সম্প্রতি আবারো উত্তেজনা দেখে দিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে৷ দু'বছর আগে তৈরি আন্তঃলিয়াজোঁ অফিসটি বোমা মেরে ধংস করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ তাদের দাবি, দক্ষিণের লোকেরা উত্তরের সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
আন্তঃকোরীয় লিয়াজোঁ অফিসটি গত ১৬ জুন বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয় কিম জং-উনের উত্তর কোরিয়া৷ ২০১৭-১৮ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার দ্বন্দ্ব এবং এর ফলে উত্তেজনা ছড়াতে শুরুকরলে এক পর্যায়ে কিম তার প্রতিপক্ষদের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি হন৷ এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইনের সঙ্গে বৈঠকও করেন৷ এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮-এর এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমানজম গ্রামে যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় দুই কোরীয় নেতা সমঝোতার ঘোষণা দেন৷ এই ঘোষণার ফলশ্রুতিতে সে বছর সেপ্টেম্বরে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে লিয়াজোঁ অফিসটি চালু হয়৷
বেলুনে প্রতিবাদ ও সংহতি
সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া থেকে বেলুনে করে পিয়ং ইয়ং বিরোধী প্রচারণাকে নিয়ে৷ উত্তর কোরিয়ায় গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই প্রচারণা চালান একদল দক্ষিণ কোরীয় অধিকার কর্মী৷ তারা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেলুনে করে লিফলেট পাঠান উত্তরে৷ সেখানে বিভিন্ন বার্তা, উত্তরের জনগণের জন্য সমবেদনা ও তাদের প্রতি সংহতি এসব বক্তব্য থাকে৷ উত্তর থেকে পলাতক অনেক অধিকার কর্মীও এ কাজে যুক্ত আছেন৷
উত্তর কোরিয়া ও কিম জং উনের বিশেষ কিছু জিনিস
উত্তর কোরিয়ায় যেখানে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত বলে অভিযোগ রয়েছে, সেখানে নেতা কিম জং উনের আরাম-আয়েশ-বিলাসিতার কোনো কমতি নেই৷ দেখে নিন তার কিছু নমুনা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Guttenfelder
অপূর্ব প্রাসাদ
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং-এ এই বিশাল প্রাসাদ রয়েছে৷ কুমসুসান প্রাসাদটি কিম ইল সুং এর সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে৷ বিশ্বে আর কোন কমিউনিস্ট নেতার এমন বিশাল প্রাসাদ নেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Guttenfelder
হোটেল
রিউগইয়ং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেলগুলোর একটি৷ পিরামিড আকারের ১০৫ তলা এ হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে৷ সেই সময় দেশে কিম ইল সুং এর শাসন ছিল৷ কিম ইল সুং ছিলেন কিম জং উনের দাদা৷ এখনও হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap
আকাশে শাসন
উত্তর কোরিয়ার কাছে বিভিন্ন ধরণের এক হাজারটি বিমান আছে, যেগুলোর বেশিরভাগ সোভিয়েত ইউনিয়ন অথবা চীনে তৈরি৷ এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহার করা যায় এমন হেলিকপ্টার, যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান এবং ড্রোন৷ কিম জং উনের কাছে এএএম এবং ট্রিপল এ সিস্টেমের মতো কিছু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আছে৷
ছবি: Reuters/Kcna
স্কি রিসোর্ট
কিম জং উনের নির্দেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩৬০ মিটার উঁচুতে মাসিকরিয়ং নামে এক জায়গায় একই নামে একটি স্কি রিসোর্ট বানানো হয়েছে৷ এই স্থানটি উত্তর কোরিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার৷ পর্যটকদের জন্য এখানে ১২০ কক্ষ বিশিষ্ট হোটেল রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Kyodo/MAXPPP
জং উনের মোবাইল নেটওয়ার্ক
শোনা যায়, উত্তর কোরিয়ায় কেবল কিম জং উন এবং তাঁর কাছের মানুষদের ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে৷ কোরীয় লিংক নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি পরিচালক আহমাদ আল নোয়ামিনি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ এই মোবাইল পরিষেবার সুবিধা ভোগ করতে পারে না৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/KCNA via KNS
ব্যক্তিগত দ্বীপ
দেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি গোপন দ্বীপ রয়েছে৷ কিম জং উনের অতিথি হয়ে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক তারকা৷ এই দ্বীপে রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ শোনা যায়, এখানে আনন্দ বিনোদনের সবধরনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ কিম জং উনের ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গাও রয়েছে সেখানে৷
