1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষতিপূরণ চান ফেলানীর বাবা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনকে চিঠি দিয়েছেন ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম৷ স্বাভাবিকভাবেই, তিনি এই হত্যার আসামি বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়ার ঘটনা মানতে পারেননি৷

Dhaka, Barbados. 11th September 2013 -- A group of youths organised on Facebook form a human chain near the National Press Club. -- Youths form a human chain in front of the National Press Club in the capital to protest the acquittal of a Border Security Force (BSF) soldier who was charged with murdering Bangladeshi girl Felani Khatun at the border two and a half years ago.
ছবি: picture-alliance/Demotix

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের হত্যার রায়ে বিএসএফ-এর ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়া হয় গত ৬ই সেপ্টেম্বর৷ এরপর বুধবার ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম ডাকযোগে ভারতীয় হাইকমিশনে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে চিঠি পাঠান৷

নুরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি সেই চিঠির ‘কপি' পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এবং বাংলাদেশের আইন ও শালিস কেন্দ্রের কাছেও ডাকযোগে পাঠিয়েছেন৷ আবেদনে নুরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘২০১১ সালের ৭ই জানুযারি আমার কিশোরী কন্যা ফেলানী খাতুন বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমনা পিলার ৯৪৭-এর কাছে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়৷ ফেলানী নিরস্ত্র এবং একজন সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক ছিল৷ বিএসএফ সদস্যরা স্বল্প দূরত্ব থেকে আমার উপস্থিতিতে গুলি ছুড়লে সে ঘটনাস্থলে নিহত হয়৷'

২০১১ সালের ৭ই জানুযারি ফেলানী খাতুন বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমনা পিলার ৯৪৭-এর কাছে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিহত হয় (ফাইল ফটো)ছবি: AP

তিনি আরো লেখেন, ‘এ ঘটনার দুই বছর আট মাস পর ভারতের কোচবিহারে এক বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যের বিচার শুরু হয়৷ কিন্তু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ আমি মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী একজন মানুষ৷ তাই বিশ্বাস করি আমার কন্যা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷ আমি আশা করবো, ভারত সরকার তথা ভারতীয় জনগণ এ ব্যাপরে উদ্যোগ নেবে৷'

চিঠিতে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি আমার কন্যার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা (বিএসএফ) সরাসরি জড়িত৷ সে কারণে এর দায় ভারত সরকার তথা ভারতীয় জনগণের৷ উভয়ের কাছে আমার দাবি, আমার নিরীহ, নিরস্ত্র কন্যা ফেলানী খাতুনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন এবং অকালমৃত্যুর শিকার ফেলানীর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করুন৷'

নুরুল ইসলাম জানান, তাঁর আশা ভারতীয় কতৃপক্ষ তাঁর আবেদনে সাড়া দেবে৷ আর বাংলাদেশ ও ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য কাজ করবে৷

এদিকে আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে লেখা ফেলানীর বাবার চিঠির কপি পেয়েছেন৷ তারা মনে করেন, ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের আবেদন যথার্থ৷ তিনি জানান, তারা ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য তাঁর পরিবারকে আইনগত সহায়তা করবেন৷ এ জন্য তারা ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন, বলেন নূর খান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