খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে খুব রাজনীতিও মিশেছে৷ রাজনীতিতে তো ‘ভেজাল’ বেশি৷ সেই ভেজালের কারণেই খাদ্যে ফর্মালিন, ইটের গুঁড়ো, কাঠ বা বিভিন্ন ধরনের রং মেশানো বন্ধ করা যাচ্ছেনা৷
বিজ্ঞাপন
বন্ধ করার চেষ্টা কিন্তু হয়েছে৷ এখনো হয়৷ চেষ্টা মানে মোবাইল কোর্টের অভিযান৷ সেই অভিযানে কোনো বাজারে ফর্মালিনযুক্ত মাছ-মাংস, কোনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানে রং দেয়া মিষ্টি অথবা কিছু ফলের দোকানে ‘সকল অসুখের আঁকড়' হিসেবে কিছু ফল চিহ্নিত করে কিছু টাকা জরিমানা করা৷ ব্যস৷ এর বেশি কিছু হয়না৷ আজকাল খুব বেশি কিছু হবে বলে কেউ বোধহয় আশাও করেনা৷ আশা করা বোকামি, কেননা, যে সব ব্যবসায়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা' নেয়া হয় তারা তো খুব নির্বিঘ্নেই ব্যবসা চালিয়ে যায়৷
যেসব খাবার মন ভালো করে
শীত আর ঠান্ডা আবহাওয়া শুধু শরীরের ওপরই প্রভাব ফেলে না, মনকেও করে তোলে বিষণ্ণ৷ বিভিন্ন সমীক্ষার মধ্য দিয়ে কিছু খাবারের কথা জানা গেছে, যেগুলো মন ভালো করতে পারে৷ জানাচ্ছেন গবেষকরা৷
ছবি: Colourbox
ভূমধ্যসাগরীয় খাবার
মোট ১৫ হাজার মানুষকে নিয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের লাস পালমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দশ বছর একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল৷ বলা বহুল্য, সেখানে যাঁরা তৈরি খাবার ও মাংস বাদ দিয়ে শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম, মাছ খাওয়া শুরু করেছেন, অল্পদিনের মধ্যেই তাঁদের বিষণ্ণতা কেটে গিয়ে মন ভালো হয়ে গেছে৷
ছবি: Colourbox
ম্যাঙ্গো ড্রিংক
একটি বড় আমের অর্ধেক, জাম্বুরার ২০০ মিলি লিটার রস ও সাদা দই একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিশিয়ে ফেলুন৷ তারপর দুটো সুন্দর গ্লাসে ঢেলে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখার পর পুদিনা পাতা দিয়ে একটু সাজিয়ে নিন৷ এবার প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে পান করুন, দেখবেন মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যাবে৷ কারণ আমে থাকা টাইরোসিন শরীরে ডোপামিন হরমোন উৎপাদন করে বিষণ্ণতাকে দূরে ঠেলে দেয়৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
মন ভালো করা চকলেট
‘চকলেট মেকস হ্যাপি’ – এটা শুধু কথার কথা নয়! বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেটের মধ্যে যে সুখ হরমোন, মানে সেরোটোনিন থাকে, আসলেই তা মানুষকে আনন্দিত করে৷ এ কথা জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডের গবেষকরা৷ ডার্ক চকলেটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী৷
ছবি: ISM
কমলার রসের ক্ষমতা
আস্ত কমলা খাওয়ার চেয়ে কমলায় থাকা ভিটামিন ‘সি’-র রসের ক্যারটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে৷ জার্মানির হোহেনহাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে করা এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা যায়৷ অর্থাৎ মন ভালো করতে কমলার তাজা রসের তুলনা নেই৷ তবে কমলা লেবুর রস পান করতে হবে চিনি বা পানি ছাড়া৷
ছবি: Colourbox
ঝাল মরিচ
মরিচ খাওয়ার পর মজার ঝাল স্বাদটা যখন জীবে লাগে, তখনই এন্ডোরফিন, অর্থাৎ আরো একটি সুখ হরমোন শরীরে ছড়িয়ে যায়৷ তাই কেউ যদি প্রচণ্ড ঝাল দিয়ে স্প্যাগেটি বা নুডলস রান্না করে খান, তাহলে তাঁর আনন্দের মাত্রা বেড়ে হতে পারে দ্বিগুণ!
