বেইজিংয়ের আস্থা না থাকার কারণেই হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলে অনেকে মনে করেন৷ তার উত্তরাধিকারী হিসেবে কাকে বেছে নিতে চাইছে চীন তা নিয়ে চলছে জল্পনা৷
ক্যারি ল্যাম আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না ছবি: Robert Ng/ZUMAPRESS.com/picture alliance
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হওয়ার পর ‘সত্যিকারের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের সব অংশের সমর্থন আদায়ের' ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্যারি ল্যাম৷ কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা৷ হংকংয়ের জনমত গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিওআরইআই-এর জরিপে দেখা গেছে ল্যামের জনসমর্থনের হার বর্তমানে মাত্র ২৬ দশমিক ছয় শতাংশ৷ এমনকি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা ১৮ শতাংশের নেমে যায়, যা ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তরের পর কোনো প্রধান নির্বাহীর সর্বনিম্ন রেটিংয়ের রেকর্ড৷
হংকং সীমান্তে কেন চীনা সেনা?
হংকং ও চীনের সীমান্তের কাছে শেনঝেনে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন৷ হংকং এ চলমান প্রতিবাদের আবহাওয়ায় কেন এই মহড়া?
ছবি: Reuters/T. Peter
প্রতিবাদের পরিবেশ
গত ১০ সপ্তাহ ধরে হংকং এ চলছে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ৷ ১৯৯৭ সালের পর থেকে হংকঙে গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বর্তমানের এই বিক্ষোভ৷ প্রথমে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে বদলের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা হংকং এ সার্বিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে পরিণত হয়৷ গণতন্ত্রের দাবিতে পথে নামা জনতা ইতিমধ্যে স্তব্ধ করেছে হংকংগামী বিমান চলাচলও৷
ছবি: picture-alliance/AP/V. Thian
অপেক্ষায় ট্যাঙ্কার
চীনের ‘পিপলস আর্মড পুলিশ'এর শতাধিক আধাসামরিক ট্যাঙ্ক ও ট্রাকসহ কয়েকশ সামরিক সদস্য বর্তমানে সীমান্তবর্তী শহর শেনঝেনে রয়েছেন৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, এর সাথে রয়েছে দু'টি জলকামানও৷
ছবি: Reuters/T. Peter
সামরিক অভিযান?
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে হংকঙে চীনের সামরিক অভিযানের আশঙ্কার কথা৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতামত, এমনটা হবে না৷ গোটা বিষয়টা আসলেই স্রেফ মহড়া৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
কেন নয় সামরিক অভিযান?
গত চার দশক ধরে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে বড় অবদান রয়েছে হংকঙের, বলছেন ডয়চে ভেলের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ক্লিফর্ড কুনান৷ তাঁর মতে, অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ চীনে কিছুটা হলেও ধুঁকছে৷ এঅবস্থায় হংকং থেকে প্রাপ্য আর্থিক স্বস্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে চায়না চীন৷ তাই আপাতত সীমান্তেই অবস্থান করছে চীনা সেনাবাহিনী৷
ছবি: Reuters/T. Peter
আন্তর্জাতিক চাপ?
হংকং চীনের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷ চীনা বাজারে লগ্নি করতে চাওয়া আন্তর্জাতিক সংস্থারা বেইজিং এর কঠোর হংকং-নীতির ফলে বেঁকে বসতে পারে বলে মতামত কুনানের৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
সামরিক মহড়ায় কী প্রাপ্তি?
