আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল৷ বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও উরুগুয়ে৷ এরপর রাত ১২টায় খেলবে ব্রাজিল আর বেলজিয়াম৷
বিজ্ঞাপন
এই দুই ম্যাচের বিজয়ীরা ১০ জুলাই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে৷
এরপর আগামীকাল শনিবার হবে ইংল্যান্ড বনাম সুইডেন ও ক্রোয়েশিয়া বনাম রাশিয়ার ম্যাচ৷ ১১ জুলাই সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্যে মাঠে নামবে তারা৷
ফ্রান্স-উরুগুয়ে
কোয়ার্টারে আট দলের মধ্যে মাত্র তিনটি দল এখন পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে৷ দল তিনটি হচ্ছে উরুগুয়ে, বেলজিয়াম আর ক্রোয়েশিয়া৷ এই তিন দলের মধ্যে আবার উরুগুয়ে চার ম্যাচে মাত্র একটি গোল খেয়েছে৷ তাদের দুই ডিফেন্ডার গোডিন ও গিমেনেজকে পেছনে ফেলে ঐ এক গোল করতে সমর্থ হয়েছে শুধু পর্তুগাল৷ এবার ফ্রান্সকে সেটি করে দেখাতে হবে৷ সেজন্য অবশ্য ফ্রান্সের অস্ত্রের অভাব নেই৷ এক এমবাপে যেভাবে তাঁর গতি দিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন, তা উরুগুয়ের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হওয়ার কথা৷ তবে এমবাপে ছাড়াও ফ্রান্সে আছেন গ্রিজমান আর জিরু৷ ফলে কোয়ার্টারের প্রথম ম্যাচে তারকা স্ট্রাইকার আর তারকা ডিফেন্ডারদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার জন্য দর্শকরা অপেক্ষায় থাকতে পারেন৷
এবার উল্টো দিক দিয়ে ভাবা যাক৷ মাঠের নীচের দিকে যেমন উরুগুয়ের শক্ত ডিফেন্স আছে, তেমনি তাদের আক্রমণভাগেও তারকার অভাব নেই৷ সেখানে আছেন কাভানি আর সুয়ারেজ৷ শেষ ষোলোর ম্যাচে এক কাভানিই দুই গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছেন৷ যদিও ম্যাচের শেষ দিকে ইনজুরি নিয়ে তাঁকে রোনাল্ডোর কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে৷ ফলে এখন শুক্রবারের ম্যাচে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন কিনা সেটা দেখার বিষয়৷
ব্রাজিল-বেলজিয়াম
বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের যত মজার তথ্য
বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব শেষেই গোল, পেনাল্টি এবং আরও কিছু জায়গায় হয়ে গেছে বেশ কিছু রেকর্ড৷ সেইসব তথ্য নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
শূন্য
১৯৮২ সালের পর এই প্রথমবারের মতো আফ্রিকার কোনও দল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে৷ রাশিয়া বিশ্বকাপে সবশেষ সেনেগালের যা-ওবা সম্ভাবনা ছিল, তা-ও ‘ফেয়ার প্লে’-র নিয়মের কবলে পড়ে নস্যাৎ হয়ে যায়৷ গ্রুপ ‘এইচ’-এ জাপানের সঙ্গে পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান এক হওয়া স্বত্ত্বেও ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড খারাপ হওয়ায় বাদ পড়ে সেনেগাল৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
গোল এবং গোলশূন্য ড্র
প্রথম পর্বে ৪৮ ম্যাচে গোল হয়েছে মোট ১২২টি৷ সে হিসেবে ম্যাচ প্রতি গোল ২ দশমিক ৫৪৷ গত বিশ্বকাপে ছিল ম্যাচপ্রতি গড়ে ২ দশমিক ৬৭৷ এর আগের মাত্র ৫টি বিশ্বকাপে ম্যাচপ্রতি গড়ে এমন কম গোল হয়েছে৷ তবে মজার বিষয় হলো, রাশিয়া বিশ্বকাপে ৩৬টি ম্যাচের পর প্রথম গোলশূন্য ড্র হয়েছে৷ গোলশূন্য ড্র ম্যাচ পেতে যেকোনও বিশ্বকাপের তুলনায় যা দীর্ঘতম অপেক্ষা৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড
বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব শেষে টপ স্কোরার কে? ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন৷ ৫ গোল নিয়ে তিনিই গোলদাতাদের শীর্ষে আছেন৷ তবে তারও আগে গিয়ে বসে আছে ‘আত্মঘাতী গোল’৷ প্রথম রাউন্ডে ৯টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে, যা গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড ভেঙেছে৷ গত বিশ্বকাপে এই সংখ্যা ছিল ৬টি৷
ছবি: Reuters/G. Dukor
জার্মানি নেই, বুন্দেল লিগা আছে
জার্মানি যেমন প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে, তেমনি জার্মান বুন্দেস লিগায় খেলা ৩৭ খেলোয়াড়ও বিদায় নিয়েছেন৷ বিশ্বকাপে জার্মান লিগে খেলা মোট ৬৭ জন খেলোয়াড় খেলছিলেন৷ এখন পর্যন্ত যাঁরা টিকে আছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জন সুইজারল্যান্ড এবং ৭ জন জাপান দলে খেলছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan
২৫০০তম গোল
টিউনিশিয়ার ফখরেদ্দিন বেন ইউসেফ পানামার বিপক্ষে যে গোলটি করেন, সেটি ছিল বিশ্বকাপের আড়াই হাজারতম গোল৷
ছবি: Reuters/M. Sezer
বিশ্বকাপের উপহার
আইসল্যান্ডের খেলোয়াড় রুরিক গিসলাসন যখন বিশ্বকাপে খেলতে আসেন, তখন তাঁর ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার ছিল ৪০ হাজার৷ সোনালী কেশী, পেশীবহুল এই উইঙ্গার খেলেন দ্বিতীয় বিভাগের জার্মান দল জান্ডহাউজেনে৷ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামার পরই তাঁর সোশাল মিডিয়া ভাগ্য খুলে যায়৷ ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার এখন ১২ লাখ এবং দিন দিন তা বাড়ছেই৷
রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নে বিভোর নেইমারবাহিনী৷ সেই সঙ্গে তারা গত বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের লজ্জা মুছে ফেলতে তৎপর৷ দিন যত যাচ্ছে ততই শক্তিশালী হয়ে উঠছেব্রাজিল৷ প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও পরের তিন ম্যাচে কস্টারিকা, সার্বিয়া ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে৷ অর্থাৎ উরুগুয়ের মতোই ব্রাজিল মাত্র একটি গোল খেয়েছে৷ তাদের তারকা খেলোয়াড় নেইমারও শেষ ম্যাচে একটি গোল করার পাশাপাশি আরেকটি গোলের বল জোগান দিয়েছেন৷ ফলে বেলজিয়ামের মতো টিমের বিরুদ্ধে খেলার আগে কিছুটা ভারমুক্ত থাকতে পারছেন সেলেকাও সমর্থকরা৷
অন্যদিকে, এবারের বিশ্বকাপে উরুগুয়ে, ক্রোয়েশিয়া ছাড়া একমাত্র বেলজিয়ামই তাদের প্রথম চার ম্যাচ জিতেছে৷ যদিও শেষ ষোলোতে জাপানের বিরুদ্ধে জিততে কেভিন ডি ব্রুইনে, আজার ও লুকাকু বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে৷ তবে বেলজিয়ামের এই দলকে দেশটির ‘সোনালি প্রজন্ম' বলা হচ্ছে৷ ফলে ব্রাজিলকে যে তারা সহজে ছেড়ে দেবে না তা বলাই যায়৷
ইংল্যান্ড-সুইডেন
ইতিহাস গড়ে কোয়ার্টারে এসেছেইংল্যান্ড৷ এবারের বিশ্বকাপের আগে তিনবার নকআউট পর্বে গিয়ে টাইব্রেকারের বাধা পেরোতে পারেনি ইংলিশরা৷ তবে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে কোয়ার্টারে পৌঁছেছে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড৷ এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেন খেলেন এই দলে৷ ফলে ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে তিন সিংহরা৷
বিশ্বকাপে বেশি গোল করেছেন যাঁরা
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেশি আলোচনায় ছিলেন মেসি, রোনাল্ডো, নেইমাররা৷ তারকাদ্যুতিতে যে অনেক এগিয়ে তাঁরা! কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে তাঁরা থেকে গেলেন নিষ্প্রভ৷ সেখানে সবচেয়ে উজ্জ্বল হ্যারি কেন৷ তাঁর পরে কারা?