ছবি: Tourism DPRK
গল্ফ কোর্স
কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় অসাধারণ কিছু গল্ফ ক্লাব রয়েছে৷ সরকারি কর্মচারীরা গল্ফ ক্লাবগুলোকে সবসময় ঝকঝকে করে রাখে৷ গল্ফ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ফুটবল, বাস্কেটবল, আইস হকি আর কুস্তি জনপ্রিয় খেলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Kyodo
সেনা ঘাঁটি
উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে অনেক যুদ্ধ জাহাজ, টহল নৌকা এবং বড় বড় সামরিক জাহাজ রয়েছে৷ নিজেদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করা উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য৷ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে দেশটি৷
ছবি: REUTERS/KCNA
বিলাসবহুল গাড়ি
শোনা যায়, ২০১৪ সালে কিম জং উন ১ দশমিক ৬ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন৷ এর মধ্যে মার্সিডিজ বেনৎস, লিমোজিন আর আছে লাক্সারি স্পোর্টস কার৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Jones
পিয়ানো ভীষণ পছন্দ
শোনা যায়, কিম জং উনের কাছে ২০টিরও বেশি পিয়ানো আছে৷ এমন গুজবও রয়েছে যে, তিনি প্রতিদিনই পিয়ানো বাজান, আর যদি সুরের কোনো গণ্ডগোল হয়, সেটাকে তিনি পিয়ানোর দোষ হিসেবে মনে করেন, নিজের নয়৷
ছবি: Reuters/KCNA
সাবমেরিন
কিম জং উনের কাছে সোভিয়েত আমলের কিছু পুরানো সাবমেরিন রয়েছে৷ এছাড়া দেশটির কাছে আরো বেশ কয়েকটি চীনের সাবমেরিন রয়েছে৷ আর কিছু সাবমেরিন উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেরাই তৈরি করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Sinmun
11 ছবি1 | 11
পার্ক সাং-হাক এমন একজন দক্ষিণ কোরীয় অধিকার কর্মী৷ পশ্চিমা গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘‘আমরা গত বছর ১১ বার সীমান্তের ওপারে লিফলেট বিলিয়েছি৷’’ ‘ফাইটার্স ফর এ ফ্রি নর্থ কোরিয়া’ নামের সংগঠনের চেয়ারম্যান তিনি৷ সবশেষ তিনি ও তার কর্মীরা ৩১ মে বেলুনে করে লিফলেট বিতরণ করেন৷ তাতেই ক্ষেপে যায় পিয়ং ইয়ং৷ কিম জং-উনের বোন কিম ইয়ো-জং প্রতিশোধের হুমকি দেন৷
কিম জং-উন বরবারের সরকার বরবারই এই লিফলেট প্রচারের বিপক্ষে ছিল৷ সবশেষ পানমানজম যৌথ ঘোষণাতেও এই প্রচারণা বন্ধের বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছিল৷
লিফলেট বিতরণের এই সংস্কৃতি অবশ্য নতুন নয়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই এর শুরু৷ রাষ্ট্রীয়ভাবে সোলের পক্ষ থেকেও নানা সময়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে৷ এমনকি পিয়ং ইয়ংও বেশ কয়েকবার এপার থেকে ওপারে লিফলেট বিলিয়েছে৷
মেরুকরণের রাজনীতি
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বা তৈরির বিপক্ষে বরাবরই অ্যামেরিকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ তাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও বলবৎ বহু বছর ধরে৷ এ অবস্থা কাটাতে চাইছিল পিয়ং ইয়ং৷ সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও সৌলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় চেষ্টা দৃশ্যমান ছিল৷ কিন্তু কিম তাতে খুব একটা লাভবান হচ্ছেন না বলে সংক্ষুব্ধ এমন ধারণা রাজনীতি বিশ্লেষকদের৷
সূত্রের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের চাপে পড়ে পিয়ং ইয়ং বড্ড বেশি ছাড় দিয়ে ফেলেছে বলে কিম আক্ষেপ করছেন৷ এর বদলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়নি এবং উত্তর কোরিয়া কোনো প্রত্যক্ষ সুফল পায়নি৷ কয়েক মাস আগে কিম পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার আরও বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে৷ নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র’ তুলে ধরার পাশাপাশি পরমাণু পরীক্ষা আবার শুরু করার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন কিম জং উন৷
কিম জং উনের রহস্যময়ী বোন সম্পর্কে যা জানেন না
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ পরিষদের বিকল্প সদস্য হয়েছেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং৷ দেশের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পরিষদের সদস্য হলেন উত্তর কোরিয়ার নেতার বোন৷ জং উনের এই রহস্যময়ী বোন সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?
