ক্লিমটের ‘লেডি উইথ অ্যা ফ্যান' ১০ কোটি ডলারে নিলামে বিক্রি
১ জুলাই ২০২৩
অস্ট্রিয়ার বিখ্যাত চিত্রকর গুস্তাফ ক্লিমটের সবশেষ পরিপূর্ণ চিত্রকর্ম ‘লেডি উইথ অ্যা ফ্যান' নিলামে তুলেছিল সোথেবি অকশন৷ ৮ কোটি ডলারে নিলাম ডাকা শুরু হলে মাত্র ১০ মিনিটে ১০ কোটি ডলারে এটি বিক্রি হয়ে যায়৷
ক্লিমটের ‘লেডি উইথ অ্যা ফ্যান' চিত্রকর্মটি নিলামে ১০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়েছে৷ছবি: Wiktor Szymanowicz/AA/picture alliance
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার ছবিটি ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে নিলাম হয়েছে বলে জানিয়েছে সোথেবি অকশন হাউজ৷ ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির সময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তহয়ে ক্লিম্ট মাত্র ৫৫ বছরে মারা যান৷ মৃত্যুর আগে অনেক ছবি এঁকেছিলেন, যেগুলো শেষ করে যেতে পারেননি৷ ‘লেডি উইথ অ্যা ফ্যান' তার আঁকা শেষ মাস্টারপিস, যেটি শেষ করে যেতে পেরেছিলেন৷
ক্লিমটের ছবিতে নারী শরীর প্রাধান্য পেয়েছে সবসময়৷ তার ছবির মাধ্যমে যেভাবে তিনি নারীর সৌন্দর্য এবং যৌনতাকে উপস্থাপন করেছেন তবে তা নিয়ে বরাবরই ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে৷ ১৯০০ সালে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেট হলের সিলিং -এ যখন তিনি ছবি আঁকার কাজ শেষ করলেন, তখন এটাকে পর্নোগ্রাফিক চিত্রকর্ম বলে সমালোচনা করা হয়েছিল৷ এই সমালোচনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সেই প্রকল্প থেকে একেবারে সরিয়ে দেন৷ এরপর থেকে ক্লিম্ট আর কোনো প্রকল্পের সাথে যুক্ত হননি৷ এরপর থেকে ‘প্রাইভেট ক্লায়েন্ট' বা নিজস্ব মক্কেলদের জন্যই কেবল তিনি ছবি এঁকে গেছেন৷
এপিবি/ কেএম (রয়টার্স)
কাছ থেকে ভিঞ্চির সেরা চিত্রকর্ম
মোনা লিসার কথা কে না জানে? চিত্রকর্মের ইতিহাসে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’র কয়েকটি কাজ অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ এমনই কয়েকটি মাস্টারপিস নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Wenig
সালভাদর মুন্ডি
সম্ভবত ভিঞ্চির একমাত্র চিত্রকর্ম; যা ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে৷ ২০১৭ সালে রেকর্ড ভাঙা ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করা হয় এটি৷ ১৫০০ সালে আঁকা ছবিটি অক্ষত অবস্থায় থাকা ভিঞ্চি’র আঁকা ২০টি ছবির একটি, যদিও ১৯৫৮ সালে এটি সত্যি তাঁর হাতে আঁকা কিনা সন্দেহ থাকায় একজন ৬০ ডলারে বিক্রি করে দেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Wenig
মোনা লিসা
ভিঞ্চির সবচেয়ে চর্চিত ছবি বোধ হয় এটিই৷ ইটালিতে রেনেসাঁ যুগ যখন শিখরে, তখনই আঁকা হয় এটি৷ তবে ছবির নারীটি কে এবং এটি কত সালে আঁকা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে৷ এটি এখন প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে আছে৷
ছবি: picture-alliance/United Archive
সেন্ট জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট
এটিও ল্যুভর জাদুঘরে আছে৷ জন দ্য ব্যাপ্টিস্টই হলেন সেই সাধু, যিনি যিশুকে মেসিয়াহ বা বার্তাবাহক হিসেবে নিউ টেস্টামেন্টে উল্লেখ করেন এবং তাঁর আগমনের বার্তা ছড়িয়ে দেন৷ ১৫১৩ থেকে ১৫১৫ সালে ভিঞ্চি ভ্যাটিকানে কাজ করতেন৷ তখন পোপ লিও ১০ এই শিল্পকর্মটি তাঁকে তৈরির কাজ দেন৷ সম্ভবত এটিই তাঁর শেষ কাজ৷ ম্যাডোনা অফ দ্য ইয়ার্নউইন্ডার তাঁর আরেকটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/A. Held
দ্য লাস্ট সাপার
ভিঞ্চির ‘লাস্ট সাপার’ও জগৎজুড়ে সাড়া ফেলেছিল৷ মিলানের একটি ভবনে এটি একটি ফ্রেস্কো-সেকো ওয়াল পেইন্টিং৷ যেহেতু এটি লাইম প্লাস্টারের ওপর করা, তাই কিছু দিন পরপর ঠিক করতে হয়৷ ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
পোর্ট্রেট অফ আ ম্যান ইন রেড চক
‘পোর্ট্রেট অফ আ ম্যান ইন রেড চক’ চিত্রকর্মটি ভিঞ্চির আত্মপ্রতিকৃতি৷ তবে এটি আসল না নকল তা পরিষ্কার নয় বিশেষজ্ঞদের কাছে৷ রয়্যাল লাইব্রেরি অফ টুরিন-এ আছে এটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Bertorello
স্কেচ
বিজ্ঞানে আগ্রহ ছিল ভিঞ্চির৷ তাই তিনি স্থাপত্য, জীববিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অ্যানাটমি’র নানা ধারণা স্কেচে তুলে ধরেন৷ তিনি ফ্লাইং মেশিন, হেলিকপ্টারের মতো একটি যন্ত্র ইত্যাদি এঁকেছেন৷ এছাড়া তাঁর ‘ভিট্রুভিয়ান ম্যান’ খুবই বিখ্যাত স্কেচ৷