অর্থ পাচারে ৭ বছর করে জেল এনু-রুপনের
২৫ এপ্রিল ২০২২ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন৷ কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৪ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যারা
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়া দুই ভাই এনু ও রূপনের গ্রেপ্তারে গত বছর বাংলাদেশে তুমুল আলোচনায় থাকা ক্যাসিনোকাণ্ড আবারও সামনে চলে এসেছে৷ এ পর্যন্ত ক’জন গ্রেপ্তার হলেন ক্যাসিনোকাণ্ডে? দেখুন ছবিঘরে...
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া
গত ১৮ সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম গ্রেপ্তার হন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া৷ ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন তিনি৷
জি কে শামীম
ক্যাসিনোকাণ্ডে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তারের দুই দিন পর যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে দুদক৷
লোকমান হোসেন ভূঁইয়া
ক্যাসিনোকাণ্ডে ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া৷ তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে৷
সেলিম প্রধান
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অনলাইনে জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তিনি ‘প্রধান গ্রুপ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান৷ ওই গ্রুপের অধীনে ‘পি২৪ গেমিং’ নামের একটি কোম্পানি আছে, যারা রীতিমতো ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিল৷
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম আলোচনায় চলে আসে৷ যদিও সম্রাট বিপদ বুঝে পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ক্লাবে জুয়ার বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তোলা সম্রাটকে ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
এনামুল হক আরমান
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটের সঙ্গেই গ্রপ্তার হন তার সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমান৷
দুই ভাই এনু ও রূপন
গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়াকে গত ১৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি৷ অবৈধ ক্যাসিনো কারবারে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা করেছে দুদক৷
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান
গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়৷ পরে দেশজুড়ে অভিযান চলে৷ দুদক শুরুতে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত তালিকায় প্রায় ১০০ জনের নাম এসেছে বলে জানায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷ প্রতিদিনই এই তালিকায় নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে৷
মামলা
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৮৭ জনের উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাদের নাম বা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুদক ২২ জনের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেছে৷
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার গেণ্ডারিয়া আওয়া
মী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার আরেক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকে থরে থরে সাজানো ২৬ কোটি টাকা পেয়েছে র্যাব৷ সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে মোটা অংকের এফডিআর, সোনার গয়না, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা এবং ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, যেগুলো ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে এসেছে বলে র্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য৷
তাদের ঘরে এত টাকা!
ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, নগদ টাকা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব৷ মধ্যমসারির নেতাদের বাড়ি থেকে এসব উদ্ধারের ঘটনা সাড়া ফেলেছে৷ পুরো অভিযান দেখুন ছবিঘরে৷
বিস্ময়কর
ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা দুই ভাই, তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷
কড়া অভিযান
থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসায় মঙ্গলবার অভিযান চালায় র্যাব৷ এসময় তাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়৷
এত সোনা!
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭২০ ভরি সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে৷ র্যাব বলছে, টাকা রাখার জায়গা হতো না বলে টাকার একটি অংশ সোনায় রূপান্তর করেন তারা৷
টাকা আর টাকা
আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা, তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব৷ এসব টাকা ক্যাসিনো থেকে আয় হতো বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷
আছে অস্ত্রও
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি দুটি পিস্তল, দুটি এয়ারগান এবং একটি শটগানও উদ্ধার করা হয়েছে৷
টাকা আসে ক্যাসিনো থেকে
গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান শেষে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সফিউল্লাহ বুলবুল জানান, ক্যাসিনো থেকে আয়ের টাকা এনামুল বাসায় সিন্দুকে ভরে রাখতেন৷
টাকা রাখতে নতুন সিন্দুক
এনামুলের ভাই রুপন ইংলিশ রোড থেকে পাঁচটি সিন্দুক কিনেছেন এমন খবর পেয়ে দুই ভাইয়ের বিষয়ে খোঁজ শুরু করে র্যাব৷ তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় তিনটি সিন্দুক৷
বস্তাভর্তি টাকা
গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর কর্মচারী আবুল কালামের নারিন্দার বাসা থেকে জব্দ করা টাকা বস্তায় ভরে নিয়ে যায় র্যাব৷
তার বাড়িতেও এত টাকা!
গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর কর্মচারী আবুল কালামের নারিন্দার বাসার সিন্দুকে পাওয়া যায় ২ কোটি টাকা ও একটি পিস্তল৷
পালিয়েছেন তারা
র্যাব বলছে, এনামুল সপ্তাহ খানেক আগে থাইল্যান্ডে চলে গেছেন৷ তার ভাই রুপনেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তাদের অন্তত ১৫টি বাড়ি রয়েছে৷
সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে মোটা অংকের এফডিআর, সোনার গয়না, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা এবং ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, যেগুলো ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে এসেছে বলে র্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য৷
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি৷ আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক৷
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব৷
কোন দেশে কত বেশি ক্যাসিনো
বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের ব্যবসা চলে ক্যাসিনো নির্ভর গ্যাম্বলিং বা জুয়াকে ঘিরে৷ চীনের মূল ভূখণ্ড আর মুসলিম কিছু দেশ ছাড়া পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির প্রায় সব দেশ আর বড় শহরগুলোতেই আছে ক্যাসিনোর রমরমা আয়োজন৷
যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে
ক্যাসিনোর কথা উঠলে প্রথমেই আসবে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নাম, নেভাদায় যার অবস্থান৷ ৩৬০ টি ক্যাসিনোর অস্তিত্ব শুধু এই এক অঙ্গরাজ্যেই৷ ইউটাহ, হাওয়াই আর আলাস্কা ছাড়া ক্যাসিনো আছে দেশটির বাকি সব রাজ্যেই৷ সব মিলিয়ে ১৯৫৪ টি ক্যাসিনো চালু আছে যুক্তরাষ্ট্রে, আছে ৯ লাখের উপর স্লট মেশিন৷ ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান আর বছরে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের জোগান দেয় সেখানকার এই শিল্প৷
জুয়া ভালোবাসে ক্যানাডার মানুষ
সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাসিনো আছে ক্যানাডাতে৷ জনগণকে ক্যাসিনোর মালিকানা আর পরিচালনার প্রথম অনুমতি দিয়েছে উদারমনা দেশটি৷ তাতে সেখানে মোট ক্যাসিনোর সংখ্যা ২১৯ টিতে দাঁড়িয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি ৭৩ টি আছে অন্টারিওতে৷ এরপর তালিকায় আছে আলবার্টা আর ব্রিটিশ কলম্বিয়া৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটির ৭৬ ভাগ মানুষই কোনো-না -কোনো জুয়ার সাথে জড়িত৷ বছরে সাড়ে ১৫ বিলয়ন ডলার লেনদেন হয় এর মাধ্যমে৷
মেক্সিকোতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত
২০৬ টি ক্যসিনো আছে উত্তর আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকোতে৷ গেম পরিচালনায় এর কোনোটিরই নিজস্ব কোনো প্রোগ্রাম নেই, গোটাটাই কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালিত৷ কোডারে, বিগ বোলা আর ইমোশন— এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের দখলে অবশ্য মেক্সিকোর ক্যাসিনো শিল্পের বড় অংশটাই৷
অতীতের আবহে ফ্রান্স
উত্তর অ্যামেরিকার দেশগুলোকে বাদ দিলে সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্যাসিনো ফ্রান্সে৷ বলতে গেলে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ক্যাসিনোগুলোর দেখা মিলবে এই দেশটিতেই৷ তবে অ্যামেরিকার মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ঐতিহাসিক দিক থেকে এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ যেমন, ১৯১২ সালে চালু হওয়া ক্যাসিনো ব্যারিয়ো দাভিলা৷ সব মিলিয়ে ১৮১ টি ক্যাসিনো চালু আছে ফ্রান্সে৷ এর পরের অবস্থানটি নেদারল্যান্ডসের, ১৬৬ টি আছে সেখানে৷
কথায় কথায় বাজি ব্রিটিশদের
রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে রাজপথ, বাজি যদি জুয়ার মধ্যে পড়ে তাহলে ব্রিটিশদের চেয়ে এগিয়ে আর কেউ নেই৷ শুধু লন্ডনেই হাজারের উপর বেটিং শপ আছে৷ ২০ লাখের বেশি ব্রিটিশ অনলাইনে জুয়া খেলে৷ এর বাইরে মেফেয়ার আর পিকাডিলির মতো খ্যাতনামা ক্যাসিনোতো আছেই৷ সব মিলিয়ে সংখ্যাটি ১৫৮৷
ম্যাকাও মানেই ক্যাসিনো
সংখ্যায় বেশি না হলে নামিদামি ক্যাসিনোর দিক থেকে লাস ভেগাসের পরেই আসে চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঙ্গরাজ্য ম্যাকাওয়ের নাম৷ বলতে গেলে সেখানকার অর্থনীতিই এই শিল্প নির্ভর৷ যুক্তরাষ্ট্রের উইনস্টারের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো ভেনিটিয়ানের অবস্থানও এখানে৷ সিটি অব ড্রিমস, পন্টে সিক্সটিন, স্যান্ডস, এমজিএম গ্র্যান্ডও আছে দশের ভিতরে৷ মাত্র অর্ধশত ক্যাসিনোই ম্যাকাওয়ের সরকারের ৮০ ভাগ রাজস্বের যোগান দেয়৷
আছে মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও
বিশ্বের অনেক মুসলমান প্রধান দেশেও বৈধ ক্যাসিনো আছে৷ সবচেয়ে বেশি ১৭ টি আছে মিশরে, যার ১৪ টি শুধু রাজধানী কায়রোতেই৷ ৯ টি আছে তুরস্কে৷ আফ্রিকার মরক্কোতে আছে সাতটি৷ এছাড়াও মধ্যাপ্রাচ্যের আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, আরব আমিরাত আর এশিয়ার মালয়েশিয়াতেও ক্যাসিনোর অনুমোদন আছে৷
দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশে
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১টি ক্যাসিনো আছে ভারতে৷ গোয়ার পানাজি, গ্যাংটক, মুম্বাইসহ মোট ১১ টি শহরে সেগুলোর অবস্থান৷ ৫ টি ক্যাসিনো আছে শ্রীলঙ্কায়, যার সবগুলোই রাজধানী কলম্বোয়৷ এছাড়া ১১ টি ক্যাসিনো আছে নেপালে আর ৫ টি মিয়ানমারে৷
এপিবি/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)