1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যানাবিসকে বৈধ করার দাবি

কার্লা ব্লাইকার/আরবি২৬ এপ্রিল ২০১৪

১২২ জন আইনের প্রফেসর গাঁজাকে বৈধ করার দাবি জানিয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন৷ তাঁদের মতে, মাদক দমনের ব্যাপারে সরকারি প্রচেষ্টা তেমন কার্যকর হচ্ছে না৷ তাই সংসদে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা ও আলোচনা করা প্রয়োজন৷

Hanfparade Berlin 2013
ছবি: picture-alliance/dpa

আনুমানিক ২০ থেকে ৪০ লক্ষ জার্মান নিয়মিত ক্যানাবিস বা মারিজুয়ানা সেবন করেন৷ সাদা বাংলায় যাকে বলা হয় গাঁজা৷ এটা অবশ্য দণ্ডনীয় অপরাধ নয়৷ কিন্তু গাঁজা বিক্রি করা বা গাছ লাগানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ কিন্তু সাজার ভয়ে গাঁজা সেবন করা থেকে বিরত হচ্ছেন না সেবনকারীরা৷ অর্থাৎ এতে আসল উদ্যেশ্য হাসিল হচ্ছে না, বলেন ব্রেমেন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন প্রফেসর লোরেনৎস ব্যোলিংগার৷ বছর দুয়েক আগে তিনি একটি উদ্যোগ শুরু করেন৷ এতে যোগ দেন ১২০-এরও বেশি প্রফেসর৷ তাঁরা সবাই চান ক্যানাবিসকে বৈধ করা হোক৷

সংসদে আলোচনার আহ্বান

২০১৩ সালের নভেম্বরে সংসদে বিষয়টি নিয়ে একটি কমিশন, অর্থাৎ সব ফ্র্যাকশনের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তাঁরা৷ এখন এই ব্যাপারে সাড়াও পাওয়াও গিয়েছে৷ সবুজদল ও বামদল ডি লিংকের ফ্র্যাকশন সংসদে একটি কমিশন গঠন করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে৷ এসপিডির সাংসদদেরও কাছে টানার চেষ্টা করছেন ব্যোলিংগার৷ কমিশন গঠনের জন্য ১২০ জন সাংসদের সম্মতির প্রয়োজন৷ সংসদে বিরোধীদলের (সবুজ ও বামদলের) সাংসদদের সংখ্যা মোট ১২৭৷

সমাজে ক্যানাবিসকে ‘কোমল মাদক' বলে মনে করা হয়৷ কিন্তু যাঁরা এই মাদক সেবন করেন, তাঁদের অপরাধী বলে সমালোচনা করা হয়৷ এই মাদক কেনার জন্য কালোবাজারে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন তাঁরা৷ অনেকের জীবনে ভাঙন ধরে৷ একবার শাস্তি পেলে কালো দাগ পড়ে যায় জীবনে৷ শিক্ষানবিশির কাজ পেতে অসুবিধা হয়৷ ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়৷ সব মিলিয়ে বাঁকা পথে অগ্রসর হয় তাঁদের জীবন, বলেন প্রফেসর ব্যোলিংগার৷

বিভিন্ন ধরনের মতামত

জার্মান সরকারের মাদকের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মারলেনে মর্টলার অবশ্য এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘বিশেষ করে তরুণদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকিটা খাটো করে দেখলে চলবে না৷ নিয়মিত ক্যানাবিস সেবনে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷ এ থেকে আসক্তিও দেখা দিতে পারে৷''

প্রফেসর ব্যোলিংগার অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেন৷ তাঁর মতে, ক্যানাবিস বা গাঁজা সেইসব মানুষের জন্য বিপজ্জনক, যাঁদের আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এই মাদক বৈধ হলে ঝুঁকি সম্পর্কে তরুণদের বোঝানো যাবে৷ অ্যালকোহল ও সিগারেটের ক্ষেত্রেও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি রয়েছে৷

ম্যুন্সটারের পুলিশ প্রেসিডেন্ট হুবার্ট ভিমবারছবি: Polizeipräsidium Münster

এছাড়া এই মাদক বৈধ হলে এর গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে৷ ক্যানাবিস সমিতির প্রধান গেওর্গ ভুর্থ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, এক ডিলার ক্যানাবিসের সাথে ‘লেড সালফেট' মিশিয়ে দেন৷ এই ভেজাল সেবন করে ১০০ জনকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল৷ এর সাথে চিনি ও তরল প্লাস্টিকের ভেজালও দেওয়া হয়৷ মাদকটি বৈধ করলে এসব ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে৷

ম্যুন্সটারের পুলিশের প্রেসিডেন্ট হুবার্ট ভিমবারও এই মাদকের ব্যাপারে আইন পরিবর্তনের পক্ষে৷ তাঁর মতে, এই মাদক নিষিদ্ধ করেও ফল হয়নি৷ যাঁরা চান তাঁরা এটা জোগাড় করতে পারেন৷ শাস্তির ভয়ে পিছপা হন না৷ সাজার ব্যাপারে বেশি অর্থ আর প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কম অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে৷ তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকারের হাতে এই মাদকের বৈধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ তবে প্রফেসর ব্যোলিংগারের উদ্যোগটা ভালো বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা৷

উল্লেখ্য, গত বছর উরুগুয়েতে ক্যানাবিস বা গাঁজা উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রিত কেনাবেচার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ অ্যামেরিকার কলোরাডো এবং ওয়াশিংটনেও এই মাদক সেবনকরা দণ্ডনীয় অপরাধ নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