1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যান্ডি, জ্যাম দিয়ে অ্যামাজন রক্ষা

২২ জুন ২০২২

জাতিসংঘের এক গবেষণায় দেখা গেছে বন রক্ষায় ল্যাটিন অ্যামেরিকা ও ক্যারিবিয়ানের আদিবাসীরা সবচেয়ে বেশি কার্যকর৷ তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি ও বন সম্পর্কে জ্ঞান এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় জানা যায়৷

DW Global Ideas l Amazonas, Entwaldung l Luiz Henrique Lopes Ferreira mit Cashew-Produkten
ছবি: Projeto Saude e Alegria

কিন্তু বনে অর্থ উপার্জনের উপায় না থাকায় তরুণ আদিবাসীদের অনেকে শহরে চলে যাচ্ছেন৷ ফলে বনে মানুষ কমে যাচ্ছে, আর তার সুযোগ নিচ্ছেন অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা৷

ব্রাজিলের এনজিও দ্য হেলথ অ্যান্ড হ্যাপিনেস প্রোজেক্ট বা পিএসএ গত ৩০ বছর ধরে অ্যামাজনের পারা রাজ্যে সক্রিয় আছে৷ বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে তারা বনের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তেল, মাখনের মতো পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷

পিএসএর সঙ্গে কাজ করছেন ২২ বছর বয়সি তরুণ লুইস হেনরিক লোপেস ফেরেইরা৷ ব্রাজিলের পূর্ব অ্যামাজনের তাপাখোস আরাপিয়নস এক্সট্র্যাক্টিভ রিজার্ভে বাস করেন তিনি৷ সেখানকার প্রায় ১৩ হাজার বাসিন্দার অধিকাংশই আদিবাসী৷

বনে জন্মানো একশোর বেশি প্রজাতির ফল দিয়ে মিষ্টি, জ্যাম ও লিকার তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করেন ফেরেইরা৷ তার সঙ্গে কাজ করে প্রায় ৪০টি পরিবার উপকৃত হচ্ছে৷

ফেরেইরা জানান, বনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ায় আগের চেয়ে অনেক বেশি তরুণ এখন শহরে না গিয়ে বনে থাকছে৷

পিএসএর কোঅর্ডিনেটর সেতানো স্কানাভিনো বলেন, ‘‘(বনে) ভালো জীবনযাপনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, তা না হলে তরুণ প্রজন্ম বন ছেড়ে শহরে চলে যাবে৷'' এভাবে রেনফরেস্ট খালি হয়ে গেলে খনি ও কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি৷

আরেক এনজিও টেনিওর ফ্যাসিলিটির কর্মকর্তা ডেভিড কায়মোউইটস বলেন, ‘‘আমরা যা জানি তা হচ্ছে, যখন আদিবাসী ও স্থানীয়রা বন রক্ষার দায়িত্ব নেন তখন বন ধ্বংসের হার অনেক কমে যায়৷''

প্রতিবেদনের শুরুতে উল্লেখ করা জাতিসংঘের গবেষণার প্রধান ছিলেন কায়মোউইটস৷ গত ২০ বছরে প্রকাশিত ৩০০র বেশি গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা জাতিসংঘের ঐ গবেষণায় বন রক্ষায় আদিবাসী ও স্থানীয়দের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা যায়৷ কিন্তু স্থানীয়রা যেন বনে থাকেন সেজন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা দরকার বলে মনে করেন কায়মোউইটস৷

এ বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত আরেক গবেষণা বলছে, অ্যামাজন রক্ষার মাধ্যমে মহামারিকেও দূরে রাখা যেতে পারে৷ কারণ অ্যামাজন টিকে থাকলে বানর ও প্রাইমেটদের মতো ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী প্রাণীদের বনেই রাখা যাবে বলে যুক্তি দেয়া হয়েছে৷ 

দিমিত্রি সেলিবাস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