করোনায় আক্রান্ত হলেন ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজই নিয়েছিলেন।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করেন ট্রুডো। ছবি: Adrian Wyld/REUTERS
বিজ্ঞাপন
টুইট করে ট্রুডো বলেছেন, ''আমি ভালো আছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমি এই সপ্তাহটা দূরে বসেই কাজ করব। প্রত্যেকে দয়া করে টিকা নিন এবং বুস্টার ডোজ নিন।''
গত বছর ট্রুডো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। এই বছর জানুয়ারিতে তিনি বুস্টার ডোজও নিয়েছেন।
ট্রুডো যখন এই কথা বলছেন, তখন ক্যানাডায় ভ্যাকসিন নেয়া, মাস্ক পরা, লকডাউন ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছেন প্রচুর মানুষ।
প্রতিবাদকারীদের বলা হচ্ছে ফ্রিডম কনভয়। তারা ট্রাক দিয়ে পার্লামন্টের আশপাশে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ট্রুডো ভাার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ''কিছু বিক্ষোভকারী যেভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তা দেখে ক্যানাডার মানুষ রীতিমতো স্তম্ভিত ও বিরক্ত। কিছু বিক্ষোভকারী ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে প্রস্রাব করছেন, কয়েকজন অজানা সেনার সমাধিতে নেচেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না।''
আকর্ষণীয় কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান
শুধু সৌন্দর্য্য নয়, আচরণ এবং ব্যক্তিত্বও মানুষের চেহারায় ফুটিয়ে তোলে আকর্ষণের ছাপ৷ নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান জায়গা করে নিচ্ছেন বিশ্ববাসীর মনে৷ এমন কয়েকজনকে নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ
বিশ্বকাপ ফুটবলে গ্যালারিতে সবার নজর কেড়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ তবে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বর্ণাঢ্য৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কাজ করেছেন ইউরোপ বিষয়কমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে৷ ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে ক্রোয়েশিয়ার দূত ছিলেন কোলিন্ডা৷
ছবি: Reuters/D. Sagolj
ভ্লাদিমির পুটিন
১৯ বছর ধরে কখনও সরকারপ্রধান, কখনও রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই রুশ গোয়েন্দা৷ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী, ২০০০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি, ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আবার প্রধানমন্ত্রী, এবং এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুটিন৷ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া যে অবস্থান খুইয়েছিল, তার অনেকটাই পুনরুদ্ধার করেছেন পুটিন৷
ছবি: Reuters/G. Dukor
এমানুয়েল মাক্রোঁ
ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ৷ ২০১৭ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি৷ তরুণ রাজনীতিবিদ হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসা পেয়েছে বিশ্বনেতাদের কাছে৷ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের খেলা চলাকালীন সময়ে ভিআইপি গ্যালারিতে মাক্রোঁ’র উত্তেজনা নজর কেড়েছে অনেকের৷
ছবি: Reuters/C. Platiau
জাস্টিন ট্রুডো
৪৪ বছর বয়সে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে সাড়া ফেলেছিলেন ট্রুডো৷ সুদর্শন এই তরুণের মন্ত্রিসভাকে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় মন্ত্রিসভা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়৷ তাঁর মন্ত্রিসভায় আদিবাসী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের ক্যানাডিয়ান পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷ এছাড়াও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর প্রগতিশীল চিন্তাভাবনাও তাঁকে তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছে৷
ছবি: picture-alliance/empics/A. Wyld
বরুট পাহো
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর ২০১২ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পাহো৷ অনেকটা আনুষ্ঠানিক পদ হলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাহো বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে চলেছেন৷ ইউক্রেন সংকট নিরসন এবং ট্রাম্প-পুটিন বৈঠকে তাঁর আন্তরিক চেষ্টা ইউরোপের রাজনীতিতে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল৷
ছবি: Reuters/S. Zivulovic
এনরিকে পেনিয়া নিয়েটো
২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন সুদর্শন এই মেক্সিকান৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙা, জ্বালানি খাত আধুনিকায়ন, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অর্থায়নসহ নানা উদ্যোগে মেক্সিকোর তরুণদের মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress
6 ছবি1 | 6
চীন ও হংকংয়ের অবস্থা
চীনে বেজিং উইন্টার অলিম্পিকে যে সব অ্যাথলিট ও কর্মী যোগ দেবেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের করোনা হয়েছে।
আগমী শুক্রবার থেকে গেমস শুরু হওয়ার কথা। বিশ্বজুড়ে তিন হাজার অ্যাথলিট, কোচ, ফেডারেশনের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকের চীন পৌঁছানোর কথা।
হংকংয়ে করোনা বিধি ভাঙার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার সুই পদত্যাগ করেছেন। তিনি একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গেছিলেন। সেখানে প্রচুর সরকারি কর্মকর্তা ও আইনসভার সদস্য ছিলেন। কয়েকদিন আগেই শহরের কর্তৃপক্ষ করোনার পরিপ্রেক্ষিতে বড় জমায়েত করতে নিষেধ করেছেন। তারপরেও বড় পার্টিতে যোগ দেয়ার পর সুই বলেছেন, ''করোনা-বিরোধী ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে আমি নেতৃত্ব দিই, আর আমি ওই জমায়েতে যোগ দিয়ে ভালো কোনো উদাহরণ সামনে রাখিনি। তাই আমি পদত্যাগ করছি।''
ভারতের অবস্থা
সোমবার ভারতে দুই লাখ নয় হাজার ৯১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯৫৯ জন। মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। দিল্লিতে দুই হাজার ৭৭৯ জন। কর্ণাটকে ২৪ হাজার এবং তামিলনাড়ুতে ১৯ হাজরের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এক হাজার ৯১০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।