অল্প তেলের, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ভালো৷ কিন্তু টেবিলে একদম তাজা চিকেন-স্যালাড বা বার্গার থাকার পরও যদি আপনি ক্যালরির হিসেব কষেন, ভাবেন এতে কতটা প্রোটিন, ফ্যাট বা কার্বোহাইড্রেট আছে, তাহলে সেটাকে কী বলে জানেন কি?
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবারের প্রতি এই অস্বাভাবিক ‘অবসেশন' বা তীব্র আকর্ষণের পোশাকি নাম – ‘অর্থোরেক্সিয়া'৷ এটা একরকম মনের অসুখ৷ এই রোগ হলে সব সময়ই আপনার মনে হবে ‘এই বুঝি অস্বাস্থ্যকর কিছু খেয়ে ফেললাম', ‘এই বুঝি একটু বেশি খেয়ে ফেললাম'৷ অথবা ‘এই বুঝি শরীরের জন্য খারাপ এমন কিছু আমার পেটে চলে গেল', ‘এমন কিছু, যা আমার শরীরের জন্য একেবারে নতুন'৷
কথায় বলে, টাকা বাড়লে নাকি টাক বাড়ে৷ হ্যাঁ, অর্থের সাথে রোগের একটা সম্পর্কের কথা বলে থাকেন অনেকেই৷ এর মধ্যে হয়ত কিছুটা কল্পনা আছে, তবে আছে কিছু বাস্তবতাও৷ অর্থোরেক্সিয়ার ক্ষেত্রেও নাকি এমনটাই হয়েছে৷
শরীর ও মনকে ফিট রাখার ৯ উপায়
শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ একজন মানুষকেই ফিট বলা যায়৷ সেজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম ও মনের খোরাকের দিকেই নজর দিতে হয়৷ নিজেকে ফিট রাখতে যা করবেন জেনে নিন৷
ছবি: Getty Images
মস্তিষ্ক থেকেই শুরু
মানুষের মস্তিষ্কই যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে আর সুস্থ থাকার মূল্য কোথায়? সেজন্য নিয়মিত আখরোট খান৷ এতে অনেক বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্ককে রোগ থেকে রক্ষা করে৷ আর টমেটো, গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে রক্ষা করে স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে৷ সামুদ্রিক মাছ আলজইমার রোগের হাত থেকে মস্তিষ্ককে দূরে রাখে৷
ছবি: Fotolia/Printemps
হৃৎপিণ্ড বা হার্ট
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞ ডা. বেথ অলিভার বলেন, ‘‘প্রতিদিন, প্রতিবেলায় বিভিন্ন রংয়ের ফল ও সবজি এবং যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, পানি, আপেল ও আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, ডাল এবং ডিমের হলুদ অংশ খান৷ এসবই হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী৷’’
ছবি: Colourbox
কিডনি ঠিক রাখতে
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস রোধ করে৷ কারণ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয়৷ ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত লবণ কিডনির ক্ষতি করে৷ কিডনি পরিষ্কার রাখতে দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি পান করা প্রয়োজন৷
ছবি: Colourbox
হাড়ের যত্ন
হাড় শক্ত রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা বা বিশেষ ধরনের ব্যায়াম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে৷ হাড় নরম বা ভেঙে যাওয়ার জন্য শুধু বয়স বাড়াই একমাত্র কারণ নয়৷ থাইরয়েড, পেটের ক্রনিক সমস্যা বা পাকস্থলির অসুখের কারণেও হাড় নরম বা ক্ষয় হতে পারে৷ আর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার না খাওয়া ও অতিরিক্ত ধূমপান ও নানা ধরনের ওষুধপত্র সেবন হাড়কে নরম করতে পারে৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
পেট বা অন্ত্র ঠিক রাখুন
মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ অন্ত্র বা পেট যা লম্বায় প্রায় ৮ মিটার৷ শরীরের গ্রহণ করা খাবারগুলো সহজপাচ্য বস্তুতে পরিণত করে অন্ত্র৷ সেখানে সমস্যা দেখা দিলে সবই ওলট-পালট মনে হয়৷ সেকথা মনে হয় কমবেশি সকলেই জানি৷ তাই শরীরকে ফিট রাখতে হলে অবশ্যই পেট ঠিক রাখতে হবে৷ তাই হাঁটাচলা, শষ্যদানা, বিচি, সাদা দই, শাকসবজি, ফলমূল ও সুষম খাবার গ্রহণ খুবই দরকার৷
ছবি: DW
অতিরিক্ত রোদ নয়!
