1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাণহানি এড়াতে পারে ভূমিধসের নিখুঁত পূর্বাভাস

৯ নভেম্বর ২০২০

আল্পস পর্বতের একটি অংশ থেকে বড় ধস নামলে নীচের জনপদে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানীর মাত্রা মারাত্মক হতে পারে৷ একদল বিজ্ঞানী এমন বিপর্যয়ের নিখুঁত পূর্বাভাস সম্ভব করার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ সেন্সর ও নানা পরিমাপ যন্ত্র তাদের হাতিয়ার৷

ছবি: BR

পাহাড়ের চূড়ার কিছু অংশ অদূর ভবিষ্যতেই উপত্যকায় আছড়ে পড়তে চলেছে৷ মিউনিখের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সেই বিপর্যয়ের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানার চেষ্টা করছেন৷ সেটা সম্ভব হলে উপত্যকার মানুষকে ঠিক সময়ে সতর্ক করা যাবে৷ ভূমিধস বিশেষজ্ঞ মিশায়েল ক্রাউটব্লাটার বলেন, ‘‘এই পাহাড় সত্যি বেশ জোরালোভাবে নড়াচড়া করছে৷ অদূর ভবিষ্যতেই আমরা ধসের আশঙ্কা করছি৷ এমন পূর্বাভাস কতটা নিখুঁত হতে পারে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা তা জানতে চাই৷ আমরা কি তিন দিন আগে তা বলতে পারবো? এখানে বাতাসের গতি অনেক৷ জায়গাটিও বেশ দুর্গম৷ গোটা পরিস্থিতি বেশ বিপজ্জনক৷’’

চূড়ার দক্ষিণের প্রাচীরের একটা বড় অংশ ভেঙে প্রায় এক হাজার মিটার নীচে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ নতুন ফাটল দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে কয়েকটি একশো মিটারের বেশি বড়৷ একটি ফাটল এত বড় যে মাঝারি মাপের একটা ট্রাক তাতে ঢুকে যেতে পারে৷ প্রতি দিন শূন্য দশমিক চার মিলিমিটার গতিতে সেটি বড় হচ্ছে৷ শুনতে কম মনে হলেও কোনো পাহাড়ের জন্য এই গতি অত্যন্ত বেশি৷

মিশায়েল ক্রাউটব্লাটার ও তাঁর সহকর্মীরা সেখানে আগেই বেশ কয়েকটি পরিমাপ যন্ত্র বসিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেগুলি বিকল হয়ে পড়েছে৷ ভালো আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে তাঁরা সেখানে গিয়ে যন্ত্রগুলি মেরামত করতে চান৷ ক্রাউটব্লাটার বলেন, ‘‘ছোট হলেও এই মুহূর্তে এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাটল৷ ২০১৪ সালে এখানে ফাটল ধরতে শুরু করে৷ আমার অবস্থান থেকে নীচে ১৫ মিটার চোখে দেখা যাচ্ছে৷ প্রাচীর থেকে দেখলে সেটি ১০০ মিটার গভীর৷ আমরা এমন সব সেন্সর বসিয়েছি, যেগুলি এক মিলিমিটারের একশো ভাগ ফাটল ধরলেও টের পায়৷ কিন্তু হুবহু সেখানেই বাজ পড়ে সেন্সর নষ্ট করে দিয়েছে৷ অন্য একটি সেন্সরও কাজ করছে না৷ আমাদের দেখতে হবে, সেগুলি কীভাবে আবার চালু করা যায়৷’’

পাহাড়ের অন্য দিকেও মিশায়েল ক্রাউটব্লাটারকে নতুন করে পরিমাপের যন্ত্র বসাতে হবে৷ দূরত্ব মাপার এই যন্ত্রগুলি ফাটলে বসালে সেগুলি অতি সূক্ষ্ম পরিবর্তনও শনাক্ত করে বেতার সংকেত পাঠাতে পারে৷ এবার বড় ফাটলেও একই কাজ করার পালা৷ একটি ফাটল এত বেশি ও দ্রুত বড় হচ্ছে, যে তার উপরের প্রান্তটি পেছনদিকে পড়ে গিয়ে পরিমাপের ডাণ্ডা বেঁকিয়ে দিয়েছে৷ তাই ভূতত্ত্ববিদদের সেখানে প্রবেশ করে নতুন করে যন্ত্র ঝোলাতে হবে৷

চিড় ও ফাটল একইসঙ্গে খুলে গেলে আনুমানিক প্রায় দুই লাখ ষাট হাজার ঘন মিটার পরিমাণ পাথর উপত্যকায় আছড়ে পড়বে৷ ভূমিধস বিশেষজ্ঞ হিসেবে মিশায়েল ক্রাউটব্লাটার বলেন, ‘‘সেটা হবে বিশাল এক পরিমাণ৷ এক কিউবিক মিটার মাপের পাথরই রাজপথে যান চলাচল থামিয়ে দেয়৷ এমনটাই বেশি দেখা যায়৷ এখানকার পাথর তার দুই লাখ ষাট হাজার গুণ বড়৷ সেটি পড়লে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ধুলার মেঘ সৃষ্টি হবে, চারিদকে ধুলার আস্তরণ পড়বে৷ অনেক সময় ধরে ভাঙার কারণে তীব্র শব্দও শোনা যাবে৷ হয়তো গোটা হর্নবাখ উপত্যকা জুড়ে ধুলার ঝড় ছেয়ে যাবে৷ সেটা হবে বিশাল মাপের এক ঘটনা৷’’

সুইজারল্যান্ডের পিস সেংগালো পাহাড়েও এমন ঘটনাই ঘটেছিল৷

ইয়ান ক্যার্কহফ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