চাইলেও ক্রাইস্টচার্চ হামলা রোখা যেত না। দীর্ঘ রিপোর্টে জানিয়েছে রয়্যাল কমিশন। রিপোর্টে রয়েছে বহু পরামর্শ।
বিজ্ঞাপন
ক্রাইস্টচার্চ হামলা নিয়ে দীর্ঘ রিপোর্ট পেশ করল নিউজিল্যান্ড। রয়্যাল কমিশনের এই রিপোর্টে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। রয়্যাল কমিশন জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ বন্ধের জন্য আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইনগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন দেশে। তবে ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে হামলা রোখা যেত বলে মনে করেনি কমিশন।
২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল এক দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসী। বন্দুক নিয়ে সে মসজিদে ঢুকে সাধারণ মানুষের উপর বুশ ফায়ার করেছিল। গোটা ঘটনা ক্যামেরায় রেকর্ডও করেছিল। ঘটনায় ৫১ জন সাধারণ মুসলিমের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পর অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। অতি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের আদালত তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চ হামলায় বেঁচে যাওয়ারা যেমন আছেন
১৫ মার্চের ক্রাইস্টচার্চ হামলার দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন এই ঘটনার আহতরা৷ প্রিয়জন হারানোর শোক সামলে উঠার চেষ্টা করছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা৷ কিন্তু তা কি এত সহজে সম্ভব!
ছবি: Reuters/E. Su
আল নূর মসজিদ
জুম্মার নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের উপর চালানো হামলাটি শুরু হয়েছিল এই মসজিদ থেকে দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে৷ হামলাকারীর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণে মোট ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন৷ ঘটনার পরে মসজিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ ছবিতে অস্ত্র হাতে দুজন পুলিশ সদস্যকে মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/E. Su
বাবার স্মৃতি
ওমরের বয়স যখন ১১ তখন বাবার সাথেই প্রথম ভেড়া জবাইয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর৷ ক্রাইস্টচার্চের হামলায় নিহত হয়েছেন হাজী দাউদ নবী৷ পিতার জন্য শান্তি কামনা করে সম্প্রতি ভেড়া জবাই করেছেন ওমর৷ দাউদ নবীর ইচ্ছা ছিল ক্রাইস্টচার্চে নিজের এক খন্ড জমিতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার৷ বাবার সেই স্বপ্ন এখন পূরণ করতে চান ৪২ বছরের ওমর৷
ছবি: Reuters/E. Su
অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
ছবির ডান পাশের ব্যক্তির নাম মার্ক রাঙ৷ তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক৷ এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করার পর প্রথমবারের মতো আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন৷ হামলায় দুই পা জখম হয়৷ অস্ত্রোপচারের পর হাঁটতে সক্ষম হয়েছেন ঠিকই কিন্তু সিডনি বিমানবন্দরে ব্যাগ উঠা নামানোর চাকরিতে আর ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় তিনি৷
ছবি: Reuters/E. Su
প্রিয়জন শুধুই ছবি
প্রায়ই আল নূর মসজিদে সময় কাটাতেন হোসেন মোস্তফা৷ সেখানে ধর্মীয় একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলার পাশাপাশি মসজিদের খোলা জায়গায় সবজি বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল তাঁর৷ স্ত্রী জাহরা ফাতির কাছে এখন এই ছবির অ্যালবামই তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি৷ প্রিয়জন হারানোর বেদনা ভুলতে জাহরা এবারের রমযান কাটাতে চান মিশরে স্বজনদের কাছে৷
ছবি: Reuters/E. Su
ভালবাসার বার্তা
ক্রাইস্টচার্চে বসবাসরত বাংলাদেশি ফরিদ আহমেদ হারিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে৷ হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়ে মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি গোটা বিশ্বে৷ দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য গত রোববার প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি৷ ছবিতে তাঁদের কয়েকজনের সাথে প্রার্থনারত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে ফরিদ আহমেদকে৷
ছবি: Reuters/E. Su
এখনও শোনেন গুলির শব্দ
ক্রাইস্টচার্চের হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের একজন সর্দার ফয়সাল৷ সেদিন তিনি মসজিদে কিছুটা দেরিতে গিয়েছিলেন৷ নামাজের জন্য তিনি যখন ওযু করছিলেন তখনই হামলার ঘটনা ঘটে৷ লুকিয়ে থেকে বেঁচে যান ফয়সাল৷ কিন্তু প্রতিটি গুলির আওয়াজ এখনও যেন তাঁর কানে বাজে৷ ঘটনার পরে আর কাজে ফেরেননি ফয়সাল৷ নিহতদের পরিবার আর আহতদের জন্য খাবারের যে আয়োজন রয়েছে রাতদিন তার সমন্বয় করছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/E. Su
