ক্যাপিটল-কাণ্ড নিয়ে ট্রাম্প ও বাইডেন
৭ জানুয়ারি ২০২১ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকার মেয়াদ আর মাত্র বারো দিন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার দিয়ে তাঁকে সরে যেতে হবে। তার আগেই ঘটল ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের ঘটনা। আর এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন ট্রাম্পকে।
ট্রাম্প যা করেছেন তা এককথায় নজিরবিহীন। বুধবার হোয়াইট হাউসের বাইরে 'সেভ অ্যামেরিকা' অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দেন। সেখানেই তিনি তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটলে যেতে বললেন। ট্রাম্প বলেন, ''আমাদের দেশ অনেক সহ্য করেছে। আর আমরা সহ্য করব না।''
ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা ঢুকে পড়ার পর জো বাইডেন বলেন, ''এটা প্রতিবাদ নয়, এটা বিদ্রোহ। ক্যাপিটলে জোর করে ঢুকে পড়া, জানলার কাচ ভাঙা, সেনেটের অফিসের ভিতর ঢুকে বসে পড়া, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিপন্ন করা তো বিদ্রোহই।''
বাইডেনের দাবি ছিল, ''আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলছি, তিনি জাতীয় টেলিভিশনে আসুন। আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করার কথা বলুন। এই অবরোধ অবিলম্বে শেষ করার কথা বলুন।''
ট্রাম্প অবশ্য টেলিভিশনের সামনে আসেননি। তিনি রেকর্ড করা একটি ভিডিও টুইট করেন। সেখানে ট্রাম্প বলেন, ''আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি, আমি জানি, আপনারা আহত হয়েছেন। নির্বাচনের ফলে কারচুপি হয়েছে। এটা একতরফা নির্বাচন ছিল। সকলেই তা জানে। বিশেষ করে অপর পক্ষ। নির্বাচনে চুরি করা হয়েছে।'' তারপরেই ট্রাম্প বলেন, ''কিন্তু আপনারা এবার বাড়ি যান। আমাদের শান্তি দরকার।''
টুইটার অ্যাকাউন্ট লক
পরে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ১২ ঘণ্টার জন্য লক করে দেয় টুইটার। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামও একই সিদ্ধান্ত নেয়। টুইটারের দাবি ছিল, ট্রাম্পকে তিনটি টুইট মুছে ফেলতে হবে। কারণ, ওই টুইট থেকে সহিংসতা ছড়াতে পারে। টুইটার কর্তৃপক্ষ পাকাপাকিভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছে। এই প্রথম এইভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট লক করে দেয়া হলো।
জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, বিবিসি)