1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘খাইখাই কর কেন, এস বস আহারে’

২৬ জানুয়ারি ২০১১

‘ঈশ্বর যদি মানুষের নিমিত্তে খাদ্যাদি উৎপাদন না করিতেন, তাহা হইলে জগতে হানাহানির লেশমাত্র থাকিত না৷ কারিগরী, বিজ্ঞানে দেশ উন্নত হইতেছে, কিন্তু কৃষিই আমাদিগের জীবন৷ এই জীবনের নানা রকমারি দেখিতেছি৷’ লিখেছেন রাজনারায়ণ বসু৷

‘ঘ্রাণেন অর্ধ ভোজনং....'ছবি: bilderbox

রকমারি কী রকম, সবচেয়ে সরস উদাহরণ দিয়েছেন সুকুমার রায়৷ খাইখাই ছড়ায়৷ খাওয়ার কী হিসেব আছে? তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করেও শেষ হয়না৷ দেশে-দেশে নানা খাবার৷ ইউরোপের শুয়োর কচু খায়না৷ আমাদের দেশে খায়, এবং আমাদের সোনামুখি কচু ইলিশের কাঁটার চড়চ্চির সঙ্গে সবচেয়ে সুস্বাদু৷ যদিও সুকুমার রায় লিখছেন : ‘এত খেয়ে তবু যদি নাহি ওঠে মনটা/ খাও তবে কচু পোড়া,খাও তব ঘন্টা৷'

খাওয়ার কী হিসেব আছে? তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করেও শেষ হয়নাছবি: DW

‘ঘ্রাণেন অর্ধ ভোজনং', এরকম প্রবাদ আছে বাংলায়৷ কিন্তু বার্লিনের কৃষিমেলায় ঢুকলে, বাহারি খাবার দেখলেই রসনা উথলে ওঠে৷ নানা দেশের খাবার৷ সবই কৃষিজাত৷ কৃষি-উৎপাদিত৷ এসেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে৷ ফলমূল, সবজি থেকে শুরু করে হরেকরকম মাংস জাতীয় খাদ্য, দুধে তৈরি খাদ্য৷ ওয়াইন, বিয়ার তো বটেই, তার ওপরেও মদ্য বা মদ যে কত প্রকার হতে পারে হিসেব কষেও কুল পাওয়া যাবে না৷

সোনামুখি কচু ইলিশের কাঁটার চড়চ্চির সঙ্গে সবচেয়ে সুস্বাদু কচুছবি: picture-alliance/chromorange

মেলায়, ফ্রান্সের বুগন্ডি অঞ্চলের ‘রোমানি ক্যান্টি' নামের এক বোতল ওয়াইনের সর্বনিম্ন দাম কত ? স্টলের বিক্রেতা বললেন, শুরুই হচ্ছে ৩০০ ইউরো দিয়ে৷ তাঁর দাবি, পৃথিবীর সেরা এই ওয়াইন৷ অস্ট্রিয়ার স্টলের একজন জানান, কুমড়োর বিচি থেকে আমরা যে তেল তৈরি করছি, ওই তেল স্যালাড, সুপ, পাস্তায় খুবই উপাদেয়, সুস্বাদু, তবে রান্নার জন্যে আদৌ নয়৷ হাঙ্গেরির গুলাশ বিশ্ববিখ্যাত, কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ জার্মানির ট্যুরিঙ্গেনের সসেজ বিক্রেতা৷ তাঁর কথায়, আমাদের সসেজই শ্রেষ্ঠ৷ পোল্যান্ডের মিনারাল ওয়াটার বলেন, ইউরোপের মধ্যে পোল্যান্ডেই পাওয়া যায়৷ কৃষিমেলায় ভারতীয় মসলা বিক্রেতা জানান, আমাদের স্টলে সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে বেশি চা মিলবে৷ অন্য কোথাও নয়৷

ফ্রান্সের সেই ‘রোমানি ক্যান্টি' নামের ওয়াইন তৈরি হয় আঙুর ফল থেকেইছবি: picture alliance / dpa

হরেক খাবারের পসরা সাজানো নানান স্টলে৷ ডাইঅক্সিনে দূষিত মুরগির মাংসের ভয় থাকলেও, সবুজ সপ্তাহে তথা কৃষিমেলায়, ভারতীয় রেস্তোঁরায় খাদকের ভিড় কম নেই৷ রেস্তোঁরার মালিক বলেন, আমরা জার্মান মুরগি বিক্রি করিনা৷ হল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড থেকে মুরগির মাংস আমদানি করি৷

ডাইঅক্সিনে দূষিত মুরগির মাংসের ভয় থাকলেও, কৃষিমেলায় খাদকের ভিড় কম নেইছবি: AP

কারিগরি, বিজ্ঞানে যে দেশ যতই উন্নতি করুক, কৃষিই পয়লা প্রধান্য৷ কৃষি ছাড়া জীবন অচল৷ বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি চলছে বটে, খাদ্যের দামও বাড়ছে, কিন্তু, তারপরেও কৃষিমেলায় পা দিলে একথা মন খুলে বলাই যায়...‘এস বস আহারে'৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