বড়দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউক্রেনের মানুষকে ‘দুঃসহ যন্ত্রণা' থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠার ডাক দিচ্ছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷
বিজ্ঞাপন
ভাষণে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের জনগণের ‘দুঃসহ যন্ত্রণার’ কথা তুলে ধরতে যাচ্ছেন তিনি৷ জার্মানির টেলিভিশনে রোববার সন্ধ্যা সাতটায় এই ভাষণ প্রচারিত হবে৷
ডয়চে ভেলের কাছে আগাম আসা লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী, স্টাইনমায়ার ফ্রাইব্যার্গ শহরে ৫০ জন ইউক্রেনীয় শিশুর সঙ্গে তার এক সাম্প্রতিক সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন৷ যুদ্ধের কারণে মায়েদের সঙ্গে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া এই শিশুরা এখন জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যে বসবাস করছে৷
তার প্রত্যাশা ইউক্রেনে আবারও শান্তি ফিরে আসবে৷ তবে তার মতে সেই ব্যবস্থাটি এমন হতে হবে যাতে, ‘‘ভূমি দখলকারীরা পুরস্কৃত না হয় এবং ইউক্রেনের মানুষকে দখলদারদের স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার মধ্যেও ছেড়ে দেয়া না হয়৷’’
হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকারদের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও উল্লেখ করছেন রাষ্ট্রপতি৷ ভাষণে তিনি ইউক্রেনীয়দের সহায়তা করার জন্য জার্মান জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন৷
যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মানুষের উপর যে চাপ তৈরি হয়েছে সেই বিষয়টিও তুলে ধরছেন তিনি৷ এজন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ থাকবে ভাষণে৷ মানুষ যাতে আশা না হারায় এবং ভীত ও বিভক্ত না হয়ে পড়ে জনগণের প্রতি সেই আহ্বান থাকবে জার্মান রাষ্ট্রপতির৷ থাকবে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বার্তাও৷
এফএস/জেডএ
জার্মানির অন্যরকম ক্রিসমাস মার্কেট
রোস্ট করা বাদাম এবং ওয়াইনের মতো পানীয় জার্মানির বেশিরভাগ ক্রিসমাস মার্কেটে প্রধান খাবার। কিন্তু আপনি যদি স্ট্রিপ শো বা প্রাচীন মধ্যযুগীয় পরিবেশে থাকার মতো অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাহলে এই ছবিঘর দেখুন
ছবি: Agentur Grenzgänger
সান্তা পাওলি: হামবুর্গের ইরোটিক ক্রিসমাস মার্কেট
জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হামবুর্গ। এই শহরে রয়েছে বন্দর, অপেরা হাউস এবং বিখ্যাত রেড-লাইট জেলা রেপারবান। স্ট্রিপ শো এবং একাধিক অন্যরকম পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিসমাস মার্কেটের চেয়ে ভাল জায়গা আর কী হতে পারে। তাই এই সান্তা পাওলি ক্রিসমাস মার্কেটের সত্যিই নিজস্ব চার্ম রয়েছে।
ছবি: picture alliance/dpa
ম্যুলেনসডর্ফার ক্রিসমাস মার্কেটে প্রকৃতির টান
শীতে অরণ্যের মায়াবী সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এখানে না এসে উপায় নেই। ২৫ বছর ধরে বার্লিন এবং লাইপজিশের মাঝামাঝি বনাঞ্চলে অবস্থিত ম্যুলেনসডর্ফার ক্রিসমাস মার্কেট পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। সবাই এই মার্কেটের প্রশংসা করেন। বাচ্চাদের জন্য ট্রেনে চড়া এবং মোমবাতি তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। একটি স্মোকহাউসও রয়েছে, যেখানে ধূমায়িত মাছ এবং চিজ পাওয়া যায়।
ছবি: Wald-Weihnachtsmarkt Möllensdorf