বেদনা আর আনন্দের অশ্রু
ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর ঠিক সামনেই ছিলেন হাজেম মোহাম্মদ৷ কিন্তু শুয়ে পড়ে মারা যাওয়ার অভিনয় করেন তিনি৷ তাঁর আশেপাশে তখন মৃত আর আহতদের দেহ৷ হাজেম মোহাম্মদ বলেন, ‘‘আমি দুটি কারণে কাঁদছিলাম৷ প্রথমত বন্ধুদের হারিয়েছি এজন্য৷ দ্বিতীয়ত ১৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে আমার পুনর্জন্মের আনন্দের জন্য৷’’
ছবি: Reuters/E. Su
শান্তির ধর্ম ইসলাম
ক্রাইস্টচার্চ হামলার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডে ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ে উঠেছে৷ বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তেমনি মুসলিমরাও ভালোবাসা আর শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বে৷ আল নূর মসজিদের ঘড়িতে কোরআনের বাণীও তারই অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, ‘‘আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছে৷’’
ছবি: Reuters/E. Su
8 ছবি1 | 8
২০২০ সালের গোড়ায় রয়্যাল কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা প্রকাশ পেতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে গিয়েছে। ৮০০ পাতার রিপোর্টে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চাইলে এই হামলা বন্ধ করা যেত, এমন কথা বলা যায় না। কারণ, আক্রমণকারী ব্যক্তি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। জঙ্গি মতবাদ নিয়ে সে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে এমনও নয়। এক সময় সে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতো তার বাবার সঙ্গে। সেখান থেকে বিশ্ব ভ্রমণে গিয়েছিল সে। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে থাকতে শুরু করে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মাঝেমধ্যে উগ্র কথা বললেও সন্দেহ করার মতো কোনো ঘটনা সে ঘটায়নি। ফলে গোয়েন্দারা এই হামলার জন্য দোষী করা যায় না। তাদের পক্ষে আগাম খবর জোগার করে এই হামলা বন্ধ করা সম্ভব ছিল না।
টাইমলাইন: উগ্র-ডানপন্থিদের সন্ত্রাসী হামলা
গত দশ বছরে উগ্র-ডানপন্থিদের অসংখ্য হামলা করেছে৷ এর মধ্যে কয়েকটি বড় ঘটনার দিকে ফিরে তাকিয়েছে ডয়চে ভেলে৷
ছবি: picture-alliance/empics/PA Wire/D. Lawson
জার্মানি ২০০৯: ড্রেসডেন কোর্টে নারীকে ছুরিকাঘাত
২০০৯ সালের ১ জুলাই, ড্রেসডেনের জেলা জজ আদালতে মারওয়া এল-শেরবিনি নামের নারীকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়৷ ঐ নারী ছিলেন একজন ফার্মাসিস্ট৷ স্বামী ও ছেলে সন্তান নিয়ে ড্রেসডেনে থাকতেন৷ ২৮ বছর বয়সি এক রাশিয়ান-জার্মানের বিরুদ্ধে কোর্টে কটূক্তির অভিযোগের সাক্ষ্য দেয়ায়, যুবক হামলা চালান৷ ঐ যুবক মারওয়াকে ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘উগ্র মুসলিম’ বলে গাল দিয়েছিলেন৷ মারওয়া জার্মানিতে ইসলামবিদ্বেষের প্রথম হত্যার শিকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hiekel
নরওয়ে ২০১১: ব্রাইভিকের গণহত্যা
২০১১ সালের ২২ জুলাই অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রাইভিক নামের এক উগ্র ডানপন্থি যুবক একাই দু’টি ঘটনায় ৭৭ জনকে হত্যা করেন৷ তিনি প্রথমে অসলোর সরকারি ভবনে বোমা বিস্ফোরণ করেন এবং এরপর উটোয়া দ্বীপে নিরীহ তরুণদের এক সামার ক্যাম্পে গিয়ে গুলিবর্ষণ করেন৷ হামলার আগে তিনি একটি ইশতাহার প্রকাশ করেন৷ সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ‘ইউরোপের ইসলামীকরণ’-এর নিন্দা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Berit
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫: চ্যাপেল হিল শ্যুটিং
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি প্রতিবেশী তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করেন৷ নিহতরা হলেন দেয়াহ বারাকাত, তাঁর স্ত্রী ইউসর আবু-সালহা ও তাঁর বোন রাজান আবু-সালহা৷ হামলাকারী হত্যাকাণ্ডের আগে নিজেকে একটি সংঘবদ্ধ ধর্মের বিরোধী বলে উল্লেখ করেন৷ এই হত্যাকাণ্ডে অনলাইনে ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়৷ টুইটারে #MuslimLivesMatter নামে হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হয়৷
২০১৫ সালের ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার চার্লেস্টনে এমানুয়েল আফ্রিকান মেথডিস্ট এপিস্কোপাল চার্চে এক শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণপন্থি গুলিবর্ষণ শুরু করেন৷ এটি যুক্তরাষ্ট্রে কালোদের সবচেয়ে পুরোনো চার্চ৷ গুলিতে নয়জন নিরীহ আফ্রিকান-অ্যামেরিকান মারা যান৷ এর মধ্যে একজন যাজকও ছিলেন৷ ২১ বছর বয়সি সেই হত্যাকারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদ্বেষমূলক অপরাধে দণ্ডিত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: Getty Images/J. Raedle
জার্মানি ২০১৬: মিউনিখে গুলি
