1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলবে পানির পাম্প

ক্লাউডিয়া লাসচাক / এআই১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

জার্মানির একটি কয়লা খনি শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে৷ তবে বিপত্তি বেধেছে সেখানকার পানীয় জল নিয়ে৷ সুপেয় পানি পাওয়ার স্বার্থে খনির পাম্পগুলো চালু রাখতে হবে৷ কতদিন? সম্ভবত অনন্তকাল৷

RWE-Braunkohlekraftwerk Niederaußem
ছবি: picture-alliance/dpa

সুপেয় পানির স্বার্থে বন্ধ খনি চালু

04:54

This browser does not support the video element.

জার্মানির আর মাত্র চারটি খনি চালু আছে৷ শওনা যাচ্ছে, আগামী চার বছরের মধ্যে এসেন শহরের কাছের খনিটিও বন্ধ হয়ে যাবে৷ তবে রুয়র অঞ্চলে ৬০ মিলিয়ন টনের মতো কয়লা আছে৷

সমস্যা হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে কয়লা উৎপাদনে ভরতুকি দিয়েছে সরকার৷ কিন্তু এখন খনি আর লাভজনক নয়৷ তার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া – এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আমদানি করলে খরচ কম হয়৷

খনি বন্ধের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা

খনি বা টানেল বন্ধের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে পানির অন্তঃপ্রবাহ৷ এসেনের খনিটির মধ্যে থাকা কয়েক হাজার পাম্প টানেলের মধ্যে বন্যা রোধ করে৷ এগুলো কয়েকশত কিলোমিটার লম্বা৷ কারণ ভূ-পৃষ্ঠের নীচে পাথরের ফাটলে পানি জমতে থাকে৷ খনিটির কর্মকর্তা ইওয়াখিম বক এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের চারপাশে পানি রয়েছে৷ আর পাম্পগুলো সুড়ঙ্গ শুষ্ক রাখে৷ প্রক্রিয়াজাত পানিও আমরা বের করে ফেলি৷ আমরা যদি এই প্রক্রিয়া বন্ধ করি, তাহলে সব পানি আবারও ফিরে আসবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এখানকার পানি লবণাক্ত৷ কারণ শিলাগুলো প্রাচীন এক সমুদ্র থেকে সৃষ্টি হয়েছে৷ এতে লবণ রয়েছে৷ আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে এমন পানি যেনো আমাদের ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের আধারে পৌঁছাতে না পারে৷''

খনির পাম্পগুলো পানির স্তর নীচে রাখে৷ এগুলো বন্ধ হলে ২০ বছরের মধ্যে সেখানে বড় লেক তৈরি হবে৷ তবে পাম্পগুলো চালু রাখতে কোটি কোটি ইউরো প্রয়োজন৷ কিন্তু কে সেই টাকা দেবে? জার্মানির সাবেক অর্থমন্ত্রী ও জার্মানির বৃহত্তম খনি কোম্পানির প্রধান ভ্যার্নার ম্যুলার-এর উদ্যোগে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়৷ রুয়র অঞ্চল চিরকাল শুষ্ক রাখতে চান তিনি৷
পাম্প চলবে

ভ্যার্নার ম্যুলার বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে যতদিন মানুষ বসবাস করবে, আমরা ততদিন পানি পাম্প করবো৷ আমি বিশ্বাস করি মানুষ এখানে চিরকাল বসবাস করবে৷ তাই আমরাও চিরকাল পাম্প করে যাবো৷''

বর্তমানে তাঁর আরএজি-ফাউন্ডেশনের দুই বিলিয়ন ইউরোর মতো সম্পদ রয়েছে৷ মূলত ‘রিয়েল এস্টেট' বিক্রি এবং স্টক বিনিয়োগ থেকে অর্থ আয় করে এটি৷ যতক্ষণ পর্যন্ত সূচক উপরের দিকে উঠছে, ততক্ষণ এটি সফল বিজনেস মডেল৷ কাগজে-কলমে ম্যুলারের পরিকল্পনা কাজ করতে পারে৷ তবে ভবিষ্যতের ঝুঁকি এখনই ধারণা করা কঠিন৷ যদি টাকা শেষ হয়ে যায়, তখন কী হবে?

ভ্যার্নার ম্যুলার বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা আগামী ছয় বছরে আমাদের আয় হবে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো মিলিয়ন ইউরোর মতো৷ আমাদের জানা মতে সব কিছু হিসেবে করলে পাম্পের পেছনে খরচ হবে ২২০ মিলিয়ন ইউরো৷ এ ভাবে হিসেব সহজ৷ তবে বিদ্যুতের পেছনে কত খরচ হবে, তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না৷ পাম্পগুলো অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে৷ যতটা বুঝতে পারছি আমাদের আয় হতে হবে খরচের তুলনায় অনেক বেশি৷''

খনির আশেপাশের অনেক মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত৷ স্থানীয় কৃষকরা বলছেন উপার্জন কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷ কারণ পাম্পগুলো কাজ করলেও জমিতে পানি ওঠা ঠেকানো যাচ্ছে না৷ বছরের পর বছর ধরে খনি খননের কারণে এখানকার মাটি বসে যাচ্ছে৷

২০১৮ সাল নাগাদ বন্ধ

প্রস্পার হানিয়েল কয়লা খনিটি ২০১৮ সাল নাগাদ বন্ধ হয়ে যাবে৷ কোম্পানিটি তখন তার কর্মীদের অন্যত্র কাজ করার প্রশিক্ষণ দেবে৷ এদের কেউ ইলেকট্রিশিয়ান, কেউ মেকানিক্স কেউ বা টেকনিশিয়ান হবেন তখন৷ কেউ কেউ পাম্প পরিচালনার চাকুরি পেতে পারেন৷

তবে টানেল শুষ্ক রাখার প্রকৃত খরচ এখনো কেউ জানে না৷ তাছাড়া শত বা হাজার বছর পর এই টানেলের কী হবে? এমন প্রশ্নও অনেকের মনে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