সহসা কেউ সাহস করেন না এমনটা বলতে, যেমনটা বলেছেন সাকিব আল হাসান৷ যেমনটা মাশরাফি বিন মর্তুজাও৷ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিপক্ষে ঠিক বিপ্লব হয়তো নয়৷ তবে দুজন সাহসী উচ্চারণের বিস্ফোরণে ঠিকই কাঁপিয়ে দিয়েছেন হর্তাকর্তাদের৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ক্রিকেট আয়নার তাই অভিযোগের বারুদে পোড়া বিবর্ণ ছবি৷ লোকদেখানো আয়না মুছে যার শ্রী ফেরানো যাবে না কিছুতেই৷
ক্রিকেটার ও বোর্ডকর্তা - পরষ্পরের প্রতিপক্ষ তো নয়৷ বরং একই ছায়াতলের সহচর হবার কথা৷ কিন্তহালফিলে সেটি হচ্ছে কই! টুকটাক খুটখাট লেগেই আছে৷ সুযোগ পেলেই ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বোর্ড৷ ‘কোড অব কন্ডাক্ট'-এর শিকলে বেশিরভাগ সময় তা সহ্য করতে হয় মাঠের যোদ্ধাদের৷ কিন্তুকাঁহাতক!
সাকিব ও মাশরাফির মতো যোদ্ধারা তাই কখনো কখনো গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন৷ তাতে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ যে একেবারে থাকে না, এমন নয়৷ সঙ্গে ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থের ছবিটাও জনমানসে স্পষ্ট হয় প্রবলভাবে৷
সাকিব ছিলেন চুপচাপ৷ কিংবা সময়-সুযোগের অপেক্ষায়৷ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর দিনকয়েক আগে এক ফেসবুক লাইভে নিজের ইচ্ছের স্বপক্ষে যুক্তি দেন৷ তার ছুটির দরখাস্ত এমনকি জাতীয় দলের দেখভালে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান পড়েননি পর্যন্ত বলে ছোঁড়েন পাল্টা তির৷ এই বিভাগের কার্যক্রম, আরেক সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের হাই পারফম্যান্স বিভাগের কার্যকারিতাকে দাঁড় করান কাঠগড়ায়৷
জাতীয় দলের কিছু প্লেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি আছে: কোয়াব নেতা দেবব্রত পাল
ব্যস, বারুদে বিস্ফোরণ৷ আক্রোশের ফণা তুলে ফোঁস করে ওঠেন বোর্ডকর্তারা৷ সাকিবের আইপিএল খেলার ছাড়পত্র বাতিলের কথা পর্যন্ত বলেন৷
ওদিকে গণমাধ্যমে বোর্ডের বিপক্ষে সমানে কামান দাগতে শুরু করেন মাশরাফিও৷ অবসরকে ঘিরে বোর্ডের সঙ্গে যার টানাপড়েন দীর্ঘ সময় ধরে৷ সাকিবের সঙ্গে সুর মেলান তিনি৷ বোর্ডের নানা পর্যায়ের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন একের পর এক৷ বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তির অভিযোগে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বোর্ড৷
মাশরাফি এখন আর বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই৷ নিষেধাজ্ঞার সময় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন সাকিব৷ পরবর্তীতে আর নতুন করে চুক্তি হয়নি জাতীয় পর্যায়ে৷ সে হিসেবে মুখ বন্ধ রাখার বাধ্যবাধকতার সিলমোহর নেই তারও৷ সাকিবের ব্যাপারে বোর্ডসভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়া, প্রয়োজনে আইপিএল খেলার ছাড়পত্র বাতিলের যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আকরাম-দুর্জয়রা, সেটিও কথার কথা হয়েই থেকেছে৷ বরং এ নিয়ে আর কোনো ‘বাড়াবাড়ি' যেন না করা হয়, সে নির্দেশনা নিজেরোই নিজেদের দিয়েছেন বোর্ডকর্তারা৷
সাকিবের বিদ্রোহের লাল পতাকার বিপরীতে বিসিবি ওড়াচ্ছে সমঝোতার সাদা পতাকা৷ ব্যাপারটির আর জল গড়াতে দিতে চায় না, নিজেদের তরফ থেকে জলঘোলা করতেও অনিচ্ছুক৷
তাতে সাকিব-মাশরাফির কথার এক ধরনের নৈতিক বিজয় হলো সত্যি৷ কিন্তুক্রিকেট বোর্ডের বদলে যাওয়ার আশা করা যায় কি?বছর দেড়েক আগে মাশরাফিকে বাদ দিয়ে দেশের সব ক্রিকেটার নিয়ে যে ‘বিপ্লব', সেটির ফলাফলে কতটুকু শুধরেছেন কর্তারা? কতটা বদলেছে কিংবা উপকৃত হয়েছে ক্রিকেট? এবার তাই সাকিব-মাশরাফির ব্যক্তিপর্যায় থেকে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে পরিবর্তন হবে নীতিনির্ধারকদের মনমানসে, কাজ ও বিশ্বাসে - এ আশার আশ্বাস নেই সামান্যতম৷
ক্রিকেট ইতিহাসে বোর্ড ও ক্রিকেটারের বিবাদ
ক্রিকেটের বোর্ড বা ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বে জড়ানোর অনেক উদাহরণ আছে৷ এমনকি ডন ব্র্যাডম্যানও বাদ যান না সেই তালিকা থেকে৷ কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো ছবিঘরে৷