ছবি: picture-alliance/dpa/Jiji Press/M. Matsutani
বোনদের ধারাবাহিকতা
দেশটির প্রয়াত নেতা কিম জং ইল ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের বোন কিম কিয়ং হি কে এই পদে অভিষিক্ত করেছিলেন৷ আর জং উনের বোন কিম ইয়ো-জং তার ফুপুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বিকল্প সদস্য হলেন৷ তাঁর ফুফুরও বেশ প্রভাব ছিল পলিটব্যুরোতে৷
ছবি: picture alliance/dpa/Jiji Press
পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য
কিম জং ইল এর সাত সন্তানের মধ্যে ইয়ো জং কনিষ্ঠ এবং জং উনের ছোট বোন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jiji Press/M. Matsutani
পড়ালেখা
কিম ইয়ো জং এর পড়ালেখার শুরু বাড়িতে থেকে৷ পরে ভাই জং উনের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের কাছে একটি স্কুলে পড়ালেখা করেছেন৷ এরপর উত্তর কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন তিনি৷ এর অল্প কিছুদিন পর পশ্চিম ইউরোপে গিয়ে কয়েকটি কোর্স করেন৷
ছবি: picture-alliance/Kyodo
রাজনীতিতে প্রথম অংশগ্রহণ
কিম ইয়ো জংকে প্রথম দেখা যায় ২০১০ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির তৃতীয় সম্মেলনে৷ সেখানে তাঁকে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap/North Korean Central TV
২০১২ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে
২০১২ সালে জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের অধীনে কিম জং উনের সফরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ ২০১৪ সালের অক্টোবরে কিম জং উনের চিকিৎসা চলাকালীন রাষ্ট্রক্ষমতা তাঁর হাতে ছিল বলে জানা যায়৷ একই বছরের নভেম্বরে ইয়ো জংকে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রচারণা ও আন্দোলন বিভাগের উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Ahn Young-joon
কালো তালিকাভুক্ত
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ বছর বয়সি ইয়োকে উত্তর কোরিয়ার আরও কয়েকজন কর্মকর্তাসহ কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Ahn Young-joon
6 ছবি1 | 6
গবেষকরা একে ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ বলছেন৷ তাদের মতে, পিয়ং ইয়ং লিয়াজোঁ অফিসটি ধংস করে বুঝিয়ে দিল যে, দক্ষিণকে তাদের আর প্রয়োজন নেই৷ সৌলকে ছাড়াই শীতল যুদ্ধ চলতে পারে৷ বেইজিং ও মস্কোকে নিয়ে সম্প্রতি ওয়াশিংটনের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় পিয়ং ইয়ং এদের সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক আবারো ঝালাই করে নিয়েছে৷ চীন ও রাশিয়ার কাছেও বরাবরই ভূ-রাজনৈতিক কারণে উত্তর কোরিয়া গুরত্বপূর্ণ৷ তাই পিয়ং ইয়ংও গলার জোর আবার বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াও চুপ করে বসে থাকবে বলে মনে হচ্ছে না৷ ধারণা করা হচ্ছে, জবাব দিতে চায় তারাও৷ সেক্ষেত্রে কোরীয় উপত্যকায় উত্তেজনা প্রশমিত হতে আরো সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
আধুনিক কোরিয়ায় জাপান থেকে দখলমু্ক্ত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর৷ শীতল যুদ্ধের মার্কিন বনাম সোভিয়েত মেরুকরণের মধ্যেই ১৯৪৮ সালে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন ও তাদের কমিউনিস্ট সতীর্থদের সমর্থন পায় উত্তর কোরিয়া আর অ্যামেরিকা ও তার পশ্চিমা সহযোগীদের সমর্থন পায় দক্ষিণ কোরিয়া৷ এরপর ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চলে কোরীয় উপকূলে৷ তখনকার শীতল যুদ্ধ শেষ হলেও এ উপত্যকায় সংঘাত ও উত্তেজনা শেষ হয়নি৷ আজও চলছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ায় আজও মার্কিন সামরিক উপস্থিতি রয়েছে৷