ক্রুজ ট্রিপ এখন পর্যটন শিল্পের সোনার হাঁস, নিয়মিত সোনার ডিম পাড়ে৷ ক্রুজ জাহাজগুলি যেন ভ্রাম্যমান দ্বীপ, তা-ও আবার ভূমধ্যসাগরে – সঙ্গে রয়েছে খানাপিনা, নাচগান, শরীরচর্চা, এক কথায় যা প্রাণ চায়৷
বিজ্ঞাপন
পর্যটন শিল্পের সোনার হাঁস
04:17
সাগরের বুকে ছুটি কাটানোর নাম ক্রুজ৷ ক্রুজে যারা যান, তারা একদিকে সমুদ্র, অন্যদিকে নানা দেশ দেখতে আর উপভোগ করতে চান৷ হোটেল তো সঙ্গেই আছে, শুধু সুটকেস খুলে জামাকাপড় বের করে নিলেই হলো৷ রথ দেখা আর কলা বেচার আদর্শ হলো এই ক্রুজ ট্রিপ৷
গতবছর বিশ লাখ জার্মান গিয়েছিলেন ক্রুজ ট্রিপে৷ কিসের আকর্ষণে? এক যাত্রী বললেন, ‘‘প্রথম ক্রুজ ট্রিপটা সত্যিই দারুণ, প্রথমবার এ রকম একটা জাহাজ দেখা৷ বিশেষ করে ডাঙা থেকে এলে প্রথমে অনুভূতিটা হজম করতে হয়৷’’
হামবুর্গ বন্দর থেকে ক্রুজ শিপগুলো ছাড়ে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও স্পেনের উদ্দেশ্যে৷ হামবুর্গের পর্যটন বিশেষজ্ঞ উলরিশ রাইনহার্ড টুরিজমের হালের ট্রেন্ডগুলো নিয়ে চর্চা করেন৷ তাঁর মতে,‘‘ক্রুজ জাহাজগুলো হলো ভবিষ্যতের সব ভাসন্ত দ্বীপের মতো৷ চড়লে মনে হবে যেন একটা নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷ দূরে দিগন্ত, আবার প্রতিটি সকালে একটি করে নতুন শহর, যা ঘুরে দেখা যায়৷ নিরাপত্তা রয়েছে, জাহাজে নতুন নতুন লোকের সঙ্গে আলাপ হয়৷ সব মিলিয়ে ক্রুজ ট্রিপের ব্যবসা বাড়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷’’
চলুন যাই ‘ক্রুজ শিপ’-এ
‘ক্রুজ শিপ’ বা বিলাসবহুল প্রমোদতরী তৈরিতে এগিয়ে আছে ইউরোপ৷ এসব জাহাজে করে ভ্রমণে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ নতুন জাহাজ তৈরিতে পরিবেশের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F.Dubray
জনপ্রিয়তা বাড়ছে
চলতি বছর প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ‘ক্রুজ শিপ’ অর্থাৎ বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছে ‘ক্রুজ লাইনস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন’ বা সিএলআইএ৷ আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটি প্রায় ১০ লক্ষ বেশি৷ এই সময়ে ২৬টি নতুন ক্রুজ শিপ পানিতে নামবে বলেও জানিয়েছে সিএলআইএ৷ এর মধ্যে ১২টি গভীর সমুদ্রে যাওয়া জাহাজ আছে৷ আর বাকিগুলোর মধ্যে আছে নদীতে চলবে এমন জাহাজ ও বিশেষায়িত নৌকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Herrera
মেড ইন জার্মানি
এ বছর যে জাহাজগুলো চলাচল শুরু করবে তার প্রতি চারটির মধ্য একটি জার্মান শিপইয়ার্ড বা তার সাবসিডিয়ারিতে তৈরি হবে৷ নতুন জাহাজগুলো ২৮ হাজারেরও বেশি যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
ইউরোপীয়দের প্রাধান্য
ইটালির ফিনকানতিয়েরি, ফ্রান্সের এসটিএক্স ও জার্মানির মায়ার ভ্যার্ফট (ছবি) - এই তিন শিপইয়ার্ডেই বেশিরভাগ বিলাসবহুল প্রমোদতরী নির্মাণ করা হয়৷ ২০১৬ সালের শুরু পর্যন্ত ফিনকানতিয়েরি-র কাছে ২৪টি, মায়ার ভ্যার্ফটের কাছে ২১টি ও এসটিএক্স ফ্রান্সের কাছে ১২টি জাহাজ তৈরির কার্যাদেশ ছিল৷
