1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিল ভারত

রাহেনুর ইসলাম
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে দুবাইয়ে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল ভারত৷ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও এক পা দিয়ে রাখল তারা৷

Virat Kohli beim ICC Champions Trophy Cricket-Spiel zwischen Indien und Pakistan
বিরাট কোহলির ১১১ বলে ১০০ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারতছবি: Altaf Qadri/AP/picture alliance

পাকিস্তানের ২৪১ রানের চ্যালেঞ্জ ভারত পেরিয়ে যায় ৪৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে৷ বিরাট কোহলি খেলেন ১১১ বলে ১০০ রানের হার না মানা ইনিংস৷

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ‘ক্রিকেটের ক্লাসিকো'৷ কমতি থাকে না উন্মাদনা, উত্তেজনা আর বিনোদনের৷ তবে শক্তি আর ভারসাম্যে ভারত সম্প্রতি এগিয়ে গেছে অনেক৷ গত ১০ বছরে তারা কেবল ১টি ওয়ানডেই হেরেছে পাকিস্তানের কাছে৷ তাই দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আজকের মহারণে পাকিস্তান জিতলে ‘অলৌকিক’ কিছু হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন অনেকে৷

দুবাইয়ে সেই ‘মিরাকল' ঘটল না৷ পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল ভারত৷ আর পাকিস্তানকে ঠেলে দিল বিদায়ের দুয়ারে৷ আগামীকাল নিউজিল্যান্ড যদি বাংলাদেশকে হারায় তাহলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে পাকিস্তানের৷ দুই ম্যাচ শেষে ভারতের পয়েন্ট ৪, পাকিস্তানের ০৷ এক ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ২, বাংলাদেশের ০৷

ভারতের বাদ পড়ার শঙ্কা থাকবে যদি বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারে৷ পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের কাছেও বড় ব্যবধানে হারতে হবে ভারতকে৷ এত সমীকরণ মিলিয়ে ভারতের সেমিফাইনাল না খেলাটাই বরং হবে অলৌকিকতা!

দুবাইয়ের যানজটে আটকা পড়া ভারতীয় টিম বাস মাঠে আসে টসের মাত্র ৩৫ মিনিট আগে৷ খেলার আগে তাই সেভাবে গা গরম করতে পারেননি তারা৷ তাতে পাকিস্তানের ২৪১ রানের সাধারণ লক্ষ্য অতিক্রম করাটা কঠিন হয়নি৷

‘চেস মাস্টার' বিরাট কোহলি আরও একবার দেখালেন নিজের দৃঢ়তা৷ স্নায়ুর চাপ সামলে খেলা তার ১১১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ১০০* রানের ইনিংসে জয়টা সহজ হয়ে যায় ভারতের৷ ম্যাচটা এতটাই একতরফা হয়ে পড়েছিল যে, ভারতের জয়ের চেয়ে বেশি উদ্বেগ ছিল কোহলির সেঞ্চুরি হওয়া না হওয়া নিয়ে৷ ৪১তম ওভার শেষে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান আর সেঞ্চুরির জন্য কোহলির দরকার ১৩৷ ৪২তম ওভার শেষে ভারতের দরকার ৪ রান আর সেঞ্চুরি পেতে কোহলির দরকার ৫৷

পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল ভারতছবি: Altaf Qadri/AP/picture alliance

শেষ পর্যন্ত খুশদিল শাহর বলে বাউন্ডারি মেরে নিজের ৫১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও ভারতের জয় নিশ্চিত করেন কোহলি৷ তাঁর সেঞ্চুরির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো গ্যালারি৷ ‘কিং কোহলি' স্লোগানে গ্যালারি উত্তাল করে রেখেছিলেন সমর্থকরা৷

