ভোটের মাঠে নেই বিএনপি৷ আওয়ামী লীগের সামনে সহজ সহজ প্রতিপক্ষ৷ আবার এদের প্রায় সবার সঙ্গে জোট, মহাজোট, মিতালির মাধ্যমে টানা তিন দফায় সরকারি দল তারা৷
বিজ্ঞাপন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল ঠিক থাকলে গণরায়ের আগেই ধারণা করা যায় যে, কোন দল জয়ী হতে চলেছে, কারা গঠন করবে সরকার৷ কিন্তু দশম, একাদশে ভোটের আগেই যেমন জাতীয় পার্টিকে সংসদের প্রধান বিরোধীদল হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছিলো, এবার বিষয়টি কেমন যেন ঘোলাটে হয়ে আছে৷ এই কারণেই মনোনয়নের আগেই নির্বাচনি রেলগাড়ি থেকে পুত্রসমেত ছিটকে পড়েছেন রওশন এরশাদ৷ এই ধাপে এসে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও জিএম কাদেরের জাপার ভোটের ‘বোঝাপড়া' কীভাবে হবে, সেটা স্পষ্ট হয়নি৷ নৌকার প্রতীকের দলটি নিজেদের প্রার্থী ঘোষণার দিন শুধু লাঙ্গলের জন্য ছাড় দিয়ে রেখেছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন৷ যেখানে জাপা প্রার্থী দিয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে৷
পরিস্থিতি বিচারে ধন্দের মধ্যে পড়ে গেছে ১৪ দলীয় জোটে থাকা আওয়ামী লীগের ১৩ শরিকও৷ নৌকায় চড়ে ভোটের বৈতরণী পার হওয়া যাবে কি-না এ নিয়ে তাদের অপেক্ষার প্রহর যেন বাড়িয়েই চলেছেন জোট প্রধান৷ মনোনয়ন ঘোষণার শুরুতেই শুধু একটি আসন জোট-শরিকের জন্য খালি রাখে আওয়ামী লীগ৷ কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকা প্রতীকে ১৪ দলীয় জোটের সেই প্রার্থী হাসানুল হক ইনুর কাছেও পুরো পরিস্থিতি ‘বিভ্রান্তিকর'৷ ডয়চে ভেলের এক সাক্ষাৎকারেই তিনি জানিয়েছেন, জোটের ভোটের সব হিসাব মনোনয়ন দাখিলের আগে করে নিলেই ভালো হতো৷
২৮ অক্টোবরের পর কিছু আলোচিত ঘটনা
২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছিল৷ কিন্তু শেষ করতে পারেনি৷ এরপর ঐদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ সরকারের পক্ষে যেতে রাজি হওয়ায় জামিন পান বিএনপির এক নেতা৷ বাকিরা এখনও জেলে৷
ছবি: Kamol Das
ইটপাটকেল নিক্ষেপের মামলায় কারাগারে মির্জা ফখরুল
২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ সমাপ্ত হতে পারেনি৷ এর পরদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, মির্জা ফখরুল ছিলেন পল্টন থানাধীন মহাসমাবেশের মূল মঞ্চে৷ রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভাঙচুর কিংবা ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় তিনি কোনোভাবে জড়িত নন৷
ছবি: Asif Ahasanul
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ, বিএনপির মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ অনেকে৷
ছবি: Asif Ahasanul
জামিন পেয়ে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে শাহজাহান ওমর
২৮ অক্টোবরের পর গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির অন্য শীর্ষ নেতারা জামিন না পেলেও বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর ২৯ নভেম্বর জামিন পান৷ এরপর ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও পেয়েছেন৷ এই ঘটনায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে৷
ছবি: Dulal Saha
সবকিছু দ্রুততার সাথে সম্পন্ন
শাহজাহান ওমর জামিনে কারাগার থেকে বের হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ক্ষমতাসীন দলের তাকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়৷ এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘শাহজাহান ওমরের ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, সরকার কীভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে৷’’
ছবি: Dulal Saha
বিএনপি, জামায়াতের যত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৪৭৫টি মামলায় তাদের ১৮ হাজার ৯০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি৷ আর জামায়াত বলছে, ২৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১০৪টি মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীর সংখ্যা দুই হাজার ৮৪৫ জন৷
ছবি: Kamol Das
গুম হওয়া ব্যক্তির কারাদণ্ড
ঢাকার বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর গুম হন বলে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে৷ সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলি গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠন গড়ে তুলেছেন৷ ২০১৩ সালের ২৫ মে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেওয়ার মামলায় গত ২০ নভেম্বর সুমনকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মৃত ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে দেখেছে পুলিশ!