ছবি: Hulton Archive/Getty Images
ব্র্যাডম্যানের হুমকি
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরাকেও বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে হয়েছিল৷ সময়টা ১৯৩১ সাল৷ লেখালেখির জন্য অ্যাসোসিয়েট নিউজপেপারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেন ডন ব্র্যাডম্যান৷ অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড অব কন্ট্রোল তাতে বাধ সাধে৷ ব্র্যাডম্যানও সাফ জানিয়ে দেন প্রয়োজনে ক্রিকেট ছাড়বেন তবু চুক্তির অসম্মান করবেন না৷ বিষয়টির সুরাহা হয়েছিল অ্যাসোসিয়েট নিউজপেপারের সম্পাদকীয় প্রধানের মধ্যস্থতায় চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে৷
ছবি: Getty Images/Allsport Hulton
অসিদের টালমাটাল দশক
১৯৭০-এর দশকে খেলোয়াড়াদের সঙ্গে বোর্ডের টানাপোড়েনে অচলাবস্থা তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে৷ বেতন বাড়ানোর দাবিতে ১৯৭৫ সালে এক পর্যায়ে ক্রিকেটাররা ধর্মঘটেরও হুমকি দেন৷ জবাবে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তখনকার ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি অ্যালান বার্নার বলেছিলেন, পাঁচ লাখ ক্রিকেটার আছেন, যারা বিনা পয়সায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চাইবেন৷ ছবিতে, ১৯৬৩ সালের অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা৷
ছবি: Albert McCabe/Daily Express/Hulton Archive/Getty Images
ক্যারি প্যাকারের ‘বিদ্রোহী লিগ’
অস্ট্রেলিয়ার ‘মিডিয়া টাইকুন’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ক্যারি প্যাকার৷ ১৯৭৬ সালে নিজের মালিকানার চ্যানেল নাইনকে টেস্ট ম্যাচ সম্প্রচারের স্বত্ত্ব না দেয়ায় বোর্ডের উপর ক্ষুব্ধ হন৷ প্রতিশোধ হিসেবে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট নামে আলাদা লিগ চালু করেন৷ ব্যক্তি মালিকানার সেই টুর্নামেন্টের ছিল তিন দল, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বিশ্ব একাদশ৷ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডে বড় ধাক্কা লাগে এই টুর্নামেন্টের জেরে৷
ছবি: John Minihan/Hulton Archive/Getty Images
গ্রেগ চ্যাপেল থেকে টনি ক্রেগ
বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা নাম লেখান প্যাকারের টুর্নামেন্টে৷ এমনকি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক টনি ক্রেগ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক ইমরান খান, নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি পর্যন্ত যোগ দিয়েছিলেন বিতর্কিত এই সিরিজে৷ মাত্র তিন বছর চললেও দিবারাত্রি ম্যাচ, সাদা বল থেকে শুরু করে আধুনিক ক্রিকেটের অনেক কিছুরই অবদান এই টুর্নামেন্টের৷
ছবি: Hulton Archive/Getty Images
ভারতের বৃহৎ ছয়
সময়টা ১৯৮৮৷ অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকারের (ছবিতে) সাথে বিসিসিআই-এর সম্পর্ক আগে থেকেই খারাপ যাচ্ছিল৷ সঙ্গে যোগ দেন কপিল দেব, কিরণ মোরে, অরুন লাল, আজহারউদ্দিন ও রবি শাস্ত্রী৷ ম্যানেজমেন্টকে শর্ত মানাতে বাধ্য করে চুক্তি সই করেন তারা৷ এক বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ক্যানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেয়ায় ছয়জনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বোর্ড৷ আদালতের মধ্যস্থতায় পরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়৷
ছবি: Simon Bruty/Getty Images
বিতর্কিত কপিল
ভারতের ক্রিকেট গ্রেটদের তালিকায় কপিল দেবের নামটি চোখ বন্ধ করেই আসবে৷ তার হাতেই উঠেছিল দেশটির প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপাও৷ কিন্তু বিতর্কের পাল্লাটাও কম ভারি নয় কপিলের জন্য৷ খেলোয়াড়ী জীবনে সতীর্থ সুনিল গাভাস্কারের সঙ্গে ‘কথিত’ দ্বন্দ্ব আর খেলা ছাড়ার পরে বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ হিসেবে পরিচিত আইসিএল দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চক্ষুশূল হয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার৷
ছবি: AP
নির্বাচকরা জোকারের দল!
