1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অপরাধইউরোপ

‘কোরআন পোড়ানো ব্যক্তি হত্যার পেছনে বিদেশি শক্তি থাকতে পারে’

৩১ জানুয়ারি ২০২৫

সুইডেনে কোরআন পোড়ানো এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে বিদেশি শক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টাশন৷ বুধবার নিজ বাড়িতে ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়৷

ছবিতে মাইক হাতে মোমিকা সালওয়ান৷
সালওয়ান মোমিকা ২০২৩ সালে বেশ কয়েকবার কোরআন পুড়িয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন৷ছবি: Johan Nilsson/TT NYHETSBYRÅN/picture alliance

এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ তবে তাদের মধ্যে বন্দুকধারী আছেন কিনা তা জানানো হয়নি৷

নিহত ব্যক্তির নাম সালওয়ান মোমিকা৷ তিনি ইরাকি খ্রিষ্টান শরণার্থী৷ ২০২৩ সালে বেশ কয়েকবার কোরআন পুড়িয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন মোমিকা৷ বৃহস্পতিবার তার স্টকহোমের জেলা আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল৷ সেদিন তার বিরুদ্ধে করা একটি জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল৷

‘‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, নিরাপত্তা বাহিনী বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে কাজ করছে, কারণ, স্পষ্টতই এমন এক ঝুঁকি আছে যে, এর সঙ্গে একটি বিদেশি শক্তির সংযোগ আছে,'' বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী৷

উপ-প্রধানমন্ত্রী এবা বুশ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন৷ এক্স-এ এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা আমাদের মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য হুমকি৷ সমাজের পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে অবশ্যই লড়তে হবে৷''

মোমিকার বিরুদ্ধে কী মামলা হয়েছিল?

মোমিকা এবং তার ‘সহ-প্রতিবাদকারী' সালওয়ান নাজিমের বিরুদ্ধে গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে চারবার একটি জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়৷

চার্জশিটে বলা হয়, তিনি কোরআনে আগুন দেয়াসহ একাধিকবার ধর্মগ্রন্থটির অবমাননা করেছেন৷ এসব করার সময় মুসলমানদের জন্য মর্যাদাহানিকর নানা মন্তব্যও করেছেন তিনি৷ একবার স্টকহোম মসজিদের সামনে প্রতিবাদের আয়োজন করেন মোমিকা৷

সালওয়ান মোমিকা-সালওয়ান নাজিম জুটির কোরআন পোড়ানোর আয়োজনকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুইডেনের সম্পর্ক ক্ষুন্ন হয়৷

সুইডেন পুলিশ বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দিলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করে৷

কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে দুইবার বাগদাদের সুইডেন দূতাবাসে হামলা চালায় প্রতিবাদকারীরা৷ দ্বিতীয়বার হামলার সময় সেখানে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছিল৷

গত মার্চে নরওয়েতে আশ্রয় চেয়েছিলেন মোমিকা৷ কিন্তু কয়েক সপ্তাহ রাখার পর নরওয়ে আবার তাকে সুইডেনে ফেরত পাঠিয়ে দেয়৷

সুইডেনের অভিবাসন সংস্থা ২০২৩ সালে মোমিকাকে তার দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি, কারণ, ইরাকে তার উপর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল৷

জার্মানিতে বৈষম্যের শিকার হন অনেক মুসলিম

01:38

This browser does not support the video element.

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