ছবি: Paul Hakimata/Fotolia
মনের জন্য ভিটামিন ‘ডি’
সূর্যের তাপে রয়েছে ভিটামিন ‘ডি’, যা শরীরে ঢুকে সুখ হরমোন তৈরি করে মনকে খুসি রাখে৷ শীতকালে যেহেতু সূর্যের তাপ কম পাওয়া যায়, তাই এ সময়ে সামুদ্রিক মাছ, ডিম এবং মাশরুম খেয়ে আবারো মনের আনন্দ ফিরিয়ে আনা সম্ভব৷ পরীক্ষা করে দেখুনই না...৷
ছবি: Colourbox
6 ছবি1 | 6
২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে তথাকথিত শুদ্ধি অভিযান শুরু করা হলো, তখনও প্রকৃত অর্থে বড় কোনো ব্যতিক্রম চোখে পড়েনি৷ শুরুর দিকে খুব ঘটা করে অভিযান চালানো হলো৷ সব অসাধু ব্যবসায়ীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক৷ সেনা সদস্যদের সরাসরি অংশ গ্রহণে তখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও হয়েছে৷ মজুদদারদের গুদামেও দেয়া হয়েছে হানা৷ মনে হচ্ছিল, অসাধু ব্যবসায়ীদের দুর্দিন অবশেষে বুঝি এসেই গেল৷ কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সব হম্বি-তম্বি শেষ৷ ওয়ান ইলেভেনের সরকার ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই দেশ আবার হয়ে গেলে অসাধুদের স্বর্গরাজ্য৷
এখনও একই নিয়মে চলে মোবাইল কোর্টের অভিযান এবং একই নিয়মে অসাধুরা আরো ফুলে-ফেঁপে ওঠে৷ সুতরাং এ পর্যন্ত সব অভিযানই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বলা যেতেই পারে৷
কেন ব্যর্থ হলো? কেন ব্যর্থ হচ্ছে?
অনেকে বলবেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত অনেক লম্বা৷ তাদের কারো কারো ক্ষমতার প্রায় শীর্ষবিন্দু পর্যন্ত যোগাযোগ৷ তাদের রুখবেন কী করে?'' অসৎকর্মে অসাধুরা সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ – এ কথাও নিশ্চয়ই বলবেন৷
কথা ঠিক৷ আর ও চিত্রটা একেবারে রাজনীতির ময়দানের মতো৷ অপরাজনীতিবিদদের মতো অসাধু ব্যবসায়ীরাও নিজেদের হীন স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে সবসময়ই জোটবদ্ধ৷ ওপরে ওপরে যত বিভেদই থাক, ভেতরে ভেতরে কিন্তু সবাই এক৷
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় ৯ খাবার
প্রযুক্তির উন্নয়নে সময়ের সাথে তাল মেলাতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যবলেট, মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে শরীরের মহা মূল্যবান অঙ্গ চোখ দুটোর ওপর পড়ছে বাড়তি চাপ ৷ তাই চোখকে সুস্থ রাখে এমন কিছু খাবারের কথা জেনে নিন ছবিঘর-এ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চোখের স্বাস্থ্যে গাজরের তুলনা নেই
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা চোখের জন্য ভালো৷ অর্থাৎ চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং ছানি পড়া দীর্ঘায়িত করে৷ তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের গাজর খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন৷ তাছাড়া বিভিন্ন আলু নানাভাবে খাওয়া হলেও, মিষ্টি আলু সেভাবে খাওয়া হয় না৷ অথচ এই মিষ্টি আলুতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন৷
ছবি: Colourbox/M. Velychko
সবুজ শাক-সবজি
আজকের যুগে স্বাস্থ্য সচেতন সকলেই কম-বেশি জানেন যে, নিজেকে সবুজ বা তরুণ রাখার মূলমন্ত্র হলো সবুজ শাক-পাতা খাওয়া৷ চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজন সবুজ শাক-সবজি, কারণ এ সবে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর লুটিন, যা কোনো নীল আলো বা লাইটকে চোখের রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলা থেকে বিরত করে৷
ছবি: picture alliance/C. Mohr
টমেটো
অতিরিক্ত আলোতে কাজ করার ফলে যে সমস্যা হয়, তা কমায় টমেটোয় থাকা লাইকোপিন৷ চোখের জন্য যা দরকার, যেমন আঁশ, খনিজ ক্যারোটিন – এ সবই রয়েছে রসালো টমেটোতে৷
ছবি: imago/JuNiArt
মুরগির মাংস
মুরগির মাংসে রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক এবং ভিটামিন ‘বি’, যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে৷ মুরগির মাংস নানাভাবে খাওয়া যেতে পারে৷ এমন কি ছোটরাও খেতে পারে এই মাংস৷
ছবি: Fotolia/Barbara Pheby
কমলালেবু
কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন এবং ভিটামিন ‘সি’, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী৷ ভিটামিন ‘সি’ চোখের দৃষ্টি নরমাল বা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে৷
ছবি: Fotolia/cut
ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমের গুণের কথা কম-বেশি সকলেই আমরা জানি৷ এতে রয়েছে লুটিন এবং যথেষ্ট পরিমাণে জিংক, যা চোখকে ‘মাসকুলার ডিজেনারেশন’ সমস্যা থেকে বাঁচায়৷ এ সমস্যা সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পরে দেখা দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
