আজকের এমপিথ্রি প্রজন্মের সংগীত অনুরাগীরা কি কখনো গ্রামোফোন রেকর্ড বা ক্যাসেট হাতে নিয়েছে? তবে অতীতের এই সব মিডিয়াম এখনো পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি৷ জার্মানিতে এখনো ক্যাসেট-অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়৷
বিজ্ঞাপন
লেখক ও সাংবাদিক ইয়ান ড্রেস জানেন, কোথায় এখনো ক্যাসেট কিনতে পাওয়া যায়৷ যেমন বার্লিনের ‘স্টালপ্লাট' দোকানে৷ এখানে গোটা বিশ্বের সংগীতের ক্যাসেট শোভা পাচ্ছে৷ ‘ক্যাসেট ডেক – একটি প্রজন্মের সাউন্ডট্র্যাক' নামের বইতে ড্রেস অনেক সংগীতকার ও শিল্পীর ক্যাসেট সংক্রান্ত কাহিনি তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ক্যাসেটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিস্ময় ছিলো এই যে মানুষ এই প্রথম নিজের পছন্দের সংগীত একত্র করতে পারলো৷ ইউটিউবে আজকের ‘ব্রডকাস্ট ইয়োরসেল্ফ' স্লোগানের আদি রূপ ছিল সেটা৷''
সান্ড্রা হাইনৎসেলমান আজও ক্যাসেটের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে চলেছেন৷ বার্লিনের বিভিন্ন বারে তিনি ‘ডিজেন' ছদ্মনামের আড়ালে ক্যাসেট চালিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন৷ তবে ক্যাসেট ডিজে সেট প্রস্তুত করা বেশ পরিশ্রমের কাজ৷ আগে থেকেই ক্যাসেটে সঠিক গানের অংশ বেছে রাখতে হয়৷ সান্ড্রা বলেন, ‘‘গানগুলি ঘেঁটে দেখতে হয়, যেমনটা আগে সিডি বা রেকর্ডের দোকানে করতে হতো৷ তারপর একটি বার করে সেটি প্লেয়ারে দিয়ে এগিয়ে-পিছিয়ে খুঁজতে হতো৷ হাতে ছুঁয়ে দেখার আলাদা মজা ছিল৷''
সংগীত সুস্থ হতে সাহায্য করে
সংগীত মানুষকে আনন্দ দেয় – সেকথা কম-বেশি সকলেই জানি৷ তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে একসাথে সংগীতচর্চা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগীকে সুস্থ করতেও ভূমিকা রাখে৷ আরো পাবেন এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: Hochschule für Musik Karlsruhe
সংগীতের আসর
গান শোনার সময় ‘মোটিভেশন হরমোন’ ডোপামিন এবং ‘সুখ হরমোন’ এন্ড্রোফিন’ মস্তিষ্কে একত্রিত হয়৷ গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো সংগীতদল যখন কোরাসে গান গায়, তখন সেই গান উপভোগ করার সময় এক ধরণের বিশেষ অনুভূতি হয়৷ এই অনুভূতি মানুষকে নিরাপত্তা দেয় এবং মনোযোগও বাড়ায়৷ ফলে ‘ইমিউন সিস্টেম’ আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে৷
ছবি: B. Maas
‘ইমিউনথেরাপি’ হিসেবে গান গাওয়া
বেশ কয়েকটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, কোনো সংগীতদলে গান গাওয়ার পর রোগী অনেক ভালো বোধ করেন৷ শুধু তাই নয়, সংগীত শ্বাস-প্রশ্বাসের নালীকে উজ্জীবিত করে ‘স্ট্রেস’ কমায় এবং তার পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ‘ইমিউন সিস্টেম’-কেও বাড়িয়ে দেয়৷
ছবি: DW/A. Slanjankic
গান গেয়ে ভালো থাকা
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষক দল বয়স্ক মানুষদের, যাঁরা গায়কদলে গান করেন এবং যাঁরা গান করেন না – তাঁদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান৷ সমীক্ষা চলাকালীন সখের গায়কদের কম ঔষুধের প্রয়োজন হয় এবং ডাক্তারের কাছেও কম যেতে হয়৷ অথচ যাঁরা গায়কদলের সাথে জড়িত ছিলেন না, তাঁদের অনেক বেশিবার চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে৷
ছবি: picture alliance / dpa
পিয়ানো