একই দিনে তিনটি মাইলফলকেও পা রেখেছেন এই কিংবদন্তি৷ ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হারিস রউফকে বাউন্ডারি মেরে কোহলি পেরিয়ে যান ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক৷ ২৮৭ ইনিংসে ১৪ হাজার রানের মাইলফলকে পা রাখলেন কোহলি যা দ্রুততম৷ শচীন টেন্ডুলকারের লেগেছিল ৩৫০ ইনিংস আর কুমার সাঙ্গাকারার ৩৭৮ ইনিংস৷

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান কোহলির৷ ২৭ হাজার ৪৮৩ রান নিয়ে এতদিন তিন নম্বরে ছিলেন রিকি পন্টিং৷ দুবাইয়ে তাকে ছাড়িয়ে কোহলির রান এখন ২৭ হাজার ৫০৩৷

ম্যাচে দুটি ক্যাচও নিয়েছিলেন কোহলি৷ ভারতের হয়ে (উইকেটরক্ষক ছাড়া) ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৫৮ ক্যাচ এখন তার৷ মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের ক্যাচ ছিল ১৫৬টি৷

রোহিত শর্মা কেবল ওপেনার হিসেবে ৯,০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলকে পা রেখেছেন দুবাইয়ে (তার ওয়ানডে রান ১১ হাজারের বেশি)৷ শাহিন শাহ আফ্রিদির জাদুকরি ইনসুইংগিং ইয়র্কারে ২০ রানে বোল্ড হন রোহিত৷ আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শুভমন গিল জীবন পেয়েছিলেন ৩৫ রানে৷ সেটা কাজে লাগাতে না পেরে গিল ৫২ বলে ৪৬ করে বোল্ড হন আবরাম আহমেদের ঘূর্ণিতে৷ এরপরই তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের ম্যাচ জেতানো ১১৪ রানের জুটি৷ ৬৭ বলে ৫৬ করার শ্রেয়াসকে ফেরান খুশদিল শাহ৷ ততক্ষণে ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল ভারতের৷ হার্দিক পান্ডিয়া ৮ রানে ফিরলেও তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু ছিল না৷ বাকি কাজটা অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে সারেন কোহলি৷

শক্তি বা সামর্থ্য যেমনই হোক, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যে সবসময় অনন্ত চাপের সেটা বোঝা গেল প্রথম ওভার থেকেই৷ মোহাম্মদ শামির মতো অভিজ্ঞ পেসার প্রথম ওভারে করলেন ৫টি ওয়াইড! ভারতীয় কোনো বোলারই ওয়ানডেতে এক ওভারে ৫টি ওয়াইড করেননি এর আগে৷ অর্থাৎ রেকর্ড গড়ে শুরু হয় ম্যাচটা৷

রেকর্ড হয়েছে অবশ্য টসেও৷ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর এই ফরম্যাটে টস জেতেনি ভারত৷ জিতল না দুবাইতেও৷ পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণে টস হেরেছেন রোহিত শর্মা, যা ওয়ানডেতে টানা ১২তম টস হার ভারতের৷ ওয়ানডেতে টানা এত বেশিবার টস হারেনি আর কোনো দল৷ এর আগে ২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০১৩'র আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ টস হারের রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের৷ সেই রেকর্ড ভেঙে যাওয়ায় আজ টস হেরে নিজেকে ‘দুর্ভাগা' ভেবে হেসেছিলেনও রোহিত!

নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতে পারে পাকিস্তানও৷ কারণ ২৯ বছর পর তাদের দেশে ফিরেছে আইসিসির কোন টুর্নামেন্ট৷ এই সময়ে আইসিসি ৫৬টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় বঞ্চিত ছিল পাকিস্তান৷ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে আইসিসি ইভেন্ট ফিরলেও সবচেয়ে বড় পাকিস্তান-ভারত ম্যাচই হয়নি বিসিসিআইয়ের আপত্তিতে৷ করাচি, লাহোরের বদলে ম্যাচ খেলতে মোহাম্মদ রিজওয়ানদের আসতে হয়েছে দুবাইয়ে৷

