ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ‘প্রবেশ’ নিয়ে উত্তপ্ত বুয়েট
৩১ মার্চ ২০২৪সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাদের প্রবেশকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি৷ সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পর প্রশ্ন উঠেছে তাদের এই ক্ষোভ কি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নাকি ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে?
যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতির বিরুদ্ধেই তাদের এই ক্ষোভ৷ তবে এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে ছাত্রলীগ৷ তারা বলছেন, ‘‘পেছনে জামাত-শিবির কলকাঠি নাড়ছে৷’’
গত ২৭ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন একদল নেতাকর্মী৷ এর প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা৷
বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বিকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বুয়েট প্রশাসন৷
তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাব্বিসহ ৬ জনকে শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা৷ রোববার সকাল থেকে আবারো বিক্ষোভের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা৷
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি ও স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তারা ‘এক দুই তিন চার, ডিএসডব্লিউ গদি ছাড়’, ‘আমি কে তুমি কে, আবরার আবরার’, ‘বুয়েট বাঁচাও বুয়েট বাঁচাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন৷
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে ‘সহমত পোষণ’ করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদা৷ তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করার জন্য যা যা করার, করা হয়েছে৷ তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব৷ নিয়মের মধ্যে সবকিছু করার জন্য সময়ের প্রয়োজন৷
বুয়েট ক্যাম্পাসে কেন গেলেন? জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমি ওই দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম৷ এর মধ্যে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হল৷ তাদের সঙ্গে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম৷ এসময় বৃষ্টি আসলে আমি ক্যাফেটরিয়াতে গিয়ে বসি৷ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি সেখান থেকে চলে এসেছি৷ এখন কথা হচ্ছে, বুয়েট তো আর নিষিদ্ধ জায়গা না যে, সেখানে আমরা যেতে পারব না৷ সেখানে অবশ্যই আমি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে যাইনি৷’’
শুধু আপনার প্রবেশের কারণেই কী সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত ক্ষুব্ধ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আসলে নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে। সেখানে প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ থাকায় শিবির আর হিযবুত তাহরীর অন্ধকারে তৎপরতা চালাচ্ছে৷ রাজনীতি করা তো প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার৷ সেখানে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মদিন পালন করলে, ২৬ মার্চ পালন করলে হেনস্থা হতে হচ্ছে৷ এগুলোও যারা করছেন, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে৷ আমরা সবাই চাই সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক৷’’
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কি বলছেন?
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে অন্তত ৬ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে ডয়চে ভেলের৷ এর মধ্যে ৫ জনই নিজের নাম পরিচয় প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চাননি৷
শুধুমাত্র বুয়েটের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এই আন্দোলন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নয়৷ এই আন্দোলন ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে৷ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আমাদের ভালো কোন অভিজ্ঞতা নেই৷ শুধু এবারের ঘটনাটি নয়, মাসখানেক আগেও তারা খিচুরি খেয়েছে৷ সেটা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে৷ কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷ এ কারণে এবার প্রশাসনের কোন আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা৷’’
ছাত্রলীগ যেটা বলছে, প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রশিবির ও হিযবুত তাহরীর ভেতরে ভেতরে কার্যক্রম চালাচ্ছে৷ছাত্রলীগ যেটা বলছে, প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রশিবির ও হিযবুত তাহরীর ভেতরে ভেতরে কার্যক্রম চালাচ্ছে৷এই অভিযোগ কি ঠিক? জানতে চাইলে তাহমিদ হোসেন বলেন, ‘‘হিযবুত তাহরির তৎপরতা চালাচ্ছে এটা ঠিক৷ তাদের তৎপরতা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে৷ সেখানে তো প্রকাশ্য রাজনীতি চলছে৷ তাহলে এই অভিযোগ আনা ঠিক না৷ আর শিবিরের কোন তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি৷ যদি কখনও পড়ে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আন্দোন করবেন শিক্ষার্থীরা৷ আমরা চাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ৷’’
আন্দোলনে যুক্ত আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘আমরা আসলে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছি৷ কারণ যে কোন সময় আমাদেরও হয়রানি করা হতে পারে৷ কিন্তু আমরা কোন বিশেষ ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে না৷ আমরা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই৷ ছাত্ররাজনীতির নামে কোন ধরনের জীবনহানি আমরা চাই না৷’’
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কী?
১. শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে লিখিতভাবে ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে৷
২. একই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে জড়িত এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাতকে বুয়েট থেকে একাডেমিকভাবে স্থায়ী এবং হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে৷
৩. বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন-কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত নোটিশ এবং বাস্তবায়ন৷
৪. নিরাপত্তার জন্য রাত সাড়ে ১০টার পর সব ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে থাকা নিষেধ এবং যেকোনো প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের রাত সাড়ে দশটার বেশি সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হলে সেক্ষেত্রে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের (ডিএসডাব্লিও) অনুমতির প্রয়োজন পড়ে৷ তাহলে বহিরাগতদের অনুমতি দেওয়া না-ই হয়ে থাকে, তাহলে ডিএসডাব্লিওর প্রটোকল ভেঙে বহিরাগতরা মধ্যরাতে সেমিনার রুমে মিটিং করতে সক্ষম হয়েছে কীভাবে? এক্ষেত্রে ডিএসডাব্লিও নিজের প্রটোকল অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ, এ দায় স্বীকার করতে হবে৷
৫. শনিবাের টার্ম ফাইনাল আমরা বর্জন করছি এবং রোববারের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন৷
৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে৷
এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলকে শনিবার বিকেল ৩টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাদের দাবি, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘আবেগকে' ব্যবহার করে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ স্বার্থ হাসিল করছে। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ২০ ব্যাচের আশিক আলম বলেন, ‘‘বুয়েটর সংবিধানে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে আইন আছে, আমরা তাকে সম্মান করি৷ তবে এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপনে হিজবুত তাহরির, ইসলামী ছাত্র শিবিরের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো কাজ করছে৷ আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় আমরাও দুঃখিত। তবে সে ঘটনার আবেগকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামানো হয়েছে৷’’
বুয়েট প্রশাসন কি বলছে?
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে ‘সহমত পোষণ’ করে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপাচার্য৷ ওই ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, "আজকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে৷ আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এর সদস্যদের মতামতও আমরা শুনব৷’’
ইমতিয়াজসহ আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, "ইমতিয়াজকে হল থেকে বহিষ্কার আমরা করতে পারি৷ কিন্তু টার্ম বহিষ্কার শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক ডেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে করতে হবে৷ শৃঙ্খলা কমিটির সভার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে৷ তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া শৃঙ্খলা কমিটি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না৷ এভাবে শাস্তি দেওয়া হলে আদালতে গিয়েও টিকবে না৷ ফলে তদন্ত লাগবে এবং তদন্তে অভিযুক্তকেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে৷ আমাদের আইন ও নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে৷
অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে ঘটনায় ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমানের পদত্যাগের যে দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা, সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য সত্য প্রসাদ বলেন, ‘‘ডিএসডব্লিউর পদত্যাগের বিষয়ে এখন আমরা চিন্তা করছি না৷ কারণ, এটা নরমাল একটা প্রসিডিউর৷ নিয়ম অনুযায়ী যখন হওয়ার হবে৷ ডিএসডব্লিউ বলেছেন, তার পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি ছিল না৷ শিক্ষার্থীরা দাবি করতেই পারেন৷ কিন্তু দাবির মুখে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না৷ সময় হলে আমরা নতুন ডিএসডব্লিউ নিয়োগ দেব৷’’
মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিস দেব যে, কেন তিনি ঢুকতে দিলেন৷ তার তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অমানবিক বা অনিয়মতান্ত্রিক৷ কে ঢুকেছে, তাকে তো আগে চিহ্নিত করতে হবে৷ চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না৷ তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবে৷’’
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য
এদিকে শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, "কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেন, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে৷ এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল৷ সে বিষয়ে আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করবো৷ ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখেন এবং সেটা যদি মনে হয় যে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং প্রতিহত করতে হবে৷ এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে, এসব তদন্ত তারা করছেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে৷ চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষকে আহ্বান জানাবো, সেখানে (বুয়েট) শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ এ ঘটনায় ২৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ৷ পরে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে ২০২১ সালে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