চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে প্রথমবারের মতো কয়লা ও আণবিক শক্তির চেয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে৷ এই সময়ে সূর্যের আলো ও বাতাস বেশি থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
এছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে৷
ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউট ফর সোলার এনার্জি সিস্টেমস জানিয়েছে, প্রথম ছয় মাসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে ৪৭.৩ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে৷ আর কয়লা ও আণবিক শক্তি দিয়ে হয়েছে ৪৩.৪ শতাংশ৷
এছাড়া গ্যাস দিয়ে ৯.৩ শতাংশ এবং তেলসহ অন্যান্য উৎস থেকে ০.৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে৷
নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সূর্যালোক ও বাতাস ছাড়াও আছে পানি ও বায়োমাস৷
আগোরা এনার্গিভেন্ডের ফাবিয়ান হাইন বলছেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাতাস বেশি থাকায় বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে৷ ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এবার প্রায় ২০ শতাংশ বায়ুবিদ্যুৎ বেশি উৎপাদিত হয়েছে৷
এছাড়া সৌরশক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ছয় শতাংশ৷ আর প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে উৎপাদন বেড়েছে দশ শতাংশ৷
এই সময়ে আণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ একই ছিল৷ তবে কমেছে কয়লা থেকে উৎপাদন৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেড়েছে৷ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দাম পাঁচ ডলার ছিল, তার দাম গত জুনে ছিল ২৬ ডলারের বেশি৷
ইউরোপীয় পর্যায়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দাম নির্ধারণ করা হয়৷
এলিসা মিবাখ/জেডএইচ
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
বাংলাদেশে গ্রামীণ শক্তি কার্যত নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিপ্লব এনেছে৷ ইতোমধ্যে দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷ ৬৪ জেলাতেই চলছে তাদের কার্যক্রম৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
সৌরবিপ্লব
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কার্যত বিপ্লব এনেছে গ্রামীণ শক্তি৷ গত বছরের শুরুতে দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়ে তারা৷ ২০১৫ সাল নাগাদ আরো দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়তে চায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুরুর কথা
বাংলাদেশে গ্রামীণ শক্তির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি৷ শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
৬৪ জেলায় কার্যক্রম
বাংলাদেশে ৬৪ জেলাতেই কাজ করছে গ্রামীণ শক্তি৷ ২০১৩ সালে প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রামে সেবা পৌঁছে দিয়েছে সংস্থাটি৷ গ্রামীণ শক্তির মাধ্যমে পাওয়া সৌর প্যানেল ব্যবহার করে লাভবানের সংখ্যা আট মিলিয়নের বেশি৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
শুধু গ্রামীণ শক্তি নয়
গ্রামীণ শক্তি ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সৌরশক্তি সেবা প্রদান করছে৷ রয়েছে সরকারি উদ্যোগও৷ সরকারি বিভিন্ন ভবনে সৌরশক্তি ব্যবহারের উদ্যোগও শুরু হয়েছে৷ ঢাকায় পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে গত বছর৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
জাতীয় গ্রিডের জন্য সৌরশক্তি
সৌরশক্তি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘রহিমআফরোজ রিনিউবেল এনার্জি’৷ প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ঢাকার সচিবালয়ের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়েছে৷ তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ মেগাওয়াট প্রতি নির্দিষ্ট দামে কিনে নেবে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: ROBYN BECK/AFP/Getty Images
সহায়তায় জার্মানি
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে সহায়তা করছে জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জিআইজেড৷ সোলার প্যানেলে মূল্য বেশি হওয়ায় শুরুতে ভর্তুকিও দিয়েছে জিআইজেড৷ তবে কিস্তিতে সোলার প্যানেল কেনার সুবিধা থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই সেগুলো ব্যবহার করতে পারছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Centro de Energía Chile
লক্ষ্য অর্ধেক জনশক্তি
২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর কাছে সৌরশক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে চান এই খাতের সংশ্লিষ্টরা৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান বাংলাদেশে সৌরশক্তি জনপ্রিয় করার অন্যতম কারিগর দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া৷