ক্যারিবীয় ফুটবল ইউনিয়নের আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে ফিফার তদন্ত
২৬ অক্টোবর ২০১১![](https://static.dw.com/image/6354137_800.webp)
ফিফার ছত্রছায়ায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব ফুটবল সংগঠন রয়েছে, তাদের মধ্যে ক্যারিবীয় ফুটবল সংগঠনকে ঘিরেই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে৷ ঘুস নিয়ে মহম্মদ বিন হাম্মাম'কে ফিফার শীর্ষ পদে নির্বাচনের দায়ে সংগঠনের কনকাকাফ প্রধান জ্যাক ওয়ার্নার আগেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত বিন হাম্মাম ও ওয়ার্নার – দুজনকেই বিদায় নিতে হয়৷ চাপের মুখে ওয়ার্নার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও বিন হাম্মাম শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন৷ তারপর তাঁকে সারা জীবনের জন্য ফুটবল জগত থেকে নির্বাসিত করা হয়৷ কিন্তু এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে৷ সেসময়ে ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়৷ তাদের মধ্যে ৫ জনকে ৩০ দিন থেকে ২৬ মাস পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছিল৷
এবার ক্যারিবীয় ফুটবল ইউনিয়নের আরও ১০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলো ফিফা৷ আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি ফিফার এথিকস কমিটির বৈঠকের সময় এবিষয়ে আলোচনা হবে৷
ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের মে মাসে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো'র পোর্ট অফ স্পেন শহরে এক মিটিংয়ের সময়৷ ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটার'এর বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এশীয় ফুটবল সংগঠনের তৎকালীন প্রধান কাতারের মহম্মদ বিন হাম্মাম৷ ওয়ার্নার ও হাম্মাম মিলে ক্যারিবীয় কর্মকর্তাদের ভোট কেনার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ ৪০,০০০ মার্কিন ডলার ভরা খয়েরি রঙের খাম তুলে দেওয়া হয়েছিল তাদের হাতে৷
দুর্নীতির মোকাবিলা করতে সেপ ব্লাটার ফিফার কাঠামোয় কিছু প্রাতিষ্ঠানিক রদবদলের ঘোষণা করেছেন৷ গত শুক্রবার তিনি এথিকস কমিটিকে আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা করেন৷ তাছাড়া গুড গভর্নেন্স কমিটি নামের এক নজরদারি ব্যবস্থাও চালু করতে চান তিনি৷ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ফিফার বাইরে থেকে এই কমিটির সদস্য বেছে নেওয়া হবে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক