রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ক্যাথলিক স্কুলগুলোয় মুসলিমদের অবশ্যই ধর্মীয় ক্লাসে অংশ নিতে হবে৷ হ্যাঁ, মামলার শুনানি না শুনেই এমন রায় জার্মানির সাংবিধানিক আদালতের৷ এতে কি প্রমাণ হয় যে, জার্মানিতে চার্চ ও রাষ্ট্র আলাদা নয়?
বিজ্ঞাপন
জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে বসবাসকারী এক মুসলিম দম্পতি মার্চ মাসে আদালতে একটি আবেদন করেছিল৷ বলেছিল, রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত ক্যাথলিক স্কুলগুলোয় ধর্মীয় ক্লাসে অংশ নেয়া থেকে যেন মুসলিম ছেলে-মেয়েদের অব্যাহতি দেয়া হয়৷ জার্মানির সাংবিধানিক আদালত সেই মামলাটাকেই প্রত্যাখ্যান করে৷ আদালতের কথায়, মুসলিম সেই দম্পতি এমন কোনো শক্তিশালী যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি যাতে করে আদালত মামলাটি বিবেচনায় নেয়৷
স্কুলটির পরিচালক অবশ্য ঐ অভিভাবককে আগেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের সন্তান ধর্মের ক্লাস ও স্কুলের চার্চ সার্ভিসে অংশ না নিলে স্কুলে যোগ দিতে পারবে না৷ তবে শুধু সেই দম্পতির সন্তান নয়, ক্যাথলিক নয় এমন সবার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম৷
ধর্মবিশ্বাস, ধর্মান্তর এবং ধর্মের স্বাধীনতা
ডেভিড স্ট্যাং খ্রিষ্টান থেকে মুসলমান হয়েছেন৷ তবে তিনি সালাফিস্টদের উগ্রতা এড়িয়ে চলেন৷ জার্মানিতে অনেকেই মনে করেন, মানবাধিকারগুলোর মধ্যে ধর্মের স্বাধীনতাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷এসব নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কৌতূহল
ডেভিড স্ট্যাংয়ের কৈশোর থেকেই ধর্মের প্রতি বেশ অনুরাগ৷ নিয়মিত গির্জায় যেতেন, বাইবেল পড়তেন৷ তখন সবকিছু বুঝতে পারতেন না৷ অনেক প্রশ্ন জাগতো৷ কিন্তু উত্তর জানা হতো না৷ এখনো মনে আছে, দম্পতিদের নিয়ে একটা প্রশ্ন জেগেছিল, কিন্তু গির্জার পাদ্রী সে প্রশ্নের উত্তর তাঁকে বলেননি৷
ছবি: DW/K. Dahmann
হতাশা এবং মুসলমান হওয়া
একসময় ক্যাথলিক চার্চ, অর্থাৎ ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের গির্জা সম্পর্কে কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়লেন ডেভিড স্ট্যাং৷ অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা শুরু করলেন৷ এক মুসলিম আইনজীবীর সঙ্গে পরিচয় হলো৷ তিনি বললেন, ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো৷’’ তাঁর কথা মেনে একসময় সত্যিই মুসলমান হয়েছেন এবং সেই সুবাদে সবকিছুর নতুন মানেও খুঁজে পেয়েছেন স্ট্যাং৷
ছবি: DW/K. Dahmann
ধর্ম চর্চার দীর্ঘ প্রক্রিয়া
ডেভিড স্ট্যাং মনে করেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার মানে হলো, নতুন করে অনেক কিছু শেখা৷ তিনি জানতেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে মদ্যপান করা এবং শূকরের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে৷ রাখতে হবে দাড়ি৷ যিনি তাঁকে মুসলমান হতে বলেছিলেন, তিনি এ-ও বলেছিলেন যে, মুসলিম হওয়ার অনুভূতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রক্রিয়াটাও অত্যন্ত দীর্ঘ৷
ছবি: DW/K. Dahmann
বিশ্বাসে আপোশ