গাজীপুরের আমিন উদ্দিন মোল্লা দুই বছর ১০ মাস আগে মারা যান৷ অথচ তাকে ২৮ অক্টোবর রাতে পুলিশের একটি ‘টহল দলকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়’ দেখতে পান কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন৷ মামলার এজাহার বলছে, ঘটনাটি ঘটেছিল রাতে সাড়ে ১১টার দিকে, তারগাঁও মেডিকেল মোড় এলাকায়৷ অন্ধকার রাতে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সন্দেহভাজনদের ‘স্পষ্ট’ দেখতে পেয়েছিলেন বলেও জানান সালাউদ্দিন৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
উপস্থিত না থেকেও মোটরসাইকেল ভেঙেছেন!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামায়াত সমর্থক আল আমিন সরকারসহ বিএনপি-জামায়াতের ৫৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩০ অক্টোবর সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে কসবা পৌর এলাকায় ‘চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, মারধর ও দুই লাখ ছিনিয়ে নেওয়ার’ অভিযোগে মামলা হয়৷ অথচ আল আমিনের ইমিগ্রেশনের কাগজপত্রে ডেইলি স্টার দেখতে পেয়েছে, তিনি ওমরাহ পালন শেষে ৩০ অক্টোবর সকাল ৬টায় ঢাকায় নামেন৷ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব সড়কপথে প্রায় ১২০ কিলোমিটার৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
8 ছবি1 | 8
জাসদ প্রধান ইনু নিজের হিসাবটা আগে বুঝে পেলেও নৌকার মনোনয়ন প্রশ্নে ঝুলে থাকতে হচ্ছে রাশেদ খান মেননকে৷ চলতি সংসদে তিনি যে আসনের সদস্য সেই ঢাকা-৮ আসনে এবার নৌকার মাঝি হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম৷ ঢাকায় না হলে বরিশালে হবে- তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান মেনন সবশেষ বলেছেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি'৷ একাদশ সংসদীয় ভোটে নৌকায় চড়া বিকল্পধারা বাংলাদেশ নেতাদের অনিশ্চয়তা আপাতত তার চেয়েও বেশি মনে হচ্ছে৷
এদিকে ‘কিংস পার্টি' হিসেবে এবার আলোচনায় আসা তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বিএনপির আন্দোলন ফেলে আসা কল্যাণ পার্টি ভোটের মাঠে ‘ডামি', নাকি আওয়ামী লীগের ছাড়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবে- তা-ও পরিস্কার নয়৷ কারণ তাদের আসনগুলোয় আওয়ামী লীগও প্রার্থী দিয়েছে৷
দ্বাদশ সংসদে সদস্য হিসেবে যাওয়ার দৌঁড়ে এখন অবধি সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তির নাম শাহজাহান ওমর৷ সমাবেশ-হরতাল-অবরোধে নাশকতার মামলায় বিএনপির অন্য শীর্ষনেতারা জামিন না পেলেও তিনি মুক্তি পান৷ এর পরদিনই বিএনপি ছেড়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে৷ পেয়ে যান ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন৷ বলা যায় নৌকা থেকে নামিয়ে দেন এবারও তার আগেভাগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া চলতি সংসদের সদস্য বজলুল হক হারুনকে৷ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বৈধতা পেয়ে শাহজাহান ওমর যান নির্বাচনী এলাকায়৷ সেখানে নির্বাচন আচরণবিধির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিলে কোমড়ে পিস্তল, পাশে বন্দুক রেখে করেন সমাবেশ৷ এ অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে জেলা নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি৷ এর পরদিন শাহজাহান ওমর ঢাকায় দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে৷ সেখান থেকে বের হয়ে সাক্ষাৎ বিষয়ে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বাজে আচরণ করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে৷
