গৃহকর্ত্রী নিজেই ইন্টিরিয়র ডেকরেটর ও ডিজাইনার৷ রং বা আসবাব বাছাইয়ের কাজটা তাঁর কাছে ব্যবহারিক উপযোগিতা আর শিল্পকলার একটা বিশেষ সংমিশ্রণ৷
বিজ্ঞাপন
নিজেই বাড়ির নকশা করা
04:03
লেনে হাল্সে হর্নেমান বললেন, ‘‘কোপেনহেগেনে আমাদের বাড়িতে স্বাগতম৷ আপনাদের দেখাব, আমরা কীভাবে থাকি....ভেতরে আসুন৷ এই কুকুররা, তোরাও ভেতরে আয়!’’
দু'টি রঙের প্রাধান্য: পাঁশুটে আর কালো, আর এই দু'য়ের মাঝামাঝি নানা রং৷ গৃহকর্ত্রী এ সব দিয়ে তাঁর নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ কেননা রং পছন্দ করাটা লেনে হাল্সে হর্নেমানের কাছে একটা আবেগপূর্ণ প্রক্রিয়া৷
লেনে বললেন, ‘‘রং খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ রং যেন কোথাও বেড়াতে নিয়ে যায়, কত ধরনের জায়গার কথা মনে করিয়ে দেয়, যেন গল্পের মতো, কত জায়গায় যাবার, কত কী করার জিনিস৷ যে কারণে এ বাড়িতে শুধু ঘরের ছাদগুলো ছাড়া সাদা বলে কিছু নেই৷’’
যে সব বাড়ি তৈরিতে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে!
কখনো টাকা ফুরিয়েছে, কোথাও বা আগ্রহ ফুরিয়েছে – বাড়ি তৈরি শেষ হতে হতে কেন শতাব্দীর পর শতাব্দী পার হয়ে যায়, তার অনেক কারণ থাকতে পারে৷ মস্কোর ক্রেমলিন বা জার্মানির উল্ম শহরের ক্যাথিড্রাল জানে সে কথা৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
উল্ম ক্যাথিড্রাল, জার্মানি
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গির্জার চুড়া এই উল্ম ক্যাথিড্রালেই৷ গির্জাটি তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের বদান্যতায়, তাই বুঝি ৫০০ বছরের বেশি সময় লেগেছে কাজ শেষ করতে৷ দ্য মাদার অফ ক্রাউডফান্ডিং প্রকল্পটির ক্রনিক অর্থাভাব ছিল, তাই জার্মানির সবচেয়ে বড় প্রটেস্টান্ট চার্চটির নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৯৮০ সালে৷
ছবি: picture alliance/robertharding/M. Lange
মালবর্ক ক্যাসল, পোল্যান্ড
ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইটের বাড়ি হলো এই মালবর্ক দুর্গ; তৈরি করতে ৭০০ বছরের বেশি সময় লেগে গেছে শুধু নকশা বদলানোর জন্যেই নয়, যুদ্ধ আর লুটতরাজের দরুণও বটে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন শেষ হতে চলেছে, তখন মালবর্ক দুর্গের অর্ধেকের বেশি ধ্বংস হয়ে যায়৷ আজ এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও পোল্যান্ডের একটি মুখ্য টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন৷
ছবি: picture alliance/robertharding/C. Kober
স্ট্রাসবুর্গ ক্যাথিড্রাল, ফ্রান্স
