1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে গণভোট

১৫ ডিসেম্বর ২০১২

গণতন্ত্রের পথে আরো এক ধাপ এগুতে সংবিধানের খসড়া অনুমোদনে গণভোট দিচ্ছেন মিশরের মানুষ৷ তবে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসির বিরোধীরা এই গণভোট বর্জন না করলেও তাদের সমর্থকদের ‘না’ ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে৷

An Egyptian man holds a ballot before casting his vote at a polling station during a referendum on a disputed constitution drafted by Islamist supporters of President Mohammed Morsi in Cairo, Egypt, Saturday, Dec. 15, 2012. Egyptians were voting on Saturday on a proposed constitution that has polarized their nation, with Morsi and his Islamist supporters backing the charter, while liberals, moderate Muslims and Christians oppose it. (Foto:Petr David Josek/AP/dapd)
ছবি: dapd

সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের বিশেষ আদেশ জারি করে এবং তারপরই তড়িঘড়ি করে সংবিধানের খসড়া তৈরি করে সমালোচনা ও বিক্ষোভের মুখে পড়েন মোহাম্মেদ মুরসি৷ ইতিমধ্যে এই বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে৷ আন্দোলনের মুখে বিশেষ আদেশে সংস্কার করেছেন মুরসি৷ তবে সংবিধানের ব্যাপারে তিনি কোন সমঝোতা না করে বরং শনিবার গণভোট আয়োজনে স্থির চিত্ত ছিলেন৷ সেই পরিকল্পনা অনুসারে আজ সংবিধানের খসড়া অনুমোদন প্রশ্নে প্রথম দফার গণভোটে অংশ নিচ্ছেন দেশটির ১০টি প্রদেশের প্রায় ২৫.৮ মিলিয়ন ভোটার৷ আগামী শনিবার দেশের বাকি ১৭টি প্রদেশে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার গণভোট৷ তারপরই প্রকাশ করা হবে গণভোটের ফল৷

শনিবার সকালেই ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে নিজের ভোট দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি৷ ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ একটি সূত্র জানিয়েছে, গণভোট উপলক্ষ্যে এক লাখ বিশ হাজার সেনা সদস্য এবং ছয় হাজার সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে৷

ছবি: Reuters

প্রধান বিরোধী দলগুলো এই গণভোট স্থগিত করা এবং সংবিধানের খসড়া বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল৷ তাদের অভিযোগ, এই সংবিধানে ইসলামপন্থীদের একপক্ষীয় চাওয়া-পাওয়াকে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং সমাজের অন্যান্য ধর্ম ও আদর্শের মানুষদের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়নি৷ তবে শেষ পর্যন্ত গণভোট বর্জন না করে বরং গণভোটে ‘না' সূচক ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো৷ মিশরের অন্যতম বিরোধী নেতা এবং শান্তিতে নোবেল পদক বিজয়ী কূটনীতিক মোহাম্মেদ এলবারাদি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘‘যে বিতর্কিত সংবিধানের খসড়ায় সার্বজনীন অধিকার, মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে সেটির অনুমোদন অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাত বাড়িয়ে দেবে৷''

ভোট দিতে যাওয়া আলেক্সান্দ্রিয়া নগরীর ৪৫ বছর বয়সি খ্রিষ্টান শিক্ষক মাইকেল নুর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমি দেশাত্ববোধক চেতনা থেকে ‘না' সূচক ভোট দিয়েছি৷ কারণ এই সংবিধানে সব মিশরীয় মানুষের মতামত প্রতিফলিত হয়নি৷'' তবে ব্রাদারহুডের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা এসাম আল এরিয়ান বলেন, ‘‘এই গণভোট স্থগিত করা কিংবা বর্জন করার কথা যারা বলে আসছিল তাদের জন্য এটি একটি সদুত্তর যে, মানুষ দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে গণভোটে অংশ নিচ্ছেন৷''

এএইচ / আরআই (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