1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোমি-বিতাড়ন কি দ্বিতীয় ওয়াটারগেটের সূচনা?

১১ মে ২০১৭

প্রশ্নটা সংবাদমাধ্যমেও মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে৷ অপরদিকে ট্রাম্পের সমালোচকরা কখনো দেখছেন বিচারবিভাগের স্বাধীনতা বিপন্ন; কখনো মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি সাংবিধানিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে৷

Bildkombo U.S. Präsident Donald Trump und FBI Direktor James Comey
ছবি: Reuters/J. Lo Scalzo/G. Cameron

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার অভিযানের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো যোগসাজস ছিল কি? ফেডারাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এফবিআই ও অন্যান্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, প্রাক-নির্বাচন পর্যায়ে বিভিন্ন সাইবার আক্রমণের জন্য মস্কোই দায়ী ছিল৷ হ্যাকাররা ক্লিন্টন ক্যামপেইনের বহু ই-মেল চুরি করে ও উইকিলিক্স সেগুলিকে প্রকাশ করে৷ ট্রাম্পের ক্যামপেইনের লোকজন কি আগে থেকে এই হ্যাকিংয়ের কথা জানতেন?

ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের লোকজনদের কথা উঠলে প্রথমেই এসে পড়বে মাইকেল ফ্লিন-এর কথা, যিনি দৃশ্যত রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর দেখাসাক্ষাতের ব্যাপারে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে পুরো সত্য না বলায় ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন৷ হ্যাঁ, রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনে কথাবার্তা হয়েছে, বলেছিলেন ফ্লিন, কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়টিও যে আলোচিত হয়েছে, ফ্লিন তা উহ্য রেখেছেন৷ এফবিআই ইতিপূর্বেই ফ্লিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ সর্বশেষ খবর– সেনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি ফ্লিনকে সাক্ষ্য দেবার জন্য তলবনামা পাঠিয়েছে৷

কোমি’র বক্তব্য

সদ্য বরখাস্ত এফবিআই প্রধান জেমস কোমি সংস্থার এজেন্ট ও কর্মীদের প্রতি তাঁর বিদায়ী চিঠিতে সংযতই থেকেছেন এবং বলেছেন যে, একজন প্রেসিডেন্ট কারণে বা অকারণে একজন এফবিআই-প্রধানকে বরখাস্ত করতে পারেন বলে তাঁর বিশ্বাস৷ কাজেই তিনি ঐ বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বা যেভাবে তা কার্যকর করা হয়েছে, তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাবেন না – এবং তাঁর এফবিআই সতীর্থদেরও তিনি সেই পরামর্শ দেবেন৷ ‘‘বিক্ষুব্ধ সময়ে মার্কিন জনগণ যেন এফবিআই-কে পারদর্শিতা, সততা ও স্বাধীনতার পরাকাষ্ঠা হিসেবে দেখে,’’ বলে কোমি কামনা করেন৷

আবার এ-ও সত্য যে, কোমি গোটা ২০১৬ সালে ধরে মার্কিন রাজনীতির মঞ্চে একটির পর একটি বোমা ফাটিয়েছেন, যার ফলে ওয়াশিংটনে উভয় দলের রাজনীতিকরাই তাঁর উপর বিরূপ ছিলেন৷ প্রথমে তিনি ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে ইমেল সংক্রান্ত তদন্ত বন্ধ করে রিপাবলিকানদের অপ্রিয়পাত্র হন৷ সেটা ছিল জুলাই মাসে৷ তারপর নভেম্বর নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি ক্লিন্টন তদন্ত পুনরায় চালু করে ডেমোক্র্যাটদের রোষে পড়েন৷ এবার ট্রাম্প কোমিকে বরখাস্ত করলেন ক্লিন্টন মামলায় কোমি’র অদক্ষতার জন্য – হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে যা বলা হচ্ছে৷ কোমি-কে বাস্তবিক বরখাস্ত করা হলো, কেননা, এফবিআই ট্রাম্প অভিযানের সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ অনুসন্ধান করছিল বলে ডেমোক্র্যাটদের সন্দেহ৷

রাজনীতির খেলা

ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, কোমি’র পরে যে-ই এফবিআইয়ের দায়িত্ব নিন না কেন, রুশ সংযোগের ব্যাপারটির যথার্থ তদন্ত হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন না৷ কাজেই তারা নতুন এফবিআই প্রধান নিয়োগে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন৷

অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা যে রুশ সংযোগের বিষয়ে একজন স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগ দাবি করছেন – অতীতে যেমন নিক্সন ও বিল ক্লিন্টনের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল – হোয়াইট হাউস ইতিমধ্যেই তা খারিজ করে দিয়েছে৷ যুগপৎ সেনেটের সর্বোচ্চ রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগের তদন্ত করার জন্য একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করেছেন৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)

প্রিয় পাঠক, এই বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