মহাকবি ইওহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে ছিলেন স্ট্রাসবুর্গ ক্যাথিড্রালের একজন ভক্ত৷ তিনি যখন স্ট্রাসবুর্গে পড়াশুনো করছেন, অষ্টাদশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে, তখন ১৪২ মিটার উঁচু স্ট্রাসবুর্গ ক্যাথিড্রাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গির্জে৷ তবু নির্মাণকার্য চলে আরো ১০০ বছর ধরে৷ শেষমেষ ১৯৭০ সালে দক্ষিণের চুড়োটি অসমাপ্ত রেখেই কাজ বন্ধ হয়৷
ছবি: picture alliance/Eibner-Pressefoto
মস্কোর ক্রেমলিন
রাশিয়ায় ক্ষমতার প্রতীকই হলো এই ক্রেমলিন,তার লাল ইট আর সোনালি গম্বুজ৷ অথচ এই ক্রেমলিন তৈরির কাজ শেষ হতে ৮০০ বছরের বেশি সময় লেগে গেছে৷ ষোড়শ আর সপ্তদশ শতাব্দীতে জার ও তাঁর পরিবারবর্গ এখানেই থাকতেন৷ পরে সোভিয়েত আমলে এটাই ছিল সরকারের আসন৷ আজ এর অনেকটাই মিউজিয়াম – আর গোটা কমপ্লেক্সটাই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট৷
ছবি: picture alliance/ZB/J. Kalaene
ভাভেল, পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের ক্রাকাও শহরের ভাভেল কমপ্লেক্সটিতে কাজ চলেছে গত এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে! পোল্যান্ডের নৃপতিরা এখানে থাকতেন৷ প্রতি শতাব্দীতে নতুন নতুন ভবন যোগ হয়েছে ভাভেলে – এমনকি গত শতাব্দীতেও৷ কাজেই ভাভেল-এর কাহিনি আজও সমাপ্ত হয়নি এবং কোনোদিনই সমাপ্ত হবে না বলে ধরে নেওয়া যায়৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
5 ছবি1 | 5
কাজেই এত কালো আর পাঁশুটে রং সত্ত্বেও পরিবেশটা বেশ উষ্ণ৷ এক্ষেত্রে আলোর একটা বিশেষ ভূমিকা আছে৷ নতুন করে লাগানো বড় বড় জানলা দিয়ে বাইরের আলো এসে পড়ে৷
আলো ও উষ্ণতা
বসবার ঘরের কেন্দ্রেই রয়েছে ফায়ারপ্লেস, যেমন রয়েছে নানা ধরনের বাতি – ডিজাইনার ল্যাম্প থেকে শুরু করে ফ্লিমার্কেটে যেসব পুরনো বাতি পাওয়া যায়৷ সন্ধ্যেয় বা শীতের দিনে এই সব বাতি আলো ও উষ্ণতা ছড়ায়৷
লেনে শোনালেন, ‘‘আমি চাইলাম এমন একটা জায়গা তৈরি করতে, যেখানে থাকতে ভালো লাগে৷ আমাদের তো শুধু এই মুহূর্তটুকুই আছে, সেই মুহূর্তটিতে আমরা যে জায়গায় কাটাতে চাই – আমি তেমন একটা জায়গা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম৷ শুধু আমার জন্য নয়, কেননা, আমি এখানে একা থাকি না৷ তাই জায়গাটা পরিবারের সকলের জন্যই চেয়েছিলাম৷’’
লেনে হাল্সে হর্নেমান তাঁর স্বামী হান্স, ওঁদের ছেলেমেয়ে ও তিনটি কুকুরকে নিয়ে এখানে বাস করেন৷ গোটা পরিবার যেখানে একত্রিত হয়, সেই জায়গাটি হলো কিচেন বা রান্নাঘর৷
দেখতে হয়ত জেল কিংবা রাস্তায় বসানোর জলের পাইপ অথবা অতিকায় কাঠের পিপের মতো৷ অথচ এরা সবাই এক-একটি সুপরিচিত হোটেল...
