1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংস্কৃতি বিনোদন

২ সেপ্টেম্বর ২০১২

এবারকার ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে যে ৫২টি ছবি দেখানো হচ্ছে, তার মধ্যে ২১টি ছবির পরিচালক মহিলা৷ উৎসব শুরু হয়েছে মিরা নায়ার’এর ‘‘দ্য রিলাকটান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট’’ ছবিটি দিয়ে৷ দৃশ্যত যুগ বদলাচ্ছে৷

VENICE, ITALY - AUGUST 29: Actors Naomi Watts and Liev Schreiber attend "The Reluctant Fundamentalist" Premiere And Opening Ceremony during the 69th Venice International Film Festival at Palazzo del Cinema on August 29, 2012 in Venice, Italy. (Photo by Ian Gavan/Getty Images)
ছবি: Getty Images

ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক আলবের্তো বার্বেরা বলেছেন, মহিলা চিত্রপরিচালকদের জন্য কোনো কোটা ছিল না৷ এক শতকের বেশি ধরে সিনেমা প্রধানত একটি পুরুষ-অধ্যুষিত পরিবেশ ছিল৷ এখন সিনেমাও উপলব্ধি করেছে যে, মহিলাদের একটি নিজস্ব সৃজনীশক্তি আছে৷

ভেনিসে এবার গোল্ডেন লায়ন পুরস্কারের জন্য যে ১৮টি ছবি প্রতিযোগিতায় নামছে, তাদের মধ্যে চারটির পরিচালক মহিলা৷ নায়ার অবশ্য মহিলা পরিচালক প্রসঙ্গে ভেনিসে আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলেছেন যে, তিনি চিরকালই মহিলাদের সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে এসেছেন এবং নিজে মহিলা হওয়াটাকে কোনোদিনই তাঁর শিল্পকলার পথে প্রতিবন্ধক বলে মনে করেননি৷ এছাড়া মহিলারা এমন কিছু বাস্তবের সন্ধান জানেন, পুরুষরা যা থেকে বঞ্চিত, বলে নায়ার মন্তব্য করেন৷

জোই কাসাভেটিস'এর মতো মার্কিন মহিলা চিত্রপরিচালকরা আবার ঐ তকমাটাকে কিছুটা একপেশে, একঘরে করা বলে মনে করেন৷ ইটালির গিয়াদা কোলাগ্রান্দে আবার মনে করেন, ইটালিতে ওটা সত্যিই একটা সমস্যা, কেননা এখানে মনোবৃত্তি মান্ধাতার আমলের এবং চিত্রপরিচালকদের মাত্র পাঁচ কি ছয় শতাংশ মহিলা৷

‘‘ওয়াজদা''

ইউরোপ-অ্যামেরিকাতেই যদি এই দশা হয়, তাহলে সৌদি আরবে যে কী পরিস্থিতি হবে, তা সহজেই আন্দাজ করা যেতে পারে৷ এই প্রথম ভেনিসে একটি সৌদি কাহিনিচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে৷ এবং তার পরিচালক এক মহিলা৷

হাইফা আল মনসুরএর ‘‘ওয়াজদা'' এক আশ্চর্য কাহিনি৷ এক সৌদি কিশোরী, এক টিনেজারের সাইকেল কেনার স্বপ্নকে ঘিরে বোনা ছবিটিতে রক্ষণশীল সৌদি সমাজে নারী স্বাধীনতার সীমানাগুলোকে পরখ করে দেখা হচ্ছে৷ তিনি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনাটাকেই দেখাতে চেয়েছিলেন, বলেছেন আল মনসুর৷

মনসুরের ছবির সৌদি কিশোরী যেমন পশ্চিমি গান এবং ফ্যাশনের ভক্ত হওয়ার ফলে বিপদে পড়ে, ছবি তৈরি করতে গিয়ে আল মনসুরকেও কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি৷ কিছু এলাকায় ভ্যানে বসে ওয়াকি-টকি হাতে চিত্রপরিচালনা করতে হয়েছে, কেননা মহিলা হিসেবে তিনি প্রকাশ্যে পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না৷

সৌদি আরবে ফিল্ম বলে কিছু নেই, প্রকাশ্যে ফিল্ম প্রদর্শন নিষিদ্ধ৷ মনসুরকে প্রযোজক যোগাড় করতে জার্মানি অবধি যেতে হয়েছে৷ তবে যে সব সৌদি সংস্থা ছবিটিতে অর্থ প্রদান করেছে, তাদের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রোতানা স্টুডিওস'ও আছে৷ এখানেই আগামীতে পরিবর্তনের অগ্রদূত দেখছেন হাইফা আল মনসুর৷

এসি / এএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