এর কিছুদিন আগে চট্টগ্রামেও সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসতে দেখা গেছে নৌকার আরেকজন প্রার্থীকে৷ সেখানে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে দলবলসহ সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন৷ তাকে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ক প্রশ্নই করা হয়েছিলো৷ সেটা শুনে আচরণের বলা যায় চূড়ান্ত লঙ্ঘনই করেন৷ এ অবস্থায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি দাবি জানিয়েছে একাধিক সাংবাদিক সংগঠন৷ কিন্তু দল যেমন তাকে বহাল রেখেছে, তেমনি এরইমধ্যে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা৷
প্রভাবশালী-প্রতাপশালী যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে, তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই নিজেদের দায় শেষ করছে নির্বাচন কমিশনের জেলা স্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তারা৷ অভিযুক্তরাও নোটিশের জবাব দিয়েই রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন৷ বিধি লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে, কারো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের কারাদণ্ড- এমন ঘটনা দেখা যায়নি৷
তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে বিএনপির বড় একটি অংশকে দলছুট করে ভোটে আনার বিষয়টি লক্ষ্যের আংশিক পূরণ করতে পেরেছে মাত্র৷ মেজর (অব.) হাফিজকে নিয়ে গুঞ্জন আলোর মুখে দেখেনি৷ এই নেতা নিজেই এতে পানি ঢেলে দেন৷ কল্যাণ পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম- বিব্রত করলেও বিএনপিকে বড় ধাক্কা দিতে পারেনি৷ অবশ্য এতে আপাতত আওয়ামী লীগের তেমন ক্ষতি-বৃদ্ধি নেই৷ কারণ সরকারি দলের আসল প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপি যেভাবে আছে, সেভাবে তারা ভোটের আয়োজন পণ্ড করে দিতে পারবে- সেই আত্ববিশ্বাস তাদের মধ্যে নেই৷ জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি বহাল থাকায় দলটির চলতি হরতাল-অবরোধ অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে৷ বড় বড় নেতা কারাবন্দী৷ যারা বাইরে তাদের অনেকেই আত্মগোপনে৷ মাঠের রাজনীতিতে নেতৃত্বশূন্যতা দৃশ্যমান৷ একই সময়ে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পুরোদমে মাঠে আওয়ামী লীগ৷ আপাতত ‘ডামি', ‘কিংস পার্টি', ‘বোঝাপড়ার বিরোধী' ও প্রকৃত ‘বিদ্রোহী' নিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হতে ব্যস্ত নৌকার মাঝিরা৷ কিন্তু দেশি-বিদেশি তদারককারীদের সামনে ভোট নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ থাকার বিষয়টি তুলে ধরার চ্যালেঞ্জ যতোটা না নির্বাচন কমিশনের তারও চেয়ে বেশি সরকারি দলের৷ কারণ দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব- এটা গত এক দশকে সজোরে বলতে পারেনি আওয়ামী লীগ৷ যদিও এর জন্য বিএনপির দিকেই অভিযোগ তাদের৷ যেখানে তারা বলে থাকে, আসল প্রতিপক্ষ বিএনপি কখনো ভোটে অংশ নেয় না, আবার নিলেও মাঠে লেগে থাকে না শেষ সময় অবধি৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ সরব৷ সব রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত৷ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে সক্রিয় ২৩টিকে নিয়ে আজকের এই ছবিঘর.....