এ নিয়ে জল ঘোলা হলেও ম্যাচটা উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের জেলখানায় বন্দি ২২ জন ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি৷ মাছ ধরতে গিয়ে পাকিস্তানি জলসীমায় প্রবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছিল৷ এমন শান্তির বার্তায় খুশিই হওয়ার কথা আইসিসির৷

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ‘টুকটুক' ব্যাটিংয়ে সমালোচনায় জর্জরিত বাবর আজম ৫ বাউন্ডারিতে ২৬ বলে ২৩ করে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়ার বলে৷ হার্দিকের করা নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপার লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন বাবর৷ স্টার স্পোর্টসে তখন দেখানো হচ্ছিল গ্যালারিতে থাকা ব্রিটিশ গায়িকা জেসমিন ওয়ালিয়াকে৷ হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন চলছে তার!

পরের ওভারে অহেতুক রান নিতে গিয়ে রানআউট হন ২০২৩ সালের পর ওয়ানডেতে ফেরা ইমাম-উল-হক৷ কুলদীপ যাদবের বল মিডঅনে ঠেলেই দৌড় দেন ইমাম, তবে অক্ষর প্যাটেলের সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙে তার৷ ধারাভাষ্য কক্ষে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলছিলেন, ‘‘এটা আত্মহত্যা৷ কখনই রান হত না সেখান থেকে৷''

প্রথম ১০ ওভারে ৫২ রানে ২ ওপেনার হারিয়ে বসে পাকিস্তান৷ ভারতের সময়ের সেরা পেসার যশপ্রীত বুমরা থাকলে ছবিটা আরও অন্যরকম হতে পারত৷ চোটের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা না পাওয়া বুমরা সতীর্থদের উৎসাহ দিতে চলে এসেছেন দুবাইয়ে৷ আর ম্যাচটা উপভোগ করেছেন গ্যালারি থেকে৷

গ্যালারিতে দেখা গেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ না পাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদব, অভিষেক শর্মা আর তিলক ভার্মাকে৷ একটা সময় দুবাই-শারজার মতো ভেন্যুর গ্যালারিতে ভেঙে আসত বলিউডের বড় একটা অংশ৷ আজও দেখা গেছে মেগাস্টার চিরঞ্জীবী, সোনম কাপুর, উর্বশীসহ আরও অনেক তারকাকে৷ স্টার স্পোর্টসের স্টুডিওতে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ম্যাচ উপভোগ করছিলেন বলিউডের আরেক তারকা সানি দেওল৷

মোহাম্মদ শামি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফিরেছেন অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে লম্বা সময় পর৷ বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে চিনিয়েছেন নিজের জাত৷ আজ অবশ্য অস্বস্তিবোধ করায় পঞ্চম ওভারের পর মাঠ ছেড়েছিলেন শামি৷ ভারতের উদ্বেগটা কমে তিনি ১১তম ওভার শেষে মাঠে ফিরে আসায়৷ ফিট থাকতে ২০১৫ সালের পর টানা ১০ বছর সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার না খাওয়ার কথা প্রথম ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসে বলেছিলেন শামি৷ সেই ম্যাচে ৫ উইকেট পেলেও আজ ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটহীন৷

প্রথম পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার হারানোর পর রানের গতি ধীর হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের৷ টানা ৩২ বল বাউন্ডারি পায়নি তারা৷ অক্ষর প্যাটেলের করা ১৬তম ওভারের প্রথম বলে স্কুপ করে বাউন্ডারি খরাটা কাটান সৌদ শাকিল৷ এরপর আবারও বাউন্ডারি খরা! পরের বাউন্ডারিটি আসে ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে৷

ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খোলস বন্দী হয়ে পড়েন সৌদ শাকিল ও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান৷ ২৫ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৯৷ এমন ব্যাটিং দেখা যেত '৯০ দশকে, যখন প্রথম ২৫ ওভারে ১০০' করার পর রানের গতি বাড়িয়ে ২৫০-২৭০'এ থামতে চাইত দলগুলো৷

অবশ্য দুবাইয়ের ধীরগতির পিচের জন্য টসের সময় পিচ রিপোর্টে সুনীল গাভাস্কার ও ইয়ান বিশপ একমত হয়ে বলেছিলেন, ২৭০ এর মতো স্কোর হলে এ মাঠে লড়াই করা যাবে৷ পাকিস্তান ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ২৪১ রানে৷ তাতে বড় অবদান সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটির৷

৭৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬২ রান করেন সৌদ শাকিলছবি: Altaf Qadri/AP/picture alliance

শাকিল ৭৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬২ আর ও রিজওয়ান করেন ৭৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৬ রান৷ অক্ষর প্যাটেলের করা ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে ব্যাটে লাগাতে না পারায় বোল্ড হন রিজওয়ান৷ এর ঠিক আগের বলেই (হার্দিক পান্ডিয়ার বলে) আকাশে ক্যাচ তুলে জীবন পেয়েছিলেন রিজওয়ান৷ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে স্পিনারদের ৭৫ বলে ১২৬ রান করলেও এ নিয়ে পঞ্চমবার আউট হলেন রিজওয়ান৷ আর হার্দিকের বল তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে ক্যাচ দেন সৌদ শাকিল৷ ১০ বলের ব্যবধানে উইকেটে সেট হওয়া দুই ব্যাটার হারায় পাকিস্তান৷ শেষ পর্যন্ত স্কোরটা হয় ২৪১ রান৷ ৪০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৮৩ আর ৪৫ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২১২৷ শেষ দিকে খুশদিল শাহ করেন ৩৯ বলে ৩৮ রান৷ কুলদীপ যাদব ৯ ওভারে ৪০ রানে ৩টি আর হার্দিক পান্ডিয়া ৮ ওভারে ৩১ রানে নেন ২ উইকেট৷

সাধারণত ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলিতে কৃত্রিম আলো লাগানো থাকে উঁচু স্তম্ভে৷ কিন্তু দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গ্যালারির ছাদ জুড়ে আছে ৩৫০টি আলোকবাতি৷ এজন্য এই স্টেডিয়ামের আরেক নাম ‘রিং অফ ফায়ার' বা ‘আগুনের আংটি'৷

আলোর ধাঁধায় পড়ে গত বছর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০ ম্যাচে ক্যাচ পড়েছিল ৮৮টি৷ এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এই স্টেডিয়ামে ফেলেছেন একাধিক ক্যাচ৷ আজও মোহাম্মদ রিজওয়ানের আকাশে ওঠা কঠিন ক্যাচ ছাড়েন হর্ষিত রানা৷ রাতের আলোয় হারিস রউফের বলে ৩৫ রানে থাকা শুভমন গিলের সহজ ক্যাচ মিডউইকেটে ছাড়েন খুশদিল শাহ৷ ২৫ রানে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যাচও মিডউইকেটে হাত ফসকে যায় সৌদ শাকিলের৷ ক্যাচ দুটি নিতে পারলে, কে জানে ম্যাচের ছবিটাও অন্য হতে পারত!

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান : ৪৯.৪ ওভারে ২৪১/১০ (শাকিল ৬২, রিজওয়ান ৪৬, খুশদিল ৩৮, বাবর ২৩; কুলদীপ ৩/৪০, হার্দিক ২/৩১)

ভারত : ৪২.৩ ওভারে ২৪৪/৪ (কোহলি ১০০*, শ্রেয়াস ৫৬, শুভমন ৪৬, রোহিত ২০; আফ্রিদি ২/৭৪, আবরার ১/২৮)

ফল : ভারত ৬ উইকেটে জয়ী

 

রাহেনুর ইসলাম সাংবাদিক
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