কাজের সূত্রে ডেভিড স্ট্যাংকে প্রতিদিন হানোফার-বন যাওয়া-আসা করতে হতো৷ দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সব সময় হয়ে উঠতো না৷ তাই সকাল আর সন্ধ্যার নামাজের সময়টা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন৷ তিনি মনে করেন, জীবনের সঙ্গে বিশ্বাসের মেলবন্ধন ঘটানোটাই আসল৷
ছবি: DW/K. Dahmann
উগ্রতা পরিহার
২০১২ সালে উগ্র সালাফিস্টদের সহিংসতা দেখেছেন ডেভিড৷ তারা যেভাবে সন্ত্রাসবাদের পক্ষে যুক্ত দেখায়, তা মানতে পারেননি তিনি৷ সন্ত্রাসবাদীদের মতো ভয় দেখাতে তারা গলার কাছে বোমাও ঠেকায়৷ সালাফিস্ট সম্পর্কে তাঁর একটাই কথা, ‘‘আমি এমন কিছুর সঙ্গে থাকতে চাইনা৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্যাথলিক চার্চ ছাড়লেন উটে
উটে লাস-এর জন্ম ক্যাথলিক পরিবারে৷ ধর্মতত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী ছিলেন৷ কিন্তু ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে কিছু সমস্যাও যে হবে তা তিনি বুঝতেন৷ উটে বুঝতেন, ‘‘ক্যাথলিক থাকলে ধর্মতাত্ত্বিক হয়েও তেমন কিছু করতে পারবো না৷’’ এ সব ভেবে চার্চে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন উটে৷
ছবি: DW/K. Dahmann
অন্তর্দ্বন্দ্ব...
উটের স্বামী প্রটেস্ট্যান্ট হলেন৷ ফলে এবার প্রটেস্ট্যান্টদের গির্জায় যাওয়ার সুযোগ পেলেন উটে৷ তাঁর ছেলেটা সমবয়সিদের সঙ্গে খেলতো৷ ওরও চার্চে যাওয়ার ইচ্ছা৷ কয়্যারে যোগ দিতে চায় সে৷ এ সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পাঁচ বছর সময় নিয়েছিলেন উটে৷ নারী যাজক আনেগ্রেট কোহেন (বাঁ দিকে) এবং নিনা গুটমান (মাঝে) উটের এ সব অন্তর্দ্বন্দ্ব সমাধানে সহায়তা করেছিলেন৷
ছবি: DW/K. Dahmann
সহনশীলতা
ব্যাপারটিকে উটের বন্ধুরাও খুব ভালোভাবেই নিয়েছিলেন৷ বন্ধুদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে দীক্ষা নিয়ে চার্চে যাওয়া শুরু করলেন উটে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গির্জায় ভিড় কমছে
কয়েক বছর ধরে জার্মানিতে লোকজনের গির্জায় যাওয়ার প্রবণতা কমছে৷ গির্জার সদস্য বাড়াতে নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ৷ বন শহরের ক্যাথলিক তথ্যকেন্দ্র ফিডেস-এ ধর্মের বিষয়ে সবাইকে আগ্রহী করে তোলার কাজটি করেন যাজক টোমাস ব্যার্নার্ড (ডানে)৷
ছবি: DW/K. Dahmann
কারণ কেলেঙ্কারি?
গির্জায় আর আগের মতো বেশি মানুষ আসছে না কেন? অনেকে মনে করেন, সাম্প্রতিক কালে পাদ্রিদের যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর খবর এক্ষেত্রে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে৷ যাজক টোমাস ব্যার্নার্ডও এ সম্পর্কে কিছুটা একমত৷ তিনি মনে করেন, এসব খবর বেশি প্রচার করে মিডিয়া বেশ ক্ষতি করেছে৷
ছবি: DW/K. Dahmann
ধর্মের স্বাধীনতা
ধর্মান্তরিত হয়েছেন, এমন অনেকেই মিউনিখ শহরের একটা প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন৷ প্রদর্শনীতে মানবাধিকারের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের স্বাধীনতার কথাও প্রচার করা হয়৷
ছবি: Jüdisches Museum München 2013
11 ছবি1 | 11
ধর্মীয় নিরপেক্ষতা?
