1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষমতায়ন আজও অলীক সত্য

জাহিদুল হক১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের নারীরা অনেকক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও ক্ষমতায়নের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলে মনে করেন না বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী এলিনা খান৷

Bangladesch Dhaka Textilfabrik Frauen Arbeiter
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman

ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর যে অগ্রগতি হয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে ভালো খবর৷ কিন্তু তারপরও দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বলতে হয় যে, এই যে পৌর নির্বাচন হচ্ছে কিংবা যে-কোনো নির্বাচনের সময় দেখা যায় নারীদের মনোনয়ন দেয়া হয় না, আর যাঁরা মনোনয়ন পায় তাঁদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়৷ এবং এই সংখ্যাটা খুব কম, বলতে গেলে নগণ্য৷''

[No title]

This browser does not support the audio element.

এলিনা খান বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীতে নারীরা গেছে, পাইলট হচ্ছে, অন্যান্য বড় জায়গাতেও নারীদের দেখা যাচ্ছে৷ কিন্তু কয়েকজন নারীকে দেখে আমাদের ভাববার কোনো কারণ নেই যে নারীরা ক্ষমতায়নে অনেক এগিয়ে গেছে৷''

নারীরা তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সামনে এগোতে চাইছে৷ কিন্তু উচ্চ-আসনে অধীন পুরুষদের নেতিবাচক ও কুসংস্কারপূর্ণ মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে নারীরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি৷

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে উচ্চপদগুলোতে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে নারীর প্রতি মনোভাবের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শ দেন এলিনা খান৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘অনেকে মনে করেন, নারীরা উচ্চপদে গেলে বোধ হয় ভালো হবে৷ কিন্তু আমরা দেখেছি, নারীরা যদি একেবারে শীর্ষে না থাকে মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকে তাহলে তারাও বসকে খুশি করার জন্য বসের মতোই কথা বলে৷''

নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের উপায় হিসেবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে মানবাধিকার, নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে জানান এলিনা খান৷ শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে যে, নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই, কন্যাশিশু এবং ছেলেশিশু একই৷ ‘‘শুধু ছেলেদের নয়, মেয়েদেরও এই বিষয়গুলো জানতে হবে৷ স্কুল পর্যায় থেকেই যদি এই সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে দেয়া যায় তাহলে তার ইতিবাচক প্রভাব পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে পড়বে৷''

তাঁর নিজের সংস্থা সহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা ও এনজিও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলার কাজ করছে উল্লেখ করে এলিনা খান বলেন, ‘‘...পুরোপুরি সফলতার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, কারণ সরকারি ব্যবস্থা একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে৷'' কিন্তু সরকারকে এ বিষয়ে অবহিত করলেও এখনও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানান এই মানবাধিকার কর্মী৷

এদিকে, বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে মনে করেন এলিনা খান৷ ‘‘নারী এখন ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়৷ অথচ নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীর নিরাপত্তা আগে প্রয়োজন৷ নিরাপত্তার অভাবে নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত হতে পারছে না৷''

এলিনা খানের বক্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