ছবি: Meyer Werft
পরিবেশের ক্ষতি কমানোর লক্ষ্য
নতুন যে জাহাজগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলোতে জ্বালানি তেলের পরিবর্তে এলএনজি অর্থাৎ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হবে৷ এছাড়া থাকবে ইলেকট্রিক মোটর, এলইডি বাতি ইত্যাদি৷ জাহাজের কাঠামোর কোটিংয়েও পরিবর্তন আনা হবে৷ এছাড়া জাহাজ তৈরিতে অপেক্ষাকৃত হালকা ওজনের ধাতু ব্যবহারের মাধ্যমে একে জ্বালানি সাশ্রয়ী করে তোলা হবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/I. Wagner
সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী
নাম ‘হারমোনি অফ দ্য সিজ’৷ দৈর্ঘ্য ৩৬২ মিটার আর প্রস্থ ৬৬ মিটার৷ আছে ১৬টি ডেক, ২০টি খাবার ঘর, ২৩টি সুইমিং পুল৷ প্রায় ১২ হাজার গাছ সমৃদ্ধ একটি পার্কও আছে জাহাজটিতে৷ ৫,৪৮০ জন যাত্রী আর ২,০০০ জন ক্রু পরিবহণে সক্ষম এটি৷ ‘রয়েল ক্যারিবিয়ান ক্রুজ’ জাহাজটি তৈরিতে এসটিএক্স ফ্রান্সকে এক বিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F.Dubray
ভালো দিন নয়
১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল ক্রুজ শিপের ইতিহাসে বেদনাদায়ক এক দিন৷ সেদিন ‘টাইটানিক’ ডুবে গিয়েছিল৷ ২৬৯ মিটার দীর্ঘ জাহাজটিতে নয়টি ডেক ছিল৷ দুর্ঘটনার সময় টাইটানিকে প্রায় ২,২০০ মানুষ ছিলেন৷ এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন প্রাণ হারান৷ দুর্ঘটনায় পড়ার এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের মধ্যে অন্য একটি জাহাজ উপস্থিত হলেও টাইটানিকে সবার জন্য লাইফবোট না থাকায় এতজনের মৃত্যু হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্রুজ জাহাজ নির্মাণে চীন?
২০১৬ সালে প্রায় ১০ লক্ষ চীনা নাগরিক প্রমোদতরীরে ভ্রমণ করেছেন৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সংখ্যাটি ৮০ লক্ষ হতে পারে৷ তাই চীনা শিপইয়ার্ডগুলো ক্রুজ জাহাজ তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ ২০১৫ সালে ইটালির ফিনকানতিয়েরি ‘চায়না শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন’ এর সঙ্গে একটি যৌথ কোম্পানি গড়ে তুলেছে৷ তারা চীনা বাজারের জন্য জাহাজ তৈরি করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
ক্রুজের রকমফের
ইউরোপীয়দের বিশেষ প্রিয় হলো ভূমধ্যসাগর ক্রুজ৷ এখানে গরমকালে বিশেষ বৃষ্টি হয় না, মানে আকাশ নীলই থাকে৷ ওদিকে জাহাজ নোঙর ফেললে স্পেনের বার্সেলোনার মতো সুন্দর শহর ঘুরে দেখা যায়৷
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ক্রুজ যাত্রীদের পছন্দ নরওয়ে৷ আর নরওয়ে মানেই রাজধানী অসলো৷
ক্রুজ জাহাজে মনোরঞ্জনের কর্মসূচি ক্রমেই আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷ জাহাজের ডেক-এ ঘাস ছাড়াই গল্ফ খেলা যায়৷ সন্ধ্যায় থাকে নানা ধরনের কনসার্ট আর স্টেজ শো৷ ওয়েলনেস বা ফিটনেস, মানে ওয়ার্কআউট করার জিম – এ সবই আছে৷