‘‘স্ট্রোক হবার পর অনেকেরই আঙুলের খানিকটা অংশ অবশ হয়ে যায়৷ কিন্তু তাঁরা যদি পিয়ানো বাজান, তাহলে আস্তে আস্তে একটি একটি করে আঙুলে শক্তি ফরে আসতে পারে৷ অবশ্য এর জন্য আগে থেকেই পিয়ানো বাজানো জানতে বা শিখতে হবে না৷’’ এ কথা বলেন, জার্মানির হ্যানোভার শহরের মেডিকেল কলেজের সংগীত মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ডা. একার্ট আল্টেনম্যুলার৷
ছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb
ইচ্ছাশক্তি বেড়ে যায়
পিয়ানো বাজানোর সময় প্রতিবারই হাতের আঙুলে তার প্রতিফলন ঘটে৷ বাজানোর সময় আঙুলের নড়াচড়া এবং শব্দধ্বনি রোগীর অনুভূতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ এর কারণে রোগীর ‘মোটিভেশন’ বা ইচ্ছাশক্তি বেড়ে যায় এবং স্ট্রোকে ভীত হয়ে যাওয়ার ভাব কেটে যেয়ে৷ শুধু তাই নয়, সংগীত বা গানের মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দও খুঁজে পান রোগীরা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
হাঁপানি রোগ
সংগীত ‘ক্রনিক’ ব্যথা, ভয়, অশান্তি – এ সব কমিয়ে মন ভালো করে দেয়৷ যাঁরা বুড়ো বয়সে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন, তাঁরা সমাজ থেকে কিছুটা দূরে সড়ে যান৷ অথচ সংগীতের মাধ্যমে ‘ডিমেনশিয়া’-র রোগীদের কাছে যাওয়া যায়, করা যায় বন্ধুত্ব৷ এছাড়া স্যাক্সোফোন বা বাঁশি বাজানোর মধ্য দিয়ে শ্বাসনালীর পেশি শক্ত হয় ও ফুসফুসের কাজ বেড়ে যাওয়ায় ‘অ্যাজমা’ রোগীরাও উপকৃত হতে পারেন৷
ছবি: Hochschule für Musik Karlsruhe
6 ছবি1 | 6
১৯৬৩ সালে বার্লিনে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স-এর বাণিজ্যমেলায় নেদারল্যান্ডস-এর ফিলিপ্স কোম্পানি প্রথমবার ক্যাসেট ও ক্যাসেট রেকর্ডার তুলে ধরে৷ প্রথমদিকে সাউন্ড-এর মান তেমন হালো ছিল না৷ তারপর প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বোদ্ধারাও ক্যাসেটের অনুরাগী হয়ে ওঠেন৷
‘মিক্সটেপস', অর্থাৎ প্রিয় গায়কের পছন্দের গান রেকর্ড করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে পড়লো৷ সঙ্গে মানানসই কভার ডিজাইন৷ ১৯৭৯ সালে সোনি কোম্পানি বাজারে প্রথম ওয়াকম্যান নিয়ে এলো৷ একটা গোটা প্রজন্মের জীবনযাত্রার প্রতীক হয়ে উঠলো ক্যাসেট৷ ইয়ান ড্রেস বলেন, ‘‘ক্যাসেটের মধ্যে সংগীতের এক ধরনের গণতন্ত্রিকরণের বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে৷ বিশেষ করে পূর্ব জার্মানিতে দু'টি বড় রেকর্ড কোম্পানি ছিল৷ সরকারি কর্মকর্তারা স্থির করতেন, কার গান রেকর্ড করা হবে৷ ক্যাসেট আসায় যে কোনো ব্যান্ড সরকারকে এড়িয়ে গান রেকর্ড ও বিতরণ করার সুযোগ পেল৷''
বড় বড় সংগীত কোম্পানির বিপণন কৌশলের তোয়াক্কা না করে কনরাড রোডেনব্যার্গ বার্লিনে ‘ফ্রগি রেকর্ডস' নামের ক্যাসেট কোম্পানি চালাচ্ছেন৷ নিজস্ব গান অথবা বিশ্বের কোনো প্রান্তের ব্যান্ডের গান ক্যাসেটবন্দি করা হয়৷ বড়জোর ২০ থেকে ১০০টি ক্যাসেট তৈরি হয়৷ কনসার্ট বা অন্য জায়গায় হাতে হাতে সেগুলি বিক্রি করা হয়৷ ‘ফ্রগি রেকর্ডস'-এর কনরাড রোডেনব্যার্গ বলেন, ‘‘গান যে কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে, তা স্পষ্ট শোনা যায়৷ আমার সেটা বড় ভালো লাগে৷ এই ক্ষয়ের ফলে যেন সেই গান আলাদা একটা চরিত্র পেয়ে যায়৷''
জার্মানিতে এখনো ক্যাসেট-অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়
03:56