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার বা এনআরডাব্লিউ হলো জার্মানির একমাত্র রাজ্য, যেখানে জনসাধারণের অর্থায়নে ধর্মীয় স্কুল পরিচালিত হয়৷
আদালত নিশ্চিত করে যে, এনআরডাব্লিউ-এর একটি প্রশাসনিক আদালত তাদের রায়ে জানিয়েছে, ক্যাথলিক এবং প্রটেস্টান্ট – খ্রিষ্টানদের এই দুই অংশই তাদের মতো করে ‘পাবলিক ফান্ডেড' স্কুল পরিচালনা করতে পারে৷ এই স্কুলগুলো নাকি তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী যেমন খুশি ছাত্রদের পড়ার সুযোগ করে দিতে পারে৷ এমনকি জায়গা খালি থাকলে ক্যাথলিক নয় এমন ছাত্রদেরও পড়ার সুযোগ দিতে পারে৷ অন্যদিকে, সংবিধানের ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘শিশুরা ধর্মীয় নির্দেশনা পাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে বাবা-মা অথবা অভিভাবকদের হাতে৷' এ বিষয়ে বার্লিন সোশ্যাল সায়েন্স সেন্টারের গবেষক ও হিল্ডেসহাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক আইন বিষয়ের অধ্যাপক মিশায়েল ভ্রাসে মনে করেন আদালতের এই রায়ে জটিলতা আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটি এমন একটি বিষয়, যেখানে বিতর্কের যথেষ্ট সুযোগ আছে৷''
ইতিহাসের সমস্যা...
জার্মানির লিগ্যাল ইন্সটিটিউট অফ ইভানগেলিকাল চার্চের পরিচালক ও গ্যোটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার্চ আইন বিভাগের অধ্যাপক হান্স হাইনিগ মনে করেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তের পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে৷
তিনি বলেন, ‘‘আদালতের যুক্তি বেশ দৃঢ় ছিল৷ যতদিন পর্যন্ত ধর্মীয় স্কুল আছে, ততদিন পর্যন্ত স্কুলগুলোকে ধর্মীয় প্রোফাইলে রক্ষার অনুমতি দেওয়া উচিত এবং ধর্মীয় নির্দেশনা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷''
জার্মানিতে ফেডারেল সরকারের বদলে রাজ্য সরকারের হাতে স্কুলের নির্দেশনা দেয়াসহ সব ধরনের ক্ষমতা আছে৷ নাৎসি আমলের সেই কেন্দ্রীভূত হস্তক্ষেপ থেকে স্কুলগুলোকে দূরে রাখতেই এই ব্যবস্থা৷ যদিও অধ্যাপক হাইনিগ মনে করেন, জনগণের অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মীয় স্কুলগুলোতে বিদ্যালয়গুলির এই নিয়ম এখন অচল৷
... এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা
অধ্যাপক হাইনিগের মতে, রাজনৈতিক কাপুরুষতা ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করছে৷ জার্মানিতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা এনআরডাব্লিউ-এর মতো বেশ কিছু রাজ্য শাসন করে৷ ‘‘অবশ্য তারা রাজ্যের ক্যাথলিক চার্চগুলোর সাথে কখনোই কোনো বিতর্কে জড়ায়নি, নাক গলায়নি স্কুলের কোনো বিষয়ে৷''
অদ্ভুত কারণে বাভেরিয়া রাজ্যে কিন্তু রয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা নিয়ম৷ এখানকার বিশাল জনগোষ্ঠি ক্যাথলিক এবং রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু একইসাথে এ এলাকায় অনেক ধর্মনিরপেক্ষ স্কুল রয়েছে৷ স্কুলগুলোতে ধর্ম এবং সরকার ব্যবস্থাকে আলাদা রাখতে কর্মকর্তারা নানা কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছেন৷ উত্তর রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া যেটা পারেনি৷
উদ্বাস্তু-সন্তান ও মার্কিন নাগরিক হালিমা এডেন ফ্যাশনের জগতে এক পথিকৃৎ৷ নিউ ইয়র্ক, মিলান ও লন্ডনের ফ্যাশন শো-তে প্রথম যে মডেল হিজাব পরে রানওয়েতে নামেন, তিনি হলেন হালিমা৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
মার্কিন জাতীয় পতাকার রঙে হিজাব
ছবিতে লাল-সাদা-নীল রঙের হিজাব পরে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি হলেন ১৯ বছরের তরুণী হালিমা এডেন, যিনি ধর্মপ্রাণ মুসলিম৷ হালিমা শুধু হিজাবই পরেন না, তিনি মুসলিম নারীদের মতো শরীর ঢেকে রাখেন৷ তবুও ফ্যাশনের জগতে তাঁর সাফল্য দেখবার মতো...
