মল-মূত্র, পয়ঃ-প্রণালী, এ সবের কথা উঠলে আর যা-ই মনে পড়ুক – নিজের মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ করার কথা মনে করেন কি কেউ? কিন্তু লাইপসিগের বিজ্ঞানীরা ঠিক তাই নিয়েই গবেষণা চালাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
লাইপসিগের হেল্মহলট্স পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের একটি শৌচাগার৷ এই খাটা পায়খানায় যা জমা হয়, তা লাগে গবেষণার কাজে৷ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নাম ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি৷ বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখছেন, ইলেক্ট্রোঅ্যাকটিভ ব্যাকটেরিয়া দিয়ে মল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব কিনা৷
এক্সপেরিমেন্টের আগে স্যাম্পল নিতে হয়৷ লাইপজিগের জার্মান বায়োমাস গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ইয়র্গ ক্রেট্সমার জানালেন, ‘‘গোড়ায় একটু ঘেন্না হতো বৈকি; কিন্তু দু-তিনবার করার পর অভ্যেস হয়ে যায়৷ আমরা এটাকে বলি সাবস্ট্রেট, এক্সপেরিমেন্টে যা কাজে লাগে৷ আমাদের সহকর্মীরা নিয়মিতভাবে এই পায়খানা ব্যবহার করেন, ফলে আমরা পর্যাপ্ত সাবস্ট্রেট পাই৷''
মোবাইল ফোনে আসক্ত? বুঝবেন যেভাবে...
স্মার্টফোনে অতি আসক্তি এক ধরণের রোগ৷ যাঁরা মোবাইল হাতে না থাকলে অস্থির হয়ে যান, বিজ্ঞানীরা বলছেন তাঁরা ‘নোমোফোবিয়া’-য় আক্রান্ত৷ চিনে নিন এ রোগের কিছু লক্ষণ৷
ছবি: Fotolia/Picture-Factory
ব্যাটারির চার্জ ফুরালেই আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কিছু মানুষের মধ্যে স্মার্টফোনের আসক্তির এমন তীব্রতা লক্ষ্য করেছেন যা রীতিমতো বিস্ময়কর৷ তাঁরা দেখেছেন, কিছু লোক মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, যেন মোবাইল বন্ধ হয়ে গেলে জীবনই অচল৷ এমন হলে বুঝতে হবে আপনিও নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বা অচিরেই হবেন৷
ছবি: picture-alliance/chromorange
ইন্টারনেট-নির্ভরতা
কিছু লোক ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে নারাজ৷ স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জানলেই ওয়াই-ফাই জোন-এ যাওয়ার জন্য তাঁরা হা-হুতাশ শুরু করেন৷ এমন সবারও মোবাইল আসক্তি বাড়তে বাড়তে ‘নোমোফোবিয়া’-র সীমা ছুঁয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Schutt
ইন্টারনেট থাকতেই হবে?
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সবার আগে কী কী জানতে চান? ‘‘ওখানে ইন্টারনেট আছে?-’’এই প্রশ্ন করেন? যদি মনে হয়, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে বেড়াতে যাওয়া একদম উচিত নয়, তাহলে ‘নোমোফোবিয়া’ আপনাকেও গ্রাস করছে৷
ছবি: Colourbox
‘স্ট্যাটাস’ না দিতে পারলে হতাশ
ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিদিন ‘স্ট্যাটাস’ না লিখলেও অনেকের একদমই চলে না৷ মনে হয়, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করা হয়নি৷ এমন হওয়াটাও খারাপ কথা, তখন বুঝতে হবে ‘নোমোফোবিয়া’ আপনাকেও পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Lei
আরেক ‘সর্বনাশ’
ধরুন, ফোন করতে পারছেন না, এসএমএস-ও না, ফোন বা এসএমএস আসছেনওনা আপনার কাছে৷ কী হয় তখন? স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও খুব অসহায় লাগে? তাহলে আপনাকে নিয়েও চিন্তা আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রিচার্জ করাতে পারেননি....
