রাকছবি: DW

সজাগ থাকো, শুধু ভঙ্গিমায় আটকে থেকো না

বিভিন্ন দক্ষিণপন্থি আন্দোলন, নতুন ধরনের প্রতিবাদ, ইন্টারনেটে অবলীলাক্রমে বহিরাগত-বিদ্বেষ কিংবা জাতিবাদী আক্রোশ প্রচার করা, প্রকাশ্য মঞ্চে মাইক-এর সামনেও – এ সব থেকে আজ বোঝা যাচ্ছে, নাৎসি নিপীড়নের সেই বিপর্যয়মূলক স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখাটা ঠিক কতোটা প্রয়োজন৷ শুধু বন্দিশিবিরে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই নয়, বরং আমাদের নিজেদের সমাজব্যবস্থার প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে, কেননা সেই সমাজকে মানবিক থাকতে হবে, অমানুষিক হলে চলবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