সুমো কুস্তির দেশ জাপান৷ ফুটবলের বিশ্বকাপও খেলেছে দেশটি৷ কিন্তু জাপানিরা ক্রিকেট খেলে, এটা বোধ হয় অনেকের জানা নেই৷ সেই জাপানের কিশোররা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলছে৷
ছবি: Reuters/I. Kato
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে৷ পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই পর্বে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে জাপান৷ প্রথম ম্যাচে সামোয়াকে ১৭০ রানে হারিয়েছিল তারা৷
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের গ্রুপে পড়েছে জাপান৷ শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলছে তারা৷
খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা আশা করছেন, কিশোরদের বিশ্বকাপ খেলার মধ্য দিয়ে জাপানে ক্রিকেটের বিস্তার ঘটবে৷
ক্রিকেটের প্রসারে কাজ করছে জাপানি ক্রিকেট এসোসিয়েশন, জেসিএ৷ প্রথমে পুরো দেশকে লক্ষ্য না করে দুটি শহরকে বেছে নেয়া হয়েছে৷ একটির নাম সানো, অন্যটি আকিশিমা৷ এই দুই শহরের স্কুলগুলোতে জুনিয়র ক্রিকেট ব্লাস্ট কর্মসূচি চলছে৷ এই কর্মসূচি থেকেই বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন এসেছেন৷
ক্রিকেট এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী নাওকি অ্যালেক্স মিয়াজি দলের এমন পরিচয়কে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন৷ তিনি বলেন, ২০১৯ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত রাগবি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল জাপান৷ ঐ দলের ১৬ সদস্যেরই জন্ম জাপানের বাইরে৷ ‘‘তাঁরা জাপানি, তাঁরা জাপানি ভাষা বলেন, তাঁরা এমন মূল্যবোধের অধিকারী যার সঙ্গে জাপানিরা মিল খুঁজে পান,'' বলেন তিনি৷
বাংলাদেশ অধিনায়কের স্বপ্ন ফাইনাল
কিশোরদের বিশ্বকাপে আছে বাংলাদেশও৷ দলের অধিনায়ক আকবর আলী ২ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন৷
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য তৃতীয় স্থান৷
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে৷ এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচটি টাই হয়েছে৷ ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ছয় উইকেটে ২৫০৷ এই রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৩ ওভাবে সমপরিমাণ রান করে অলআউট হয়ে যান অসিরা৷
পরের ম্যাচে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা৷ মাত্র ১১২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল তারা৷ পরে ম্যাচটি চার উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ৷
শনিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবোয়ের সঙ্গে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ৷ গ্রুপ পর্বের পরের দুটি ম্যাচ ২১ তারিখ স্কটল্যান্ড ও ২৪ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে৷
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ গত ১০ নভেম্বর উনিশ বছর পূর্ণ করে বিশে পা রেখেছে৷ সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের গড়া বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশে কারা এবং কেন স্থান পেয়েছেন তা জানতে দেখুন আমাদের এই ছবিঘর৷
ছবি: AP
মাশরাফি
সেরা একাদশের নেতৃত্ব নির্দ্বিধায় মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে তুলে দিয়ে সুমন বলেছেন, ‘‘এত জোরে বল করতে আমি দেশের খুব কম বোলারকেই দেখেছি৷ সুইংও ছিল৷ অত্যন্ত বুদ্ধিমান বোলার৷’’
ছবি: AP
তামিম
‘সেরা পারফর্মার‘ হিসেবেই ওপেনিংয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল৷ লর্ডসে সেঞ্চুরি করা এই খেলোয়াড়কে একাদশে রাখার পেছনে দেশ ও দেশের বাইরে পারফর্ম্যান্সকেই বড় করে দেখেছেন হাবিবুল বাশার৷ তিনি বলেন, ‘‘পেস ও স্পিন সমান ভালো খেলে৷ সবচেয়ে বড় কথা, ওর ব্যাটিং অন্য ব্যাটসম্যানদেরও আত্মবিশ্বাস দেয়৷ ওকে এক নম্বরে রাখতে তাই একদমই সময় লাগেনি৷’’
ছবি: picture-alliance/A. Salahuddin
জাভেদ ওমর
৪০টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা এবং টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হাবুডুবু খাওয়ার সময়ে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে জাভেভ ওমরকে দলে রেখেছেন সুমন৷
ছবি: Shamsul Hoque Tanku
মুমিনুল
তিন নম্বর পজিশনে স্থান পেয়েছেন তিনি৷ সুমন বলছেন, মুমিনুলকে বাছতে কষ্ট হয়নি তার৷ তবে এই পজিশনে মুমিনুলকে বাদ দিলে নিজেকে জায়গা দিতেন তিনি৷ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে একাদশে রাখার ব্যাখ্যায় সুমন বলছেন, ‘‘রান করার দক্ষতা অনেক এবং ব্যাকফুটে শক্তিশালী৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
বুলবুল
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে একাদশে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো অনেক কিছুই দেওয়ার ছিল তাঁর৷’’ মাত্র ১৩ টেস্ট ক্যারিয়ারেও বুলবুল সর্বকালের সেরা একাদশে থাকার মতো ঝলক দেখিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করেন হাবিবুল বাশার সুমন৷
ছবি: Shamsul Hoque Tanku
আকরাম খান
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক আকরাম খানকে সেরা একাদশে জায়গা দিয়ে সুমন বলছেন, ‘‘যে-কোনো বোলিং আক্রমণকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে ফেলার ক্ষমতা ছিল উনার৷ পেস ও স্পিন খেলার সামর্থ্যের দিক থেকে অত্যন্ত উঁচু দরের ব্যাটসম্যান তিনি৷’’
ছবি: DW/Z. Chowdhury
সাকিব
অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান৷ সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি৷
ছবি: Munir uz Zaman/AFP/Getty Images
মুশফিক
সুমন বলছেন, মুশফিক অলরাউন্ডার, কারণ, তিনি উইকেটের পেছনেও দাঁড়াবেন৷ বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক হিসেবে খালেদ মাসুদ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও মুশফিককে দিয়ে কিপিং করালে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান খেলাতে পারার চিন্তা থেকেই তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন সুমন৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
রফিক
এই সি্পন বোলারকে একাদশে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘রফিক আমার দলে সব সময়ই থাকবে৷ আমি অধিনায়ক থাকাকালে সে আমাকে খুব কমই বঞ্চিত করেছে৷ রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট তুলে নেওয়ায় ওর চেয়ে ভালো আর কেউ নয়৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
শাহাদাত
ভীতিকর পেসার হিসেবে একাদশে শাহাদাত হোসেনকে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক যে রকম আক্রমণাত্মক বোলার চায়, শাহাদাত সে রকমই একজন৷ সত্যিকারের টেস্ট বোলার৷’’
ছবি: AP
মুস্তাফিজ
টেস্ট ক্যারিয়ারে এখনো বলার মতো কিছু না করলেও মুস্তাফিজকে যে-কোনো উইকেটে উইকেট নেওয়ার মতো বোলার বলেই মনে করেন সুমন৷ এজন্য তাঁর সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই বোলার৷