ছবি: Reuters/B. McDermid
মার্কিন ‘অ্যালিওর’ থেকে আর্বি ‘ভোগ’-এর প্রচ্ছদে
হালিমা সম্প্রতি মার্কিন মহিলা পত্রিকা ‘অ্যালিওর’-কে বলেছেন যে, তিনি ‘‘মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কে ভুল ও বস্তাপচা ধারণা’’ দূর করতে চান৷ ‘অ্যালিওর’ পত্রিকার জুলাই মাসের ইস্যুর প্রচ্ছদে রয়েছেন হালিমা, যেমন তিনি ‘ভোগ’ পত্রিকার আর্বি সংস্করণের আগস্ট মাসের ইস্যুর প্রচ্ছদে ছিলেন৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
হিজাব পরে রানওয়েতে
২০১৭ সালের গোড়া থেকে হালিমা আইএমজি মডেলস সংস্থার মডেল – হাদিদ ভগিনীদ্বয় অথবা জিসেল ব্যুন্ডসেন-এর মতো সুপারমডেলরা যে সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ৷ ছবিতে হালিমাকে মিলানে ম্যাক্স মারা কোম্পানির হয়ে মডেলিং করতে দেখা যাচ্ছে৷ ব়্যাপার কেনি ওয়েস্ট-এর ফ্যাশন লেবেল ‘ইজি’ অথবা আলবের্তো ফেরেত্তি-র হয়েও তিনি রানওয়েতে নেমেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Medina
উদ্বাস্তু থেকে ফ্যাশন মডেল
হালিমার জন্ম কেনিয়ার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে৷ ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় আসেন – আজ সেখানেই পড়াশুনা করছেন৷ হালিমা জন্মসূত্রে সোমালি৷ তাঁর পরিবার সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে কেনিয়ায় পলায়ন করেছিল৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
মিস মিনেসোটা হতে গিয়ে...
...২০১৬ সালে বিকিনির বদলে বুর্কিনি পরেন হালিমা৷ মিস মিনেসোটা হলো মিস ইউএসএ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্যায়৷ গোড়ার দিকেই বাদ পড়েন হালিমা, কিন্তু প্রতিযোগিতার আয়োজক আইএমজি মডেলস সংস্থা তাঁকে মডেল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে৷ মনে করা যেতে পারে, ২০১৫ সাল অবধি মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Imago
দু’পক্ষ থেকেই সমালোচনা
হালিমা যে মডেলিং করছেন, রক্ষণশীল মুসলিমদের সেটা পছন্দ নয়৷ অপরদিকে উদারপন্থি মুসলিমদের কাছে নারীদের পরিধেয়র উপর বাধানিষেধ গ্রহণযোগ্য নয়৷ হালিমা বলেন, সৌন্দর্যই তাঁর সব কথা নয়; এছাড়া হিজাব পরার ফলে তাঁকে ‘‘তুই বড় মোটা হয়ে গেছিস’’, ‘‘তুই বড় রোগা হয়ে গেছিস’’, এ সব কথা শুনতে হয় না৷