ছবি: Propeller Island
হোটেলের প্রত্যেকটি ঘর যেন শিল্পকলা
কোনো ঘরে শয্যা বলতে একটি কফিন৷ কোনো ঘরে আসবাবপত্র ঝুলছে ছাদ থেকে৷একটি ঘরের চতুর্দিকে আয়না লাগানো – একেবারে শিশমহল! বার্লিনের এই হোটেলটির নাম ‘প্রপেলার আইল্যান্ড’৷ এর ডিজাইন করেছেন শিল্পী লার্স স্ট্রশেন৷ এমনকি তিনি প্রতিটি ঘরের জন্য আলাদা মিউজিক কমপোজ করতেও ভোলেননি...৷
ছবি: Propeller Island
রেলগাড়ি ঝমাঝম
বার্লিন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ইয়্যুটারবোগ৷ সেখানে অতিথিরা ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের আস্বাদ পেতে পারেন৷ স্লিপার কোচ হোটেলটিতে ২৫ জন অতিথির থাকার জায়গা আছে৷ প্রত্যেক কম্পার্টমেন্টে একটি করে ডাবল বেড, সেই সঙ্গে বসার জায়গা ও একটি বাথরুম৷
ছবি: Schlafwagenhotel
বাক্সের মধ্যে ঘুমনো
জার্মানির পূর্বাঞ্চলে কেমনিৎস-এর কাছে লুনৎসেনাউ শহরের ‘কফটেল’ বা বাক্সো হোটেলটিকে বিশ্বের খুদেতম হোটেল বললেও সম্ভবত দোষ হবে না৷ ২০০৪ সালে সৃষ্ট হোটেলটির প্রতিটি ঘর একটি সুটকেসের আকারে৷ ঘর বলতে দেড় মিটার চওড়া, তিন মিটার লম্বা আর দু’মিটার উঁচু৷ বিছানা নিজেকেই নিয়ে আসতে হয়৷ রাত কাটানোর খরচ: ১৫ ইউরো৷ বছরে শ’পাঁচেক অতিথি এই বাক্সো হোটেলে রাত কাটান৷
ছবি: Zum Prellbock
হবিটরা যেখানে থাকে
টলকিয়েন-এর ‘লর্ড অফ দ্য রিংস’-এর কল্যাণে হবিটদের আর কে না চেনে? তবে হবিটদের ওয়াইল্ডারল্যান্ড দেখার জন্য নিউজিল্যান্ডের ফিল্মসেটে যেতে হবে না৷ হবিটরা যেভাবে বাস করত, জার্মানির টুরিঙ্গিয়া প্রদেশের জঙ্গলেও তা করা সম্ভব – এই হোটেলটির কল্যাণে৷
ছবি: Feriendorf Auenland
‘ড্যান্সেস উইথ উল্ভস’
সন্ধ্যা নামছে, আঁধার ঘনাচ্ছে, কোথাও কোনো মানুষের সাড়া নেই৷ এই হলো উত্তর জার্মানির ব্রেমেন শহরের কাছে ‘ট্রি ইন’ বা বৃক্ষ হোটেলের পরিবেশ৷ ড্যোরফার্ডেন-এ বাচ্চা নেকড়েদের রাখার জন্য যে ‘এনক্লোজার’ আছে, তার ঠিক মাঝখানে এই ট্রিহাউস হোটেল৷ পাঁচ মিটার উঁচুতে কাচে ঘেরা কামরা থেকে পরম আরামে নেকড়ে দেখা যায় – কেননা এখানে মিনি-বার থেকে হুইর্লপুল, কোনো আধুনিক বিলাসিতার অভাব নেই৷
ছবি: Tree Inn
জলের পাইপে বাস
জার্মানির রুর শিল্পাঞ্চলের বট্রপ শহরের পার্ক হোটেল-এ রাস্তায় বসানোর জলের পাইপগুলোকে কামরায় পরিণত করা হয়েছে৷ রাত কাটানোর কোনো বাঁধা ভাড়া নেই, যে যা পারেন, তা-ই দেন৷ জলের পাইপগুলোর ব্যাস প্রায় আড়াই মিটার; এক একটা সেকশনের ওজন সাড়ে ১১ টন৷ ভিতরে বিছানা আর একটা সাইড টেবল ঠিকই ধরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Weihrauch
লৌহকপাট
আগে এখানে জেলের আসামিরা বন্দি থাকতেন৷ আজ সেখানে ক্রাইম থ্রিলার-এর ফ্যানরা রাত কাটান৷ জার্মানির কাইজার্সলাউটার্ন শহরের আল্কাত্রাজ হোটেলে মোট ৫৬টি কামরা ও সুইট আছে৷ আজও এখানে সর্বত্র গারদ ও লোহার শিক – এমনকি হোটেলের পানশালাটিতেও৷ তবে অতিথিরা মর্জিমতো আসতে-যেতে পারেন৷
