কোলনে অনুষ্ঠিত হলো ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমস
১৪ নভেম্বর ২০০৮আর প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫৮ হাজার দর্শক৷
ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমস বা ডব্লিউসিজি সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দেয়া যাক৷ ই-স্পোর্টস বা কম্পিউটার নির্ভর এই গেমস প্রতিযোগিতার প্রথম আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে, কোরিয়ার সোলে৷ প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিলো মাত্র ১৪টি দেশের গেমাররা৷ এরপর কোরিয়ার বিভিন্ন শহর ছাড়িয়ে ২০০৪ সালে চতুর্থ আসরটি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে৷ ততদিনে অংশগ্রহনকারী দেশের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩তে৷ এরপর সিংগাপুর, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সিয়াটল ঘুরে ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমস-এর নবম আসর অনুষ্ঠিত হয় এই বছরের নভেম্বরে, জার্মানির কোলন শহরে৷
প্রশ্ন আসতে পারে, ডব্লিউসিজির চুড়ান্ত আসরে অংশ নিতে গেমার নির্বাচিত হয় কিভাবে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমসের আঞ্চলিক পার্টনার৷ এই আঞ্চলিক পার্টনাররা বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক পর্যায়ে কম্পিউটার গেমস এর আয়োজন করে এবং সেখান থেকে দেশ ভেদে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিজয়ীকে চুড়ান্ত পর্বের জন্য পাঠায়৷ বিজয়ীরা সাধারণত ডব্লিউসিজির পৃষ্ঠপোষকতায় মানে থাকা, খাওয়া আর ভ্রমনের নিশ্চয়তাসহ চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়৷ আর চূড়ান্ড পর্বে একক এবং দলগত রাউন্ডে বিজয়ীরা পায় পুরস্কার হিসেবে বেশ মোটা অংকের অর্থ৷
ডব্লিউসিজি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের জন্য অত্যন্ত স ম্মা নজনক ইস্যু৷ শুরু থেকেই ডব্লিউসিজির কান্ট্রি র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে কোরিয়া৷ সদ্য সমাপ্ত নবম আসরে ৩টি স্বর্ণ, ৩টি সিলভার আর ১ ব্রঞ্জ পদক জিতে কোরিয়া চলে গেছে শীর্ষ স্থানে৷ আর তাদের পরে রয়েছে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
বন্ধুরা, জানতে চান ডব্লিউসিজিতে কি ধরণের গেমস খেলা হয়? প্রথমেই বলে নিচ্ছি সাধারন কম্পিউটারে খেলার উপযোগী গেমসগুলো কিন্তু একেবারেই নেই এই প্রতিযোগিতায়৷ এই প্রতিযোগিতার পেছনের বাণিজ্য হচ্ছে গেমিং টেকনোলজি আর অত্যাধুনিক সব গেমসকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা৷ আর তাই, ডব্লিউসিজির প্রতিযোগিতায় স্থান পায় এজ অফ এমপায়ার, এনএফএস, ওয়ারক্রাফট থ্রি এর মতো গেমসগুলো৷ এসব গেমস খেলতে প্রয়োজন হয় উচ্চ মেমোরি ও গ্রাফিক্স কার্ড সম্পন্ন কম্পিউটার৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও অংশ নেয় ডব্লিউসিজিতে৷ ডব্লিউসিজির বাংলাদেশ আসরে অংশ নেয় শত শত গেমার৷ সেই বাংলাদেশ আসরের বিজয়ী ৮ তরুণ এবার কোলনে চুড়ান্ড আসরে অংশ নেয়৷ তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান এনএফএস রাউন্ডে সন্তোষজনক সফলতা দেখিয়েছেন৷
২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমসের গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে চীনে৷ ইতিমধ্যে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সমালোচনায় পড়েছে চীন সরকার৷ কারণ চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারে রয়েছে কড়াকড়ি৷ এমন কড়াকড়ির দেশে এই আসর ঠিক কতটা স্বাধীনতা পাবে তা এক বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে৷