1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রিস্টাল দিয়ে শিল্পসৃষ্টি

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি২ জুলাই ২০১৫

উচ্চ মানের ক্রিস্টাল বা স্ফটিক দেখলে মুগ্ধ না হয়ে থাকা যায় না৷ অলংকার থেকে শুরু করে ঝাড়লণ্ঠন, নানা রূপে ক্রিস্টাল শোভা পেতে পারে৷ দুই শিল্পী অস্ট্রিয়ায় ক্রিস্টালের এমন এক অভিনব জগত সৃষ্টি করেছেন, যার মাত্রাই আলাদা৷

Bleikristall
ছবি: DW/J. Wochnik

অস্ট্রিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটক কেন্দ্র ‘ক্রিস্টাল ওয়ার্ল্ড'-এর নতুন আকর্ষণ কাও পেরো-র মেঘ৷ প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ইউরো ব্যয় করে সম্প্রতি সেটির সম্প্রসারণ করা হয়েছে৷ এর কেন্দ্রস্থলে রয়েছে তথাকথিত সবুজ মাঠ৷ তার মাঝে রয়েছে বিস্ময় কামরা৷ বিশ্বখ্যাত সোয়ারভস্কি কোম্পানির শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে অস্ট্রিয়ার মাল্টিমিডিয়া শিল্পী আন্দ্রে হেলার এটি সৃষ্টি করেছিলেন৷

কাও ও পেরো বিস্ময় কামরা খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে তারপর ক্রিস্টাল মেঘের কাজ শুরু করেছিলেন৷ সাভিয়ের বলেন, ‘‘আমরা বিস্ময় কামরার মূল চরিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি, যা আসলে কল্পনার জগত৷ শুধু ঘরে নয়, বাইরেও৷''

ক্রিস্টাল মেঘ তৈরি করতে দুই বছর সময় লেগেছিল৷ মূল পরিকল্পনায় শুধু আউটলাইন স্থির করা হয়েছিল৷ তারপর কাও পেরো ও তাঁদের বিশাল টিম স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ শুরু করে৷ শিল্পীদের নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ জন কর্মী সঠিক স্থানে ক্রিস্টাল লাগিয়েছিলেন৷

সাভিয়ের পেরো বলেন, ‘‘আমরা সবক'টি পথে হেঁটেছিলাম, ঘাসের লন পর্যন্ত৷ কোথা থেকে কোনটা কেমন দেখাচ্ছে, সেই অভিজ্ঞতা কেমন – তা জানতে চেয়েছিলাম৷ এভাবে নানা রকম রদবদল করতে করতে আমরা চূড়ান্ত অবস্থা সৃষ্টি করলাম৷''

ছবি: Christian Nitz/Fotolia

অ্যান্ডি কাও বলেন, ‘‘প্রত্যেক প্রকল্পে নতুন কিছু করার তাগিদ থাকে৷ ভুল থেকেই শিখতে হয়৷ নিজের ‘ইনস্টিংক্ট' ও ‘ইনটিউশন'-এর উপর ভরসা করতে জানতে হয়৷ সেটাই আমাদের সঠিক পথে চালিত করে৷''

২০০৪ সালেই ক্যালিফোর্নিয়ার এই দুই শিল্পী মাছ ধরার তার ও টেক্সটাইল দিয়ে একটি ইনস্টলেশন তৈরি করেছিলেন৷ ক্যানাডায় তাঁরা একটি পার্কে বিশাল লণ্ঠন তৈরি করেছিলেন, যার মধ্যে থাকা যায়৷ ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদে বাতাসের ধাক্কায় নতুন ডিজাইন সৃষ্টির অভিনব আইডিয়াও তাঁদের মনেই আসে৷

সাভিয়ের পেরো বলেন, ‘‘সে কারণেই আমরা এগুলিকে পরিবেশ বলি – শুধু বাগান বা ল্যান্ডস্কেপ নয়৷ সামগ্রিক এই পরিবেশ ত্রিমাত্রিক বা ফোর-ডায়মেনশানের সব দিক তুলে ধরে৷ প্রতিটি মুহূর্ত, এমনকি আবহাওয়াও এর রূপ বদলে দেয়৷''

সম্প্রতি এই দুই শিল্পী ক্রিস্টাল দিয়ে ব্রিটেনের একটি ম্যানরের বারান্দায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন৷ অস্ট্রিয়ায় প্রায় ১ দশমিক ৩ হেক্টর এলাকায় স্ফটিকের মহিমা শোভা পাচ্ছে৷ প্রতি বছর সেখানে গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় ১০ লক্ষ দর্শক আশা করা হচ্ছে৷ সাভিয়ের পেরো বলেন, ‘‘যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোনো দর্শক এর মধ্যে পাহাড়ের বদলে মরুভূমির বালুর স্তূপ দেখতে পাবেন৷ সমুদ্রতীরের মানুষ হয়ত ঢেউয়ের তরঙ্গ দেখবেন৷ অর্থাৎ একই সময়ে এর নানা রূপ থাকবে৷ মানুষ যা চায়, সেটা দেখার স্বাধীনতা থাকবে৷''

অ্যান্ডি কাও বলেন, ‘‘এবং নিজের জন্য একটা মুহূর্ত পাওয়া৷ বাগান তো আসলে পালানোর জায়গা!''

দুই শিল্পী এই ক্রিস্টাল মেঘের ভবিষ্যৎ বিবর্তন নিয়ে এখনই রোমাঞ্চ বোধ করছেন৷ বাতাস ও আবহাওয়া তাঁদের সৃষ্টি করা পাথর ও তারের চরিত্র ধীরে ধীরে বদলে দেবে৷ সেটাই তো রোমাঞ্চের কারণ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