করোনায় ঘরে থেকে এরিমধ্যে নিশ্চয় অনেক সিনেমা দেখে ফেলেছেন। আপনি যদি ক্রিকেটপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে এই মুভি আর ওয়েব সিরিজগুলো দেখতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
ইএসপিএনক্রিকইনফো সম্প্রতি ক্রিকেটের উপর নির্মিত দশটি দেখার মতো মুভি আর সিরিজের তালিকা প্রকাশ করেছে।
প্রথমেই আছে ‘ফায়ার ইন ব্যবিলন’। গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে ক্রিকেট বিশ্ব কাঁপানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট শুরুর আগে ইংল্য়ান্ডের অধিনায়ক টনি গ্রেগ এমন মন্তব্য করেছিলেন, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের কাছে অপমানজনক মনে হয়েছিল। এই ঘটনাটি তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে। এছাড়া বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা সাউথ আফ্রিকায় সফরে যেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডসকে ‘ব্ল্যাংক চেক’ ও ‘অনারারি হোয়াইট’-এর মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল সাউথ আফ্রিকা। রিচার্ডস তা গ্রহণ করেননি।
এরপর আছে অস্কার নমিনেশন পাওয়া বলিউড মুভি ‘লাগান’। আমির খান অভিনীত এই মুভিতে অভিজ্ঞ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সদ্য খেলা শেখা গ্রামবাসীদের জিততে দেখা গেছে। ব্রিটিশ শাসকদের কাছে গ্রামবাসী কর কমানোর অনুরোধ করলে ব্রিটিশরা তাদের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেয়। গ্রামবাসীদের বলা হয়েছিল, খেলায় তারা জিতলে কর কমানো হবে আর হারলে করের পরিমাণ উলটো বেড়ে যাবে।
আরেক বলিউড তারকা নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত ‘ইকবাল’ মুভিটি মূক ও বধির এক কিশোরের ভারতের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে তৈরি হয়েছে।
ইএসপিএনক্রিকইনফো-র তালিকায় আরো আছে ২০০৫ সালের উত্তেজনায় ভরপুর অ্য়াশেজ সিরিজের হাইলাইটস ও অন্যান্য বিশেষ কিছু মুহূর্ত নিয়ে নির্মিত ‘দ্য আশেজ: দ্য গ্রেটেস্ট সিরিজ'’। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজের নিষ্পত্তি হয়েছিল শেষ দিনের শেষ বিকেলে!
অ্য়াশেজ নিয়ে সাত পর্বের সিরিজ ‘বডিলাইন’ও দেখা যেতে পারে। ১৯৩২-৩৩ অ্য়াশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যানকে ঠেকাতে বডিলাইন বা ফাস্ট লেগ থিওরি বোলিং কৌশল ব্য়বহার করেছিল ব্রিটিশরা। লেগ সাইডে কাছাকাছি ফিল্ডার সাজিয়ে ব্যাটসম্য়ানের শরীর টার্গেট করে লেগে বল ফেলা- মোটামুটি এই ছিল বডিলাইন কৌশল।
ক্রিকেট রাজনীতি নিয়ে তৈরি ‘ডেথ অফ এ জেন্টেলম্য়ান’, ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং কেলেংকারি নিয়ে নির্মিত ‘দ্য টেস্ট: এ নিউ এরা ফর অস্ট্রেলিয়াস টিম’, ফিক্সিং, ক্রিকেট রাজনীতি নিয়ে তৈরি ওয়েব সিরিজ ‘ইনসাইড এজ', দুই বছর পর আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসের ফেরা নিয়ে নির্মিত ‘রোর অফ দ্য লায়ন’ এবং আলফ্রেড হিচককের ‘দ্য লেডি ভ্যানিশেস’ দেখারও পরামর্শ দিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
জেডএইচ/এসিবি (ইএসপিএনক্রিকইনফো)
ভ্রমণের ইচ্ছে জাগায় এমন ১০ মুভি
করোনা ভাইরাসের কারণে ডয়চে ভেলের ট্রাভেল এডিটররা এখন ঘরে বসে আছেন৷ তাদের মধ্যে দশজন তাদের প্রিয় মুভির কথা জানিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Schumann
ওয়াইল্ড (২০১৪)
প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে ১,৬০০ কিলোমিটারের বেশি হাইকিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছিলেন শ্যারল স্ট্রেইড৷ সেটি দিয়েই এই মুভিটি তৈরি হয়েছে৷ এটি দেখার পর মনে হয়েছে এখনই ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি, বলছেন ডয়চে ভেলের নিকোল মাইসনার৷
ছবি: picture-alliance/All Canada Photos/F. Pali
লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া (১৯৬২)
