1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নাটকীয়তা

৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

পবিত্র কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটে চলেছে৷ বৃহস্পতিবার প্রথমে ঘোষণা আসলো কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের৷ কিন্তু পরে আবার বলা হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা করার চিন্তা করা হচ্ছে৷

টেরি জোনসছবি: AP

বৃহস্পতিবার দিনটি শুরু হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মন্তব্য দিয়ে৷ তিনি কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছিলেন কড়া ভাষায়৷ এরপর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ফোন করেন টেরি জোনসকে, যিনি কোরআন পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ সেসময় মন্ত্রী জোনসকে বলেন, যদি সত্যিই কোরআন পোড়ানো হয় তাহলে সারা বিশ্বে যে মার্কিন সেনারা কাজ করছে তাঁদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে৷

এই ধরণের আশঙ্কার কথা প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন কমান্ডার জেনারেল পেট্রায়াস৷ তারপর ওবামাও একই কথা বলেছিলেন৷ আর ইন্টারপোল মুসলিম দেশগুলোতে দাঙ্গার আশঙ্কা করছিল৷ যেমনটা হয়েছিল ২০০৫ সালে মহানবীর কার্টুনকে কেন্দ্র করে৷ এছাড়া জার্মান চ্যান্সেলর, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেটসের সঙ্গে ফোনে কথা হওয়ার পর সময় গড়িয়ে যায়৷ তারপর একসময় জোনস সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন যে, তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন৷ এর কারণ হিসেবে বলেন, তাঁর সঙ্গে মুসলিম নেতাদের একটি চুক্তি হয়েছে৷ ফলে গ্রাউন্ড জিরোর কাছে আর মসজিদ নির্মিত হবেনা৷

ঐ সম্মেলনে জোনসের পাশে ছিলেন অরল্যান্ডোর একটি মসজিদের ইমাম৷ যার নাম মোহাম্মদ মুসরি৷ তিনি পরে এই ধরণের চুক্তির কথা অস্বীকার করেন৷ বলেন মসজিদ সরানো নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি৷ চুক্তি যেটা হয়েছে সেটা হলো তিনি ও জোনস নাইন ইলেভেনের দিন মানে আগামীকাল নিউ ইয়র্কে যাবেন৷ এবং সেখানে তারা সাক্ষাত করবেন ফয়সল আব্দুল রউফের সঙ্গে৷ যিনি এই মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান৷

জোনসের কাছে যখন এই কথা পৌঁছাল তার পরপরই জোনস বললেন যে মসজিদ সরানোর ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে মিথ্যাচার করা হয়েছে, তাই তিনি কোরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘোষণা পুনরায় বিবেচনা করে দেখবেন৷

কে এই জোনস?

টেরি জোনস হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ‘ডাভ ওয়ার্ল্ড আউটরিচ সেন্টার’ নামে ছোট্ট একটি চার্চের প্রধান৷ এর আগেও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত কাজ করে আলোচনায় আসার রেকর্ড রয়েছে এই সেন্টারের৷ যেমন ২০০৯ সালে সেন্টারের মাঠে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত কথা লিখে সাইনবোর্ড আকারে তা টাঙিয়ে রাখা হয়েছিল৷ যেটা নিয়ে সেসময় অ্যামেরিকার মুসলমানদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল৷ এছাড়া একসময় ইসলাম বিরোধী টি-শার্টও বের করেছিল এই সেন্টারটি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