প্রি-পেইড সিম ব্যবহার করেন এমন অনেকে ফোনের ‘ক্রেডিট’ শেষ হলে, অর্থাৎ ফোন বা এসএমএস করার উপায় না থাকলেই মহাদুশ্চিন্তায় পড়ে যান৷ তখন মনে রাখতে হবে, মোবাইল ফোন ছাড়া এক সময় পৃথিবীর সবারই জীবন চলতো, এ যুগেও কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকটা দিন নিশ্চয়ই চলবে৷
ছবি: PeJo/Fotolia
ঘুমের সময় অন্তত অন্য কিছু ভাবুন.....
স্মার্টফোনে মানুষ এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যে কারো কারো রাতে মোবাইল ফোনে একটা হাত না রাখলে ঠিকমতো ঘুমই হয় না৷ নোমোফোবিয়া-র চূড়ান্ত লক্ষণ এটা৷ সুতরাং এই অভ্যাস ছাড়ুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Marttila/Lehtikuva
7 ছবি1 | 7
মানুষের মলে প্রধানত জল, খাবার-দাবারের যে অংশ হজম হয়নি, সে' অংশ, ‘রাফেজ' বা ডায়েটারি ফাইবার, স্নেহজাতীয় পদার্থ ও স্বভাবতই জীবাণু থাকে৷ এই সব জীবাণুরা ভাসা সব পদার্থ থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে৷ সেক্ষেত্রে কিছু কিছু জীবাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন করে৷
বিশেষ বিশেষ জীবাণু যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, সেটা একশ বছরের বেশি সময় ধরে জানা৷ গত শতাব্দীর ষাটের দশকে নাসা মহাশূন্যে জীবাণুর মাধ্যমে প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার চেষ্টা করেছিল৷ এ জন্য জীবাণুদের ইলেকট্রন নিঃসরণ করার ক্ষমতা থাকা চাই৷ হেল্মহলট্স পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের ড. ফাল্ক হার্নিশ বললেন, ‘‘জীবাণুরা সর্বত্রই আছে, যেমন পাকস্থলী কিংবা মলে, যে কারণে খাটা পায়খানাতেও জীবাণুরা থাকে৷ কিন্তু এই জীবাণুগুলোর বিশেষত্ব হলো এই যে, তারা নিজের অভ্যন্তর থেকে ইলেকট্রন বার করে তা কোষের ঝিল্লির মাধ্যমে বাইরে পাঠাতে পারে৷''
‘মাত্র কয়েক মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ'
জীবাণুগুলো যে সব ইলেকট্রন ছাড়ে, সেগুলোকে একটি ইলেক্ট্রোডে ধরা হয়৷ জীবাণুরা ভাসা পদার্থ খেয়ে ফেলে, অর্থাৎ বর্জ্য অপসারণ করে পানি পরিশোধন করে; অপরদিকে তারা ইলেকট্রন ছাড়ে, অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে৷ এভাবে যে বিদ্যুৎ তৈরি হয়, তা পরিমাণে খুব কম হলেও, ল্যাবরেটরিতে তার পরিমাপ করা যায়৷ বায়ো-ইলেকট্রো-কেমিস্ট ড. ফাল্ক হার্নিশ বলেন, ‘‘বর্তমানে আমরা মাত্র কয়েক মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারি৷ কিন্তু বাইরে যে শৌচাগার দেখেছেন, তার কথা ভাবলে বলতে হয়, আমরা একটা মোবাইল টেলিফোনের ব্যাটারি ১২ ঘণ্টার মধ্যে রি-চার্জ করে দিতে পারি৷''
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
খুব কম বয়সে হাতে মোবাইল তুলে দিলে সন্তানের সর্বনাশের পথই তৈরি হয়৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুই বছর হওয়ার আগে শিশুর হাতে মোবাইল দেয়া একদমই ঠিক নয়৷ কোন বয়সের কোন শিশু কতটা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে তা-ও জানিয়েছেন তাঁরা৷
ছবি: picture alliance/ZB
যত কম বয়সে প্রযুক্তি, ক্ষতি তত বেশি
দ্য অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ও ক্যানাডিয়ান সোসাইটি অফ পেডিয়াট্রিক্সের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কোন বয়সে শিশুকে কতটুকু প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেয়া উচিত, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা দিয়েছেন৷ তাঁরা বলেছেন, দু বছরের আগে শিশুদের সব গ্যাজেট থেকে দূরে রাখাই উচিত৷ ওই বয়সে ইন্টারনেট, আইপ্যাড বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত হলে শিশু স্বভাবে অস্থির হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শোনে৷
ছবি: vladgrin - Fotolia.com
কোন বয়সে কতটুকু প্রযুক্তি
বিজ্ঞানীদের মতে, দু বছরের পর অল্প অল্প করে শুরু করলেও ৩ থেকে ৫ বছর বয়সিদের কখনো দিনে ১ ঘণ্টার বেশি মোবাইল, টেলিভিশন, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকা ঠিক নয়৷ ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা সেই জিনিসগুলোর কাছাকাছি গেলে ক্ষতি এড়াতে পারবে৷
ছবি: Fotolia/Karin & Uwe Annas
খুব মুটিয়ে যাওয়া
এসবে অভ্যস্ত হলে অনেক শিশু অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়৷ এর নানা রকমের ক্ষতিকর প্রভাব জীবনের ওপরও পড়ে৷ ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ও বেড়ে যায় তাদের৷
ছবি: picture alliance/dpa
উগ্রতা, আগ্রাসন এবং....