ছবি: picture-alliance/V.R.Caivano
হ্যারি কেন, ৬ গোল
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে ‘গোল্ডেন বুট’ পুরস্কার দেয়ার চল শুরু ১৯৮২-র আসর থেকে৷ সেবার সবাইকে অবাক করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইটালি৷ আরো অবাক করেছিলেন পাওলো রসি৷ আসর শুরুর আগে যাঁকে কেউ প্রায় চিনতোই না, সেই রসিই পুরস্কারটি জিতেছিলেন প্লাতিনি, জিকো, মারাদোনাদের পেছনে ফেলে৷ এবারের আসরে পানামার বিপক্ষে একটি হ্যাটট্রিকসহ মোট ৬ গোল করায় ‘গোল্ডেন বুট’ জিতে নিলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন৷
ছবি: Reuters/C. Barria
গ্রিসমান, ৪ গোল
২০ বছর পর ফ্রান্স আবার চ্যাম্পিয়ন৷ দলকে চ্যাম্পিয়ন করায় গ্রিসমানের অবদান ৪ গোল৷
ছবি: Reuters/A. Vaganov
কিলিয়ান এমবাপে, ৪ গোল
আর্জেন্টিনাকে বলতে গেলে একাই বিদায় করেছেন তিনি৷ ১৯ বছর বয়সি এ ফরোয়ার্ড নিজে করেছেন দুই গোল আর পেনাল্টি আদায় করে আরেকটি গোলেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান৷ ফাইনাল শেষে তাঁর নামের
পাশে লেখা চার গোল৷ এমবাপের মাঝে আগামীর সুপারস্টারকে দেখতে শুরু করেছেন অনেকেই৷
ছবি: Reuters/D. Martinez
রোমেলু লুকাকু, ৪ গোল
বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড লুকাকুও কম যান না৷ ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে ১৫৩ মিনিট খেলে ৫ গোল করেছেন হ্যারি কেন৷ লুকাকু খেলেছেন তার চেয়েও কম, মাত্র ১৪৯ মিনিট৷ ওই সময়েই আদায় করে নিয়েছেন ৪ গোল৷
ছবি: imago/Photonews/Panoramic
ডেনিস চেরিশেভ, ৪ গোল
রাশিয়ার এই মিডফিল্ডারও করেছেন ৪ গোল৷ তবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে করা গোলটিই ছিল এ আসরে তাঁর শেষ গোল৷ কারণ, সেই ম্যাচ টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ায় তাঁর দেশ রাশিয়ার জন্য শেষ হয়ে গেছে বিশ্বকাপ অভিযান৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, ৪ গোল
পর্তুগালের প্রথম তিন ম্যাচ শেষে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর নামের পাশেও লেখা হয়ে যায় ৪ গোল৷ তারপর অবশ্য আর গোলের দেখা পাননি৷ তাঁর বিশ্বকাপ জয়ের বাসনা অপূর্ণ রেখেই উরুগুয়ের কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল৷
ছবি: Reuters/M. Sezer
এডেন হ্যাজার্ড, ৩ গোল
বেলজিয়ামের হ্যাজার্ড ৭ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল৷ দলের সাফল্যে তাঁর অবদান অবশ্য তার চেয়ে অনেক বেশি৷ মধ্যমাঠে দলের মধ্যমণিই ছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/V.R.Caivano
মারিও মানসুকিচ, ৩ গোল
ক্রোয়েশিয়ার এই ফরোয়ার্ডও সাত ম্যাচ খেলে করেছেন ৩ গোল৷
ছবি: picture-alliance/GES/M. Gilliar
ইভান পেরিসিচ, ৩ গোল
মদ্রিচ, মানসুকিচের মতো ক্রোয়েশিয়ার ইভান পেরিসিচের খেলাও এবার সবার নজর কেড়েছে৷ ৭ ম্যাচে তিনিও করেছেন ৩ গোল৷
ছবি: Reuters/D. Staples
এডিনসন কাভানি, ৩ গোল
প্রথম রাউন্ডে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি৷ তিন ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ১ গোল৷ কিন্তু ঠিক সময়েই জ্বলে উঠে উরুগুয়েকে তুলে দিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে৷ কাভানির জোড়া গোলের কারণেই রোনাল্ডোর আশাভঙ্গ হয়েছে, বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল৷
ছবি: Reuters/T. Hanai
আর্টেম জিয়ুবা, ৩ গোল
রাশিয়ার এই ফরোয়ার্ডে প্রথম রাউন্ড শেষ করেছিলেন দুই গোল নিয়ে৷ কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনকে বিদায় করা ম্যাচে এক গোল করায় তিনিও উঠে এসেছে স্বদেশী চেরিশেভের পাশে৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
ইয়েরি মিনা, ৩ গোল
খামেস রদ্রিগেস দলে থাকতেও এবার কলম্বিয়ার ইয়েরি মিনা নজর কেড়েছেন৷ দ্বিতীয় রাউন্ডে ইনজুরির জন্য খেলতে পারেননি রদ্রিগেস৷ মিনার গোলেই ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিল কলম্বিয়া৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচ টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ায় অবশ্য সেখানেই শেষ হয়ে যায় কলম্বিয়া আর মিনার ২০১৮-র বিশ্বকাপ মিশন৷
