1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশকেনিয়া

ক্যামেরা হাতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করছেন আফ্রিকার তরুণ

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আফ্রিকার প্রাণিজগতও জলবায়ু পরিবর্তন ও চোরাশিকারের কারণে বিপন্ন হয়ে উঠছে৷ এক প্রতিভাবান মানুষ নিজের ক্যামেরা ও উদ্যম সম্বল করে বৃহত্তর সমাজের মধ্যে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে চলেছেন৷

Afrika zwei Elefanten, die einen anderen Elefanten am Schwanz halten
ছবি: Tommy Mees/Pond5 Images/IMAGO Images

আমব্রোস লেতোলুয়াই একাধিক প্রতিভার অধিকারী৷ তার ছাগলগুলির কী প্রয়োজন, তিনি সেটা জানেন৷ ৩০ বছর বয়সি কেনিয়ার এই মানুষটি জীবজন্তুর প্রতিভাধর ফটোগ্রাফারও বটে৷ তিনি দেশের কেন্দ্রস্থলে নাইবুংগা সংরক্ষিত এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন৷ এর আগে তিনি কলেজে ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট ও প্রকৃতি সংরক্ষণ নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন৷

প্রায় ১১,০০০ হেক্টর মাপের বিশাল এলাকা জুড়ে তিনি বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি বন্য প্রাণী নথিভুক্ত করছেন৷ কিন্তু শুধু ফটোই যথেষ্ট নয়৷ প্রাণী সুরক্ষার জন্য আশেপাশের এলাকার মানুষদেরও সামিল করে তাদের বিষয়টা বোঝানো জরুরি৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমব্রোস বলেন, ‘‘শুরুতে সমস্যা হয়েছিল৷ কিন্তু এর মধ্যে বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা সাহায্য করেছে৷ এভাবে সবাই মিলে আমরা সমস্যার মোকাবিলা করতে পারছি৷ যেমন মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে সংঘাত আমরা সমাজবদ্ধভাবে সমাধান করছি৷’’

চিতাবাঘ বার বার এমন সংঘাতের কারণ হচ্ছে৷ আমব্রোস কিন্তু লেন্সের মাধ্যমে সহজে আর এই প্রাণীর দেখা পাচ্ছেন না৷ মূলত চোরাশিকার ও বাসভূমি সংকুচিত হয়ে ওঠার কারণে প্রাণীগুলি কোণঠাসা হয়ে পড়ছে৷ ইতোমধ্যে চিতা লুপ্তপ্রায় প্রাণীর লাল তালিকায় স্থান পেয়েছে৷

কেনিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মীর কর্মযজ্ঞ

04:32

This browser does not support the video element.

বিশেষ করে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার' নামে পরিচিত কালো চিতা সবচেয়ে বিপন্ন হয়ে উঠেছে৷ আমব্রোস এই প্রজাতির দশটি প্রাণী শনাক্ত করেছেন৷ সেগুলি জঙ্গল, উন্মুক্ত সাভানা ঘাসভূমি ও বুশল্যান্ডের ঝোপের মধ্যে বাস করে৷ আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি এই প্রাণীগুলিকে সামগ্রিক ইকোসিস্টেমের নাজুক অবস্থার উদাহরণ হিসেবে গণ্য করেন৷

আমব্রোস নিজেকে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখেন৷ স্থানীয় নারীরা অতীতে চিতাকে শত্রু হিসেবে দেখতেন৷ এখন সেই প্রাণীর সুরক্ষার জন্য তারা উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ তারা নিজেদের ‘চুই মামা' বা চিতার মা নামে ডাকেন৷ এই উদ্যোগের সহ প্রতিষ্ঠাতা এলি মডেস্টা বলেন, ‘‘এই প্রাণী রক্ষা করা কতটা জরুরি, আমরা তা বুঝেছি৷ কারণ চুই মামার প্রতিষ্ঠার অনেক সুফল পাওয়া গেছে৷''

কারণ পর্যটকরা উপার্জনের পথ খুলে দিচ্ছেন৷ ফলে নারীদেরও উপকার হচ্ছে৷ ইতোমধ্যে তারা সাভানা বনভূমির মাঝে নিজস্ব এক ছোট সদর দফতর খুলেছেন৷

একটি তথ্যকেন্দ্র আমব্রোস লেতোলুয়াইয়ের আরেকটি প্রকল্প৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ সেখানে তিনি শিশুদের ক্যামেরার ব্যবহার শেখান এবং তাদের নিয়ে প্রাণিজগত ঘুরে দেখান৷ শিক্ষার প্যামফ্লেট ও দূরবিন নিয়ে সাফারি শুরু হয়৷ যেমন বিষয় হিসেবে ‘বার্ড ওয়াচিং' বেছে নেওয়া হয়েছিল৷ সাত থেকে ১৫ বছর বয়সি ছাত্রছাত্রীরা তাতে অংশ নিচ্ছে৷

কোন কোন পাখি পর্যবেক্ষণ করা হলো, সাফারির শেষে তারা সবাই মিলে তার মূল্যায়ন করে৷ অনেকের জন্য সেটা ছিল সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা৷ ওয়াইল্ডলাইফ কিডস রিসোর্স সেন্টারের লতিপারি কিদিদিং বলে, ‘‘আমি বড় হয়ে রেঞ্জার হতে চাই, কারণ এখানে অনেক মানুষ প্রাণিজগত সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না৷ আগে মানুষ অনেক প্রাণী হত্যা করেছে৷ কিন্তু কিছুদিন আগে আমি স্কুলে বিভিন্ন প্রজাতির সুরক্ষা সম্পর্কে একটা বই পড়েছি৷ এখন আমি মানুষকে প্রাণীগুলির গুরুত্ব শেখাতে এবং চোরাশিকার বন্ধ করতে চাই৷''

আমব্রোস ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী৷ তিনি লক্ষ্য করছেন, তরুণ প্রজন্ম পরিবেশ সম্পর্কে আরো সচেতন হয়ে উঠছে৷ পরিবেশের সৌন্দর্য্য ও নাজুকতা সম্পর্কে কীভাবে সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব, নিজের ক্যামেরা সম্বল করে তিনি তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন৷

কারিউকি গিসিরা, রেনে ভিলব্রান্ট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