সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে এগিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ নেভাডা অঙ্গরাজ্যেও প্রাক-নির্বাচনি ভোটে জিতেছেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার পথে দৃঢ় পদক্ষেপেই এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প৷
বিজ্ঞাপন
এই নিয়ে টানা তিনটি ককাস, অর্থাৎ প্রাক নির্বাচনি ভোটে জয় পেলেন ট্রাম্প৷ প্রথমে নিউ হ্যাম্পশায়ার, তারপর সাউথ ক্যারোলাইনা এবং মঙ্গলবার নেভাডা অঙ্গরাজ্যে দলীয় প্রতিপক্ষদের হারালেন তিনি৷ স্বাভাবিক কারণেই ট্রাম্প এখন আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী, আরো বেশি আনন্দিত৷
নেভাডার জয়ের প্রতিক্রিয়াতেও ছিল সেই আনন্দের আভাস৷ সমালোচকদের এক হাত নেয়ার সুযোগটাও তিনি ছাড়েননি৷ নিজস্ব ভঙ্গিতে জয়োল্লাস প্রকাশ করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘সুতরাং আমরা ইভানজেলিকালদের ভোট পেয়ে জিতলাম, তরুণদের ভোটে জিতলাম, উচ্চ শিক্ষিতদের ভোটে জিতলাম, স্বল্প শিক্ষিতদের ভোটেও জিতলাম৷ আমি স্বল্প শিক্ষিতদের ভালোবাসি৷'' তাঁর কথায় সমালোচকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগানোর বিষয়টি উঠে এসেছে এভাবে, ‘‘পণ্ডিতদের কথা শুনে থাকলে আপনারা অবশ্যই জানেন, আমরা যে খুব একটা সাফল্য পাবো তা তাঁরা আশা করেননি৷ কিন্তু এখন আমরা জিতছি, জিতছি এবং জিততে জিততে সারা দেশটাকেই জিতে নিচ্ছি৷ খুব শিগগিরই আমাদের দেশও জয়, জয় এবং জয়ই পেতে শুরু করবে৷''
নিউ হ্যাম্পশায়ার, সাউথ ক্যারোলাইনা এবং নেভাডায় ভিন্ন ভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জয় তুলে আনলেন ট্রাম্প৷ নিউ হ্যাম্পশায়ারের অন্তত এক চতুর্থাংশ ভোটার ‘উদারপন্থি' বলে ধারণা করা হয়, সাউথ ক্যারোলাইনার অন্তত এক তৃতীয়াংশ ভোটার ইভানজেলিকাল খ্রিস্টান আর নেভাডার অধিবাসীদের ১৫ শতাংশই অ-শ্বেতাঙ্গ৷ তাই বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছিলেন, এই তিন এলাকায় ‘কট্টরপন্থি' ট্রাম্পের জয় পেতে কষ্ট হবে৷ প্রাক-নির্বাচনি ভোটের ফলাফলে এ পর্যন্ত অবশ্য তা ভুলই প্রমাণিত হয়েছে৷
নেভাডায় ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প, অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রুবিও ও ক্রুজ পেয়েছেন যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৮৫ ও ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট৷ এই পর্বে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিলেন জন কেইসিক ও বেন কারসন৷ তবে ভোট গ্রহণে কিছু অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে৷
নেভাডার প্রাক-নির্বাচনি ভোটের মাধ্যমে শেষ হলো রিপাবলিকান দলের বাছাই নির্বাচনের প্রথম পর্ব৷ আগামী ১ মার্চ ‘সুপার টিউসডে'তে একইসঙ্গে ১২টি অঙ্গরাজ্যে ভোট হবে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সম্পর্কে মজার ও উদ্ভট তথ্য
জাপান সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কোলে বমি করেছিলেন জর্জ বুশ!
ছবি: Imago/Agencia EFE
বমি করেছিলেন জর্জ বুশ
১৯৯২ সালে জাপান সফরের সময় অসুস্থ ছিলেন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ৷ ফলে রাতের খাবারের সময় যখন তাঁর সামনে জাপানি বিফ স্টেক নিয়ে আসা হয়েছিল তখন তিনি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কোলে বমি করে দিয়েছিলেন৷ এই ঘটনার পর জাপানি ভাষায় ‘বুশু-সুরু’ নামে একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে৷ এর মানে হচ্ছে ‘বুশের মতো কিছু করা’!
ছবি: AFP/Getty Images
আব্রাহাম লিংকন
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে একটি পানশালার যৌথ মালিক ছিলেন লিংকন৷ যদিও মদ্যপানের বিশেষ ভক্ত ছিলেন না তিনি৷ অবশ্য যার সঙ্গে তিনি পানশালা চালু করেছিলেন তিনি ছিলেন উলটো, অর্থাৎ একেবারে আসক্ত৷ এই ভিন্নতার কারণে ব্যবসাটি কখনও লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি৷ অবশেষে অংশীদারের মৃত্যুর পর পানশালাটি বন্ধ হয়ে যায়৷
ছবি: National Archives/Newsmakers
জেরার্ল্ড ফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মডেলিং করতেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম প্রেসিডেন্ট৷ ১৯৪২ সালে একবার ‘কসমোপলিটন’ ম্যাগাজিনের কভার মডেল হয়েছিলেন৷ অবশ্য খুব বেশিদিন এই পেশায় ছিলেন না ফোর্ড৷
ছবি: picture alliance/United Archives/WHA
জিমি কার্টার
তাঁকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইউএফও (অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু) প্রেসিডেন্ট৷ ১৯৬৯ সালে তিনি আকাশে ইউএফও দেখার কথা জানিয়েছিলেন৷ এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় তিনি ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে ইউএফও দেখা নিয়ে যত তথ্য আছে, প্রেসিডেন্ট হলে, সেগুলো তিনি সাধারণ জনগণ ও বিজ্ঞানীদের জন্য উন্মুক্ত করবেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Betancur
কেলভিন কুলিজ
সকালে বিছানায় নাস্তা করার আগে তিনি নাকি মাথায় পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে নিতেন৷ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিশ্বাস করতেন তিনি!
ছবি: picture-alliance/dpa
রোনাল্ড রেগান
একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তালাকপ্রাপ্ত৷ অবশ্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগের কথা এটি৷ ১৯৪০ এর দশকে তিনি অভিনেত্রী জেন ওয়াইম্যানকে বিয়ে করেছিলেন৷ ১৯৪৮ সালে তাঁরা পৃথক হয়ে যান৷ এরপর ১৯৫২ সালে তিনি আরেক অভিনেত্রী ন্যান্সি ডেভিসকে বিয়ে করেন৷ জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি ন্যান্সির সঙ্গেই ছিলেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/Carlos Schiebeck
ক্রীতদাসের বংশধর ওবামা?
দুই বছর ধরে গবেষণা শেষে ২০১২ সালে অ্যানসেস্ট্রি ডটকম জানায়, ওবামা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান দাস জন পাঞ্চ-এর ১১তম ‘গ্রেট-গ্র্যান্ডসান’৷ ১৬ শতকের শুরুতে দাস হিসেবে অ্যামেরিকায় গিয়েছিলেন পাঞ্চ৷ এরপর মালিকের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি৷ এর শাস্তি হিসেবে তাঁকে আজীবন দাসত্ব করতে বাধ্য করা হয়৷ ফলে পাঞ্চই অ্যামেরিকার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত আফ্রিকান ক্রীতদাস৷