গ্যাজেট ব্যবহার করার কারণে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি যৌনতা, সন্ত্রাস ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পায়৷ ফলে অনেক শিশু খুব আগ্রাসী স্বভাবের হয়৷ কিছু শিশু বড় হয়ে নানা কিছুতে জড়িয়েও যায় ভালো-মন্দ না বুঝে৷
ছবি: Fotolia/somenski
মানসিক অসুস্থতা
গ্যাজেট বেশি ব্যবহার করার ফলে খুব কম বয়সেই অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে৷ তাতে এক সময় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে৷ ক্যানাডায় এ সমস্যা বেশ প্রকট হতে শুরু করেছে৷ সেখানে ছয় জন শিশুর মধ্যে অন্তত একজনকে বেশি গেজেট ব্যবহার করার ফলে মানসিক স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে৷
ছবি: Colourbox
লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা
ব্যতিক্রম সব কিছুতেই হয়৷ তাই খুঁজলে এমন কিছু শিশু নিশ্চয়ই পাবেন যারা কম বয়সেই মোবাইল নিয়ে খেলেছে, তা দেখে বাবা তাকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই শিশু সুস্থ, মেধাবী হিসেবেই বড় হয়েছে৷ তবে উল্টো দৃষ্টান্তও অনেক৷ ১২ বছরের আগে মোবাইল জাতীয় উপকরণে অভ্যস্ত হওয়া শিশুর লেখাপড়ায় উন্নতি খুব ধীর গতিতে হয়৷ দেখা গেছে, সেরকম শিশুদের এক তৃতীয়াংশই শিক্ষাজীবনে খুব সমস্যায় পড়ে৷
ছবি: Fotolia/lassedesignen
ঘুম কম হওয়া
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শতকরা ৬০ ভাগ শিশুর বাবা মা-ই আজকাল কম বয়সি সন্তানের হাতে মোবাইল বা অন্য গ্যাজেট তুলে দেন৷ শতকরা ৭৫ ভাগ শিশুর বাবা-মা তারপর আর খবরই নেন না তাঁদের সন্তান রাতে কখন ঘুমায়৷ বাবা-মায়ের অজান্তেই অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে সন্তান৷
ছবি: DW
7 ছবি1 | 7
নেগেটিভ চার্জ যুক্ত ইলেকট্রনগুলো পজিটিভ চার্জ যুক্ত ইলেক্ট্রোডের দ্বারা আকৃষ্ট হয়৷ এর থেকে যে কারেন্ট বা বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টি হয়, তা মোবাইল ফোন চার্জ করে; মাইনাস পোলে তৈরি হয় জল৷ জীবাণুরা আরো ভাসা পদার্থ খাওয়ার ফলে জল ক্রমেই আরো পরিষ্কার হয়ে ওঠে৷ জীবাণুরা এইভাবে বিদ্যুৎ সৃষ্টি করলে একে বলা হয় একটি মাইক্রোবিয়াল ফুয়েল সেল – অর্থাৎ জীবাণু-পরিচালিত-জ্বালানি-কোষ৷ এটা যাতে অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশেও সম্ভব হয়, সেজন্য লাইপসিগের বিজ্ঞানীরা এই সংক্রান্ত প্রযুক্তিকে যতদূর সম্ভব সহজ রেখেছেন৷