স্প্রিভাল্ড অঞ্চলে ক্রিসমাস
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ক্রিসমাস মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে জার্মানির শান্ত স্প্রিভাল্ড অঞ্চলের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে ঐতিহাসিক ভবনগুলি দেখতে লেদের ওপেন-এয়ার মিউজিয়ামে যান। উৎসবের মরসুম বলে দারুণভাবে সাজানো হয়েছে ভবনগুলো। সেখান থেকে ছোট্ট একটা নৌকায় চেপে বন্দর সংলগ্ন গ্রোসে স্প্রিভাল্ডহাফেন ল্যুবেনাউ-এর দুর্দান্ত বাজারে ঘুরে আসুন।
ছবি: picture alliance/dpa
ভার্টবুর্গ ক্যাসেল ক্রিসমাস মার্কেট
শীতকালে জার্মানির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস বাজার উপভোগ করতে টুরিঙ্গিয়ার ভার্টবুর্গ ক্যাসেলে ভিড় করেন পর্যটকেরা৷ ক্যাসলের উঠানো মোমবাতি থেকে লণ্ঠনসহ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প বিক্রি হয়। সংগীতশিল্পী, গল্পকার এবং পুতুল নাচের পাপেট শিল্পীরাও সেই পুরনো দিনের ধাঁচে ক্রিসমাসের উৎসবে অংশ নেন। সুস্বাদু খাবারও মেলে এখানে।
ছবি: Wartburg Stiftung
ভূগর্ভে ক্রিসমাস মার্কেট
রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট স্টেট আঙুর খেতের জন্য সুপরিচিত। তবে ট্র্যাবেন-ট্রারবাখ শহরে মাটির নীচে ওয়াইন সেলারসমেত ক্রিসমাস মার্কেট বসে। ওয়াইন উৎসাহীদের মুখে মুখে এই মার্কেটের কথা রটে যাওয়া তাই স্বাভাবিক। এই ওয়াইন সেলারগুলির মধ্যে কয়েকটি ষোড়শ শতকের। মোসেল ওয়াইন ছাড়াও ক্রিসমাস মার্কেটে আসা পর্যটকেরা নানা খাবার এবং সুস্বাদু স্থানীয় ওয়াইনও পাওয়া যায় এখানে।
ছবি: Chris Marmann
মধ্যযুগীয় আমেজ
আপনি যদি স্টুটগার্টের কাছাকাছি কোথাও মধ্যযুগীয় আমেজ পেতে চান, তাহলে এসলিঙ্গেনের ক্রিসমাস মার্কেটে যান। আপনার তিরন্দাজির দক্ষতা কেমন সেটাও এই ক্রিসমাস মার্কেটে পরখ করতে পারেন। প্রাচীন শিল্পীরা কাজের সময় কেমন পরিশ্রম করতেন, তাও দেখতে পাবেন।
ছবি: Thomas Wagner/Esslingen Markt und Event GmbH (EME)
খনির মধ্যে বড়দিনের আনন্দ
ক্রিস্টকিন্ডলমার্কটি বাভারিয়ার হাউজেনবার্গে একটি পুরানো খনিসমৃদ্ধ এলাকায় অবস্থিত। এখানে স্থানীয় কারুশিল্পের পাশাপাশি প্রথাগত হস্তশিল্পের কৌশল যেমন পাথরের কাজও প্রদর্শিত হয়।
ছবি: Dionys Asenkerschbaumer
মিউনিখে গোলাপি ক্রিসমাস
মিউনিখের পিঙ্ক ক্রিসমাস মার্কেট প্রথম শুরু করে এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী। এখানে দুর্দান্ত খাবার এবং পানীয় পাবেন। খোলা মনের মানুষও পাবেন। রাতের পারফরম্যান্স সহ একটি দারুণ পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। এটি শহরের প্রথম জলবায়ু-নিরপেক্ষ ক্রিসমাস মার্কেট।
ছবি: Agentur Grenzgänger
রাভেনা জর্জ ক্রিসমাস মার্কেট
দক্ষিণ জার্মানির মনোরম পরিবেশে একটি উপত্যকায় অবস্থিত রাভেনা জর্জ৷ ৫৮ মিটার লম্বা (১৯০ ফুট) রেলওয়ে ওভারহেড এবং আশেপাশে জলপ্রপাতসহ এটি দেশের সবচেয়ে দর্শনীয় ক্রিসমাস মার্কেটের একটি। সরাসরি রূপকথার দৃশ্যের মতো দেখায় এই ক্রিসমাস মার্কেটটিকে।
ছবি: picture alliance/dpa
বাভারিয়ার ক্রিসমাস দ্বীপ
উৎসবের সময় একটি দ্বীপে পালিয়ে যেতে চান? তাহলে বাভারিয়ার শিমসি লেকের ফ্রাউয়েনশিমসি দ্বীপে যেতে পারেন। ৩০০ জন বাসিন্দার বাড়ি রয়েছে এখানে। এলাকাটি খুব সুন্দর, পাশাপাশি আকর্ষণীয় ক্রিসমাস বাজার রয়েছে। দ্বীপটিতে কোনো গাড়ি চলে না। ফেরি করে যাতায়াত করেন পর্যটকেরা।