ওয়ার্কআউটের পর ভালো খাওয়াদাওয়া না হলে কি চলে? অধিকাংশ ক্রুজ শিপ খানাপিনার ব্যাপারে যে কোনো তিন বা পাঁচ তারা রেস্টুরেন্টের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে৷
ক্রুজযাত্রীদের পছন্দ-অপছন্দ
ক্রুজ শিপের আকর্ষণ যত বাড়ছে, সেই অভিজ্ঞতা উপভোগ করার মতো লোকের সংখ্যাও তত বাড়ছে৷ প্রফেসর উলরিশ রাইনহার্ড বলেন, ‘‘আগে লোকে ক্যাপ্টেনস ডিনার বলতে যা বুঝতো, সুট-টাই বা বল-ড্রেস পরে ক্যাপ্টেনস টেবিলে বসে খেতো, আজ তা সাধারণ মানুষদের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকে – শুধু খানাপিনাই নয়, বরং মনোরঞ্জন বা সময় কাটানোর জন্য বাকি যা কিছু করা যায়, সেখানেও ক্রুজ জাহাজগুলো অনেকদূর এগিয়েছে৷’’
কিছু ক্রুজ ট্রিপ আবার বিশেষ ধরনের গ্রাহকদের কথা ভাবে – যেমন কোপেনহেগেন থেকে গ্যোটেবর্গ পর্যন্ত তিন দিনের ‘ফুল মেটাল ক্রুজ’, এটা হলো হার্ডরক ফ্যানদের জন্য৷ এ ক্ষেত্রে আওয়াজটা একটু বেশি হবে আর সুযোগ বুঝে আরো একটা-দু’টো উলকি আঁকিয়ে নিতে পারা যাবে৷
সে তুলনায় ছোট ছোট জাহাজে নদীবক্ষে রিভার ক্রুজ অনেক বেশি শান্ত৷ যেমন ড্যানিউব নদীর বুকে দক্ষিণ জার্মানির পাসাউ শহর থেকে রোমানিয়া পর্যন্ত৷ প্রফেসর উলরিশ রাইনহার্ড বললেন, ‘‘রিভার ক্রুজ চিরকালই জনপ্রিয়, বিশেষ করে ড্যানিউব নদীর ওপর রিভার ক্রুজ, কারণ এভাবে ইউরোপের বিভিন্ন বড় শহর ঘুরে দেখা যায়৷ বহু মানুষ সাগরে যেতে চান না, বরং প্রতিটি মিনিট ডাঙার কাছাকাছি থাকতে চান৷’’
এবার শুধু ক্রুজ জাহাজগুলোকে আর একটু পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠতে হবে৷ এজন্য আরো ভালো ইঞ্জিন ও সুট ফিল্টার বসাতে হবে৷ তাহলেই ক্রুজপ্রেমীরা বিবেকের দংশন ছাড়াই ক্রুজ ভ্রমণে যেতে পারবেন – আর ব্যবসাও চলবে ভালো৷
সুসানে ডাউস/এসি
বার্সেলোনা: ভূ-মধ্যসাগরের অপূর্ব শহর
এই নামটা শুনে সবাই সেখানে যেতে চায়, হ্যাঁ জায়গাটা বার্সেলোনা৷ স্পেনের এই শহরটি গত তিন দশক ধরে পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র৷ বার্সেলোনায় গেলে যে ১০টি স্থানে আপনার অবশ্যই যাওয়া উচিত – সেগুলো দেখে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/F. Heuer
সমুদ্র বন্দর
১৯৯২ সালে অলিম্পিক গেমস উপলক্ষ্যে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল৷ এর কারণে বন্দরটি অবশ্য লাভবানই হয়েছে৷ ঐ অলিম্পিকের পর থেকে এখানকার বার, রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকের জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে৷ ১৯৯২ সালের অলিম্পিকের জন্য বিশাল আকৃতির এই ‘স্বর্ণ মৎসটির’ নকশা করেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি ফ্রাংক গেহরি৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/J. de Cuveland
সমুদ্র সৈকত