ছবি: alcatraz
মদের পিপেতে শয্যা
এককালে যেখানে ওয়াইন মজুদ রাখা হতো, সেখানে আজ রাত কাটানো যায়৷ রাইন নদের ধারে রুডেসহাইম শহরের লিন্ডেনভির্ট হোটেলটিতে ছ’টি অতিকায় কাঠের পিপে আছে৷ পিপেগুলোয় মোট ছ’হাজার লিটার সুরা ধরতো৷ আজ তার বদলে দু’জন অতিথির শোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ তবে বসবার ঘরটা পিপের বাইরে৷
ছবি: Lindenwirt
মধ্যযুগের নাইটদের মতো
দক্ষিণ জার্মানির লেক কন্সটান্স-এর কাছে আর্টুস হোটেলে ঢুকলে মনে হবে, যেন মধ্যযুগে প্রবেশ করেছেন৷ কামরাগুলো যেন মধ্যযুগের কোনো সরাইখানার অনুকরণে সাজানো, খাবারদাবার নাইটদের আমলের ভুরিভোজ...৷
ছবি: Hotel Arthus
শীতকাতুরেদের জন্য নয়
নাম ইগলু লজ৷ ইগলু বলতে উত্তরমেরু অঞ্চলের এস্কিমোদের বরফের ঘর৷ ওবার্স্টডর্ফ-এ নেবেলহর্ন পাহাড়ের উপর এই বরফের হোটেলটি ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস অবধি খোলা থাকে৷ ৪০ জন অতিথি এখানে দু’জন কিংবা চারজনের ইগলুতে রাত কাটাতে পারেন৷ সেই সঙ্গে রয়েছে – ভোর হলে – দু’হাজার মিটার উচ্চতা থেকে আল্পস পর্বতমালার অনুপম দৃশ্য৷
ছবি: IgluLodge
10 ছবি1 | 10
লেনে জানালেন, ‘‘এটা একটা কিচেন বটে, কিন্তু শুধু কিচেন নয়৷ এই গ্র্যানাইট শিলা পাথরের পাতটা ব্রাশ করা, পালিশ করা নয় – ফলে এটা দেখতে অনেক নরম৷ তলার ক্যাবিনেটটা আবার কাঠের তৈরি, একটির পর একটি ড্রয়ার৷ ড্রয়ার টিপে দিলে তা নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে – ইলেকট্রনিক লাগানো বলে৷ কাজেরও বটে, আবার দেখতেও ভালো৷’’
তিনতলা বাড়িটা আগে ছিল একটা ক্লিনিক৷ এখন তা থেকে মোট ৪০০ বর্গমিটার এলাকার একটি বসতবাড়ি তৈরি হয়েছে৷ হর্নেমান পরিবারের কাছে বাড়িতে প্রচুর জায়গা থাকাটা জরুরি৷
‘মাই হোম ইজ মাই ক্যাসল’
হান্স হর্নেমান বললেন, ‘‘নিজের বাড়ি, মানে নিজের দুর্গ৷ চারপাশে এমন সব জিনিস থাকা চাই, যা আমি উপভোগ করি, যা আমার ভালো লাগে৷ ড্যানিশ ভাষায় ‘হুইগ্গে' কথাটার মানে হলো নিরিবিলি, পরিচ্ছন্ন, আরামপ্রদ৷ এটা ড্যানিশ সংস্কৃতির একটা বড় অংশ৷’’
লেনে শোনালেন, ‘‘আমরা এখনও অনেক বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে বাড়িতে নিয়ে আসি৷ কাজেই আমাদের বাড়িতে লোক আসে, ফলে আমরা কীভাবে থাকি, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়, সুন্দর সুন্দর জিনিস রাখতে হয়৷ শুধু সুন্দরই নয়, মান ভালো হওয়া চাই৷ তাতে আরো বেশি মজা৷’’
লেনে হাল্সে হর্নেমান এর আগেও বাড়ি কিনে সারিয়েছেন – অংশত নিজেদের থাকার জন্য৷ কাজেই আগামীতে যে তিনি আবার কখন কোন ‘কুৎসিত হাঁসের ছানা’ খুঁজে পেয়ে তাকে সুন্দরী রাজহংসীতে পরিণত করেন, কে জানে৷
গ্যোনা কেটেল্স/এসি
এমন জায়গায়ও মানুষ বাস করে!