২০১৬ সালের ২২ জুলাই মিউনিখের ১৮ বছর বয়সি এক তরুণ একটি শপিং মলে ঢুকে গুলি করা শুরু করেন৷ এতে ১০ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হন৷ নিহতদের মধ্যে ঐ হামলাকারীও ছিলেন৷ হামলাকারী একজন ইরানি বংশোদ্ভুত জার্মান নাগরিক ছিলেন৷ পুলিশ জানায়, হামলাকারী বর্ণবাদী মন্তব্য করছিলেন৷ তিনি অভিবাসীদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাইছিলেন৷
ছবি: Getty Images/J. Simon
যুক্তরাজ্য ২০১৭: ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদে হামলা
২০১৭ সালের ১৯ জুন, ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি উত্তর লন্ডনের ফিন্সবুরি মসজিদের সামনে ভ্যান চালিয়ে দিয়ে একজনকে হত্যা ও ১০ জনকে আহত করেন৷ আক্রান্তরা সবাই মুসলিম ছিলেন এবং রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন৷ ইসলামবিদ্বেষী ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Augstein
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭: শার্লটসভিলেতে নব্যনাৎসিদের ওপর গাড়ি হামলা
২০১৭ সালের ১২ আগষ্ট ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলেতে এক শ্বেতাঙ্গ নাগরিক বিরোধী শিবিরে হামলা চালান৷ বিরোধী শিবিরটিও সাদাদের ছিল এবং সেখানে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও নব্য নাৎসিরা জড়ো হন৷ এতে এক নারী নিহত ও অনেকে আহত হন৷
ছবি: Getty Images/AFP/P.J. Richards
ক্যানাডা ২০১৭: কুইবেকে মসজিদে হামলা
২০১৭ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে কুইবেকের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে এক বন্দুকধারী সন্ধ্যার দিকে নামাজ পড়ার সময় হামলা চালান৷ এতে ছয় জন নিহত ও এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হন৷ ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হামলাকে জঙ্গি হামলা বলে অভিহিত করেন৷
ছবি: Reuters/M. Belanger
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮: সিনাগগে হামলা
২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর ৪৬ বছর বয়সি এক বন্দুকধারী পিটসবুর্গের ইহুদীদের একটি উপাসনালয়ে হামলা চালান৷ এতে ১১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন৷ হামলাকারী হামলার সময় বারবার ইহুদীবিদ্বেষী মন্তব্য করতে থাকেন৷ মার্কিন ইতিহাসে ইহুদীদের ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা৷
ছবি: picture-alliance/AP/M. Rourke
জার্মানি ২০১৯: নববর্ষে বোট্রোপ ও এসেনে হামলা
মধ্যরাতের কিছু পর যখন সবাই নিউইয়ার উদযাপন করছিলেন, তখন ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের দু’টি শহর বোট্রোপ ও এসেনে হামলা চালান৷ তিনি তার গাড়ি উদযাপনরত অভিবাসীদের ওপর চালিয়ে দেন৷ বোট্রোপে গাড়ি উঠিয়ে দেন সিরিয়ান ও আফগান দু’টি পরিবারের সদস্যদের ওপর৷ এতে আট জন আহত হন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kusch
নিউজিল্যান্ড ২০১৯: ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলা
ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে জোড়া হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন৷ একে উগ্র ডানপন্থিদের জঙ্গি হামলা বলে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ৷ বন্দুকধারী ব্যক্তি তার বর্ণবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী ইশতাহার অনলাইনে প্রকাশ করেন এবং হামলার ঘটনা লাইভস্ট্রিম করেন৷ কিউই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের ‘একটি অন্ধকারতম দিন’ বলে মন্তব্য করেন৷
ছবি: picture-alliance/empics/PA Wire/D. Lawson
11 ছবি1 | 11
৪৪টি আইন এবং প্রশাসনিক সংশোধনের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্দার্ন বলেছেন, প্রতিটি বিষয় নিয়েই তিনি মন্ত্রিসভায় আলোচনা করবেন। কমিশনের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে ভাবে অস্ত্র কিনেছিল ওই ব্যক্তি, তা রোধ করা সম্ভব।
নিউজিল্যান্ডে থাকতে শুরু করার পর ওই ব্যক্তি তার এক গেমিং ফ্রেইন্ড বা বন্ধুর কাছে সাহায্য করেছিল। ওই বন্ধু এবং তার বাবা সন্ত্রাসীর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছিল। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে বন্দুক কেনার ছাড়পত্র নিতে গিয়েছিল সন্ত্রাসী। পুলিশ সাক্ষাৎকার নিলেও মূলত ওই সার্টিফিকেটের উপর ভরসা করে তাকে অস্ত্র কেনার লাইসেন্স দিয়েছিল। রিপোর্ট বলা হয়েছে, অস্ত্র কেনার এই প্রক্রিয়া আরো কঠোর করা উচিত।
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং ইউটিউবে নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে। উগ্র মতামত যারা প্রকাশ করছে, তাদের নজরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চ হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারও রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে দিকে নজর রাখুক প্রশাসন।