নাগরিক জীবন থেকে ছুটি চান বা কয়েকটা দিন সৈকতে কাটাতে চান? এ দু’টোর দারুণ সংমিশ্রণ হলো বার্সেলোনা৷ শহরে থেকেও এক পা বাড়ালেই সমুদ্র, তাই নাগরিক জীবনের সাথে সামঞ্জস্য করা ভীষণ সুবিধা৷ বার্সেলোনাকে ঘিরে আছে সাতটি সমুদ্র সৈকত, যেখান থেকে আপনি ভূ-মধ্যসাগরে সূর্যস্নানের সুযোগ পাবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
রাম্বলা
শহরের অদূরে যে সমুদ্র সৈকতটি, তার থেকে খুব কাছেই বার্সেলোনার ঐতিহাসিক এই কেন্দ্রস্থলটি৷ এর আয়তন এক কিলোমিটার৷ ফুটপাতের পাশে ক্যাফেগুলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য যেন আপনাকে হাতছানি দিতে থাকে৷ শেরি ওয়াইন, তাপাস, মানে বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাক্স’সহ নানারকম সুস্বাদু খাবার পাবেন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/F. Heuer
পুরোনো শহর
লা রাম্বলার উত্তরে বারি গোতিক, পুরোনো শহরের গথিক কোয়ার্টার৷ এখানকার বেশিরভাগ ঐতিহাসিক ভবন ১৪ বা ১৫ শতকে তৈরি৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/F. Heuer
স্কয়ার
অনেক জায়গায় পুরোনো শহরের রাস্তাগুলো ছোট বা বড় স্কয়ার বা চত্বরে গিয়ে মিলেছে৷ প্লাকা রিয়াল সিটি সেন্টার রাতের পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/F. Heuer
সাগ্রাদা ফামেলিয়া
আধুনিক বার্সেলোনার গুরুত্বপূর্ণ নজির সৃষ্টি করেছেন আন্তোনি গাউডি৷ তাঁর নকশায় বানানো সাগ্রাদা ফামেলিয়া চার্চ বার্সেলোনার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান৷ বিশ্বের বিখ্যাত ভবনগুলোর অন্যতম এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
গাউডি-র বিশ্ব
আলো আর রঙের এমন অপূর্ব সংমিশ্রণ বিশ্বের আর কোনো চার্চের ভেতরে হয়ত দেখতে পাবেন না৷ গাউডি তাঁর স্থাপত্যে প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন৷ ছাদটা এমনভাবে নির্মিত যে, মনে হবে এর কলামগুলো গাছের মতো আকাশের দিকে মুখ করে আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Goldmann
ফুন্দাসিও জোয়ান মিরো
বার্সেলোনা এমন একটা শহর, যে শহর আপনাকে অনেক কাজে উৎসাহ দেবে৷ মন্টউইক পাহাড়ের উপর জাদুঘরটি জোয়ান মিরোর স্মরণে তৈরি৷ এই শিল্পীর কাজে কাতালান ফোক আর্টের বিষয় ও রং চোখে পড়ে৷ তাঁর তৈরি বর্নিল ভাস্কর্য এবং সেরামিকের কাজ বার্সেলোনা জুড়ে চোখে পড়বে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Read
ফন্ত মাগিকা
বার্সেলোনার সবচেয়ে রোম্যান্টিক জায়গা ফন্ত মাগিকা৷ ১৯২৯ সালে নির্মিত এই ঝর্ণাটিতে আলোর ৫০ট রকমের বর্ণচ্ছটা আপনাকে অভিভূত করবে৷ শহরের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা এটি৷
ছবি: picture-alliance/Eibner
তিবিদাবো
বার্সেলোনা দু’টো পাহাড় দিয়ে ঘেরা৷ এর একটি মন্টউইক (১৭৩ মিটার) আর অন্যটি তিবিদাবো (৫২০ মিটার)৷ তিবিদাবো থেকে আপনি শহরের বেশিরভাগ অংশটা দেখতে পাবেন৷ বার্সেলোনার একমাত্র ঐতিহাসিক ট্রামলাইন দ্য ট্রামভিয়া ব্লাও-এর সাহায্যে আপনি পাহাড়ের উপরে উঠতে পারবেন৷