মরক্কো, জর্ডান (ছবি) আর স্পেনের মরুভূমিতে চিত্রায়িত এই মুভি ডয়চে ভেলের আনে টেয়ারমেসের মধ্যে মরুভূমির প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়েছে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সেনা কর্মকর্তা থমাস এডওয়ার্ড লরেন্সের অভিজ্ঞতা এই মুভিতে তুলে ধরা হয়েছে৷ বিশেষ করে জর্ডানের একমাত্র উপকূলীয় শহর আকাবা ও সিরিয়ার দামেস্কে তাঁর হামলার বিষয় উঠে এসেছে৷
জার্মান লেখক কার্ল মায়ের উপন্য়াসের একটি চরিত্র ভিনেটু৷ তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি মুভি তৈরি হয়েছে৷ এগুলোর বেশিরভাগেরই শুটিং হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়৷ যেমন, প্লিৎভিৎসে লেকস ন্যাশনাল পার্ক (ছবি)৷ বেশ কয়েকটি ঝরনা আর লেকের এই পার্ক হেঁটে কিংবা নৌকায় ঘুরে দেখা যায়৷ (এলিজাবেথ ইয়র্ক ফন ভার্টেনবুর্গ)
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Schumann
জেমস বন্ড ০০৭ - থান্ডারবল (১৯৬৫)
ডয়চে ভেলের ইয়েন্স ফ্রিৎসে বন্ডের সঙ্গে দুনিয়া ঘুরতে পছন্দ করেন৷ তাঁর প্রিয় একটি জেমস বন্ড মুভি হচ্ছে থান্ডারবল৷ এর মাধ্যমে লন্ডন থেকে বাহামার রাজধানী নাসাওতে ঘুরতে পেরেছেন ইয়েন্স ফ্রিৎসে৷ এরপর ১৯৮৩ সালে থান্ডারবলের রিমেক ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেন’ মুক্তি পেলে আবারও বাহামায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/J. Tack
বেস্ট এক্সোটিক মেরিগোল্ড হোটেল (২০১১)
ভারতের জয়পুরে চিত্রায়িত এই মুভিটি পছন্দ করেন ডয়চে ভেলের ক্যায়ারস্টিন শ্মিড্ট৷ কারণ ব্রিটিশ এই কমেডি তাকে জয়পুরের বাজার, প্রাসাদে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে৷ তবে ব্রিটিশ পেনশনারদের মতো সেখানে অবসর কাটাতে না চাইলেও দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে ঘুরতে যেতে চান ক্যায়ারস্টিন শ্মিড্ট৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/V. Bhatnagar
রাফিকি (২০১৮)
কেনিয়ার দুই তরুণীর ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে এই মুভি তৈরি হয়েছে৷ ক্যামেরার কাজের মাধ্যমে কেনিয়ার দারুণ কিছু চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের উইনি মডেস্টো৷ করোনার সময়ে এই মুভি তাকে কেনিয়ায় তার শেষ সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/F. El-Geziry
ইঙ্কহার্ট (২০০৮)
জার্মান লেখক কর্নেলিয়া ফুংকের ‘ইঙ্কহার্ট’ ট্রিলজির প্রথম বই ইঙ্কহার্ট প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে৷ সেটি নিয়ে ২০০৮ সালে তৈরি মুভিতে ইটালির দুটি জায়গা দেখানো হয়েছে৷ এটি দেখার পরপরই সেসব জায়গায় ছুটে যেতে চেয়েছেন ডয়চে ভেলের সুসান বনি-কক্স৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/H. Corneli
ওয়ান, টু, থ্রি (১৯৬১)
পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির দ্বন্দ্ব স্যাটায়ারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এই মুভিতে৷ তবে যখন শুটিং চলছিল সেই সময় ১৯৬১ সালের ১৩ আগস্ট বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়৷ মুভিটি মুক্তি পায় ঐ বছরের ডিসেম্বরে৷ ঐ সময়কার পরিস্থিতিতে এমন স্যাটায়ারভিত্তিক ছবি ভালো চলেনি৷ পরে ১৯৮৫ সালে আবারও মুক্তি দেয়া হলে এটি সফল হয়েছিল৷ (ক্রিস্টিয়ান হফমান)
ছবি: picture alliance / akg-images
লস্ট ইন ট্রান্সলেশন (২০০৩)
ফ্লুরেসেন্ট বাতি, ভবিষ্যৎমুখী ভবন, বৌদ্ধমন্দির - জাপানের রাজধানী টোকিওর এমন চিত্র ফুটে উঠেছে এই মুভিতে৷ তাই সেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ডয়চে ভেলের ইয়ানিস হেক্টোয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Duenzl
ব্লেড রানার (১৯৮২)
এই সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখে উচ্ছ্বসিত ডয়চে ভেলের আন্দ্রেয়াস কির্শহোফ৷ বিশেষ করে ডাচ অভিনেতা রাজগার হাওয়ারের শেষ দৃশ্যের মন্তব্যটি তার বিশেষ প্রিয়৷ সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি যা দেখেছি তা তোমরা বিশ্বাস করবেনা৷’’