1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকে উদ্বাস্তুদের কোঁদল

সমর করম/এসি১৫ জানুয়ারি ২০১৬

কোলনে মহিলাদের উপর যৌন হামলার পর জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের মধ্যেও বিরোধ দেখা দিয়েছে৷ উত্তর আফ্রিকার মাঘ্রেব দেশগুলি থেকে আসা উদ্বাস্তু বা অভিবাসন প্রত্যাশী আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা উদ্বাস্তুরা পরস্পরের ওপর দোষারোপ করছেন৷

Deutschland Köln HBF Vorplatz nach sexuellen Übergriffen
ছবি: Reuters/W. Rattay

থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোলনে যা ঘটেছে, তা সারা জার্মানিতে বিমূঢ়তার সৃষ্টি করেছে, তুলেছে ধিক্কারের ঝড়৷ একদল মানুষ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের উদ্বাস্তু নীতির সমালোচনা করছেন; আরেক দল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী আর অভিবাসীদের সকলকে দোষী না করার আবেদন করছেন৷

অপরদিকে অভিবাসীদের মধ্যেও বিরোধ দেখা দিয়েছে৷ আরব ভাষাভাষি অভিবাসীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, কারা কোলনে মহিলাদের উপর হামলা চালিয়েছে, তা নিয়ে৷ সোশ্যাল মিডিয়া হলো সিরীয় উদ্বাস্তু আর উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত উদ্বাস্তুদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপের প্রেক্ষাপট৷

দোষ কার?

ফেসবুকে আহমদ আলবোরানি লিখছেন, ‘‘এই সব জঘন্য কার্যকলাপ সিরীয় জনগণের সংস্কৃতি বা নীতিমালার অঙ্গ নয়৷ তা-তে যদি কোনো সিরীয় সংশ্লিষ্ট থেকে থাকেন, তবে হয় তারা আরব, যারা নিজেদের সিরীয় বলে পরিচয় দিচ্ছেন; নয়ত তারা এমন সব চরিত্র, উদ্বাস্তুদের ক্ষতি করার জন্য আসাদ যাদের পাঠিয়েছেন৷''

সেই ‘কালরাত্রি’...ছবি: Getty Images/AFP/M. Böhm

টোনি শাহুদ উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত উদ্বাস্তুদের দোষ দিয়েছেন, ‘‘মরক্কান, আলজিরীয় আর টিউনিশীয়রা এই সব কুকাজ করেছে৷'' করম ওরফালি একই মত প্রকাশ করেছেন, ‘‘ইউরোপ সিরীয় উদ্বাস্তুদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে, অন্য সবাই তার সুযোগ নিয়েছে৷ উদ্বাস্তু শিবিরে গিয়ে দশজন মানুষের দেখা পেলে তাদের সকলেই বলবে তারা সিরীয়; বাস্তবে তাদের মধ্যে দু'জন শুধু সিরীয়, বাকিরা এসেছে মরক্কো, আলজিরিয়া, লেবানন আর আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে৷''

মুহানেদ দুরুবি-ও লিখেছেন, ‘‘অধিকাংশ হামলাকারী উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত, প্রত্যক্ষদর্শীরাই তা বলেছেন৷ কিন্তু তারা যুদ্ধের হাত থেকে পালিয়েছেন, তাদের মধ্যে এই যৌন হামলার সমস্যা দেখতে পাওয়া যাবে না৷ যেমন ফিনল্যান্ডে হাজার হাজার উদ্বাস্তুর মধ্যে মাত্র দু'টি যৌন হামলার ঘটনা ঘটেছে৷

Germany: A post-New Year's Eve shock

04:08

This browser does not support the video element.

অপর পক্ষ

তথাকথিত মাঘ্রেব, অর্থাৎ মরক্কো, আলজিরিয়া, টিউনিশিয়া, লিবিয়া প্রমুখ দেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুরা এই অপবাদ মেনে নিতে রাজি নন৷ আক্সেল গানিকাস তাই ফেসবুকে লিখছেন, ‘‘উত্তর আফ্রিকার মানুষ, অর্থাৎ আলজিরীয়, মরক্কান বা টিউনিশীয়রা বহুদিন ধরে জার্মানি তথা ইউরোপে বাস করছেন৷ তাদের থেকে এর আগে কোনোদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি৷ যে সব আরব বিগত কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছেন, শুধু তারাই জার্মানিতে যা ঘটেছে, তার জন্য দায়ী৷ উত্তর আফ্রিকার মানুষ আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা আরবদের মধ্যে পার্থক্য করা উচিত৷''

যার উত্তরে বিলাল আলিয়ামানি লিখেছেন, ‘‘কিছু সিরীয় ভাই এমনভাবে নিজেদের সম্পর্কে কথা বলেন, যেন তারা সকলে দেবদূত, সবে স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন৷ তারা এখন মরক্কানদের দোষ দিচ্ছেন৷ আমি নিজে মরক্কান, জার্মানিতে বাস করি৷ আমি সিরিয়ায় গেছি৷ ওরা আর সব মানুষদের মতোই৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