ছবি: Rashed Mortuza/DW
এলডিপি
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)-র নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর। দলটির প্রতীক ছাতা। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০১। রাজনৈতিক এ দলটির প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ (বীর বিক্রম) এবং মহাসচিব ডঃ রেদোয়ান আহমেদ। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁও-এ।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নাম্বার ০১২। দলটির প্রতীক হচ্ছে লাঙ্গল। এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মোঃ মজিবুল হক। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার কাকরাইলে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নাম্বার ০০৬। দলটির প্রতীক নৌকা। এ দল নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর সভানেত্রী হলেন শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র নিবন্ধন হয় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে ধানের শীষ। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০৭। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার নয়াপল্টনে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতীক হাতুড়ি। এ দল নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১০। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা রোডে। এর সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদের নিবন্ধন নাম্বার ০১৩। দলটির প্রতীক হচ্ছে মশাল। রাজনৈতিক এ দলটিও নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জাকের পার্টি
জাকের পার্টির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে গোলাপ ফুল। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১৬। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারপার্সন মোস্তফা আমীর ফয়সল ও মহাসচিব এজাজুর রসুল। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বনানীতে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাসদ
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বা বাসদের প্রতীক মই। বাংলাদেশে এ দলও নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১৭। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা রোডে। এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিজেপি (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপির নিবন্ধন নাম্বার ০১৮। দলটির প্রতীক হচ্ছে গরুর গাড়ি। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার নয়াপল্টনে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নিবন্ধন হয় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে বটগাছ। এর নিবন্ধন নাম্বার ০২০। রাজনৈতিক এ দলটির আমীর হযরত মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ হাফেজ্জি ও মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরান ঢাকার লালবাগে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রতীক ফুলের মালা। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১৯। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার ধানমন্ডিতে। এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও মহাসচিব আলহাজ্ব ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নিবন্ধন নাম্বার ০২৩। দলটির প্রতীক হচ্ছে খেজুর গাছ। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর। এর সভাপতি মাওলানা শাইখ জিয়াউদ্দিন ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতীক হাতপাখা। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৩৪। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে। এর আমীর হচ্ছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীরসাহেব চরমোনাই এবং মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ শেখ।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে দেয়াল ঘড়ি। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৩৮। রাজনৈতিক এ দলের আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বিজয়নগরে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
এনডিএম
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা এনডিএম-এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৩। দলটির প্রতীক হচ্ছে সিংহ। রাজনৈতিক এ দল নিবন্ধন পায় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব হুমায়ূন পারভেজ খান। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার মালিবাগে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ কংগ্রেস
বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ০৯ মে। দলটির প্রতীক হচ্ছে ডাব। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৪। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ও মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের প্রতীক আপেল। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ০৮ মে। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৬। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার গুলশানে। এর চেয়ারম্যান ইমাম আবু হায়াত এবং মহাসচিব মোঃ রেহান আফজাল।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ জাসদ
বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ নিবন্ধন নাম্বার ০৪৭। দলটির প্রতীক হচ্ছে মোটরগাড়ি (কার)। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ১৮ জুন। এর চেয়ারম্যান শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং মহাসচিব নাজমুল হক প্রধান। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা রোডে।
ছবি: Bangladesh Jasod
বিএনএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা বিএনএম নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট। দলটির প্রতীক হচ্ছে নোঙ্গর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৮। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রহমান এবং মহাসচিব মেজর মুহাঃ হানিফ (অবঃ)। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বনানীতে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিএসপি
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)-র প্রতীক একতারা। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৯। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার মিরপুরে। এর চেয়ারম্যান শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন এবং মহাসচিব মোঃ আব্দুল আজিজ সরকার।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
গণফোরাম
গণফোরামের নিবন্ধন নাম্বার ০২৪। দলটির প্রতীক হচ্ছে উদীয়মান সূর্য। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর। এর সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মো মিজানুর রহমান। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে।
ছবি: Gonoforum
গণতন্ত্রী পার্টি
গনতন্ত্রী পার্টি নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। দলটির প্রতীক কবুতর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০৮। এ দলের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে।
ছবি: Gonotontri Party
সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র প্রতীক কাস্তে। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০৫। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে। এর সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।