যেসব মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, সেগুলো চোখের জন্য বেশ উপকারী৷ স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকরেল, কড, টুনা – এ সমস্ত মাছ চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এবং চোখকে নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে৷ শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তাই মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি খেতে হবে আর তা একেবারে ছোটবেলা থেকেই৷
ছবি: Fotolia/Printemps
রঙীন ফল ও সবজি
হলুদ, সবুজ, কমলা রঙের, অর্থাৎ গাজর, কমলা, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ভুট্টা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের ফলমূল ও শাক-সবজি, যেগুলোয় ভিটামিন ‘এ’ আছে, এমন খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত৷ নিয়মিত এই কাজটি করলে চোখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া হবে৷ এ কথা বলেন জার্মানির বন শহরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ফ্রাঙ্ক হলৎস৷
ছবি: BGNes
বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ যা চোখের জন্য ভালো৷ বাঁধাকপি দামে সস্তা এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় তাছাড়া সহজে নষ্ট হয়না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চোখের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন
সুন্দর এই পৃথিবীতে আমরা সুন্দর, স্লিম আর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য কত কী-ই না করি৷ অথচ অবহেলিত হয় আমাদের চোখ দুটো৷ চোখের বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য কসমেটিক্সের কথা যেভাবে ভাবা হয়, চোখের ভেতরের স্বাস্থ্যের কথা সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে চোখের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনযুক্ত খাবার যথেষ্ট পরিমাণে খেলে চোখ থাকবে সুস্থ৷ দৃষ্টিশক্তি হারালে কিন্তু এই সুন্দর ভুবনের প্রায় সবই মনে হবে বৃথা, জীবনকে মনে হবে মূল্যহীন!
ছবি: www.shalimoff.com
10 ছবি1 | 10
তার নমুনা কয়েকদিন আগেও দেখলাম৷ দেখলাম, ‘নীতিমালায় বৈষম্য ও আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে হয়রানি'র প্রতিবাদের কথা বলে দেশের সব চেইন সুপার শপ একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হলো৷ প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সুপার শপের মালিকরা বলেছেন, ‘‘সুপার শপগুলোকে অনর্থক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে৷ নিরাপদ খাদ্যের নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত সুপার মার্কেটে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন৷ কেবল ভ্রাম্যমাণ আদালত নন, পুলিশ-র্যাব ও মিডিয়া নিয়ে বারবার অভিযান চালানো হচ্ছে৷ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য পরীক্ষা করে জরিমানাও করা হচ্ছে৷ যেন অভিযানে সুপার মার্কেটগুলোকেই টার্গেট করা হচ্ছে৷''
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁরা আরো দাবি করেছেন, ‘‘সুপার মার্কেটে একেক সময় একেকটি কর্তৃপক্ষ মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে, বিশাল বহর নিয়ে অভিযানে আসে৷ অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, খাদ্যের গুণগত মানের চেয়ে মিডিয়ায় প্রচারণাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য৷''
খাদ্য পরীক্ষায় অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণের অভিযোগ সব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কেউ অস্বীকার করতে পারবেননা৷ একেক সময় একেকটি কর্তৃপক্ষের মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামার মধ্যে যে ‘প্রচারলালসা' থাকতে পারে তা-ও ঠিক৷
তাই বলে ব্যবসায়ীরা অভিযানের সময় তাদের প্রতিষ্ঠানে যেসব ভেজাল পণ্য পাওয়া গেছে সেগুলোর সম্পর্কে একদম চুপ কেন? মানুষকে ভেজাল খাইয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কৌশলে এড়িয়ে তাঁরা ধর্মঘট ডেকে দিলেন?
‘‘ঠাকুর ঘরে কে রে?-'' এই প্রশ্নের উত্তরে যদি কেউ বলে ওঠে ‘‘আমি কলা খাইনা'', তাহলৈ কী বুঝে নিতে হয়?
দেশের মানুষ কম তো দেখেনি৷ অন্যায্য দাবিতে বাস মালিক, লঞ্চ মালিকদের ধর্মঘট দেখেছে বহুবার৷ আবার ধর্মের কথা, মানুষের প্রতি মানবিক আচরণের দায়বদ্ধতার কথা ভুলে যখন-তখন নিয়ম-নীতি না মেনে ভাড়া বাড়াতেও দেখেছে৷ দেশটা তাদের কাছে মগের মুল্লুক৷ ভেজাল ব্যবসায়ীদের কাছেও দেশটা আসলে তাই৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