ছবি: Reuters/C. Garcia Rawlins
দিয়েগো কস্তা, ৩ গোল
পর্তুগালের বিপক্ষে তিনি যেন রোনাল্ডোর সঙ্গে গোল করার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন৷ তবে কস্তা দুই গোল করে থামলেও রোনাল্ডো থেমেছেন শেষ মুহূর্তের গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে৷ প্রথম রাউন্ড শেষ করেছিলেন তিন ম্যাচে তিন গোল নিয়ে৷ তারপরই স্পেনের বিদায় এবং কস্তার জন্যও বিশ্বকাপ আপাতত শেষ৷
ছবি: Reuters/L. Nicholson
জন স্টোনস, ২ গোল
এই তালিকায় জন স্টোনসের নামটা কিন্তু বিস্ময় জাগানোর মতো৷ ডিফেন্ডার হয়েও ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন ২ গোল৷ পানামাকে ৬-১ গোলে হারিয়ে এ আসরে প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি গড়েছে ইংল্যান্ড৷ সেই ম্যাচেই দুই গোল করেছিলেন স্টোনস৷
ছবি: Reuters/M. Childs
ফিলিপে কুটিনিয়ো, ২ গোল
নেইমার যখন গোলের দেখা পাচ্ছেন না, তখনই ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছিলেন কুটিনিয়ো৷ প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের একমাত্র গোলটি এসেছিল তাঁর পা থেকেই৷ কোস্টারিকা ম্যাচেরও গোল-বন্ধ্যাত্ব ঘুচিয়েছিলেন প্রথম পর্বের পারফর্ম্যান্সে নেইমারসহ অনেক বড় তারকাকেই ছাড়িয়ে যাওয়া এই মিডফিল্ডার৷
ছবি: Reuters/D. Staples
মোহামেদ সালা, ২ গোল
ভক্তদের অনেক আশা ছিল তাঁর কাছে৷ কিন্তু ইনজুরির কারণে বেশি কিছু করতে পারেননি মিশরের মোহামেদ সালা৷ দুই ম্যাচ খেলে করেছেন দুই গোল৷
ছবি: Reuters/H. Romero
আরো যাঁদের ২ গোল
ব্রাজিলের নেইমার, জাপানের তাকাশি ইনুই, নাইজেরিয়ার আহমেদ মুসা, ক্রোয়েশিয়ার লুকা মডরিচ, উরুগুয়ের লুই সুয়ারেজ, সুইডেনের আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ট, আর্জেন্টিনার আগুয়েরো, দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিউংমিন, টিউনিশিয়ার খাজরি আর অস্ট্রেলিয়ার জেডিনারও করেছেন দু’টি করে গোল৷
ছবি: Reuters/C.G. Rawlins
পারলেন না মেসি
এবারও বিশ্বকাপ জেতা হলোনা লিওনেল মেসির৷ দ্বিতীয় রাউন্ডেই আর্জেন্টিনার ৪-৩ গোলে হেরে গেছে ফ্রান্সের কাছে৷ মেসির বিশ্বকাপ মিশনও শেষ হয়েছে মাত্র ১ গোল নিয়ে!
ছবি: Getty Images/G. Rossi
18 ছবি1 | 18
তবে ইংলিশদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ট কৌশল জানা আছে সুইডিশদের৷ জায়ান্টদের বিশ্বকাপ থেকে তাড়িয়ে দেয়ার রেকর্ডও তাদের ভালো৷ এবারের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে ডাচ আর ইটালীয়দের বিদায় করে দিয়েছে সুইডেন৷ আর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিদায়েও কিছুটা অবদান আছে তাদের৷ এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সেটি ইংলিশ সমর্থকদের দুঃস্বপ্নের কারণ হতে পারে৷
রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া
এবারের বিশ্বকাপে এই দুই দলের খেলাই সমর্থকদের অবাক করেছে৷ বিশেষ করে রাশিয়ার পারফর্ম্যান্স সবার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে৷ প্রথম ম্যাচে তারা সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয়৷ পরের ম্যাচে মিশরের বিরুদ্ধে করেছে তিন গোল৷ শেষ ষোলোর খেলায় তারা টাইব্রেকারে স্পেনকে বিদায় করেছে৷ যদিও ঐ ম্যাচে তাদের বলের দখল ছিল মাত্র ২৬ শতাংশ৷
রাকিটিচ আর মডরিচের দল ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে৷ বাকি দুই খেলায়ও তারা নাইজেরিয়া ও আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে৷ বিশেষ করে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল মাঠে নামিয়েও জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া৷ তবে শেষ ষোলোর ম্যাচে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে জিততে তাদের ভাগ্যের সহায়তা নিতে হয়েছে৷ মূল খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে গিয়ে ক্রোয়াটদের জিততে হয়েছে৷