বিক্ষোভ সংযত করতে বেইজিং জানিয়েছে যে, এই প্রতিবাদকে তারা দেখছে প্রায় সন্ত্রাসবাদের সমতুল্য হিসাবে৷ এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদকারীদের চাপে রাখতে ও কিছুটা ভয় দেখাতেই এই মহড়ার আয়োজন, মনে করেন নানইয়াং ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস চার৷
ছবি: Getty Images/AFP
6 ছবি1 | 6
গত সোমবার ল্যাম এক ঘোষণায় বলেছেন পরিবারকে সময় দিতে আসছে নির্বাচনে আর লড়বেন না তিনি৷ যদিও অনেক বিষেশজ্ঞ মনে করেন এর পেছনে মূল কারণ বেইজিং৷ পিওআরআই-এর উপ প্রধান নির্বাহী কিম ওয়াহ-চুং বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্যারি ল্যামের পুনঃনির্বাচনে তার প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন নেই৷'' তার মতে ২০১৯ সালের ‘প্রত্যর্পণ আইন' নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয় তাতে হংকংয়ের মানুষের কাছে ‘চীনের সুনাম' নষ্ট হয়েছে৷ সেটি বুঝতে পেরে ল্যামের উপর নাখোশ হয়েছে বেইজিং৷
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে ল্যাম বলেছেন, ৩০ জুন তিনি হংকং সরকারের সঙ্গে নিজের ৪২ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন৷ চীনা কর্তৃপক্ষ তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি৷
যে কারণে থাকছেন না
২০১৯ সালে প্রত্যর্পন আইন প্রস্তাবের পর হংকংয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়৷ এই আইনে বলা হয়েছিল হংকং থেকে সন্দেহভাজন অপরাধীদের চীনের কাছে হস্তান্তর করা যাবে৷ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপর দমন-পীড়ন চালায় সরকার৷ গ্রেপ্তার করা হয় নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের৷ যে ল্যাম ব্যাপক অজনপ্রিয় এখন হংকংয়ের মানুষের কাছে৷
বিলিওনেয়ারদের সবচেয়ে প্রিয় ১০ শহর
ফোর্বস ম্যাগাজিন সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিলিওনেয়ার থাকেন এমন ১০টি শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে৷ ২০২০ সালে ফোর্বসের বিলিওনেয়ার তালিকায় নাম থাকা ২,০৯৫ জনের মধ্যে ৫৫২ জন থাকেন এসব শহরে৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
১. নিউ ইয়র্ক
নিউ ইয়র্কে সবচেয়ে বেশি ৯২ জন বিলিওনেয়ার থাকেন৷ তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ৪২৪ বিলিয়ন ডলার৷ এর মধ্য়ে সবচেয়ে ধনী মাইকেল ব্লুমবার্গের আছে ৪৮ বিলিয়ন৷ ২০১৯ সালের চেয়ে নিউ ইয়র্কে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে আটজন৷ ফলে টানা ছয় বছর ধরে ফোর্বসের তালিকায় শীর্ষে আছে নিউ ইয়র্ক৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
২. হংকং
আটজন বিলিওনেয়ার হারালেও তালিকায় দ্ৱিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে হংকং৷ ২০১৯ সালের শেষদিকে হংকংয়ে সম্পদ আয়ের মূল উৎস নির্মাণ খাতে মন্দা দেখা দেয়৷ হংকংয়ে এখন বিলিওনেয়ার বাসিন্দা আছেন ৭১ জন৷ তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ৩২১ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: picture-alliance/Prisma
৩. মস্কো
ফোর্বসের এই তালিকায় নাম থাকা চীনের শেনজেন ছাড়া মস্কো হচ্ছে আরেকটি শহর যেখানে নিজের আয়ে (উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া নয়) বিলিওনেয়ার হওয়া ব্যক্তিরা থাকেন৷ তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে তাঁদের ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে৷ রাশিয়ার ৮০ শতাংশ বিলিওনেয়ার থাকেন মস্কোতে৷ সবমিলিয়ে সেখানে বাস করা বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ৭০ জন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Sputnik/N. Seliverstova
৪. বেইজিং
চীনের তিনটি শহরের নাম আছে এই তালিকায়, যা সর্বোচ্চ৷ দেশটির রাজধানীতে বিলিওনেয়ারের সংখ্য়া গতবছরের চেয়ে ছয়জন বেড়ে এখন হয়েছে ৬৭৷ তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ২১৮.২০ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yu Shenli
৫. লন্ডন
এবছর লন্ডনে বিলিওনিয়ারের সংখ্য়া একজন বেড়েছে৷ মোট সংখ্যা ৫৬ জন৷ তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২১২.৭ বিলিয়ন ডলার৷ লন্ডনের নতুন বিলিওনেয়ারের মধ্য়ে পাঁচজন এসেছেন যুক্তরাজ্য়ের বাইরে থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Kalker
৬. সাংহাই
চীনের এই শহরে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ৪৬ জন৷ করোনার কারণে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য় হওয়ায় অনলাইন রিটেল ব্য়বসায়ী কলিন হুয়াংয়ের আয় বেড়েছে৷ ফলে সাংহাইয়ে বাস করা বিলিওনেয়ারদের মধ্যে তাঁর সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ১৬.৫ বিলিয়ন৷
