ক্ষুধা সূচকে আরো নেমে যাওয়া নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতে। তবে তা মূলত মধ্যবিত্ত ও সমাজকর্মীদের মধ্যে। অধিকাংশ গরিব মানুষ ক্ষুধা সূচক নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। কারণ, খাবারের জোগাড় করতে তাঁরা জেরবার।
ছবি: Pedro Ugarte/AFP/Getty Images
বিজ্ঞাপন
পর পর দুইটি সূচকে প্রতিবেশী বাংলাদেশের থেকেও নীচে নেমে গেলো ভারত। দিন কয়েক আগে আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে বংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের থেকে ১১ ডলার এগিয়ে যাবে। তারপর ভারতের জন্য এসেছে আরো একটি ধাক্কা। ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ সব প্রতিবেশী দেশের থেকে নীচে নেমে গেছে ভারত। ভারতের নীচে আছে মূলত আফ্রিকার হতদরিদ্র দেশগুলি, ক্ষুধা যাদের নিত্যসঙ্গী।
কিন্তু ভারত যেখানে আর্থিক মহাশক্তি হতে চাইছে, ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সমানে উন্নয়নের খতিয়ান দিতে ব্যস্ত, প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবার দাবি করেন, গত ৬০ বছরে যে কাজ হয়নি, তা তিনি ছয় বছরে করে ফেলেছেন, সেখানে ক্ষুধা সূচকে কেন নামবে ভারত? কেনই বা একপেট খিদে নিয়ে শুতে যাবেন বিপুল সংখ্যক মানুষ?
ক্ষুধাসূচকের রিপোর্ট আসার পর তাই নতুন করে হইচই শুরু হয়েছে। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''গত কিছুদিন ধরে যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে এরকম একটা আশঙ্কা ছিল। যে ভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মূর্তি তৈরি হয়েছে, রামমন্দির তৈরি হচ্ছে, প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, তাতে গরিব মানুষ ও খাবারের দিকে সরকারের যে নজর নেই, তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, এই রিপোর্ট তা স্পষ্ট করে দিল।''
পবিত্রবাবু মনে করেন, মুসকিল হলো, ''যে মানুষদের নিয়ে এই রিপোর্ট, তাঁরা এই সব তথ্য জানতে পারেন না। ভোটের সময় অন্য বিষয়ের ভিত্তিতে তাঁরা সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। আমাদের দেশের ভিতর দুইটি দেশ আছে, ইন্ডিয়া ও ভারত। ইন্ডিয়ার জাঁকজমক সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। ভারতের ক্ষুধা সকলের সামনে আসে না।''
ক্ষুধার জ্বালায় কোটি মানুষ
২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে চায় জাতিসংঘ৷ কিন্তু গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধাপীড়িত লোকের সংখ্যা বাড়ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Abdiwahab
খাবার নেই এত মানুষের?
জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ৮২ কোটি লোক খাবারের তীব্র অভাবে ভুগছে৷ এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Abdiwahab
সবচেয়ে বেশী কোথায়?
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি বলছে, এশিয়ার ৫০ কোটি লোক প্রয়োজনীয় খাদ্য সংকটে ভুগছে৷ আফ্রিকাতে এ সংখ্যা ২৬ কোটি৷ এদিকে ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকার শতকরা আট ভাগ লোক রয়েছে এ ঝুঁকিতে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/M. Moskwa
অভাব পুষ্টিকর খাবারের
প্রায় ২০০ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ভুগছে, দাবি প্রতিবেদকের৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/M. Juarez Lugo
দারিদ্র্য আর রোগ
অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্ররা সস্তায় খাবার কেনে যে কারণে তাঁরা শারীরিক স্থুলতাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে৷
ছবি: AP
কেন খাদ্য সংকট?