তারুণ্য ধরে রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জুড়ি নেই৷ ফাস্ট ফুড, স্ট্রেস, অতিরিক্ত টেনশন, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি ত্বক নষ্ট করে৷ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ তাই রোদ থেকে দূরে থাকা উচিত৷ শরীর ও মন ভালো এবং ফিট রাখার জন্য শরীরের ভেতরের মতো শরীরের ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকা প্রয়োজন৷ ল্যুবেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. বিরগিট কালে বলেন এসব কথা৷
ছবি: picture alliance/Friedel Gierth
হেঁটে পায়ের যত্ন
আমাদের শরীরের সমস্ত ভার বহন করে আমাদের পা দুটো৷ তাই পায়ের স্বাস্থ্য খুব জরুরি৷ পায়ের মাংসপেশি শক্ত করতে ও ফিট থাকতে হাঁটাহাঁটির কোনো বিকল্প নেই৷ হাঁটা যে-কোনো মানুষকে ফিট রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
ব্যায়াম
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম ছাড়া শারীরিকভাবে সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়৷ তাছাড়াও শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য বছরে অন্তত একবার ‘মেডিকেল চেকআপ’ করিয়ে নেওয়াও অত্যন্ত দরকারি৷
নারীপুরুষ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের সুস্থ সুখী জীবনের জন্য খাওয়া-দাওয়া আর ব্যায়ামের মতো প্রয়োজন সুস্থ যৌনজীবন৷ যৌনজীবনকে সুখকর করতে বিভিন্ন বীজ, তরমুজ, বেদানা, ডুমুর, ডিম ইত্যাদি খাবার বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে বিভিন্ন সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা গেছে৷ তাছাড়া অ্যামেরিকার টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির মতে, তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে৷
ছবি: Getty Images
9 ছবি1 | 9
কারণ এই রোগে আক্রান্তরা সাধারণত উচ্চবিত্ত৷ অর্থাৎ অরগ্যানিক বা একেবারে নির্ভেজাল খাবার কেনার সামর্থ তাদের আছে৷ এরা সস্তা, প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারে ছুঁয়েও দেখেন না৷ এমনকি একটু বেশি তাপমাত্রায় রান্না করা খাবার দেখলেও তারা নাক সিটকান৷ একটু বেশি তাপমাত্রায় যে খাবারের উপকারী উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়! শুধু তাই নয়, তারা খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করেন না, ব্যাবহার করেন না প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের থালা-বাসনও৷
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাওয়া নিয়ে এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে তার অবিলম্বে চিকিৎসা করানো দরকার৷ তাদের কথায়, অশোধিত খাবার থেকে দূরে থাকা বা অরগ্যানিক খাবার খাওয়া খারাপ তো নয়-ই, বরং সত্যিই স্বাস্থ্যকর৷ কিন্তু এটা পাগলামির পর্যায়ে চলে গেলেই বিপদ, কারণ, এমনটা চলতে থাকলে এই অতিরিক্ত খাদ্যসচেতন মানুষগুলো বেছে বেছে খেতে খেতে একটা সময় কম খেতে শুরু করেন৷ ফলে তাদের ওজন কমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷
তা আপনাদের এ সমস্যা নেই তো?
ডিজি/এসিবি
সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য ১০টি স্বাস্থ্য বিষয়ক ‘টিপস’
আপনি কি শুধু বেঁচে থাকার জন্য যা ইচ্ছে তাই খেয়ে থাকেন? নাকি সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থেকে জীবনকে উপভোগ করতে চান আপনি? জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের একটি তালিকা – আমাদের এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel
শরীরের জন্য প্রয়োজন সবকিছুই
প্রতিদিন একই ধরনের খাবার কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়৷ তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন৷ তাছাড়া খাবারের গুণগত মানটাই বড়, খাবারের পরিমাণ নয়৷ এই যেমন, প্রোটিন শরীরের ওজন না বাড়িয়ে মানসম্পন্নভাবে শক্তি সরবরাহ করে, যা কোষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷
ছবি: Fotolia/Carmen Steiner
আঁশযুক্ত খাবার
খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত শষ্যদানা রাখুন৷ বিশেষ করে সকালের নাস্তায় সিরিয়ালের সাথে বিভিন্ন শষ্যদানা, গম, ভুট্টা, ফল এবং দই থাকতে পারে৷ এতে ঝটপট পেট ভরে এবং পেট পরিষ্কারও থাকে, অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ তবে ফল মানেই আপেল, আঙুর নয়৷ বরং যখন যে ফল পাওয়া যায়, মানে মৌসুমি ফল খান৷ এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে৷
ছবি: Fotolia/Printemps
তাজা ফল এবং শাক-সবজি
