1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যামেরা বলে দেবে ব্যথা কোথায়

২৫ এপ্রিল ২০১৭

অর্থোপেডিস্ট যখন এক্স-রে বা এমআরটি করে ধরতে পারেন না ব্যথাটা ঠিক কোথায়, তখন রোগীকে ফাংশনাল ডায়াগনোসিসের জন্য কোলনে পাঠানো যেতে পারে: সেখানে রোগীর হাঁটা-চলার নিখুঁত পরিমাপ করবে ইনফ্রা-রেড ক্যামেরা৷

Symbolbild Frau Rückenschmerzen
ছবি: Lars Zahner/colourbox

ব্যথার কথা বলবে ক্যামেরা

04:10

This browser does not support the video element.

রোগীদের প্রথমে স্ক্যান করে পরেইনফ্রা-রেড ক্যামেরা দিয়ে মাপা হয়৷ জায়গাটা হল কোলনের ইনস্টিটিউট ফর ফাংশনাল ডায়াগনোসিস৷ চলতে-ফিরতে যে ব্যথা হয়, তা কোথা থেকে আসে, তা জানার জন্য পাউল ক্লাইনের মতো স্পোর্টস মেডিসিনের ডাক্তাররা পেশি আর শরীরের হাড়ের বিভিন্ন গাঁটের মধ্যে সম্পর্কটা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন৷

অস্থিরোগ ও স্পোর্টস মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ড. পাউল ক্লাইন বলেন, ‘‘এ যাবৎ রোগীদের বসা বা শোয়া অবস্থায় পরীক্ষা করা হয়েছে, অস্থি বা গাঁটের কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য৷ কিন্তু এখন আমরা জানি যে, বহু রোগীর কোনো অস্থির ক্ষতি বা বিকৃতি না থাকা সত্ত্বেও তারা যন্ত্রণায় ভোগেন৷ কাজেই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে হবে, রোগীর সমস্যাটা কোথায়৷’’

আমরা হাঁটি কিংবা দৌড়ই পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে৷ হাড়ের গাঁট, পেশি আর লিগামেন্টগুলো একসঙ্গে কাজ করে – যেন ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ৷ সেক্ষেত্রে ব্যথাটা কোত্থেকে আসছে, তা ধরা অতো সহজ নয়৷ যে কারণে কোলনের গবেষকরা একটি নতুন পন্থা নিয়েছেন: তারা রোগীদের চলাফেরা ‘মেপে’ দেখেন৷ সেজন্য রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রনিক ‘মার্কার’ বসানো হয়৷ রোগী যখন চলাফেরা করেন, তখন ইনফ্রা-রেড ক্যামেরা তাদের নড়াচড়ার ত্রিমাত্রিক ছবি তোলে৷ এছাড়া মেঝেতে বসানো পাত পা ও শরীরের বিভিন্ন গাঁটের উপর চাপের হিসেব করে, সেই সঙ্গে ইলেক্ট্রোড দিয়ে পেশির ক্রিয়া মাপা হয়৷

ব্যথার উৎস

এই সব তথ্য থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথার উৎস বলে দিতে পারেন বায়োমেকানিক্স বিশেষজ্ঞ ড. আঙ্গেলা হ্যোনে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এমন বহু রোগী আসেন, যাঁদের ক্ষেত্রে প্রথাগত রোগনির্ধারণের পদ্ধতি প্রয়োগ করে কিছু পাওয়া যায়নি৷ আমাদের পদ্ধতিতে তাঁদের চলা-ফেরার ধরন খুঁটিয়ে দেখে আমরা প্রায়শই সাহায্য করতে পারি ও ব্যথা-বেদনার কারণটা অনুমান করতে পারি৷’’

প্রথাগত অস্থিরোগ চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে হার মানে, ঠিক সেখানেই ফাংশনাল ডায়াগনোসিসের কাজ শুরু হয়৷ হাঁটা-চলার সামান্য ভুলচুক, বা ভুল জায়গায় চাপ পড়া, এ সবই ধরা পড়ে এই বিশ্লেষণে৷

আরেকটি নতুনত্ব হলো শরীরের উপরিভাগের নিখুঁত পরিমাপ৷ ত্রিমাত্রিক স্ক্যানার মানবদেহের উপরিভাগের একটি নিখুঁত প্রোজেকশান সরবরাহ করে৷ পেশি ও অস্থির গাঁটের সমস্যাকর এলাকাগুলি এই রিলিফে ফুটে ওঠে৷ ড. আঙ্গেলা হ্যোনে বলেন, ‘‘সার্ফেস স্ক্যান দিয়ে ধরুন হাড়ের গাঁটগুলো কতটা ফুলেছে, তা মাপা যায়৷ আগে তা ফিতে দিয়ে মাপতে হতো, এখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা শরীরের উপরিভাগটা মাপা হয়ে যায়৷’’

ব্যথা-বেদনার খোঁজে চলা-ফেরার বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