বাড়ি মানেই কি চার দেয়ালে ঘেরা স্থান হতে হবে? আপনার, আমার কাছে হয়ত সেটিই ঠিক৷ তবে পৃথিবীতে এমন মানুষও আছেন যাঁরা একটু অন্যরকম চিন্তা করেন৷
ছবি: Carlo Carossio
সিমেন্ট কারখানা
স্পেনের স্থপতি রিকার্ডো বোফিল তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে এই বাড়িতে থাকছেন গত ৩০ বছর ধরে৷ ছবিতে আপনি কোনো বাড়ি দেখতে পাচ্ছেন না? ওটি কিন্তু একটি বাড়ি৷ আগে ছিল সিমেন্টের কারখানা৷ পরে সেটি বন্ধ হয়ে গেলে বোফিল সেটিকে তাঁর বাড়ি হিসেবে সংস্কার করে নেন৷ ৫ হাজার বর্গফুটের এই ভিলায় আছে কয়েকটি অফিস, একটি গ্রন্থাগার, একটি শো-রুম আর কয়েকটি লিভিং রুম৷
ছবি: RICARDO BOFILL TALLER DE ARQUITECTURA
বাংকার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আকাশ থেকে চালানো বোমা হামলা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন শহরে বাংকার তৈরি করা হয়েছিল৷ হামবুর্গে সবচেয়ে বেশি বাংকার ছিল৷ উপরের ছবিটি হামবুর্গের একটি বাংকারের, যেটিকে পরবর্তীতে স্থপতিরা থাকার জায়গায় পরিণত করেন৷ অবশ্য কাজটি সহজ ছিল না, কারণ, বাংকারের দেয়াল এক মিটারেরও বেশি পুরু হয়ে থাকে৷ এমন কয়েকটি বাংকারকে থাকার জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷
ছবি: Imago/ecomedia/R. Fishman
জলাধার
স্পেনের লানসারটে দ্বীপের বাসিন্দাদের পানির চাহিদা মেটাতে একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছিল৷ পরে অন্য উপায়ে পানির সরবরাহ শুরু হলে জলাধারটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়৷ কয়েক বছর আগে ওদা ও ইয়াও ফন্টেস ডি লেওন দম্পতি জলাধারটিকে সংস্কার করে বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলেন৷
ছবি: Rural Villas
বিমানের হ্যাঙ্গার
জার্মানির উত্তরের উটৎসে শহরে একসময় ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর শিবির ছিল৷ নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি তারা চলে গেলে সেখানকার কয়েকটি হ্যাঙ্গারকে বাসস্থানে রূপান্তর করা হয়৷
ছবি: Glenn Garriock
গির্জা
অভিজাত এই অ্যাপার্টমেন্টটি লন্ডনের এক গির্জার তিনতলায়! অর্থের প্রয়োজন মেটাতে পশ্চিম লন্ডনের অভিজাত এলাকা নটিং হিলের একটি গির্জার কর্তৃপক্ষ তিনতলায় অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছে৷