প্রতিবেদনটিতে খাদ্য সংকটের প্রধান তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়৷ তা হলো, দুর্বল অর্থনীতি, যুদ্ধ আর পরিবেশের বিপর্যয়৷
ছবি: DW/R. Chakraborty
যুদ্ধ আর সংকট
উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রতিবেদনটিতে দক্ষিণ সুদান আর ইয়েমেনের কথা বলা হয়৷ দক্ষিণ সুদানে চলমান রাজনৈতিক দাঙ্গার কারণে খাদ্য সংকটে আছে লাখো মানুষ৷ এদিকে ২০১৫ সালের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইয়েমেনে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ লোক যারা খাদ্য সংকটে ভুগছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. H. Kadour
ভঙ্গুর অর্থনীতি
আফ্রিকার অনেক দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি সেখানকার লোকেদের খাদ্য সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ যেমন তেলের দাম কমে যাওয়ায় নাইজেরিয়ার প্রায় ৫০ লাখ লোকের পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. U. Ekpei
পরিবেশে বিপর্যয়
পরিবেশের বিপর্যয়ের ফল ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছি আমরা৷ প্রতিবেদনটিতে জিম্বাবুয়ে আর কেনিয়ার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়,খরা আর অনাবৃষ্টি ফসল উৎপাদন মারাত্বক ব্যহত করেছে আর দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Kanoija
8 ছবি1 | 8
পবিত্রবাবুর একটি কথা ঠিক। গরিব মানুষরা জানেনই না ক্ষুধা সূচক বলে একটা ব্যাপার আছে। তাতে ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেন সন্ধ্যা। ক্ষুধা সূচকের কথা তুলতেই সন্ধ্যা আকাশ থেকে পড়েন। বলেন, ''সেটা কী গো।'' একটু বুঝিয়ে বলার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ''আমাদের আর ও সব জেনে কী হবে। বাজার আগুন। সবজি ছোঁয়া যাচ্ছে না। এক কেজি ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই সব পুষ্টিকর খাবারের বিলাসিতা আমাদের চলে না।'' একই কথা প্লাস্টিকের প্যাকেট দোকানে পৌঁছে দিয়ে সংসার চালানো দেবুর। দু-বেলা খাবার, বাচ্চাদের স্কুলের জামা, যাতায়াত সহ খরচ কুলানো যাচ্ছে না। ফলে খাবারে টান পড়েই।
কিন্তু এই অবস্থা তো হওয়ার কথা নয়। প্রতি বছর ভারতে যা খাদ্যশষ্য উৎপাদন হয়, তাতে গুদাম উপচে পড়ে। রাখার জায়গা নেই। খোলা জায়গায় খাদ্যশষ্য রাখার ফলে তা পচছে, পোকায় কাটছে। তার উপর সরকারের একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা আইন আছে। তার মানে মানুষের খাদ্যের অধিকার আছে। গ্রামের দিকে বছরে একশ দিনের কাজের অধিকার আছে। তারপরেও কী করে এই অবস্থা হতে পারে? ফুড পলিসি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের গ্রামে থাকা ৭৬ শতাংশ মানুষই পুষ্টিকর খাবার পান না।
কলকাতা ও দিল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে বিজনেস রিপোর্টিং করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক অঞ্জন রায়। তিনি বণিকসভা ফিকির পরামর্শদাতাও ছিলেন। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''আমাদের যা খাদ্যশষ্য মজুত আছে, তাতে এরকম হওয়া উচিত নয়। কিন্তু আমাদের গলদ আছে খাবার পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে দুর্নীতি এত বেশি যে বলার নয়।''
অঞ্জনের মতে, ''আমাদের দেশে খাদ্যশষ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার খুবই কম। কিন্তু ডাল, দুধ, সবজি, ফলের দাম অনেকটাই বেড়েছে। ফলে সেটা সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। গরিব লোকের পুষ্টির অনেকটাই আসে ডাল থেকে। সেটা হাতের বাইরে চলে গেলে অপুষ্টি বাড়বেই।''
অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ বলেছেন, ''২০১৩ সালে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন পাস হওয়ার পর থেকে ভারতে অপুষ্টি সমস্যার মোকাবিলায় কোনো বড় পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।'' 'খাদ্যের অধিকার'আন্দোলনের নেত্রী কবিতা শ্রীবাস্তব মনে করছেন, ''বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। মাথাপিছু গড় আয়, অপুষ্টির হার কমিয়ে আনা, জিডিপি'র হার বৃদ্ধি সবেতেই তারা উন্নতি করছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। স্কুল শিক্ষায় কর্মসংস্থানেও বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে।''
এ এক অদ্ভূত বাস্তবতা ভারতের। খাবার উপচে পড়ে। অথচ মানুষ খাবার পান না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গাদা গাদা প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পের সঠিক রূপায়ণ হলে গরিবের ক্ষুধা থাকারই কথা নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাস্তব অবস্থা আলাদা হয়ে যায়। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, পরিকাঠামোয় গলদ, অজ্ঞানতা এবং প্রকল্প রূপায়ণে ত্রুটির ফলে ক্ষুধার ক্ষেত্রে ভারত পিছিয়ে পড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
২০১৯ সালের ছবিঘরটি দেখুন...
বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ যে ১০ দেশে
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবারের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করেছে৷ সেখানে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম৷ কোন কোন দেশে বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ বাস করছে দেখুন ছবিঘরে৷
কীভাবে এই সূচক?
অপুষ্টির হার এবং পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে কম ওজন, কম উচ্চতা ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় নিয়ে ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স করা হয়েছে৷ এই সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হল শূন্য৷ স্কোর বাড়লে বুঝতে হবে, ক্ষুধার সূচকে সেই দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ আর স্কোর কমা মানে, সেই দেশের খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে৷
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (৫৩.৬)
এখানকার ৬৩ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন৷ ২০১২ সাল থেকে জাতিগত সহিংসতা আর সংঘাতে এখানকার খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে৷ একশর মধ্যে ৫৩.৬ স্কোর পেয়ে ক্ষুধার রাজ্যে এদের পরিস্থিতি সবথেকে বেশি খারাপ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Delay
ইয়েমেন (৪৫.৯)
সংঘাতে জর্জরিত দেশটিতে মানবিক সংকট চলছে৷ দিন দিন খাদ্য নিরাপত্তহীনতা বেড়েই চলছে৷ দেশটির ১০ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধায় কষ্ট করেন আর শিশুসহ প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ চরম অপুষ্টিতে ভুগছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Mohammed
চাদ (৪২.২)
ক্রমাগত খরা আর প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির মানুষ খাবার সংকটে পড়েন৷ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দেশটিতে মারত্মকভাবে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে৷
ছবি: Reuters/Emmanuel Braun
মাদাগাস্কার (৪১.৫)
দেশটিতে বছরে গড়ে দেড়টি করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে৷ এছাড়া তীব্র খরার সঙ্গে প্রকট বন্যা দেশটির অর্ধেক অঞ্চলকে গ্রাস করে৷ জাতিসংঘের ধারণা, দেশটির সাত লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তহীনতায় রয়েছে৷
ছবি: AP
জাম্বিয়া (৩৮.১)
দেশটির বেশিরভাগ কৃষক ফসল উৎপাদনে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখানকার ফসল উৎপাদন মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে৷ বৃষ্টি, বন্যা আর জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷
ছবি: Imago Images/Zumapress
লাইবেরিয়া (৩৪.৯)
গত দুই বছরে চলমান বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে৷ এই দেশের ১.৮ মিলিয়ন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন, আর ২.৯ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Jallanzo
হাইতি (৩৪.৭)
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেশি৷ ২০১০ সালের ভূমিকম্প এবং হারিকেন ম্যাথিউর চলমান প্রভাবসহ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধ্বংসাত্মক সংমিশ্রণে ভুগছে দ্বীপ দেশটি৷
ছবি: Roberto Schmidt/AFP/Getty Images
পূর্ব তিমুর (৩৪.৫)
ছোট এই দ্বীপ দেশটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দরিদ্র৷ এই দেশের ১.২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহনীতায় ভুগছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জিম্বাবুয়ে (৩৪.৪)
চলমান খরা আর কয়েকটি প্রদেশে ঘূর্ণঝড়ের বিরূপ প্রভাবে দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়ছে৷ খরা, ঘুর্ণিঝড় আর বন্যায় দেশটিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ দেশটির ৩.৬ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
আফগানিস্তান (৩৩.৮)
কয়েক দশকের মধ্যে সম্প্রতি ভয়ঙ্কর খরার মুখে পড়ে দেশটি৷ গতবার প্রবল বৃষ্টি এবং তুষারপাত হওয়ায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়৷ দেশটির পাঁচ মিলিয়ন অর্থাৎ, ১৪ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে৷
ছবি: Gemeinfrei
বাংলাদেশের অবস্থান (২৫.৮)
১১৭টি দেশের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম৷ ২০১৮, ২০১৭ ও ২০১৬ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৮৬, ৮৮ ও ৯০ নম্বরে৷ এবার বৈশ্বিক অবস্থানে বাংলাদেশের দুই ধাপ পেছানোর কারণ হলো অন্য দেশের দ্রুত গতিতে উন্নতি৷