ভারতের আরেক কিংবদন্তী ক্রিকেটার মহিন্দর অমরনাথ৷ সুনীল গাভাস্কার যাকে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিহিত করেছিলেন৷ তবে টেস্ট দলে তার জায়গাটা তেমন পাকাপোক্ত ছিল না৷ সব সময়ই থাকতেন আসা-যাওয়ার মধ্যে৷ এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮৮ সালে তিনি ভারতীয় নির্বাচকদের অভিহিত করেছিলেন ‘একগুচ্ছ জোকার’ বলে৷ পরে নিজেও অবশ্য নির্বাচক হয়েছেন৷ বোর্ডের সঙ্গে সেসময় দ্বন্দে জড়িয়ে খবরের শিরোনামও হয়েছেন৷
ছবি: Adrian Murrell/Getty Images
হিথ স্ট্রিক ও সতীর্থরা
দল নির্বাচন নিয়ে প্রতিবাদ ও নির্বাচকদের সমালোচনার জেরে ২০০৪ সালে বরখাস্ত হন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক৷ মাত্র ৩০ বছর বয়সেই খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হন দেশটির বিশ্বমানের এই বোলার৷ তবে স্ট্রিকের বিদায়ের প্রতিবাদ, ন্যুনতম মজুরি ও খোলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশন গঠনের দাবিতে দরখাস্ত দেন তার ১৫ সতীর্থ৷ পরে তারাও দেশের হয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানান৷
ছবি: Graham Chadwick/Getty Images
গেইলদের বিদ্রোহ
২০০৫ সালের স্পন্সর চুক্তির পর থেকেই খেলোয়াড়দের নিয়ে সংকটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড৷ সবচেয়ে বড় তিক্ততাটি তৈরি হয় ২০০৯ সালের বার্ষিক চুক্তির সময়ে৷ ক্রিস গেইল, শিবনারায়ন চন্দরপাল, ডোয়াইন ব্রাভোসহ আরো দশ খেলোয়াড় চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়৷ ফলাফল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনকোরা দল নিয়ে ভরাডুবির শিকার হয় ক্যারিবীয়রা৷ খেলোয়াড়-বোর্ডের এই দ্বন্দ্বে এখনও ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট৷
ছবি: AP
সাম্প্রতিক উদাহরণ
বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসনের৷ পাওনা নিয়ে খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশন আর বোর্ডের দ্বন্দ্বে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অচলাবস্থা তৈরি হয় ২০১৭ সালেও৷ পাকিস্তানেও বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দূরত্ব আছে৷ সবশেষ পেসার আমীর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য দুষেছেন বোর্ডকে৷ ১১ দফা দাবিতে সাকিবের নেতৃত্বে ২০১৯ সালে নজিরবিহীন ধর্মঘটের ডাক দেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা৷
ছবি: bdnews24.com
10 ছবি1 | 10
কিন্তুএই যে ক্রিকেটার ও বোর্ডের পারষ্পরিক বিশ্বাসহীনতা, সেটি কেন? ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বোর্ড ও ক্রিকেটারদের অভ্যন্তরীণ বিষয় মিডিয়ায় চলে আসাকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন৷ পাশাপাশি পেশাদারিত্বের অভাবের কথাও উল্লেখ করেন তিনি, ‘‘সাকিব চিঠিটা যার কাছে দিয়েছেন, উত্তরটাও তার কাছ থেকেও চাইবেন৷ প্রয়োজনে তিনি (বিসিবির সিইও) মিডিয়ায় কথা বলবেন৷ তাই তো হওয়া উচিত ছিল৷ এখন বোর্ড যেহেতু সাকিবকে ছুটি দিয়েই দিয়েছে, এরপর সেটি নিয়ে আর আলোচনার অবকাশ আমি অন্তত দেখি না৷''
ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের সার্বিক সমন্বয়ের অভাবও দেখেন তিনি৷ তাতে তো সেতু হিসেবে কাজ করার কথা ক্রিকেটারদের এই সংগঠনেরই! কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক সেটা মেনে নিচ্ছেন, ‘‘এ জায়গায় আমাদের দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারি না৷ আমাদের সঙ্গে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারদের সার্বিক সমন্বয় আছে৷ কিন্তুজাতীয় দলের কিছু প্লেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি আছে; এটা সত্য৷ সাকিবের যে ব্যাপারগুলো মিডিয়ায় বলছে, সাকিবও কিন্তুআমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি৷ সাকিব যোগাযোগ করলে অবশ্যই আমরা বলতাম৷ আমাদেরও আরো প্রো-অ্যাকটিভ হওয়া উচিত ছিল৷ এ জায়গায় আমাদের অবশ্যই ঘাটতি আছে৷''
ঘাটতি আসলে অনেক জায়গাতেই৷ বিশেষত ওই ‘পেশাদারিত্ব' শব্দটায়৷ এর সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাব হয়নি৷ বরং অভাবটাই প্রকট৷ কখনো-সখনো তাই সাকিব-মাশরাফিদের বিস্ফোরণ ঘটলেও পরিবর্তন হয় না তেমন কিছুর৷ না বিসিবির; না ক্রিকেট পরিচালনার৷