মোট ১৫ হাজার মানুষকে নিয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের লাস পালমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দশ বছর একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল৷ বলা বহুল্য, সেখানে যাঁরা তৈরি খাবার ও মাংস বাদ দিয়ে শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম, মাছ খাওয়া শুরু করেছেন, অল্পদিনের মধ্যেই তাঁদের বিষণ্ণতা কেটে গিয়ে মন ভালো হয়ে গেছে৷

একটি বড় আমের অর্ধেক, জাম্বুরার ২০০ মিলি লিটার রস ও সাদা দই একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিশিয়ে ফেলুন৷ তারপর দুটো সুন্দর গ্লাসে ঢেলে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখার পর পুদিনা পাতা দিয়ে একটু সাজিয়ে নিন৷ এবার প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে পান করুন, দেখবেন মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যাবে৷ কারণ আমে থাকা টাইরোসিন শরীরে ডোপামিন হরমোন উৎপাদন করে বিষণ্ণতাকে দূরে ঠেলে দেয়৷

‘চকলেট মেকস হ্যাপি’ – এটা শুধু কথার কথা নয়! বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেটের মধ্যে যে সুখ হরমোন, মানে সেরোটোনিন থাকে, আসলেই তা মানুষকে আনন্দিত করে৷ এ কথা জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডের গবেষকরা৷ ডার্ক চকলেটে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী৷

আস্ত কমলা খাওয়ার চেয়ে কমলায় থাকা ভিটামিন ‘সি’-র রসের ক্যারটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে৷ জার্মানির হোহেনহাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে করা এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা যায়৷ অর্থাৎ মন ভালো করতে কমলার তাজা রসের তুলনা নেই৷ তবে কমলা লেবুর রস পান করতে হবে চিনি বা পানি ছাড়া৷

মরিচ খাওয়ার পর মজার ঝাল স্বাদটা যখন জীবে লাগে, তখনই এন্ডোরফিন, অর্থাৎ আরো একটি সুখ হরমোন শরীরে ছড়িয়ে যায়৷ তাই কেউ যদি প্রচণ্ড ঝাল দিয়ে স্প্যাগেটি বা নুডলস রান্না করে খান, তাহলে তাঁর আনন্দের মাত্রা বেড়ে হতে পারে দ্বিগুণ!

সূর্যের তাপে রয়েছে ভিটামিন ‘ডি’, যা শরীরে ঢুকে সুখ হরমোন তৈরি করে মনকে খুসি রাখে৷ শীতকালে যেহেতু সূর্যের তাপ কম পাওয়া যায়, তাই এ সময়ে সামুদ্রিক মাছ, ডিম এবং মাশরুম খেয়ে আবারো মনের আনন্দ ফিরিয়ে আনা সম্ভব৷ পরীক্ষা করে দেখুনই না...৷

কাঁচা পেঁয়াজ খেলে পেট ফাঁপে বা পেটে গ্যাস হয় তা যেমন ঠিক তেমনি রান্না করা পেঁয়াজে কিন্তু সেরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে৷ তাই কাঁচা পেয়াজ খেলে যারা অসুবিধা বোধ করেন, তাদের কাঁচা পেঁয়াজ না খাওয়াই ভালো৷

কেউ কি কখনো ভেবেছেন যে চিনিতেও পেট ফাঁপতে পারে? হ্যাঁ, চিনিও অনেকের পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে কিন্তু৷

শষ্যদানা দেয়া রুটি খেলেও পেট ফাঁপতে পারে৷ তবে সেটা তখনই হয়, যখন রুটিটি একদম তাজা, অর্থাৎ ওভেন থেকে নামিয়েই সাথে সাথে খাওয়া হয়৷ তবে কিছুক্ষণ পর, অর্থাৎ দু’তিন-ঘন্টা পরে খেলে আর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷

কেকের ওপর একটু ক্রিম ছড়িয়ে দিলে কেকের স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ৷ জার্মানরা কিন্তু এরকম লোভনীয় কেক খেতে ভীষণ পছন্দ করেন৷ তবে প্রোটিন আর ফ্যাট একসথে পেটে থাকতে তেমন পছন্দ করে না, ফলে অনেকের পেট ফাঁপতে পারে৷

কিশমিশ শুকনো ফলের মধ্যেই পড়ে৷ মিষ্টি খাবারে দেয়া রান্না করা কিশমিস খেলে তেমন অসুবিধা হয় না৷ তবে শুধু কিশমিস খাওয়া কিন্তু কারো কারো পেটে বায়ু হওয়ার কারণ হতে পারে৷

ফোলানো ফাঁপানো অসম্ভব মজার এই ফ্রেঞ্চ রুটিটি দেখলে অনেকেই খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না৷ তবে খালি পেটে কফি পান করার মতো সকলাবেলা খেলে পেটে ক্রসোঁ খেলে পেটে গ্যাস বা বায়ু হতে পারে৷ চাঁদের আকারের এই ফ্রেঞ্চ রুটিটি জার্মনিতে অবশ্য বেশ জনপ্রিয়৷

কোকা কোলা, ফান্টা – এরকম হালকা পানীয় সহজেই পেট ফুলিয়ে দিতে পারে৷ আসলে পানীয়তে থাকা মিষ্টিই এর প্রধান কারণ৷ এ সব মিষ্টি পানীয় শুধু পেটই ফাঁপায় না, সেই সাথে ওজনও বাড়ায় অনেক তড়াতাড়ি৷ তাই বিশেষজ্ঞরা এ সমস্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছেন৷

ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, গাজর বা সেলারির মতো অনেক সবজি থেকেও কিন্তু পেটে গ্যাস হতে পারে৷ তবে তা যদি কাঁচা খাওয়া হয়৷ সেদ্ধ বা রান্না করা সবজি খেলে পেটে বায়ু হওয়ার সম্ভাবনা কম৷

চুইংগাম চিবোনোর সময় পেটে অনেক বেশি বাতাস ঢোকে আর তা থেকেও অনেক সময় পেট ফাঁপতে পারে বা গ্যাস হতে পারে৷

কফির ‘কফিইন’ অনেকেরই পেটে অস্বস্তির কারণ হয় এবং তা থেকেও পেট ফাঁপে বা ফোলে৷ তবে কফি পানের ঠিক আগে বা পরপরই যদি ফল খাওয়া হয়, তাহলে সামস্যা আরো বেশি হয়৷

বিভিন্ন ধরনের ডালে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা মাংসের বিকল্প হতে পারে৷ এমনটাই জানান জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ প্রফেসার পেটার স্টেলে৷ ডাল, শিম বা বিচি ভালো করে সেদ্ধ হলে এবং যথেষ্ট পানি থাকলে পেটে বায়ু হয়ার সম্ভাবনা কম থাকে৷

মিনারেল ওয়াটারে থাকা কার্বোনিক অ্যাসিড পান করার পর অনেকেরই পেটে বায়ু হয় এবং পেট ফোলে ও ফাঁপে৷ যাদের এ সমস্যা রয়েছে, তাদের মিনরেল ওয়াটার পান না করা উচিত৷