আলিবাবার জ্যাক মা'র পর চীনের সবচেয়ে ধনী মা হুয়াতেং থাকেন এই শহরে৷ তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩৮.১ বিলিয়ন ডলার৷ শহরটিতে মোট ৪৪ জন বিলিওনেয়ারের বাস৷ গতবছরের চেয়ে পাঁচজন বেশি৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ সত্ত্বেও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য বিখ্যাত শেনজেনের ধনীদের সম্পদ গতবছরের তুলনায় ২৯.৭ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Xiashun
৮. মুম্বই
একবছরে পাঁচজন বিলিওনেয়ার মুম্বই ছেড়ে গেছেন৷ তবে ছয়জন মুম্বইকে নিজেদের শহর বানিয়েছেন৷ শহরটির মোট ৩৮ জন বিলিওনেয়ারের সম্পদের পরিমাণ ১৪৯.৩ বিলিয়ন৷ সবচেয়ে ধনী মুকেশ আম্বানি (৩৬.৮ বিলিয়ন ডলার)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ZUMA/Ashish Vaishnav
৯. সান ফ্রান্সিসকো
শহরের বাসিন্দা উবারের সাবেক প্রধান নির্বাহী রায়ান গ্রেভস ও পিন্টারেস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বেন সিলবারমানের সম্পদ এক বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে গেছে৷ সবমিলিয়ে পাঁচজন বিলিওনেয়ার হারিয়েছে সান ফ্রান্সিসকো৷ ফলে এখন মোট বিলিওনেয়ার আছেন ৩৭ জন৷ তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ৯০.৭ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: Getty Images/J. Revillard
১০. সিঙ্গাপুর
সাউথ কোরিয়ার সৌলকে হারিয়ে তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর৷ কারণ গতবছরের চেয়ে বিলিওনেয়ারের সংখ্য়া বেড়েছে ২২ জন৷ এখন মোট ৩১ জন বিলিওনেয়ার বাস করছেন সেখানে৷ তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ৯৫.৩ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: picture-alliance/Global Travel Images
10 ছবি1 | 10
অন্যদিকে যথাযথভাবে করোনা সংকট সামাল দিতে না পারার কারণে ল্যামের উপর অসন্তুষ্ট বেইজিং৷ চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ইভান চোই-এর মতে, ‘‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে হংকংয়ের সরকারকে দায় দিয়েছিলেন৷ আমার মনে হয় তারপর থেকেই হংকংয়ের প্রত্যেকে বুঝে নিয়েছেন যে ল্যামের পুনঃনির্বাচনের সম্ভাবনা ক্ষীণ৷''
চোই বলেন, চীনের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কোভিড ব্যর্থতার জন্য দায়িত্বশীল প্রশাসনকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনাই স্বাভাবিক৷ দেশটির মূল ভূখণ্ডেও প্রাদেশিক প্রধান বা মেয়রদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার৷
পাশাপাশি অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, আস্থাভাজন নেতৃত্ব খুঁজে পেতে বেইজিংকে বেগ পেতে হলেও জনসমর্থন তলানিতে থাকার কারণে ল্যামকে আগামী নির্বাচনে সামনে আনতে চাইছে না চীন৷ এসব বিবেচনায় বেইজিংয়ের সঙ্গে আলাপের প্রেক্ষিতে ল্যাম সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে এসওএএস চায়না ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্টিভ সাং৷
উত্তরসূরী কে হবেন
৮ মের নির্বাচনে ল্যামের উত্তরসূরী কে হবেন তা এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না৷ হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচনে ভোট দেয় ১৫০০ জনের একটি কমিটি৷ তাতে আছেন আইন প্রণেতা, বিভিন্ন শিল্পের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে চীন পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরাও৷
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, হংকং সিটির প্রধান সচিবের দায়িত্বে থাকা জন লি সম্ভাব্যদের একজন৷ ২০১৯ সালের বিক্ষোভের সময় তিনি হংকংয়ে নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ বর্তমান অর্থ সচিব পল চ্যানকেও এগিয়ে রাখছেন কেউ কেউ৷
ইভান চোই মনে করেন চীন আগামী পাঁচ বছর হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তায় বেশি জোর দিবে৷ কাজেই এই কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা যার রয়েছে তাকেই প্রধান নির্বাহী হিসেবে দেখতে চাইবে তারা৷ অন্যদিকে হংকংয়ের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন চাইলে চীনকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দিতে হবে৷ সেক্ষেত্রে পল চ্যানের মতো উপযুক্ত ব্যক্তিকেও বেছে নেয়া হতে পারে৷
তবে চোইয়ের মতে, সবশেষ প্রধান নির্বাহী নির্বাচন থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে এই পদের জন্য জনপ্রিয়তা বেইজিংয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ বরং আনুগত্যকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেয় তারা৷ যদি লি নির্বাচিত হন তাহলে সেটি আবারও প্রমাণিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
লির প্রধান নির্বাহী হওয়ার এমন সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন অনেক বিশ্লেষক৷ কারণ তিনি ক্ষমতায় আসলে ক্যারি ল্যামের চেয়েও নির্দয়ভাবে নাগরিক সমাজের উপর দমন-পীড়ন চালাবেন বলে উল্লেখ করেন ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না নামের একটি সংগঠনের হংকং সমন্বয়ক গ্ল্যাসিয়ার কং৷