১৯৮৯ সালে গোটা বিশ্বে প্রায় ১৯০ কোটি গানের ক্যাসেট বিক্রি হয়, যা ছিল এক রেকর্ড৷ ২০১৪ সালে সংখ্যাটা ছিল ২ লক্ষের কাছাকাছি৷ ইয়ান ড্রেস বলেন, ‘‘মিডিয়াম হিসেবে ক্যাসেটের স্মৃতিচারণ করার অর্থ হলো, সংগীতের ইতিহাসের এক অধ্যায় নিয়ে চর্চা করা৷ আজ যে সব কমপ্রেশন ফরম্যাটের মাধ্যমে আমরা গান শুনি, তার ক্ষেত্রে এটা খাটবে কিনা আমার জানা নেই৷''
অর্থাৎ ক্যাসেট এখনো পুরোপুরি সেকেলে হয়ে ওঠেনি৷ এই মাধ্যমের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে৷
অবিস্মৃত: মাইকেল জ্যাকসন
২৫শে জুন ২০০৯৷ মাত্র ৫০ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর সাড়া জাগানো সংগীত তারকা ‘দ্য কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসন চিরবিদায় নেন৷ হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যান তাঁর হৃদযন্ত্র৷ সেই শোকে যেন আজও মুহ্যমান তাঁর ভক্তরা৷
ছবি: AP
যে খবরে সারা বিশ্ব হতভম্ব
২০০৯ সালের ২৫শে জুন ‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুসংবাদ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে৷ অথচ তার ঠিক কিছুদিন আগেই ‘দিস ইজ ইট’ নামের বেশ কয়েকটি সংগীত কনসার্ট করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ পপ সংগীতের ইতিহাসে জ্যাকসন সূচনা করেছিলেন এক নতুন অধ্যায়৷ সারা জীবনে ৭৫ কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয় তাঁর৷
ছবি: AP
শৈশব সুখের ছিল না
১৯৫৮ সালের ২৯শে আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গ্যারি শহরে এক গরিব পরিবারে জন্ম মাইকেল জ্যাকসনের৷ তিনি পাঁচ ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে একটি কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিক এলাকায় বড় হন৷ এরপরেও অবশ্য সাফল্যের শিখরে উঠেছিলেন জ্যাকসন৷ পেয়েছিলেন সংগীত জগতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘গ্র্যামি’, তাও আবার ১৩ বার৷
ছবি: Express Newspapers/Getty Images
‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’
বাবা জো জ্যাকসন খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর সন্তানদের তারকা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন৷ তাই ১৯৬৪ সালে, পাঁচ ছেলে – জেরমাইন, জ্যাকি, টিটো, মেরলন ও মাইকেলকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’ সংগীত গোষ্ঠী৷ ১৯৬৯ সালে কিংবদন্তি সোল-লেবেল রেকর্ড কোম্পানি ‘মোটাউন’-এর সাথে চক্তিবদ্ধ হয় এই গ্রুপ৷
ছবি: Frank Barratt/Getty Images
সাফল্যের সূচনা
১৯৮২ সালে মাইকেল জ্যাকসনের প্রথম একক অ্যালবাম ‘থ্রিলার’ বের হয়, যার দশ কোটি ৮০ লাখ কপি বিক্রি হয়৷ অ্যালবামটির ব্যবসায়িক সাফল্য সংগীত জগতে সৃষ্টি করে এক নতুন রেকর্ড আর মাইকেল জ্যাকসনকে বলা হতে থাকে ‘পপ সম্রাট’৷ পরবর্তীতে ‘ব্যাড’-র ৩ কোটি আর ‘ডেঞ্জারাস’-এর দেড় কোটি কপি বিক্রি হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa
নতুন মাইকেল
১৯৭৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন তাঁর প্রথম কসমেটিক অপারেশনটি করান৷ এবং তার পরপরই একটি অ্যাক্সিডেন্টে তাঁর নাক ভেঙে যায়৷ তিনি ত্বকের সমস্যায়ও ভুগছিলেন৷ নিজে কৃষ্ণাঙ্গ ত্বকের জন্য গর্বিত হলেও, ক্রমশই তাঁর ত্বক সাদা হতে থাকে৷ এর পর থেকে প্রায়ই তাঁকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যেত, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে৷
ছবি: imago/paulrose
ভালোবাসা না শুধুই লোক দেখানো?
