‘‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন কারখানাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন এক পাঠক ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷ তাছাড়াও রয়েছে নানা পরামর্শ প্রস্তাব ও মতামত৷
বিজ্ঞাপন
খাদ্যদ্রব্য ভেজাল মেশানো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত? সে সম্পর্কে মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ লিখেছেন
‘‘‘কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷আর আমিনূর রশীদ মনে করেন অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন কিন্তু ব্যবস্থাটাও ভেজাল মুক্ত হওয়া প্রয়োজন৷
আর যদি ভেজাল মেশানো প্রমাণিত হয় তবে এদের লাইসেন্স বাতিল করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্হা করা উচিত৷ যাতে আর কখনও কেউ মানুষের জীবন ও স্বাস্হ্যকে বলি দিয়ে ব্যবসা করতে না পারে''- দিনা সাঈদা৷
‘‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন কারখানাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন পাঠক মুকুল হোসেন৷
খাবার ভেজাল মেশানো অপরাধীদের কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত'' –রবিউল ইসলাম৷
বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া যত খাবার-কেলেঙ্কারি
অস্ট্রেলিয়ায় স্ট্রবেরির মধ্যে সুই পাওয়ার খবরে বাজার থেকে এই ফল প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ তবে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়৷ বিশ্বে এ যাবৎ খাবারে ক্ষতিকর উপাদান মেশানোর যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/A. Laule
সেপ্টেম্বর ২০১৮: অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রবেরিতে সুই
দেশজুড়ে স্ট্রবেরির মধ্যে কাপড় সেলাইয়ের সুই পাওয়া যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এর তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার৷ দেশটির সাতটি প্রদেশের ছয়টিতেই স্ট্রবেরিতে এই সমস্যা ধরা পড়েছে৷ ভেতরে সুইওয়ালা স্ট্রবেরি খেয়ে অসুস্থ হওয়া অন্তত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/A. Laule
জানুয়ারি ২০১৮: জার্মান পাউরুটিতে পিন
এ বছর শুধু অস্ট্রেলিয়ানদেরই খাবারে কামড় দেওয়ার আগে ভাবতে হয়নি৷ গত জানুয়ারিতে জার্মানির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ওফেনবুর্গ শহরের একটি গ্রোসারি স্টোরের খাবারের মধ্যে ধাতব পিন পাওয়া যায়৷ সে সময় টোস্ট ব্রেড ও সালামি স্ন্যাকসহ বেশ কয়েকটি বেকারি পণ্যে এই পিন ধরা পড়ে৷
ছবি: picture-alliance
২০১৭: জার্মানিতে বিষাক্ত শিশু খাদ্য ও হুমকি
গত সেপ্টেম্বরে জার্মানির ফ্রিডরিশহাফেনে শিশু খাদ্যের জারে ক্ষতিকর রাসায়নিক ইথিলিন গ্লাইকল ধরা পড়ার পর দেশজুড়ে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ এই রাসায়নিক কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করে, এমনকি এতে মৃত্যুও হতে পারে৷ সে সময় ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি এক কোটি ইউরো দাবি করে তা না দিলে সুপারমার্কেটের অনেক খাদ্যপণ্যে বিষ মেশানোর হুমকি দেন৷ পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি দোষ স্বীকার করে নেন৷
ছবি: picture alliance/Keystone/J. Zick
২০১৬: পাকিস্তানে প্রাণঘাতী মিষ্টি
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বিষাক্ত লাড্ডু খেয়ে ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়৷ পরে মিষ্টির দোকানের মালিকের ভাই স্বীকার করেন, পরিবারে ঝগড়ার পর মিষ্টিতে কীটনাশক মিশিয়েছিলেন তিনি৷ বিষাক্ত ওই খাবারে ৭০ জনের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়েছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
২০০৩: ইটালিতে ‘আকুয়াবোম্বারের’ ধাক্কা
ইটালিতে দূষিত পানির বোতলের বিষয়ে সুপারমার্কেটগুলোকে বেশ কয়েক মাস ধরে খুব সতর্ক থাকতে হয়৷ সিরিঞ্জের মাধ্যমে বোতলের উপরের দিকে ব্লিচ ও অ্যাসিটোন ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর এই সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন দেখা দেয়৷ কট্টর পুঁজিবাদবিরোধী বা পরিবেশবাদী গ্রুপের সদস্যরা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে সে সময় সন্দেহ করেছিল পুলিশ৷ দূষিত ওই পানি পান করে ডজনের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Zennaro
১৯৮২: টাইলেনল হত্যাকাণ্ড
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে টাইলেনল ব্র্যান্ডের ব্যথানাশক পিল খেয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়৷ ওই সব পিলে পটাশিয়াম সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়৷ তবে এই মৃত্যুর জন্য এখনো কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি এবং মামলাটিও অমীমাংসিত রয়ে গেছে৷ ওই ঘটনার পর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ওষুধের মোড়ক টেম্পার-রেজিট্যান্ট করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. C. Bower
২০১০: চিংড়িতে ভেজাল
বাংলাদেশের চিংড়িতে রাসায়নিক পদার্থ নাইট্রোফুরানের ক্ষতিকর মাত্রায় উপস্থিতি পাওয়ার পর তা নিয়ে অসন্তোষ জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এক পর্যায়ে ২০১০ সালে ইইউতে তা পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়৷ ছয় মাস পর রপ্তানি ফের শুরু হলেও বিশেষ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তা করতে হতো, প্রতিটি চালানের জন্য আলাদা স্বাস্থ্য সনদ দিতে হতো৷ পরে মানোন্নয়নের কারণে পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই কড়াকড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
7 ছবি1 | 7
আর সুদিপ্তা সাহার পরামর্শ ,শুধু দুধ নয়,দুধ ছাড়াও দেশের বেশিরভাগ খাবারে ভেজাল রয়েছে।এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
বাংলাদেশে আইন থাকলেও আিনের প্রয়োগ নেই তা স্বরণ করিয়ে দিয়ে রাজীব লিখেছেন, ‘‘অনেক কিছুই করা উচিৎ কিন্তু বাংলাদেশ বলে কথা, কেউ না কেউ টাকা খেয়ে এদেরকে অবশ্যই পার করে অবশ্যই দিবে৷''
‘এমন ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ যা দেখে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর কেউ না করতে পারে।'-এমএ রাজ্জাক৷
এদিকে মোহাম্মদ হোসেন লিখেছেন, আমি মনে করি কোম্পানিগুলিকে পাচ বছরের জন্য বন্ধ করে দেয়া উচিত তাতে তারা যদি একটু ভয় পায়৷