1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোলনে নারী নির্যাতন

৮ জানুয়ারি ২০১৬

শুধু কোলন নয়, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ-সহ অন্য কিছু শহর থেকেও ব্যাপক আকারে নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ স্বতঃস্ফূর্ত অপরাধ, নাকি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা? এর জন্য কি শরণার্থীরা দায়ী?

ছবি: Reuters/W. Rattay

বর্ষবরণ উৎসবের রাতে জার্মানির কোলন শহরের মূল স্টেশনে অসংখ্য নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ তাঁদের টাকাপয়সা, মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ সেই মানসিক অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারেননি অনেকে৷ পরের দিনগুলিতে ধীরে ধীরে গোটা ঘটনার ভয়াবহতা স্পষ্ট হতে থাকে৷ ৮০ থেকে ১০০ মদ্যপ তরুণ ৩১শে ডিসেম্বর রাতে যে মাত্রায় এমন অভূতপূর্ব ন্যক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটি সুপরিকল্পিত ছিল বলেই পুলিশের সন্দেহ রয়েছে৷

ঘটনার তদন্ত নিজস্ব গতিতে চলছে৷ পুলিশের বিরুদ্ধেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কিন্তু সব তথ্য জনসমক্ষে আসার আগেই পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করছে৷ অপরাধীরা আরব ও উত্তর আফ্রিকার মানুষ, তাদের মধ্যে অনেকেই সদ্য আগত শরণার্থী – এমন দাবিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷

চরম দক্ষিণপন্থি ও বিদেশি বিদ্বেষীরা এমন সুযোগ লুফে নিয়ে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷ জনমতের চাপে মূল স্রোতের রাজনৈতিক নেতারাও কড়া বক্তব্য পেশ করছেন৷

অপরাধীরা সত্যি শরণার্থী হলে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করতে প্রয়োজনে আইন আরও কড়া করার অঙ্গীকার করছেন অনেকে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পর এমনকি সামাজিক গণতন্ত্রী দলের নেতারাও আইনি কাঠামো আরও জোরালো করার পক্ষে সওয়াল করছেন৷

ম্যার্কেল উদার হাতে যেভাবে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দ্বার খুলে দিয়েছেন, তা এমনকি তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক শিবিরেই চরম বিতর্কিত বিষয়৷ জার্মানির পক্ষে এত কম সময়ে বিশাল সংখ্যক বহিরাগত মানুষ গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে অনেকে মনে করে৷ এমনকি শরণার্থীর ছদ্মবেশে সন্ত্রাসবাদীরা এসে এ দেশে হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছে তারা৷ তবে এভাবে বিশাল আকারে নারী নির্যাতনের ঘটনার আশঙ্কা কেউ করে নি৷ জার্মানি তথা ইউরোপের আরও শহর থেকে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ মূল ঘটনা সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত যাই জানা যাক না কেন, বর্তমান আবেগের জের ধরে শরণার্থীদের স্বাগত জানাবার মনোভাব এর ফলে মারাত্মক ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ)

আপনার কী মনে হয়? যৌন হয়রানির মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে কি সত্যিই শরণার্থীরা জড়িত? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