১৯৯৪ সালে পপ সম্রাট বিয়ে করেন এলভিস প্রেসলির কন্যা লিসা মারি প্রেসলিকে৷ এ বিয়ে মাত্র ২০ মাস টেকে৷ তাই এটা কি শুধুই লোক দেখানো না অভিনয়? – প্রশ্ন উঠেছিল মিডিয়ায়৷ এমনকি প্রকাশ্যে তাঁদের প্রথম চুম্বনটিও নাকি ছিল ম্যানেজারের শিখিয়ে দেওয়া৷ এর উত্তরে লিসা অবশ্য বলেছিলেন, ‘‘আমি গভীরভাবে মাইকেলের প্রেমে পড়েছিলাম’’৷
ছবি: AFP/Getty Images
অবশেষে পিতৃত্বের সুখ
লিসার সাথে ডিভোর্সের পর মাইকেল জ্যাকসন তাঁর ডাক্তারের সহকারী ডেবি রোকে বিয়ে করেন৷ এই দাম্পত্য নাকি ছিল ব্যবসায়িক কারণে, অর্থাৎ মাইকেল জ্যাকসন সন্তানের পিতা হতে চেয়েছিলেন বলেই বিয়ে করা৷ ডেবি দুই সন্তানের জন্ম দেন৷ তবে তৃতীয় সন্তানটির জন্ম হয়েছিল ‘আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশান’-এর মাধ্যমে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সফল ট্যুর
১৯৯৬/৯৭ সালে মাইকেল জ্যাকসন শেষবারের মতো কনসার্ট করতে ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুর’-এ বের হন৷ ‘হিস্টরি’ অ্যালবামটি নিয়ে ৫৮টি শহরে ৮২টি কনসার্ট করেন, মাতিয়ে রাখেন প্রায় ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ভক্তকে৷ সে সময় দারুণ সফল জ্যাকসন ভারতেও আসেন৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুয়ায়ী তিনিই ছিলেন সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী৷
ছবি: BETH A. KEISER/AFP/Getty Images
জ্যাকসনের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ
১৯৯৪ সালে মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়৷ তবে যারা অভিযোগ করেছিল, সেই পরিবারটি এক মিলিয়ন ডলার দেওয়াতে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি৷ ২০০৩ সালে একই অভিযোগ আবারও আসে৷ কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও, সম্মান ছারখার হয়ে যায়৷ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পপ সম্রাট৷
ছবি: Pool/Getty Images
আবারো মঞ্চে ফিরে আসার ঘোষণা
২০০৯ সালের মার্চ মাসে আবার মঞ্চে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়ে ভক্তদের অবাক করে দেন মাইকেল৷ তিনি আবারো আগের মতো ‘পারফর্ম’ করতে পারবেন কিনা – তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, ‘দিস ইজ ইট’ শো দেখার জন্য টিকিট কেনার ‘ক্রেজ’ প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যায়৷ লন্ডনে প্রথম শো করার ঠিক ১৮দিন আগেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর মৃত্যুসংবাদ৷
ছবি: Getty Images
মরণোত্তর কেরিয়ার
মৃত্যুর পর ‘এক্সকেপ’-সহ দুটো অ্যালবাম বেরিয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৯ সালের হিসাবে, মৃত্যুর পরও দুইশো কোটি ডলারের বেশি রোজগার করেছেন তিনি, যা অন্য সব মৃত শিল্পীদের চেয়ে বেশি৷ বলা বাহুল্য, ‘দ্য কিং অফ পপ’ এভাবেই বেঁচে থাকবেন চিরদিন ভক্তদের অন্তরে৷