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শিম, মটরশুটি, বরবটির মতো আঁশযুক্ত সবজি ও যথেষ্ট ফল থাকা প্রয়োজন৷ এ সব শরীরে চিনি নিয়ন্ত্রণে যেমন সাহায্য করে, তেমনি হৃদরোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে৷ বাঁধাকপি, ফুলকপি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক৷ বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার মতে দিনে কয়েকবার শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত৷ যাঁরা ফলমূল এবং শাক-সবজি বেশি খান, তাঁদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির ঝুঁকিও নাকি কম থাকে৷
ছবি: PhotoSG - Fotolia
ফাস্টফুডকে ‘না’ বলুন
দোকানে তৈরি ‘ফাস্টফুড’ বা ‘রেডিমেড’ খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়৷ এগুলোতে লুকিয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং নানা রকম ক্ষতিকারক জিনিস৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে ফাস্টফুড হাঁপানি হওয়ার শঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়৷ ৩১টি দেশের শিশুদের ওপর এক গবেষণা করে এ তথ্য জানা গেছে৷ তাই ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে৷
ছবি: Fotolia/Gennadiy Poznyakov
ব্রেনের জন্য খাবার
মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শর্করা এবং গ্লুকোজ৷ এটা থাকে বিভিন্ন ফল, রুটি, মিষ্টি আলু, নুডলস, মাছ-মাংস, কাঠবাদাম প্রভৃতিতে৷ তাই অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের বাদাম নিয়মিত খাওয়া জরুরি৷ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদানগুলি রয়েছে৷ দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই বা তিনদিন বিভিন্ন রকমের বাদাম খেলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব৷ ডিমের কুসুমও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী৷
ছবি: Fotolia
দুধ বা দুধের তৈরি খাবার
প্রতিদিন খাবারের তালিকার দুধ রাখা উচিত৷ তবে আজকাল অ্যালার্জির কারণে অনেকেরই সরাসরি দুধ খেতে পারেন না৷ সেক্ষেত্রে দুধের তৈরি অন্যকিছু খাওয়া যেতে পারে৷ দুধে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ৷ তাই একে সুসম খাদ্যও বলে৷ এছাড়া সপ্তাহে দু’দিন মাছ-মাংস বা ডিম খেলেই যথেষ্ট৷ সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি চর্বি, যা বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে৷
ছবি: picture alliance/ZB/P. Pleul
আদা, রসুন, পেঁয়াজের জুড়ি নেই
রান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল ব্যবহার করুন৷ আর যদি সম্ভব হয় সরাসরি উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করাই ভালো৷ উদ্ভিজ্জ খাদ্যে যেমন অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, তেমনি অন্যদিকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ আর ফাইবার৷ এশীয় রান্নাঘরে আদা, রসুন, পেঁয়াজের ব্যবহার এমনিতেই রয়েছে৷ এই পেঁয়াজ, রসুন, ক্যানসার রোধে সহায়ক৷ আর আদা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে পেট পরিষ্কার রাখে৷
ছবি: Fotolia
পানীয় বেশি, লবণ-চিনি কম
প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিত৷ তবে মিষ্টি মিশ্রিত পানীয় নয়, অর্থাৎ কোলা, ফান্টা বা এ জাতীয় কিছু নয়৷ ওহ হ্যাঁ, উচ্চরক্তচাপ বা ডায়বেটিস এড়িয়ে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে লবণ ও চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ বজায় রাখুন৷ লক্ষ্য রাখবেন, চিনির ক্ষেত্রে তা যেন হয় প্রকৃতিক উপায়ে তৈরি, অর্থাৎ ব্রাউন চিনি আর লবণ যেন হয় আয়োডিন এবং ফ্লোরাইড যুক্ত৷
ছবি: Fotolia/Elenathewise
ধীরে-সুস্থে চিবিয়ে খান
খাবার তাড়াহুড়ো করে খেলে বেশি খাওয়ার ভয় থাকে৷ এতে ওজন বাড়ে এবং তা হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়৷ তাই খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান৷ এতে অর্ধেক হজম হয়ে যায়৷ তাছাড়া আপনি কী খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন – তা বুঝে শুনে খান, অর্থাৎ খাবার উপভোগ করুন৷ আপনি যা খাবেন, ঠিক সেরকমই ‘বোধ’ করবেন, অর্থাৎ আপনার ‘পারফরমেন্স’ নির্ভর করবে আপনার খাওয়ার ওপর৷ আর চেহারাতেও তার প্রমাণ ফুটে উঠবে৷
ছবি: Fotolia/vgstudio
হাঁটুন
প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটুন৷ এতে হাত-পা চলাচলের পাশাপাশি মুক্ত বাতাসও সেবন হবে, যা ‘ফিট’ থাকতে বিশাল ভূমিকা পালন করে৷ হাঁটার সময় কেউ পাশে থাকলে ভালো, না হলে একাই কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন৷ ফিরে এসে দেখবেন শরীর এবং মন – দুটোই কেমন ফুরফুরে লাগছে! হাঁটাহাটি বা ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে৷