1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খরার হাত থেকে গাছ বাঁচাচ্ছেন বার্লিনের মানুষ

১০ মার্চ ২০২১

বিশ্বের প্রায় সব বড় শহরেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে৷ বার্লিনের মানুষ নীরব দর্শক না থেকে খরার হাত থেকে শহরের গাছপালা বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করছে৷ অন্যান্য শহরও সেই পথ অনুসরণ করতে পারে৷

শরতের বার্লিন
ছবি: Reuters/F. Bensch

অবশেষে পানির দেখা পাওয়া গেল৷ তিন বছর ধরে অনাবৃষ্টির ফলে বার্লিন শহরের গাছপালা শুকিয়ে যাচ্ছে৷ প্রত্যেকটি গাছের জন্য সপ্তাহে ১০টি এমন পানিভরা আধারের প্রয়োজন৷ একদল স্বেচ্ছাসেবী এই সমস্যার সমাধানে অবদান রাখতে চান৷ তাঁরা একসঙ্গে মিলে শহরের গাছগুলিতে পানি দিতে চলেছেন৷ মারিয়ানে রামসে-সনেক তাঁদেরই একজন৷ নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘গত বছরের গ্রীষ্মে খরার ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে আমাদের বাসার পেছনের গাছটি মরে গেল৷ সেটি উধাও হবার পর আমার মনে হলো, এবার বাসার সামনের গাছগুলির মরার পালা৷ আমি মোটেই সেটা হতে দিতে চাইনি৷’’

বার্লিনের সিটিল্যাবের এক প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন পদ্ধতিতে স্থানীয় পর্যায়ে গাছে পানি দেবার এক উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ সেই প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি জাতের গাছের পানির চাহিদা তুলে ধরা হয়েছে৷ এক নন-প্রফিট ফাউন্ডেশন হিসেবে সিটিল্যাব বার্লিন শহরকে আরও টেকসই করে তুলতে উদ্ভাবনী উদ্যোগে মদত দিয়ে থাকে৷ পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দৈনিক আবহাওয়ার পূর্বাভাষ এবং গাছপালার পানির প্রয়োজন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসে৷ গাছের পানি প্রকল্পের প্রধান ইয়ুলিয়া সিমারমান বলেন, ‘‘এই মানচিত্রে ৬২৫,০০০-এরও বেশি গাছের হদিস রয়েছে৷ প্রত্যেকটি গাছের জাত, বয়স ও পানির চাহিদা নথিভুক্ত রয়েছে৷ আপাতত আমাদের হাতে শুধু এই সব তথ্য রয়েছে৷ আরও কিছু বৈশিষ্ট্য অন্তর্গত করা যেতে পারে, যেমন উচ্চতা, গাছের উপরের অংশের ব্যাস, গাছের কাণ্ডের ব্যাস ইত্যাদি৷ বিশেষ করে পানি দেবার ক্ষেত্রে এই সব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ৷’’

গাছপালা বাঁচাতে বার্লিনে অভিনব উদ্যোগ

03:53

This browser does not support the video element.

এখনো পর্যন্ত বার্লিনের প্রায় ২,০০০ মানুষ এই কর্মসূচিতে নিজেদের নাম নথিভূক্ত করেছেন৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মাঝেমধ্যে গাছে পানি দেন৷ অনেকে আবার নিজেদের পাড়ার একটি গাছের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ বার্লিনে প্রায় আড়াই হাজার পার্ক রয়েছে৷ সেগুলিকে শহরের ফুসফুস বলা হয়৷ জলবায়ুর উন্নতির পাশাপাশি গাছগুলি দূষিত বায়ুও অনেকটা নির্মল করে তোলে৷ ধীরে ধীরে আরও বেশি মানুষ গাছপালার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছেন৷

ক্রয়েৎসবার্গ পাড়ায় কয়েকজন মালি নিয়মিত কাজ করেন৷ তারা ফুলের বেদির পরিচর্যা করেন এবং আগামী বছরের জন্য চারা লাগান৷ পাড়া পর্যায়ের কেন্দ্রের প্রধান বেন এবারলে বলেন, ‘‘আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি৷ কে কোথা থেকে এসেছে তাতে কিছুই এসে যায় না৷ এই পরিবেশ সর্বজনিন৷ মৌমাছির জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশের স্বার্থে আমরা ফুল ও অন্যান্য গাছের চারা পুঁতেছি৷ এত মানুষকে একত্র করে, সবাই মিলে আনন্দ করে খুব সন্তুষ্ট হচ্ছি৷''

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে কোনো বৃষ্টি হয় নি৷ ফলে স্বেচ্ছাসেবীরা বেশ ব্যস্ত থেকেছেন৷ কোন গাছের পানি লাগবে, তাঁরা সহজেই অ্যাপে তা দেখে নিতে পারেন৷ বার্লিনের বাইরেও এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়বে বলে তাঁরা আশা করছেন৷ ইয়ুলিয়া সিমারমান বলেন, ‘‘ওপেন সোর্স হওয়ায় এই প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য শহরের জন্যও ব্যবহার করা সম্ভব৷ গাছাপালা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে, এমন যে কোনো শহরেই নিজস্ব উদ্যোগে এই অ্যাপ প্রয়োগ করা সম্ভব৷’’

বার্লিনের তৃষ্ণার্ত গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে স্বেচ্ছাসেবীরা শীতকাল পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যান৷

ইয়ুলিয়া হাইনরিশমান/এসবি

গত নভেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