1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগর গবেষণা

২ এপ্রিল ২০১২

টাইটানিকখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরন সম্প্রতি সাগরের সবচেয়ে গভীর থেকে ঘুরে এলেন৷ তিনি হলেন তৃতীয় ব্যক্তি যিনি এই সাফল্য দেখালেন৷ তবে আরও কয়েক ব্যক্তি ও সংস্থা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷

Titanic Regisseur James Cameron taucht zum tiefsten Punkt der Meere Crews continue in-water testing of the Deepsea Challenger submersible that explorer and "Titanic" filmmaker James Cameron will pilot to the bottom of the Mariana Trench, in Australia in this handout photo released to Reuters March 25, 2012. The submersible is the centerpiece of the Deepsea Challenge, a joint scientific project by Cameron, the National Geographic Society and Rolex to conduct deep-ocean research. Cameron reached the "Challenger Deep," the lowest point of the Mariana Trench, shortly before 8 a.m. local time Monday (6 p.m. EDT on Sunday). The depth was recorded at 35,756 feet (10,898 m). In his specially designed submersible Deepsea Challenger, Cameron plans to spend up to six hours on the Pacific Ocean seafloor, collecting samples for scientific research. REUTERS/National Geographic/Mark Thiessen/Handout (AUSTRALIA - Tags: SCIENCE TECHNOLOGY MARITIME SOCIETY ENTERTAINMENT) NO SALES. NO ARCHIVES. FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS
পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সমুদ্রের গভীরে অভিযানছবি: REUTERS

পৃথিবী থেকে অনেক উপরে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার কথা জানা গেলেও নীচে, মানে, সাগরের একেবারে তলদেশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের খবর আমরা তেমন একটা জানি না৷

তবে ইদানিং এই বিষয়ে গবেষকদের আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে৷ এর মধ্যে জেমস ক্যামেরন ঘুরে এলেন প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে গভীর থেকে, যার নাম ‘মারিয়ানা ট্রেঞ্চ'৷ এটি প্রায় ১১ কিলোমিটার গভীর৷ সেখানে পানির চাপ এতটাই যে, ফিরে আসার পর ক্যামেরন দেখেন যে ডুবোজাহাজে করে তিনি সেখানে গেছেন সেই ‘ডিপসি চ্যালেঞ্জার' দৈর্ঘ্যে খানিকটা ছোট হয়ে গেছে৷

মারিয়ানা ট্রেঞ্চ'এর অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঞ্চল, যার নাম গুয়াম, সেখান থেকে প্রায় ৩০০ মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে৷

ক্যামেরন প্রায় সাত বছর ধরে এই অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন৷ এজন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ডিপসি চ্যালেঞ্জার নামের ডুবোজাহাজটি৷ সাত মিটার লম্বা এই ডুবোজাহাজের যেখানে ক্যামেরন বসেছিলেন সেটা খুব পুরু ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ আর বাকি অংশ তৈরি করা হয়েছে ‘সিনট্যাকটিক ফোম' নামের উপাদান দিয়ে৷ বেশ কয়েক ধরণের ক্যামেরা ও লাইট ছিল ঐ ডুবোজাহাজে৷ যেটা দিয়ে সাগরের একেবারে তলদেশের ছবি তোলা হয়েছে৷ এছাড়া ডুবোজাহাজে ছিল ‘রোবটিক হাত' যেটা দিয়ে পাথর ও মাটি জোগাড় করা হয়েছে৷ তবে মাঝখানে হাইড্রলিক সিস্টেমে গণ্ডগোল দেখা দেয়ায় এই হাতটি অচল হয়ে পড়ে৷ ফলে প্রত্যাশা মতো উপাদান নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি বলে জানান ক্যামেরন৷

মারিয়ানা ট্রেঞ্চ'এ যেতে ক্যামেরন'এর দু'ঘন্টা সময় লেগেছে৷ সেখান ছিলেন তিন ঘন্টা৷ এরপর ফিরে আসেন৷ তিনি যে জিনিসগুলো নিয়ে এসেছেন সেগুলো গবেষণা কাজে লাগানো হবে বলে জানা গেছে৷ ফিরে আসার পর ক্যামেরন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আমি অন্য কোনো পৃথিবীতে চলে গিয়েছিলাম, যেখানে কেউ নেই৷ আশপাশ ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার৷'' তবে চিংড়ির মতো এক ধরণের প্রাণীর দেখা তিনি পেয়েছেন বলে জানান ক্যামেরন৷

ফাইল ছবিছবি: ISNA

স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপের স্ত্রী মারিয়ানা'র নামে রাখা এই ট্রেঞ্চ'এ এর আগে মাত্র দুজন যেতে পেরেছেন৷ সেটা প্রায় ৫২ বছর আগে৷ এঁরা হলেন সাবেক মার্কিন নৌ কর্মকর্তা ডন ওয়ালশ এবং সুইস নাগরিক জাক পিকার৷ তাঁরা তাঁদের ‘ত্রিয়েস্ত' ডুবোজাহাজে করে সেখানে গিয়েছিলেন৷ তবে তাঁরা মাত্র ২০ মিনিট থেকেছিলেন৷ এই দু'জন আর ক্যামেরন'এর মাঝে আর কেউ মারিয়ানা ট্রেঞ্চ'এ যাওয়ার সাহস করেন নি৷

সেই ছোট্টবেলা থেকেই ক্যামেরন'এর ‘ডাইভিং' এর প্রতি ঝোঁক ছিল৷ বিখ্যাত ছবি ‘টাইটানিক'-এ ডুবে যাওয়া টাইটানিকের যে ভেঙে যাওয়া অংশগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো ক্যামেরন নিজে ধারণ করেছিলেন৷ এই অংশগুলো রয়েছে সাগরের ৩.৮ কিলোমিটার গভীরে৷ ক্যামেরন সেখানে ১২ বার গেছেন৷ এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মোট ৬০ বার সাগরের গভীরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল ‘আভাতার' বা অবতারখ্যাত ছবির এই পরিচালকের৷

গবেষণার কাজে বিজ্ঞানীরা দু'বার মনুষ্যবিহীন যান পাঠিয়েছেন মারিয়ানা ট্রেঞ্চ'এ৷ এর একটি পাঠিয়েছে জাপান, ১৯৯৫ সালে৷ আর অন্যটি অ্যামেরিকা, ২০০৮ সালে৷

এদিকে ব্রিটিশ বিলিওনেয়ার ভার্জিন গ্রুপের প্রধান রিচার্ড ব্রানসেন অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের সবচেয়ে গভীর এলাকা পুয়ের্টো রিকো ট্রেঞ্চ'এ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন৷ আর গুগলের এরিক স্মিডট একটি ডুবোজাহাজ তৈরির জন্য মার্কিন এক কোম্পানিকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন৷ এই ডুবোজাহাজে করে দু'তিনজন মানুষ সাগরের গভীরে যেতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করাই এই ডুবোজাহাজ তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে৷

এদিকে বিজ্ঞান ছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ডুবোজাহাজ বানাচ্ছে মার্কিন আরেক কোম্পানি৷ তারা প্রায় আড়াই লক্ষ ডলার করে একেকজন উৎসাহী পর্যটককে সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে৷

সুতরাং কিছুদিনের মধ্যে মহাকাশ অভিযানের মতো সাগর অভিযানের কথাও যে আমরা হরহামেশা শুনতে পাবো, সেটা বোঝা যাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