ড. ফাল্ক হার্নিশ জানালেন, ‘‘আমাদের প্রযুক্তির বিশেষত্ব হলো এই যে, আমরা করোগেটেড কার্ডবোর্ড থেকে ইলেক্ট্রোড তৈরি করি, এখানে যেমন দেখছেন৷ অর্থাৎ বাজারে যেরকম পিচবোর্ড পাওয়া যায়, তা নিলেই চলে৷ পরে তা কাঠকয়লার মতো বাতাসশূন্য অবস্থায় পোড়ালেই ইলেক্ট্রোডের পদার্থ পাওয়া যায়৷ একটা কম খরচের লো-টেক পণ্য৷''
জীবাণু-পরিচালিত-জ্বালানি-কোষের কথা ভাবলে পয়ঃপদার্থ সম্পর্কে ধারণাই পাল্টে যায়৷ কেননা এই কোষ পয়ঃপদার্থ থেকে জ্বালানি সৃষ্টি করে এবং পানিকে পরিশুদ্ধ করে – শুধু শৌচাগারেই নয়, বড় বড় সিউয়েজ ওয়ার্কস-এও বটে৷
যে ৫ কারণে মোবাইল আনলক অবস্থায় রাখা ঠিক না
মোবাইলে বা স্মার্টফোনে আজকাল সবই করা যায়, এটা যেমন সত্যি তেমনি মোবাইলের মাধ্যমে আপনার অনেক কিছুও এখন সহজে জানা যায়৷ তাই মোবাইল ফোন ‘আনলক’ অবস্থায় কোথাও রাখা উচিত নয়৷
ছবি: picture alliance/Denkou Images
দুশ্চিন্তা
আপনার আনলক করা ফোনটি অন্য কারো হাতে গেলে সে অনেক কিছুই দেখে ফেলতে পারে৷ আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস, রাতের বেলা গুগলে কী খুঁজছেন কিংবা নিজের নাম ইন্টারনেটে কতবার খোঁজেন এমন তথ্যও জেনে যেতে পারেন সেই ব্যক্তি, যা আপনাকে বিব্রত করতে পারে৷ ব্যক্তিগত বিষয়াদি ব্যক্তিগত থাকলেই ভালো, নাকি?
ছবি: Fotolia/Martinan
আপনার ফোন, অন্যের কল
দেখা গেল আপনার আনলক করা ফোন দিয়ে আপনারই বন্ধু কিংবা সহকর্মী ভুল করে কিংবা জেনেবুঝে কোথাও ফোন করছে৷ আর সেই ফোন যদি হয় শুধু খোশগল্পের জন্য, তখন কেমন লাগবে আপনার?
ছবি: Colourbox
চ্যাটে কাকে কী বলছেন?
ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপে ঢুকতে বারবার পাসওয়ার্ড দিতে হয় না৷ আপনার ফোন অন্য কারো কাছে যাওয়া মানে আপনার সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অবাধ প্রবেশের সুযোগ৷ আর যদি এমন হয় যার কাছে ফোন তার নামেই হয়ত ফেসবুক মেসেঞ্জারে কিছু লিখেছিলেন আপনি৷ সম্পর্কটা তখন কোথায় পৌঁছাবে ভেবে দেখেছেন?
ছবি: picture alliance/Denkou Images
কার বার্তা কখন আসবে কে জানে
আপনার বন্ধু বা সহকর্মীর কাছে ফোনটা থাকার সময় যদি এমন কোন বার্তা চলে আসে যা একান্ত ব্যক্তিগত, তখন কী হবে? এই আতঙ্কে থাকার চেয়ে ফোন লক করে রাখা অনেক ভালো৷
মোবাইলে শপিং
স্মার্টফোনে ব্যবহার করে আজকাল শপিংও করা যায় খুব সহজে৷ আপনার মোবাইল আনলক অবস্থায় অসৎ কারো হাতে পরলে আর্থিক ক্ষতি হবার শঙ্কাও থেকে যায় মারাত্মক আকারে৷ তাই নিরাপদে থাকতে চাইলে ফোন সবসময় লক করে রাখুন৷